চাণক্য নীতি বাস্তবিক পর্ব 2 - Online story

Thursday 20 January 2022

চাণক্য নীতি বাস্তবিক পর্ব 2

  


চাণক্য নীতির বাস্তবিক পর্ব 2
 আগের পর্ব ১

পরের পর্ব -৩

(৫)
চাণক্য বলেছেন - মানুষের দেহ যদি সুন্দর হয়। কিন্তু তার মধ্যে যদি গুণের অভাব থাকে তাহলে সেই সৌন্দর্য কোনো কাজে আসে না। যদি উচ্চ বংশে জন্মগ্রহণ করা কোন ব্যক্তি নীচ  আচরণ করে তাহলে তার বংশের বদনাম হয়।

(৬)
চাণক্য বলেছেন- শান্তি থেকে বলো কোন সমস্যা নেই অর্থাৎ যে ব্যক্তি শান্ত থাকতে পারে তার অনেক লাভ হয় ।শান্ত থাকা একটা বিরাট ব্যবস্থার মতো। শান্ত থাকার জন্য ব্যক্তিকে নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে হয়। যে ব্যক্তি সর্বদা ছুটে বেড়াতে থাকে সে সুখ প্রাপ্তির থেকে বঞ্চিত হয় ।অল্পতে যে সন্তুষ্ট থাকে তার মত সুখী কেউ হয়না

(৭)
চাণক্য বলেছেন- ক্রোধ মানুষের শরীরকে পুড়িয়ে ফেলে। ঠিক যেমন যমরাজ মানুষের দেহ সমাপ্ত করে দেয়।


(৮)
চাণক্য বিবাহ করার জন্য কেমন কন্যাকে গ্রহণ করা উচিত  সে ব্যাপারে বলেছেন-
     বিবাহের জন্য সর্বদা সুন্দরী কন্যার খোঁজ না করে বংশ, কুল এবং গুণের খোঁজ করা উচিত। কারণ কন্যা শ্রেষ্ঠ কুলে জন্ম গ্রহণ করলে তার আচরণে হবে শ্রেষ্ঠ ।তার চিন্তা ধারাও শ্রেষ্ঠ হবে। সেই কন্যা সেটাই করবে তাতে মান সম্মান বৃদ্ধি পায় এবং বিবাহ অবশ্য নিজের কুল বা জাতি মধ্যে হওয়া উচিত।


(৯)
চাণক্য বলেছেন -বডো বডো নখ যুক্ত হিংস্র প্রাণীদের থেকে দূরে থাকা উচিত। কারণ বডো বডো নখ যুক্ত প্রাণীদের কখন মেজাজ বদলে যায় কেউ জানে না। তোমার ওপর আক্রমণ যে কোন সময় হতে পারে। ঠিক চঞ্চল স্বভাবের স্ত্রীদের ওপর বিশ্বাস করা এভাবেই উচিত নয় ।এমনকি রাজার সঙ্গে সম্বন্ধিত  কুলের ব্যক্তিদের ওপর বিশ্বাস করা উচিত নয় ।তারা যেকোনো সময় রাজা কাছে নালিশ করে লোকের ক্ষতি করতে পারে।


(১০)
চাণক্য বলেছেন- যেসব নদীর ঘাট পাকা নয় সেগুলোর উপর কোন বিশ্বাস করা উচিত নয়। কারণ কেউ জানেনা কখন নদীর প্রচন্ড বেগ তার রূপ ধারণ করে তার দিক পরিবর্তন করতে পারে কেউ জানেনা।এমন কি নদী কোন দিকে বয়ে যাবে কেউ বলতে পারে না। এজন্য নদীর ধারে বাস করতে থাকা লোকেরা প্রায় নিরাশ্রয় হয়ে পড়তে পারে।

(১১)
চাণক্য বলেছেন -বিষে যদিও অমৃত্য থাকে তাহলে সেটা পান করা উচিত। অপবিত্র আর অশুদ্ধ বস্তুর মধ্যে যদি সোনা অথবা কোন মূল্যবান বস্তু পড়ে থাকে তাহলে সেটা সংগ্রহ করা যেতে পারে ।অর্থাৎ এর মধ্যে তিনি বুঝিয়েছেন যদি কোন ব্যক্তির কাছে কোন উত্তম গুণ বা বিদ্যা থাকে তাহলে তার কাছ থেকে সেই শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত । সে তোমার কাছে যত খারাপ হোক না কেন।
(১২)
চাণক্য বলেছেন -কোন ব্যক্তি কোনো কঠিন রোগে পড়লে বা তার কোনো দুঃসময়ে পড়লে অথবা আকালে পড়লে কিম্বা চতুর্দিক থেকে সংকটময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে অথবা রাজ্যসভায় বা শ্মশানে মৃত্যুর সময় যে ব্যক্তি সঙ্গ-ত্যাগ করে না বাস্তবে তাকে সত্যিকারে বন্ধু হিসেবে মানা উচিত।

(১৩)
 বসবাস করার ব্যাপারে চাণক্য  চাণক্য বলেছেন -যেখানে এই  পাঁচটি জিনিস বিদ্যমান না থাকে সেখানে বসবাস করা উচিত নয়
প্রথম যাদের মধ্যে দান করার প্রবৃত্তি না থাকে তাদের সাথে বাস করা উচিত নয়।
 দ্বিতীয় যাদের লোকলজ্জার ভয় না থাকে তাদের সাথে বাস করা উচিত নয়।
 তৃতীয় যেখানে কোন প্রকার শাস্তি পাওয়ার ভয় থাকে না সেখানে বাস করা উচিত নয়
 চতুর্থ যেখানে জীবন চালাবার কোন সাধন থাকে না সেখানে বাস করা উচিত নয়।
 পঞ্চম যেখানকার ব্যক্তি নিজের কাজে চতুর আর কুশল হয়না তাদের সাথে বাস করা উচিতনয়।

(১৪)
 যখন কোন ব্যক্তি ধন হীন হয়ে পড়েন তখন তিনি নিজের প্রতি নিজের বাস্তবিকতার ব্যাপারে জানতে পারেন ।এমনকি  তাঁর পত্নী তার প্রতি ভালোবাসা কারণে ছিল ।