class 4 bengali shekhar setu part -5/ চতুর্থ শ্রেণি বাংলা শেখার সেতু পঞ্চম পর্ব ১৫ থেকে ১৭ পাতা - Online story

Saturday 28 May 2022

class 4 bengali shekhar setu part -5/ চতুর্থ শ্রেণি বাংলা শেখার সেতু পঞ্চম পর্ব ১৫ থেকে ১৭ পাতা

 







               চতুর্থ শ্রেণি
                  বাংলা
             শেখার সেতু
              পঞ্চম পর্ব
        13 থেকে 17 পাতা


পরের পর্ব 6 দেখুন
(নীচে



মনকেমনের গল্পটি দেওয়া হয়েছে)

মনকেমনের গল্প
নবনীতা দেবসেন
লেখক পরিচিতি : জন্ম : ১৩ জানুয়ারী ১৯৩৮; মৃত্যু : ৭ নভেম্বর ২০১৯
লেখিকা ২০০০ সালে ‘পদ্মশ্রী' সম্মানে ভূষিত হন। ছোটোদের জন্য লেখা তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বই হলো
বেচার সওদাগর’, ‘রূপকথা সমগ্র’, ‘ছোটোদের গল্পসমগ্র'।
বুবাই মেঘলা দিন ভালবাসে। 'বাদল দিনে' গল্পের বীণার মতো। তোমাদের মেঘলা দিন কেমন লাগে?
রাস্তার গাছেদেরও খুশি দেখাচ্ছে যেহেতু গরমকালের কড়া রোদ্দুরে ওদেরও ধুলোভরা ক্লান্তি আর মনখারাপের ম
চেহারা হয়ে যায়।
কলকাতার ছেলে রুবাইয়ের পালানোর ইচ্ছে থাকলেও উপায় নেই। তাই মনের ইচ্ছা ছাদেই ছুটোছুটি করে মেটাতে
ওকে।
১৫ আগস্টের দিনে তোমাদের ইস্কুলের মতো রুবাইয়ের ইস্কুলেও ফ্ল্যাগ তোলা হয়েছিল। নীলচে ধূসর আকাশের গায়ে উড়ে
তেরঙ্গা পতাকা। সেই পতাকার উপর দিয়ে উড়ে গেছিল সাদা বলাকা। দৃশ্যটা কল্পনা করলেই ভালো লাগে।
বুঝাই মেঘলা দিনে ঘরে বসে খাতার পাতায় মনের কথা লিখে রেখেছিল। তোমরাও সেরকম একটি খাতা নিজেদের
তৈরি করতে পারো।
পড়তে পড়তে ভাবি -
১৫ই আগস্টে রুবাইয়ের ইস্কুলের মত তোমাদের ইস্কুলেও অনুষ্ঠান হয়। কেন হয় একটু শিক্ষক-শিক্ষিকার থেকে জেনে
পারো। পরে বাঘাযতীন গল্পটা পড়ার সময় সেই কথা মনে কোরো। বাঘাযতীন-এর সাহসের মর্ম বুঝতে গেলে স্বাধীনতা আন্দে
ইতিহাস জানা দরকার বৈকি।
নিজের ভাষায় উত্তর দাও :

১। রুবাইয়ের কেমন দিন ভালো লাগে? সেরকম দিনের বর্ণনা দাও।

উঃ বুরাইসের বিষ্টি মিষ্টি দিন ছিল ভাল লাগে।

আলো, কিন্তু রোদ নয়। বিষ্টি হব-হব, কিন্তু হচ্ছে না। গাছগুলো সব কান খাড়া করে রেডি হয়ে আছে বিষ্টির পায়ের শব্দ শুনবে
বলে। রুবাইয়ের যে কী ভালো লাগে এরকম দিন।

২। “রাস্তার গাছেদের আজ বেশ খুশি খুশি দেখাচ্ছে।”
– কে একথা ভাবছে? গাছেদের কেন এমন দেখাচ্ছে?

উঃ রুবাই একথা ভাবছে।
গরমকালের রোদ্দুরে এই গাছেদেরই কীরকম
ধুলোভরা, ক্লান্তি, আর মনখারাপের
মতন চেহারা হয়ে যায়। গাছেদেরও
মেঘলা দিন পছন্দ, এমনি ছায়াভরা
দিন পছন্দ। তাই তাদের খুশী খুশী দেখাচ্ছে।

