shekhar setu class 4 bengali part -6/ শেখার সেতু চতুর্থ শ্রেণীর বাংলা ষষ্ঠ পর্ব শব্দকল্পদ্রুম
পরের পর্ব 7 দেখুন
আগের পর্ব 5 দেখুন
চতুর্থ শ্রেণি
শেখার সেতু
পর্ব- 6
সুকুমার রায়ের শব্দকল্পদ্রুম কবিতাটি আগে দেওয়া হলো ।যাতে প্রশ্নের উত্তরগুলো তোমরা সহজে করতে পারো।
শব্দকল্পদ্রুম
সুকুমার রায়
ঠাস ঠাস দ্রুম দ্রাম করে লাগে খটকা-
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পট্কা!
শাঁই শাঁই পন্ পন্ ভয়ে কান বন্ধ-
ওই বুঝি ছুটে যায় সে- ফুলের গন্ধ?
হুড়মুড় ধুপ ধাপ ও কি শুনি ভাইরে!
দেখছো না হিম পড়ে- যেও নাকো বাইরে।
চুপচুপ ঐ শোন্ ঝুপঝাপ ঝ-পাশ!
চাঁদ বুঝি ডুবে গেল?গব গব গবা-স!
খ্যাঁশ খ্যাঁশ ঘ্যাঁচ- ঘ্যাঁচ রাত কাটে ঐ রে
দুড়দাড় চুরমার– ঘুম ভাঙ্গে কই রে!
ঘর্ঘর ভন্ ভন্ ঘোরে কত চিন্তা!
কত মন নাচ শোন্- ধেই ধেই ধিন্তা!
ঠুংঠাং ঢুংঢাং,কত ব্যথা বাজেরে–
ফটফট বুক ফাটে তাই মাঝে মাঝে রে-
হইহই মারমার বাপ বাপ চিৎকার!
মালকোঁচা মারে বুঝি ?সরে পড়্এইবার।
সুকুমার রায়
লেখক পরিচিতি : জন্ম- ১৮৮৭; মৃত্যু - ১৯২৩
1
‘আবোল তাবোল’, ‘হ য ব র ল’, ‘প
বাংলা শিশু সাহিত্যের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হলেন উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর পুত্র সুকুমার রায়। তাঁর রচনা শুধুমাত্র শিক্ষ
নয় সব বয়সের মানুষের কাছেই জনপ্রিয়। তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য বইগুলি হলো
দাশু’, ‘লক্ষ্মণের শক্তিশেল', 'অবাক জলপান' ইত্যাদি।
আমাদের চারিদিকে কতরকমের শব্দ। কিন্তু অনেক কিছু এমনও ঘটে যা চোখে দেখা গেলেও তার শব্দ আমরা শুনতে
না।
নানান ঘটনার ঐ সব না শুনতে পাওয়া শব্দগুলো কেমন হতে পারে সেটাই কবির কল্পনায় এই কবিতায় লেখা হয়েছে
কবির মনে হয়েছে চাঁদ গর্ গর্ গ-বাস্ শব্দ করে ডুবে যায়। ব্যথা বাজে ঠুং ঠাং, ঢং ঢং শব্দে। আর ফট্ ফট্ শব্দ করে বুি
ফাটে!
এই কবিতায় সব শব্দেরই যে অর্থ আছে তা নয়।
পড়ার মজার জন্যও এখানে অর্থহীন নানারকম শব্দ ব্যবহার করেছেন কবি।
পড়তে পড়তে ভাবি
ব্যাকরণে যে শব্দজোড়ের কথা পড়বে তার সঙ্গে এই কবিতাটার কী অদ্ভুত যোগাযোগ। সুকুমার রায়ের লেখা
মজার লেখা আর কোথাও পড়েছো? আরও একটা আজগুবি হাসির জগতের খোঁজ পেতে চাইলে ‘যতীনের জুতো’ গল্প
দেখতে পারো। সুকুমার রায়ের লেখা পড়লে সবার আগে কোন আওয়াজটা মাথায় আসে বলোতো? ‘হা-হা-হা'!
