রচনা বিজ্ঞান ও কুসংস্কার / rachana biggan o ku sanskar
রচনা
বিজ্ঞান ও কুসংস্কার
বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ। মানুষ সেই আদিম যুগ থেকে অজানাকে জানার উদ্দেশ্যে যে পরিশ্রম করে চলেছে। আজ তার সার্থক হয়েছে ।অর্থাৎ বিশ্বকে হাতের মুঠোর মধ্যে এনে ফেলেছে। দূরকে করেছে নিকট ।মানুষের আয়ু কে করেছে বৃদ্ধি । কিন্তু কুসংস্কার থেকে মানুষ দূরে সরে আসতে আজও পারেনি । তাইতো টিভির পর্দায়, খবরের কাগজে ,সোশ্যাল সাইটে দেখা যায় ডাইনি সন্দেহে মানুষকে মারধর করে গ্রামছাড়া করা ।সাপের কামড়ে ওঝার বাড়িতে মৃত্যু। ভূতের ভযে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়া । তাবিজ অথবা মাদুলি নেওয়া । এসব মানুষের মধ্যে এখন নিত্যদিনের কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে । অথৎনিত্য দিন মানুষ কুসংস্কারকে জড়িয়ে ধরে বেঁচে থাকে ।এই কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াই আমাদের অনেকদিনের। হয়তো কিছু কুসংস্কার থেকে মুক্ত পাওয়া গেছে আইন করে।যেমন সতীদাহ প্রথা ,গঙ্গাসাগরে সন্তান বিসর্জন প্রথা, ইত্যাদি। কিন্তু ভুত-প্রেত বা রোজার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়নি। মানুষকে দেখা যায় রোজার কাছে গিয়ে ভূতের হাত থেকে বাঁচানোর কথা বলতে। বিজ্ঞান যখন বলছে ওটা হাতে পায়ের বাত, রোজা তখন বলছে তোমাকে কেউ বাণ মেরেছে। মানুষ বিজ্ঞানকে তখন বিশ্বাস করতে পারছে না। রোজার কথাটাই বিশ্বাস করছে। বিজ্ঞান যখন বলছে কাউকে সাপে কামড়ালে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাও । মানুষ সেখানে না গিয়ে রোজার বাড়ি যাচ্ছে। ঝাড়ফুঁক করছে ।জ্বর হলে ডাক্তারখানায় না গিয়ে গুনীনের জলভরা খাচ্ছে। কোন কিছু হারিয়ে গেলে তাকে ফিরে পাবার উদ্দেশ্যে গণৎকার কাছে হাজির হচ্ছে ।নয়তো টিভির পর্দায় চোখ দেখে জ্যোতিষ শাস্ত্র ভাগ্য গণনা শুরু করছে। হাত দেখাচ্ছে। বিভিন্ন রাশিফলের খারাপ বলে নিজে দামি পাথর গ্ৰহণ করছে। শনির দশা খারাপ তোমায় তাবিজ নিতে হবে বহু মূল্যের তাবিজ মানুষ নিতে বাধ্য হচ্ছে। বর্তমান যুগে মানুষ বিজ্ঞানের সামনে দাঁড়িয়েও ভুলতে পারছে না কুসংস্কারের কথা। তারা আঁকড়ে ধরে পড়ে আছে জ্যোতিষীর দুয়ার । নয়তো রোজার দুয়ার। এর ফলে মানুষ কর্মের ক্ষতি করছে । মনের জোর কমিয়ে ফেলছে। তবুও কুসংস্কারকে মন থেকে দূর করতে পারছে না । তাই বর্তমান যুগে কুসংস্কারের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।যতদিন না এটা দূর হবে, ততদিন পর্যন্ত বিজ্ঞানের জয়যাত্রা থমকে দাঁড়িয়ে থাকবে।
রচনা লিষ্ট নীচে রচনা গুলি দেখুন
৩. সময়ের মূল্য
৪. আমাদের গ্ৰাম
৫. দুয়ারে সরকার
৭. পরিবেশ দিবস
১১. শীতের সকাল
১২. সরস্বতী পূজা
১৩. দূর্গা পূজা
১৪. নবান্ন উৎসব
১৫. ছায়াতরু বটবৃক্ষ
১৬. বর্ষাকাল
১৭. বইমেলা (১)
১৮. তোমার ইস্কুল
২০. উৎসব মুখর বাংলা
২১. একটি নদীর শোভা
২৩. একটি শীতের দিন
২৪. শীতকাল (১)
২৬. পরিবেশ দিবস
২৭. কাজের গৌরব
২৮. মাতার স্নেহ
২৯. দূরদর্শন
৩১. সংবাদ পত্র
৩২. জগদীশ চন্দ্র বসু
৩৮. বসন্ত কাল
৩৯. চিড়িয়াখানা
৪০. কালবৈশাখী
৪১. জীবনের লক্ষ্য
৪৩. গ্ৰন্থাগার
৪৪. গৃহপালিত পশু
৪৫. তোমার প্রিয় খেলা
৪৯. গ্ৰামের হাট
৫০.. ছোটো অন্য রচনা
৫২. মাতৃভাষা
৫৯. বাংলার ফুল ফল
৬০.বনোমহোৎসব
৬১. তোমার প্রিয় উৎসব
৬২. কুকুর
৬৬. চন্দ্রযান -৩
৬৮. গ্ৰামের পরিবেশ
৬৯. শহরের পরিবেশ
৭১. শরীর চর্চা
৭২. খেলাধুলার জগৎ
৭৪. মাটি দূষণ
৭৯. বাংলার কৃষক
৯৮. নদীর গুরুত্ব
১০০. স্বাস্থই সম্পদ
১০১. বিদ্যুতের গুরুত্ব
১০২. ম্যালেরিয়া
১০৩. বিশ্ব উষ্ণায়ন
১০৪. বর্যণ মুখর বাংলা
১০৫. শীতের দিন
১০৬. গ্ৰাম বাংলার উৎসব
পত্ররচনা বাবা কে