চাণক্য নীতির বাস্তবিক দিক তৃতীয় পর্ব - Online story

Saturday 22 January 2022

চাণক্য নীতির বাস্তবিক দিক তৃতীয় পর্ব


  চাণক্য নীতি বাস্তবিক তৃতীয় পর্ব আগের পর্ব 2 দেখুন

 পরের পর্ব 4 দেখুন

 বুদ্ধিমান ব্যক্তি কে কখন কষ্ট ভোগ করতে হয় এ ব্যাপারে চাণক্য বলেছেন -যখন মূর্খ শিষ্যকে যখন উপদেশ দেয় ।
যখন দুষ্টু ব্যভিচারিনী স্ত্রীর লালন পালন করে।
 যখন ধন নষ্ট হয়ে পড়ে এবং দুঃখী ব্যক্তি সাথে যখন সম্পর্ক রাখে।



 চাণক্য বলেছেন- মূর্খ ব্যক্তি কে জ্ঞান প্রদান করলে কোন লাভ হয় না উল্টে বুদ্ধিমান লোকের ক্ষতি হয় ।

চাণক্য বলেছেন আপনার অধীনস্থ চাকর যদি আপনার মুখের ওপর জবাব দেয় ,তাহলে জানবেন সে যে কোন সময় আপনার এমন ক্ষতি করবে ,যেটা আপনার পক্ষে খুব দুঃখ দায়ী হবে।



কোন স্থানে থাকা মানুষের উচিত নয় এ ব্যাপারে চাণক্য পাঁচটি জিনিসের কথা বলেছেন- প্রথমত ধনী মানুষ যেখানে নেই সেখানে থাকা উচিত নয় ।
দ্বিতীয় বেদ জানা ব্রাহ্মণ যেখানে নেই সেখানে থাকা উচিত নয়।
 রাজা শাসন ব্যবস্থা যেখানে নেই সেখানে থাকা উচিত নয় ।
নদীর জল যেখানে নেই সেখানে থাকা উচিত নয়।
 সর্বশেষে চিকিৎসা ব্যবস্থা যেখানে নেই সেখানে থাকা উচিত নয়।


চাণক্য বলেছেন -লোভে পড়ে যে ব্যক্তি ছুটোছুটি করে বেড়ায় সে সন্তুষ্ট থাকতে পারে না ।যেটুকু পাওয়া গেছে সেটুকু নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। যে ব্যক্তি অর্ধেককে ছেড়ে গোটার পিছনে ছুটে তার হাত থেকে অর্ধেক টা ও বেরিয়ে যায়।




চাণক্য স্ত্রীদের সামাজিক দোষ যেগুলোকে উল্লেখ করেছেন সেগুলো হলো মিথ্যা কথা বলে না ভেবেচিন্তে কোন কাজ শুরু করে দেওয়া দুঃসাহস দেখানো শতকরা মূর্খতাপূর্ণ কাজ করা লোভ করা অপবিত্র থাকা এবং নির্দয়তা



সংসার কখন স্বর্গের সমান হয় এ ব্যাপারে চাণক্য বলেছেন যে ব্যক্তির পুত্র তার বসে থাকি স্ত্রী তার ইচ্ছা অনুসারে কার্যকরে এবং যে ব্যক্তি নিজের দ্বারা উপার্জন করা ধনে সন্তুষ্ট থাকি যার মধ্যে লোভ-লালসা বর্জন করার ক্ষমতা নেই বাস্তবে এমন মানুষের কাছে এই সংসার এই স্বর্গ সমান হয়


চাণক্য যে সকল সঙ্গীদের ত্যাগ করতে বলেছেন তারা বলেন যারা সামনে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে আর একটু আড়াল হলেই তার নামে নিন্দা করে সেই সকল মৃত্যুর কে ত্যাগ করতে বলেছেন অর্থাৎ এমন ব্যক্তি সেই পাত্রের সমান হয় যার উপরের অংশে দুধ ভালো আছে কিন্তু ভেতরে বিষ আছে এই সকল সঙ্গীকে দূরে থাকতে বলেছেন।


চাণক্য বলেছেন কোন ব্যক্তি নিজের মনের কথা অন্যকে জানানো উচিত নয় সে কি করতে চায় সেটা নিজের মনের মধ্যে রেখে দেওয়া উচিত আর সময় এলে তাকে পূরণ করা উচিত


