class 7 bangla pagla ganesh story hate kalame question answerসপ্তম শ্রেণির বাংলা পাগলা গনেশ হাতে-কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর
সপ্তম শ্রেণি
বাংলা
. পাগলা গনেশ
অনুশীলনী প্রশ্ন উত্তর
হাতে-কলমে
অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর
১. সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখাে।
১.১ ‘পাগলা গণেশ’ একটি (বিজ্ঞান/কল্পবিজ্ঞান/ রূপকথা) বিষয়ক গল্প।
উঃ। পাগলা গণেশ একটি- কল্পবিজ্ঞান বিষয়ক গল্প।
১.২ ‘অবজার্ভেটরি’-র বাংলা প্রতিশব্দ (পরীক্ষাগার/ গবেষণাগার / নিরীক্ষণাগার)।
উঃ। 'অবজার্ভেটরি'-র বাংলা প্রতিশব্দ–নিরীক্ষণাগার।
১.৩ সভ্যসমাজ থেকে দূরে পালিয়ে গিয়ে গণেশ (হিমালয়ের গিরিগুহায়/ গভীর জঙ্গলে/মহাকাশে) আশ্রয়
নিয়েছিলেন।
উঃ। সভ্যসমাজ থেকে দূরে পালিয়ে গিয়ে গণেশ হিমালয়ের গিরিগুহায় আশ্রয় নিয়েছিলেন।
১.৪ গল্পের তথ্য অনুসারে মৃত্যুঞ্জয় টনিক আবিষ্কার হয়েছিল (৩৫৮৯/ ৩৪৩৯/৩৫০০) সালে।
উঃ। গল্পের তথ্য অনুসারে মৃত্যুঞ্জয় টনিক আবিষ্কার হয়েছিল—৩৪৩৯ সালে।
২. সংক্ষেপে উত্তর দাও :
২.১ “সালটা ৩৫৮৯”—এই সময়ের মধ্যে পৃথিবীতে কোন্ কোন্ নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের কথা বলা হয়েছে?
উঃ। এই সময়ের মধ্যে পৃথিবীতে মাধ্যাকর্ষণ প্রতিরােধকারী মলম, এবং নানারকম উড়ান যন্ত্র, মৃত্যুস্থায়ী টনিক আবিষ্কার হয়েছে। সূর্যের দুটি গ্রহ আবিষ্কৃত হয়েছে ।
২.২ “ওসব অনাবশ্যক ভাবাবেগ কোনাে কাজেই লাগে না”–অনাবশ্যক ভাবাবেগ’ বলতে কী বােঝানাে হয়েছে?
তাকে সত্যিই তােমার অনাবশ্যক' বলে মনে হয় কি?
উঃ। অনাবশ্যক ভাবাবেগ বলতে কবিতা, গান, নাটক, আঁকা ইত্যাদিকে বােঝানাে হয়েছে।
, এগুলিকে আমার অনাবশ্যক’ বলে মনে হয় না। কারণ মানুষের ভাবাবেগের প্রয়ােজন আছে না হলে জীবন প্রাণহীন ও নীরস বলে মনে হবে।
২.৩. “চর্চার অভাবে মানুষের মনে আর ওসবের উদ্রেক হয় না”—মানুষের মন থেকে কোন্ কোন্ অনুভূতি গুলাে হারিয়ে গেছে?
উঃ। গান, কবিতা, ছবি আঁকা, সাহিত্য, নাটক ইত্যাদির সাথে সাথে সৌন্দর্যবােধ, সৌন্দর্য দেখার দৃষ্টি, অবাক হওয়া। এইসব নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না। দয়া মায়া, করুণা ভালােবাসা ইত্যাদির প্রয়ােজন না থাকায় চর্চার অভাবে এই অনুভূতিগুলাে মানুষের মন থেকে হারিয়ে গেছে।
২.৪. “ব্যতিক্রম অবশ্য এক আধজন আছে”— ব্যতিক্রমী মানুষটি কে? কীভাবে তিনি ব্যতিক্রম হয়ে উঠেছিলেন ?
উঃ। ব্যতিক্রমী মানুষটি হলেন বিজ্ঞানী পাগলা গণেশ।
বিজ্ঞানের বাড়াবাড়ি গণেশের পছন্দ হয়নি। তিনি মনে করতেন বিজ্ঞানের বাড়াবাড়ির একটা সীমা থাকা উচিত। গণেশ অনেক চেষ্টা করেও যখন দেখলেন কালের চাকাকে উল্টোদিকে ঘােরানাে যাবে না তখন এই মানুষটি সমাজের মূল স্রোতের থেকে বেরিয়ে গিয়ে দূরে হিমালয়ের গিরিগুহার আশ্রয় নিয়ে কবিতা।লিখতেন। তার অনুভূতিগুলিকে তিনি হারাতে দিতেন না।
২.৫. “ও মশাই এমন বিকট শব্দ করছেন কেন?”—কার উদ্দেশ্যে কারা এ কথা বলেছিল? কোন্ কাজকে তারা
বিকট শব্দ মনে করেছিল ?
