class 3 bengali shekhar setu part 2/ তৃতীয় শ্রেণি বাংলা শেখার সেতু দ্বিতীয় পর্ব
তৃতীয় শ্রেণি
শেখার সেতু
বাংলা-’স্বতন্ত্র পাঠ
পাঠ কৌশল 4 দেখুন এখানে ক্লিক করে
আগের পর্ব 1 ক্লিক করুন
পাঠ প্রকৌশল - ১
আমাদের চারপাশ- ভাবমূলগতভাবে
নাম তার মােতিবিল -ঢেউয়ের তালে তালে
(পিনাকী রঞ্জন চট্টোপাধ্যায়)
(প্রথম শ্রেণি) (তৃতীয় শ্রেণি)
লেখক পরিচিতি:
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১) অল্পবয়স থেকেই ঠাকুৰাড়ি থেকে প্রকাশিত ‘ভারতী’ ও ‘বালক’ পত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন। সহজপাঠ', 'কথা ও কাহিনী' ,ডাকঘর', 'গল্পগুচ্ছ'-সহ তার বহু রচনাই শিশু-কিশােরদের আকর্ষণ করে। দীর্ঘ
জীবনে অজস্র কবিতা, গান, ছােটোগল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, নাটক লিখেছেন, ছবি এঁকেছেন। ১৯১৩ সালে তিনি নােবেল পুরস্কার। পান। দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র ভারত আর বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত তাঁর রচনা।
ডাঙা আর জল নিয়ে আমাদের চারপাশের পরিবেশ।ভাঙায় বাস করলেও জল ছাড়া আমরা বাঁচতে পারি না।জলে থাকে নানারকমের মাছ, পাখি আর উদ্ভিদ।
পড়তে পড়তে ভাৰি :জলাশয় কয় রকমের ও কী কী? ভাবতে বসলে প্রথমেই যে নামগুলাে মনে আসে সেগুলি হল—পুকুর, বিল, নদী, নালা সমুদ্র। নদীর কথা, সমূদ্রের কথা অনেক পড়বে তােমরা। আমার মা-র বাপের বাড়ি'-র মতাে গল্প পড়ে নদীর কথা যেমন জানতে পারবে। তেমনই ঢেউয়ের তালে তালে পড়ে জানতে পারবে। সমুদ্রের কথা। কিন্তু সেসব পড়ার আগেই একটু পুকুর বা বিলের মতাে ছােটো জলাশয়ের কথা জেনে নেওয়া যাক।
১। নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর মুখে বলি ও লিখি :
(ক) কী কী নিয়ে আমাদের চারপাশ ?
উঃ ডাঙ্গা এবং জল নিয়ে আমাদের চারপাশ
(খ) জলে কীকী থাকে?
উ:-জলে থাকে নানারকমের মাছ, পাখি আর উদ্ভিদ।
(গ) চাষি কীসে চড়ে আসে?
উঃ- চাষী ডিঙি চড়ে আসে।
জেলে কী করে?
জেলে বাঁশছ বাঁধা জাল নিয়ে মাছ ধরে।
(ঘ) কারা সারিগান গায় ?