৩। সেই পতাকা ওড়ানোটাকেই যেন স্যালুট করে গেল তারা।'.কারা কীভাবে স্যালুট করে গেল?
-
উত্তর-ছায়াভরা আকাশে যখন ফ্ল্যাগটা উড়ল, আমরা ‘জনগণমন' গাইলাম। তখনই কী আশ্চর্য, বিরাট এক ঝাঁক ধবধবে সাদা পাখি ঠিক তক্ষুনি আকাশ দিয়ে, ফ্ল্যাগের মাথার উপর দিয়ে উড়ে গেল। সেই পতাকা ওড়ানোটাকেই যেন স্যালুট করে গেল।


৪। রুবাইকে ওর মা কোন গানের সঙ্গে নাচ শিখিয়েছিলেন?
উত্তর -"মেঘের কোলে রোদ হেসেছে বাদল গেছে টুটি আ-হা-হা-হা-হা "এই গানটিতে রুবাইয়ের মা রুবাইকে নাচ শিখিয়েছিল।

৫। ফ্ল্যাগ ওড়ানোর সময় কোন গান গাওয়া হয়েছিল?
উত্তর-জন গন মন গানটি গাওয়া হয়েছিল।

শূন্যস্থান পূরণ করো :
১।
পাখির কিচির-মিচিরকেই বলে. কাকলি-কুজন। আর ওই সাদা পাখির ঝাঁককেই বলে বলাকা। রুবাই এইসব শব্দগুলো জানে ।দিম্মা বলে দিতেন।
২। চেনা জিনিসগুলোকে সব অচেনা দেখায়। গোটাপাড়া টাকে মনে হয় অন্য রাস্তা ।অন্য দেশ ।রুবাইয়ের ইচ্ছে করে সারাক্ষণ ছাদে দৌড়াদৌড়ি করতে ।কিংবা বারান্দায় ঝুঁকে দাঁড়িয়ে রাস্তা দেখতে আকাশ দেখতে ।কিংবা জানলায় চুপচাপ বসে থাকতে।

ক স্তম্ভের সঙ্গে থ স্তম্ভ মেলাও :
উত্তর-
ক’-স্তম্ভ।                 খ-স্তম্ভ
   ২ অক্টোবর         গান্ধী জয়ন্তী
১৪ নভেম্বর              শিশু দিবস
১৫ আগস্ট              স্বাধীনতা দিবস
২৬ জানুয়ারি         প্রজাতন্ত্র দিবস



একই অর্থযুক্ত শব্দ ঝুড়ি থেকে বেছে নিয়ে লেখো :
শ্রান্তি -         ক্লান্তি
পথ -            রাস্তা
সজলবায়— হাওয়া
দেশ-           জন্মভূমি
বনজঙ্গল -   অরণ্য
পতাকা—     নিশান
টিফিন -       জলখাবার
মিষ্টি –          মিঠে



বেমানান শব্দটি খুঁজে গোল করো :
১। সাদা, সফেদ, ধবল,(কালো)
২।আজব,( সাধারণ,) আশ্চর্য, অদ্ভুত
৩। আঁধার, অন্ধকার, (অদূর), তমসা


বর্ণ বিশ্লেষণ করো :
কিচিরমিচির –ক্+ই+ চ্+ই+ম্+ই+চ্+ই+র
বৃষ্টিবাদলা –  বৃষ্টি = ব্+ঋ+ষ্+ট্+ই+ব্+দ্+ল্+ আ

সারাক্ষণ -স্+আ+র্+আ+ ক্+ষ্ +ণ্
-
নীচের শব্দজোড়া দিয়ে বাক্য বানাও :
ভারি-ভারি - পাথর হাতে নিলে ভারি ভারি লাগে।
থর-থর- ছেলেটি জোরে থরথর করে কাঁপছে।
মিষ্টি-মিষ্টি – বাচ্চাটা খুব মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে।
ছায়া-ছায়া বনের মধ্যে কতগুলি ছায়া ছায়া থাকে।
ঝাল-ঝাল - খাবারে বেশি লঙ্কা দিয়ে ঝাল ঝাল অনুভূত হয়।
হাসি-হাসি – শিশুদের মুখে সর্বদা হাসি হাসি ভাব থাকে।
মুখে-মুখে – খারাপ কথা মুখে মুখে খুব তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে।




