class 4 bengali shekhar setu part 3/ চতুর্থ শ্রেণি বাংলা শেখার সেতু তৃতীয় পর্ব
চতুর্থ শ্রেণি
বাংলা শেখার সেতু
তৃতীয় পর্ব। ১১ পাতা
কবিতা
অঞ্জনা নদী তীরে
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
অঞ্জনা নদী তীরে চন্দনী গাঁয়ে,
পোড়ো মন্দির খানা গঞ্জের বাঁয়ে ।
জীর্ণ ফাটল ধরা- এক কোণে তারই,
অন্ধ নিয়েছে বাসা কুঞ্জ বিহারী।
আত্মীয় কেহ নেই নিকট কি দূর ,
আছে এক লেজকাটা ভক্ত কুকুর।
আর আছে একতারা বক্ষে তে ধরে ,
গুনগুন গান গায় গুঞ্জন স্বরে।
গঞ্জের জমিদার সঞ্জয় সেন,
দুই মুঠো অন্ন তারে দুইবেলা দেন ।
সাতকড়ি ভঞ্জের মস্ত দালান,
কুঞ্জ সেখানে করে প্রত্যুষে গান ।
হরি হরি রব ওঠে অঙ্গন মাঝে,
ঝনঝনি ঝনঝনি খঞ্জনি বাজে।
গঞ্জের পিসি তাই সন্তোষ পান ,
কুঞ্জ কে করেছেন কম্বল দান।
চিড়ে মুড়কি তে তার ভরে দেন থলি,
পৌষে খাওয়ান ডেকে মিঠে পিঠে পুলি।
আশ্বিনে হাট বসে ভায়ী ঘুম করে,
মহাজনী নৌকা ঘাট যায় ভরে।
হাঁকাহাঁকি ডাকাডাকি মহা শোরগোল,
পশ্চিমী মাল্লারা বাজে মাদল
বোঝা নিয়ে মন্থর চলে গরুগাড়ি,
চাকা গুলি ক্রন্দন করে ডাক ছাড়ি ।
কল্লোলে কোলাহলে জাগে এক ধ্বনি,
অন্ধের কন্ঠের গান আগমনী।
সেই গান মিলে যায় দূর হতে দূরে,
শরতের আকাশেতে সোনার রোদ্দুরে।
জন্ম : ৭ মে ১৮৬১; মৃত্যু : ৭ আগস্ট ১৯৪১
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়, আমাদের দেশের জাতীয় সঙ্গীত ‘জন গন -
১৯১৩ সালে তিনি সাহিত্যে নােবেল পুরস্কার লাভ করেন। শিশু ভােলানাথ’, ‘শিশু’ ইত্যাদি তার ছােটোদো কাব্যগ্রন্থ।আচ্ছা,কবিতাটিতে দেখা যাবে নদীর তীরের একটি গ্রামের দৃশ্য।
গ্রামের কোন মানুষ কেমনভাবে থাকেন, কারা কোন কাজ করেন ইত্যাদি কিছু ছবি আমরা দেখতে কয়েকটি বাংলা মাসের নাম ও সেই সময়গুলােতে গ্রামে কেমন পরিবেশ তৈরি হয় সেগুলােও কি‘এ’ এই যুক্তব্যঞ্জনের অনেকগুলাে ব্যবহার দেখব। তার সঙ্গে আরাে কিছু যুক্তব্যঞ্জনও শিখব।বারবার কবিতাটি পড়ে উচ্চারণ আরাে সুন্দর করে তুলব।