উঃ- চাষী সারি গান গায়।
২। বাক্য তৈরি করি ;
জল- পৃথিবীতে তিন ভাগ জল আছে
ডাঙ্গা- বর্ষাকালে বন্যা এলে অনেক প্রাণী ডাঙ্গা তে আশ্রয় নেয়।
পানকৌড়ি- বড় দীঘির পাড়ে অনেক পানকৌড়ি দেখা যায়।
৩। নির্দেশ অনুসারে মুখে বলি ও লিখি :
(ক) জলে অর্থাৎ ডােবা, পুকুর বা নদীতে যা যা থাকে, তার একটি তালিকা তৈরি করি।
উত্তর-উদ্ভিদ- কচুরিপানা দাম শ্যাওলা শালুক পদ্ম ইত্যাদি
মাছ- মাগুর শোল বোয়াল পুঁটি কই কই ট্যাঁঙারি ভেলে ইত্যাদি মাস থাকবে
এছাড়াও শামুক গুগলি ঝিনুক দেখা যায়।
(খ) মনে করাে নৌকা চেপে তুমি কোথাও বেড়াতে গেছে। যাওয়ার সময় যা যা দেখতে পাবে তা
উত্তর আমি নৌকা চেপে নদীতে বেড়াতে যাওয়ার সময় যা যা দেখতে পাবো সেগুলি হল নদীর ধারে কাশফুল সেতু ঘাটে স্নান করতে আসা লোকজন ছোট ছোট নৌকার মধ্যে জেলেদের মাছ ধরা বালির চর ইত্যাদি দেখার দেখতে পাবো
৪। বামদিকের শব্দের সঙ্গে ডানদিকের স্বরচিহ্ন মেলাই :
বামদিক ডানদিক
পুকুর ই-কার
ডােবা ঈ-কার
নদী. উ-কার, উ-কার
বিল. ও-কার, আ-কার
উত্তর :;-
পুকুর উ-কার, উ-কার
ডোবা ও-কার, আ-কার
নদী ঈ-কার
বিল ই- কার
৫। এলােমেলাে শব্দ সাজিয়ে বাক্য লিখি :
(ক) ডাঙায় করি বাস আমরা
উত্তর :-আমরা ডাঙায় বাস করি
(খ) আমাদের চলে না ছাড়া জল।
উত্তর :-আমাদের জল ছাড়া চলে না
(গ) চারপাশ আমাদের নিয়েই আর জল ডাঙা।
উত্তর ডাঙ্গা এবং জল নিয়ে আমাদের চারপাশ।
৯ -পাতা
১একই অর্থ বােঝায় এরকম শব্দের সঙ্গে মিলিয়ে দাগ দিই ।
(9) শিকড় বন
গুড়ি মূল
বীজ কাণ্ড
জঙ্গল। দানা
উত্তর-
শিকড় মূল
গুড়ি কাণ্ড
বীজ দানা
জঙ্গল। বন
পাশের ঘর থেকে শব্দ নিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করি ।
উত্তর-:-
(ক) ফলের মধ্যে থাকে --বীজ,
(খ) মাটির ওপর থাকে -গুঁড়ি
(গ) ডাল ভরা--ফুল
(ঘ) মাটির নীচে থাকে -, মূল
৫.ভাল, চাল—শব্দ দুটি অর্থ বুঝে ঠিক স্থানে বসাই :।
আজ মুগ–----রাখতে হবে।
উত্তর-ডাল
এই ঘরের--------খুব উঁচু।
উত্তর-চাল
ঝড়ে গাছের-------টি ভেঙে গেছে।
উত্তর-ডাল
ধান থেকে-------মিশিয়ে খিচুড়ি তৈরি হয়।
উত্তর-চাল
গাছেদের বড়াে হওয়ার জন্য নীচের কোন্ কোন্ জিনিসগুলি দরকার তার নিচে দাগ দাও।
জল মাছ আলাে পোশাক ঝুড়ি বাতাস মাটি বই ভাত
(জল) মাছ (আলাে) পোশাক ঝুড়ি (বাতাস) (মাটি) বই ভাত
৪.গাছে আমাদের অনেক উপকার করে। সেই নিয়ে তিনটি ৰা চারটি বাক্য লিখি :
সূত্র- খাবার
• অক্সিজেন
• ছায়া
বৃষ্টি
• আসবাবপত্র
• কাগজ
. উত্তর গাছ থেকে খামার পাই গাছ থেকে আমরা অক্সিজেন পাই গাছ ছায়া দান করে গাছ বৃষ্টি আনে গাছের গুড়ি থেকে আসবাবপত্র তৈরি হয় কাগজ তৈরিতে গাছ লাগে
৬। বাঁদিকের স্তম্ভের সঙ্গে ডানদিকের স্তন্ত দাগ দিয়ে মেলাই :
আম শাঁস
খেজুর। পাতা
তাল সত্ত্ব
কলা রস
উত্তর:-
আম সত্ত্ব
খেজুর। রস
তাল শাঁস
কলা পাতা
১১ পাতা
পাঠ প্রকৌশল
আমাদের LIটা নলী
(প্রথম শ্রেণি)
ভাবমূল সূত্রে
নদীর তীরে একা (জীবন সর্দার)
সােনা (গেীরী ধর্মপাল)
নদী (শক্তি চট্টোপাধ্যায়)