উঃ। পাগলা গণেশের উদ্দেশ্যে দুজন পাখাওয়ালা লােক এ কথা বলেছিল।
কয়েকদিন আগে গণেশ একদিন সন্ধেবেলা গলা ছেড়ে গান গাইছিল। সেই সময় দুটো পাখাওয়ালা লােক লাসা থেকে
ইসলামাবাদ যেতে যেতে নেমে এসে গণেশকে রীতিমতাে ধমক দিয়ে এই কথা বলেছিল। গণেশের গান গাওয়াকে তারা ‘বিকট শব্দ” বলে মনে করেছিল।
২.৬, “গণেশ তাদের মুখশ্রী ভুলে গেছে”—গণেশ কাদের মুখশ্রী ভুলে গেছে? তার এই ভুলে যাওয়ার কারণ কী বলে তােমার মনে হয়?
উঃ। গণেশ নিজের ছেলে-মেয়েদের মুখশ্রী ভুলে গেছে।
তাঁর এই ভুলে যাওয়ার কারণ ,অন্তত গত একশাে বছরের মধ্যে তাদের সঙ্গে গণেশের দেখা হয়নি।
২.৭. “গণেশকে সসম্রমে অভিবাদন করে বলল”—কে, কী বলেছিল? তার এভাবে তাকে সম্মান জানানাের কারণ কী?
উত্তর-একজন পুলিশমান গণেশকে স্যার বলে সসম্ভমে অভিবাদন করেছিল।
এভাবে তাকে সম্মান জানানাের কারণ হল এককালে গণেশ যখন কলকাতার সায়েন্স কলেজে মাইক্রো ইলেকট্রনিক্স
শিখতেন তখন এই পুলিশম্যানটি তার ছাত্র ছিলেন।
২.৮. “আমি পৃথিবীকে বাঁচানাের চেষ্টা করছি”—বা কীভাবে পৃথিবীকে বাঁচানাের চেষ্টা করেছিল? তার প্রয়াস হয়েছিল কি?
উত্তর- বক্তা গণেশ কবিতা লিখে, গান গেয়ে, ছবি এঁকে পৃথিবীটাকে বাঁচানাের চেষ্টা করেছিল। সে কবিতা লিখে লগুলাে বাতাসে ভাসিয়ে দিচ্ছিল। যদি কেউ সেগুলাে পড়ে, অন্তত তার অনুভূতিগুলাে যদি কবিতা পড়ে জেগে ওঠে।
,তার প্রয়াস শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছিল। লােকে গান গাইতে, কবিতা অভ্যাস করতে ও ছবি আঁকতে শুরু করেছিল।
২.৯. “লােকটা অসহায়ভাবে মাথা নেড়ে বলল”—এখানে কার কথা বলা হয়েছে? তার অসহায়ভাবে মাথা নাড়ার কারণ কী?
উত্তর-এখানে গণেশের ছাত্র পুলিশম্যানটির কথা বলা হয়েছে।
ল বলল, কবিতাটি পড়ে সে কিছু বুঝতে পারছে না। কোনােদিন এ জিনিস পড়েনি।
লিশম্যানটি গণেশের কবিতা পড়ে কিছু বুঝতে পারছিল না। কারণ তার আমলে
নকেতনে এসব পড়ানাে হত না। সে শুনেছিল তারও অনেক আগে কবিতা নামে কী যেন তাই অসহায়ভাবে সে মাথা নেড়েছিল।
২.১০. “তিনজন মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে বসে রইল।”—এই তিনজন কারা? তাদের মুগ্ধতার কারণ কী?
উত্তর-এই তিনজন হল পুলিশম্যান, তার স্ত্রী ও তাঁর মা।
গণেশের কবিতা, গান, ও ছবি তাদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছিল।
৯. “পাগলা গণেশ” গল্পের মুখ্য চরিত্র গণেশকে তােমার কেমন লাগল?