পড়তে পড়তে ভাবি -নদীর বুকে নৌকা চালিয়ে যাওয়ার কথা তাে অনেক হল। কিন্তু যেতেযেতে চারপাশে কী কী বলতে পারাে? রবিঠাকুর এই কবিতায় নদীর ধারে মানুষজনের জীবনযাত্রার একটা জমজমাটি বর্ণনা দিয়ে দাঁড় কবিতায় যেমন নদীর ধারের প্রকৃতির ছবি লিখেছেন সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত। তােমরা তাে যুক্তব্যঞ্জন পড়ে কতগুলি যুক্তব্যঞ্জন আছে একটু ভেবে দেখতে পারাে।
পাঠ থেকে বেছে একই ধরনের যুক্ত ব্যঞ্জনযুক্ত
শব্দ লেখাে :
অঞ্জনা-
উত্তর-গঞ্জনা
মন্দির
উত্তর-চন্দনী
শব্দঝুড়ির সাহায্যে শূন্যস্থান পূরণ করাে :
কম্বল, অন্ন, আশ্বিনে,গঞ্জের, মস্ত
ক) পােডো মন্দিরখানা--------গাঁয়ে।
উত্তর-গঞ্জের
খ) দু-মুঠো------তারে দুই বেলা দেন।
উত্তর-অন্ন
গ) সাতকড়ি ভঞ্জের------ দালান।
উত্তর-মস্ত
ঘ) কুঞ্জকে করেছেন-------- দান।
উত্তর-কম্বল
ঙ)-------হাট বসে ভারী ধুম করে।
উত্তর-আশ্বিনে
একই শব্দ দুটি অর্থে ব্যবহার করে বাক্য তৈরি করাে :
.
পান-
(ক) নদীয়া জেলায় খুব পান চাষ হয়।
(খ) আমার দাদু চোখে খুব কম দেখতে পান
বাজে-
(ক) মায়ের ঘুম থেকে উঠতে সকাল সাতটা বাজে।
(খ) শিক্ষক মশাই রেগে তপনকে বাজে ছেলে বললেন।
১২ পাতা
নীচের যুক্তব্যঞ্জনগুলি দিয়ে দুটি করে শব্দ লেখ।
ন্দ -আনন্দ, মন্দির
ন্ত - শান্ত , দন্ত
ঙ্গ-জঙ্গল, সঙ্গ
স্ত -মস্ত , মস্তক
বর্ণ বিশ্লেষণ করাে :
-
(ক) গাঁয়ে -গ্ + আ + ঁ +য় +এ
(খ) বক্ষেতে-ব্ +ক্+ষ্+ এ+ ত+ এ
(গ) শােরগােল-শ+ ও +গ+ ও+ ল
(ঘ) কুঞ্জবিহারী-ক +উ +ঞ+ জ+ ব+ ই+ হ+ আ+ র+ ঈ
একটি দুটি বাক্যে উত্তর দাও :
ক) গঞ্জের জমিদারের নাম কী?
উ:সঞ্জয় সেন।
খ) সাতকড়ি ভঞ্জের দালানে কে গান করে ?
উত্তর-কুঞ্জ বিহারী
গ) কারা মাদল বাজায় ?
উত্তর- পশ্চিমী মাল্লারা।
ঘ) কুঞ্জকে কে কম্বল দান করেছেন?
উত্তর- গঞ্জের পিসি।
ঙ) কবিতাটির মধ্যে কোন্ কোন্ বাংলা মাসের নাম আছে?
উত্তর পৌষ এবং আশ্বিন
চ) তুমি কোন্ সময় পিঠে পুলি খাও?
উত্তর -পৌষ মাসের সংক্রান্তিতে
ছ) সাতকড়ি ভঞ্জ কাকে, কী দান করেন?
উত্তর কবিতাতে সাতকড়ি ভঞ্জ করে নেই । তবে কুঞ্জ বিহারী কে তার মস্ত দালান থাকতে দিয়েছেন।
জ) ভঞ্জের পিসি কুঞ্জের যত্ন কীভাবে করেন?
ভঙ্গির পিসি মঞ্জুকে মুড়ি-মুড়কি থলে ভরে দেন খাবার জন্য । আবার কম্বল দান করেন।
ঝ) আশ্বিন মাসের হাট কেমন হয়?
উত্তর-আশ্বিন মাসে ধুমধাম করে হাট হয়
পরের পর্ব
Pleaseeee part 4 plsssss🙂🙂🙂🙂🙂🙂🙂
ReplyDelete