(তৃতীয় শ্রেণি)
লেখক পরিচিতি:
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১): অল্পবয়স থেকেই ঠাকুরবাড়ি থেকে প্রকাশিত ভারতী’ ও ‘বালক' পত্রিকায় নিয়মিত
লিখতেন। 'সহজপাঠ', 'কথা ও কাহিনী' ,'ডাকঘর', 'গল্পগুচ্ছ'- সহ তার বহু রচনাই শিশু-কিশােরদের আকর্ষণ করে। দীর্ঘ
জীবনে অজস্র কবিতা, গান, ছােটোগল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, নাটক লিখেছেন, ছবি এঁকেছেন। ১৯১৩ সালে তিনি নােবেল
পুরস্কার পান। দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র ভারত আর বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত তার রচনা।
বৈশাখ মাসে যে নদী হেঁটে পার হওয়া যায়, আষাঢ় মাসেই সেখানে অতল জল। চারপাশের মানুষজনের সঙ্গে নদীর যে
গভীর যােগাযােগ তার কথাও আমরা এই কবিতা পড়ে জানতে পারি। চান করা, মাছ ধরা, কাপড় কাচা, নদীর জল এই
সমস্ত কাজেই লাগে।
এরপর শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ‘নদী’ কবিতা পড়তে গেলে জানতে পারবে এই নদী রােজকার কাজে সাহায্য করার পাশাপাশি
কীভাবে মানুষের মনের কল্পনাকে উসকে দেয়।
‘সােনা’ পাঠটা পড়লে মানুষের সঙ্গে নদীর নিবিড় সম্পর্ক সম্বন্ধে আরাে ভালােভাবে জানতে পারবে।
তার আগে রবি ঠাকুরের ‘আমাদের ছােটো নদী' কবিতাটি পড়ে নিই।
পড়তে পড়তে ভাবি
বাংলায় ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নদীরও রূপের পরিবর্তন হয়। কখনও সে ভয়ঙ্কর, কখনও সে শান্ত। সে বয়ে চলে
আপন গতিতে। তাকে ধরা-বাঁধা পথে আটকে রাখা সম্ভব নয়। সত্যিই যদি তা সম্ভব হতাে, তাহলে
দেখে। তবে, এসাে তার আগে রবি ঠাকুরের ‘আমাদের ছােটো নদী’ কবিতাটি পড়ি।
কর্মপত্র
১. কবিতার বাক্যগুলিকে নিজের ভাষায় লিখি :
“পার হয়ে যায় গােরু, পার হয় গাড়ি
দুই ধার উচু তার, ঢালু তার পাড়ি।”
উত্তর:- নদীতে গরু এবং গরুর গাড়ি পার হয়।
নদীটির দুই ধার উঁচু ঢালের।
“চিকচিক করে বালি, কোথা নাই কাদা,
একধারে কাশবন ফুলে ফুলে সাদা।”
উত্তর -নদীটিতে কোথাও কাদা না থাকায় বালি চিকচিক করে।
নদীটির একধারে কাশ ফুলে ফুলে ঢাকা।
২.একটি বাক্যে উত্তর লিখি :
(ক)কোন্ মাসে নদীতে হাঁটুজল থাকে?
উত্তর- বৈশাখ মাসে
(খ)ছেলেমেয়েরা নদীর তীরে কী করে?
উত্তর নাইবার কালে, গামছায় জল ভরি গায়ে তারা ঢালে।
(গ) বধুরা কী কাজ করে?
উত্তর বধূরা গৃহের কাজ করে
(ঘ) আষাঢ় মাসে নদীর কী অবস্থা হয় ?
উত্তর -নদী ভরে গিয়ে খরতর বেগে মাতিয়া ছুটিয়া চলে।
(ঙ)নদীর একধার সাদা হয়ে থাকে কেন?
উত্তর -কারণ নদীর একধারে সাদা কাশ ফুল ফুটে থাকে।
কবিতাটি থেকে পরস্পর মিলযুক্ত শব্দ খুঁজে লিখি।
উদাহরণ : গাড়ি → পাড়ি
উত্তর কাদা– সাদা
ঝাঁক –হাঁক
কালে– ঢালে
পরে– ধরে
সাড়া– পাড়া
8.
গদ্যরুপ লিখি :
ভরি— ভরে
মাতিয়া- মত্ত হয়ে
ছাঁকিয়া- ছেঁকে
সেথা- সেখানে
পরের পর্ব পাঠ কৌশল 4 দেখুন এই লিংকে ক্লিক করে
Class 3 sekhar setu all uttor plese
ReplyDelete