উত্তর- গণেশ হলেন ধরাবাঁধা গতে চলার বিরােধী একজন মানুষ। প্রবল বিজ্ঞানের যুগে তিনি বিজ্ঞানসর্বস্ব হয়েও তাঁর মধ্যে মনুষ্যত্ব রয়েছে। তার অনুভূতিও আছে। তিনি কবিতা লেখেন, গান করেন, ছবি আঁকেন। নাছােড়বান্দা মনােভাব। তিনি পৃথিবী থেকে যে সৌন্দর্যবােধ ও ভাবাবেগ হারিয়ে গেছে তা ফিরিয়ে এনে পৃথিবীকে বাঁচিয়ে তােলার
অক্লান্ত শ্রম করে চলেছেন। তার এই ব্যতিক্রমী, আন্তরিক ও খ্যাপাটে চরিত্র আমার খুব ভালাে লেগেছে।
৪.অর্থ অপরিবর্তিত রেখে নিম্নরেখাঙ্কিত শব্দগুলির পরিবর্ত শব্দ বসাও ঃ
৪.১. ওসব অনাবশ্যক ভাবাবেগ কোনাে কাজেই লাগে না।
উত্তর-ওসব অপ্রয়ােজনীয় ভাবাবেগ কোনাে কাজেই লাগে না।
৪.২. কেউ ঠাট্টা-বিদ্রপ করল না ।
উত্তর-কেউ রং-তামাশা করল না।
৪.৩. দুনিয়াটা বেঁচে গেল।
উত্তর। পৃথিবীটা বেঁচে গেল।
৪.৪. মহাসচিব তার বিমান থেকে নামলেন গণেশের ডেরায়।
উত্তর-মহাসচিব তার উড়ােজাহাজ থেকে নামলেন গণেশের ডেরায়।
৪.৫. গণেশকে সসম্ভ্রমে অভিবাদন জানিয়ে বলল।
উত্তর- গণেশকে সসম্মানে অভিবাদন জানিয়ে বলল।
৪.৬, লােকে গান গাইতে লেগেছে, কবিতা মকসাে করছে।
উত্তর-লােকে গান গাইতে লেগেছে, কবিতা অভ্যাস করছে
৪.৭ হিমালয় যে খুব নির্জন জায়গা, তা নয়। উত্তর- হিমালয় যে জনহীন জায়গা, তা নয়।
৪.৮ ধুর মশাই, এ যে বিটকেল শব্দ।
উত্তর- ধুর মশাই, এ যে বিশ্রী শব্দ।
৫.এককথায় লেখাে ।
প্রধান যে সচিব—মহাসচিব।
প্রতিরােধ করে যে—প্রতিরােধী।
গতিবেগ আছে যার—গতিশীল।
মৃত্যুকে যে-মৃত্যুঞ্জয়ী।
অন্ত নেই যার—অনন্ত।
৬.সন্ধিবিচ্ছেদ করাে ।
মাধ্যাকর্ষণ—মধ্য + আকর্ষণ।
আবিষ্কার—আবিঃ + কার।
মৃত্যুঞ্জয়-মৃত্যু + জয়।
অনাবশ্যক—অন + আবশ্যক
গবেষণা—গাে + এষণা।
অন্তরীক্ষ—অন্তঃ + ইক্ষ।
গণেশ—গণ + ঈশ।
হিমালয়—হিম + আলয়।
নির্জন—নিঃ + জ।
গবেষণাগার—গাে + এষণা + আগার।
পরীক্ষা—পরি + ঈক্ষা।
৭. সমার্থক শব্দ লেখােঃ
কৃত্রিম-নকল।
পৃথিবী—বসুধরা।
আন্দোলন—বিক্ষোভ।
৮. নিম্নলিখিত বিশেষণগুলির পর উপযুক্ত বিশেষ্য বসাও এবং বাক্যরচনা করাে ?
উঃ। কৃত্রিম → কৃত্রিম
→ কৃত্রিম হরমোন বাজারে কিনতে পাওয়া যায়
মেদুর→
মেদুর স্মৃতি ভুলে না গেলে মনে কষ্ট পেতে হবে
সুকুমার→ সুকুমার নামে সন্তানের ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়
যান্ত্রিক → যান্ত্রিক বাটালি → যান্ত্রিক বাটারি নিয়ে সাবধানে কাজ করতে হয়
ফিরােজা → ফিরােজা রং → ফিরোজা রঙের রঙের গহনার অনেক দাম
মন্ত্রমুগ্ধ → মন্ত্রমুগ্ধ শ্রোতা → বেদের পড়াশোনা মন্ত্রমুগ্ধের মত
। -অন্য গুলি দেখন
(১) ছন্দে শুধু কান রাখো (১)
(২) কার দৌড় কদ্দুর
(৩) বঙ্গভূমির প্রতি
(৪) পাগলা গণেশ
(৫) আত্মকথা
(৬) চিরদিনের কবিতা
(৮) নোট বই
(৯) স্মৃতি চিহ্ন
(১০) দেবাতাত্মা হিমালয়
(১১) আঁকা- লেখা
(১২) খোকনের প্রথম ছবি
(১৩) ভারত তীর্থ
(১৫) রাস্তায় ক্রিকেট খেলা
(১৬) দিন ফুরালো
(১৭) গাধার কান
(১৮) পটল বাবু ফ্লিমস্টার
(১৯) মেঘ-চোর
(২০) কুতুব মিনারের কথা
(২১) চিন্তা শীল
(২২) একুশের কবিতা
মাকু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর
মাকু হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর
মাকু গল্পের সকল প্রশ্নের উত্তর