মনকেমনের গল্প
নবনীতা দেবসেন
এই বিষ্টি বিষ্টি দিনগুলো ভীষণ ভালো লাগে বুঝাইয়ের।অন্ধকার মেঘলা করে আছে, সকাল থেকেই আকাশ আঁধার,তার ভেতর থেকে ফুটে বেরুচ্ছে একটু একটু আলোর ছটা।আলো, কিন্তু রোদ নয়। বিষ্টি হব-হব, কিন্তু হচ্ছে না। গাছগুলো
সব কান খাড়া করে রেডি হয়ে আছে বিষ্টির পায়ের শব্দ শুনবেবলে। রুবাইয়ের যে কী ভালো লাগে এরকম দিন। ‘মেঘছায়েসজলবায়ে’ দিন এগুলো। এমন দিনে একটুও পড়ায় মন বসে
না। তবু ইসকুলে তো যেতেই হয়। ক্লাসরুমের জানলা দিয়েচোখ ডানা মেলে কেবলই উড়ে যায় আকাশে। কেমন একটা উদাস উদাস ভাব চারিদিকেই। বাতাস বইছে অল্প অল্প। মা
বললেন, ‘দূরে কোথাও বিষ্টি পড়ছে,' কিন্তু এখানে আকাশটাকেমন ভারী ভারী, যেন বিষ্টি পড়ো-পড়ো হয়ে রয়েছে সারাটা দিন। মিষ্টি-মিষ্টি একটা ভাব চারিদিকে।
রাস্তার গাছেদের আজ বেশ
খুশি-খুশি দেখাচ্ছে। গরমকালের
রোদ্দুরে এই গাছেদেরই কীরকম
ধুলোভরা, ক্লান্তি, আর মনখারাপের
মতন চেহারা হয়ে যায়। গাছেদেরও
মেঘলা দিন পছন্দ, এমনি ছায়াভরা
দিন পছন্দ। অথচ রোদ্দুর না উঠলে
তো ওরা ক্লোরোফিল তৈরি করতে
পারবে না। পাতাও সবুজ হবে না।
কিন্তু সেটার জন্যে অত কড়া
রোদ্দুর নিশ্চয় লাগে না। বোধ হয়
ভোরের নরম আলোতেই গাছেরা
সব জরুরি ক্লোরোফিল তৈরি করে
নেয়।
এই ছায়াঘন, আলো-আঁধারির
দিনে, দিনের বেলাতে আলো
জ্বালাতে হয় ক্লাসের ঘরে। এমন দিনে ইচ্ছে করে ইস্কুলে যেতে? কিন্তু ‘মেঘলা দিনের
ছুটি’ বলে তো কিছু হয় না।
আন্টিদেরও নিশ্চয়ই ইচ্ছে করে
না পড়াতে। তবুও কেন যে
ইসকুল খোলা থাকে! আজ
অবশ্য ছুটি। ইসকুলে গিয়ে যদি
কেবল খেলার মাঠেই থাকা
যেত। ছুটে বেড়ানো যেত
মাঠের মধ্যে।

সেই যে গানটার সঙ্গে মা
নাচ শিখিয়েছিলেন—‘মেঘের
কোলে রোদ হেসেছে বাদল
গেছে টুটি—আ-হা-হা-
সেটা ঠিক আজকের দিনের
উলটো একটা দিনের গান।
অনেকদিন বিষ্টিবাদলার পরে
প্রথম যেদিন রোদের মুখ দেখা
যায়, সেদিনটাও খুব আনন্দের।
কিন্তু আনন্দের ধরনটা একই।

কলকাতা শহরে তো কারবালা নেই যে পথ হারিয়ে কোন বনে যাই মনে হবে। কিন্তু
হারিয়ে কোনখানে যাই হতে পারে। অন্য কোথাও খুব যেতে ইচ্ছে করে এই সমসঠীতে
জিনিসগুলো সব আছেনা দেখায়। গোটা পাড়াটাকে মনে হয় জন্য রাস্তা। অন্য দেশ। কুবাইয়ের ইচ্ছে
করে সারাক্ষণ ছাদে গৌড়োদৌড়ি করতে। কিংবা ব্যারাস্কায় ঝুঁকে দাঁড়িয়ে রাস্তা দেখতে, আকাশ দেখতে
বাজারে। কী মিষ্টি একটা বাজাজ দিছে। কুবাইয়ের ইচ্ছে করলে ছোটোমাই
গাইলাম।
হবে সাদ পাখি ঠিক তক্ষুনি আকাশ দিয়ে বুঝাশের
যাচ্ছে। কী সুন্দর যে দেখিয়েছিল পাখির ঝাঁকটাকে আকাশে। সেই পতাকা ওড়ানোটাকেই যেন সালে
পাখির কিচির-মিচিরকেই বলে 'আকলি-কৃষ্ণন। আর এই সাজ পাখির বীজকেই হলে "বলা"।
জুবাই এইসব শব্দগুলো জানে। দিম্মা বলে দিতেন। এতটা লিখে রুবাই খাতা কল করে ফেলল। আ
সকলহার ছুটি। বাবার ছুটি মাং ছুটি, রুবাইয়েরও ছুটি। কুবাইয়ের




পরের পর্ব 6 শব্দকল্পদ্রুম