চাণক্য বলেছেন মূর্খ ব্যক্তি থেকে একটু দূরে থাকতে কারণ মূর্খ ব্যক্তি উচিত অনুচিত জ্ঞান থাকেন



চাণক্য বলেছেন সব পাহাড়ে রত্ন মানিক খুজে মন পাওয়া যায় না তেমনি সজ্জন পুরুষের দেখা সব জায়গায় সব সময় পাওয়া যায় না



চাণক্য বলেছেন সেইসব মাতা-পিতা নিজেদের সন্তানের কাছে a70 সমান হয় যখন তারা নিজের সন্তানদের লেখাপড়া শেখার না এমনকি ভালো শিক্ষা প্রদান করতে পারেন না


চাণক্য বাচ্চাদের ভালোবাসা দেয়ার ব্যাপারে বলেছেন বাচ্চা দিয়ে ভালোবাসা উচিত কিন্তু বাচ্চাদের অত্যধিক আদর ভালোবাসা করলি বাচ্চাদের মধ্যে অনেক প্রকার দেশে উৎপন্ন হয়ে থাকে


চাণক্য বলেছেন যে বৃক্ষ নদীর ধারে গজায় আর যে লোকের স্ত্রী অন্যের বাড়িতে থাকে আর যে রাজার মন্ত্রী ভালো নয় তারা শীঘ্রই নষ্ট হয়ে পড়ে


যে সকল জিনিস গুলো আগুনের মত সরু শরীরকে সর্বদা ফুরাতে থাকে সেগুলি হল অতীত সন্ধি বিচ্ছেদ হয়ে পড়া নিজের বন্ধু-বান্ধবের দ্বারা অপমানিত হওয়া ঋণী থাকা খারাপ মালিকের সেবায় নিযুক্ত হওয়া সর্বদা নির্ধারণ হয়ে থাকা দুষ্টু স্বার্থপর লোকের সাথে থাকা




চাণক্য দুষ্টু ব্যক্তি সম্পর্কে বলেছেন দুষ্টু ব্যক্তি সাপের থেকেও ভয়ংকর যদি তোমাকে দুষ্টু ব্যক্তি এবং সাপকে দিয়ে বলা হয় কাকে তুমি বন্ধুত্ব করতে চাও তোমার বন্ধুত্ব করা উচিত সাপকে কারণ সাপ তার আত্মরক্ষার জন্য সময় মত কামড়ায় কিন্তু দুষ্টু ব্যক্তি সবসময় তোমার ক্ষতি করে চলবে সে কারণেই দুষ্টু ব্যক্তি সাপের থেকেও ভয়ঙ্কর



চাণক্য মূর্খ ব্যক্তি কে দুবাইয়ের পশু মনে করা উচিত বলেছেন কারন সে নিজের নোংরা বাণী আর নোংরা আচরণ দ্বারা লোকের মনে কষ্ট সৃষ্টি করে



চাণক্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা মানুষের জন্য বলেছেন -
প্রথমত -পরিশ্রমই উদ্যোগী ব্যক্তি কখনো দারিদ্র হতে পারে না ।অর্থাৎ যে ব্যক্তি লাগাতার পরিশ্রম করে চলেন তার দরিদ্রতা আপনা থেকেই দূর হয়ে যায়। পরিশ্রমের দ্বারা ভাগ্যকে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা যেতে পারে ।
দ্বিতীয়তঃ প্রভুর নাম জপ করতে থাকলে মনুষ্য পাপে লিপ্ত হতে পারেনা ।অর্থাৎ সর্বদা প্রভুকে বিদ্যমান অনুভব করে যিনি ঈশ্বরকে স্মরণ করে চলেন তিনি কখনও পাপ কাজে প্রবৃত্ত হন না।
 তৃতীয়ত মৌন হয়ে থাকলে লড়াই -ঝগড়া হয় না ।অর্থাৎ ঝগড়াকে শান্ত করার জন্য মৌন থাকা উচিত ।

চতুর্থ যে ব্যক্তি জাগ্রত হয়ে থাকেন অর্থাৎ সতর্ক থাকেন তার কোন ভয় থাকেনা অর্থাৎ সতর্ক হয়ে থেকে নিজের কার্য করে চলেন যে ব্যক্তি কার কোন ভয়ের আশঙ্কা থাকে না।
 আর যিনি অসতর্ক থাকেন তার জীবনের প্রতি ক্ষেত্রেই তাকে বিপদের শিকার হতে হয়।