এই কবিতায় মূলত যে ধরনের শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলো হলো শব্দজোড় এবং আওয়াজ বা শব্দ বোঝানো হয় এ
-
শব্দজোড় এবং আওয়াজ বা শব্দ বোঝায় এমন শব্দের উদাহরণ -
ঠাস-ঠাস, হুড়মুড়, ধুপধাপ, চুপচুপ, ঝুপঝাপ, ঘ্যাশঘ্যাশ,ঘ্যাঁচঘ্যাঁচ, পনপন, শাঁইশাই, ঠুং ঠাং, ঢং ঢং ইত্যাদি।
উত্তর - হুড়মুড়, ধুপধাপ, , ঝুপঝাপ, ঘ্যাশঘ্যাশ,ঘ্যাঁচঘ্যাঁচ, শাঁইশাই, ঠুং ঠাং, ঢং ঢং
● শব্দঝুড়ি থেকে ঠিক শব্দ বেছে নিয়ে ফাঁকা জায়গায় বসাও :
তরতর, হুড়মুড়, ঢংঢং,
ভনভন টপটপ, হইহই
ক) ফুটবল ম্যাচ জিতে ছেলের দল,------করতে করতে চলেছে।
উত্তর- হই হই
খ) রাজবাড়িতে ঘণ্টা--------করে বাজে।
উত্তর- ঢং ঢং
গ) কল থেকে জল পড়ছে---------করে।
উত্তর-টপটপ
ঘ) ছবি সিঁড়ি দিয়ে------করে নেমে এল।
উত্তর-তরতর
ঙ) ভূমিকম্পে বড় বাড়িটা------করে ভেঙে পড়ল।
উত্তর- হুড়মুড়
চ) পাকা কাঁঠালের ওপর মাছি-------করে ওড়ে।
উত্তর-ভন্ ভন্
কবিতার শব্দের সাথে একই ধরনের শব্দ মেলাও :
উত্তর-
খ্যাঁশ খ্যাঁশ-ফ্যাঁসফ্যাঁস
ঢংঢং - ঠংঠং
শাঁই শাঁই- পাঁইপাঁই-
ধুপধাপ- চুপচাপ
ভন্ ভন্ - বন্ বন্
কবিতার পরের পংক্তিটি লেখো :
১) ঘর্ঘর ভনভন ঘোরে কত চিন্তা।
উত্তর-কত মন নাচ শোন্- ধেই ধেই ধিন্তা!
২) হুড়মুড় ধুপধাপ – ওকি শুনি ভাইরে।
উত্তর-দেখছো না হিম পড়ে- যেও নাকো বাইরে!
৩) চুপচুপ ঐ শোন্। ঝুপঝাপ্ ঝ – পাস্।
উত্তর^-চাঁদ বুঝি ডুবে গেল?গব গব গবা-স!
৪) হৈ হৈ মার্ মার্ ‘বাপ বাপ’ চিৎকার –
উত্তর-মালকোঁচা মারে বুঝি ?সরে পড়্এইবার।
বাক্য গঠন করো :
১) পট্কা- মাছ পটকার সাহায্যে জলে ভাসে
২) গন্ধ -রজনীগন্ধা ফুলের খুব সুগন্ধ
৩) মাঝে মাঝে -বর্ষাকালে মাঝে মাঝে বৃষ্টি হয়
৪) হিম- শীতকালের রাতে অনেক হিম পরে
(৫) চিৎকার- সাপ দেখলে ভয়ে চিৎকার করে ছেলেরা
কবিতায় যেরকম শব্দ তোমরা পড়লে, তোমাদের চারপাশে এরকম আর কী কী শব্দ তোমরা
(যে কোনো ৪টি) :
পট্পট্ ,মট্ মট্ ,ভুট্ ভুট্, কট্ কট্ ভট্ ভট্ ইত্যাদি
পরের পর্ব 7 দেখুন এই লিংকে ক্লিক করে