shekhar setu class 3 bengali path koushol 5/ তৃতীয় শ্রেণি শেখার সেতু বাংলা পার্ট কৌশল 5 - Online story

Sunday 29 May 2022

shekhar setu class 3 bengali path koushol 5/ তৃতীয় শ্রেণি শেখার সেতু বাংলা পার্ট কৌশল 5

 


পরিবেশ এর সকল প্রশ্নের উত্তর দেখুন
 
আগের পর্ব পাঠ কৌশল 4 দেখুন

পরের পর্ব পাঠ কৌশল 6 দেখুন
      তৃতীয় শ্রেনী শেখার সেতু
       পাঠ পাঠ কৌশল–৫
বাদল দিনে
(পুণ্যলতা চক্রবর্তী)
ভাবমূলগতভাবে
মন কেমনের গল্প (নবনীতা দেব সেন)
সাথি (অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
(তৃতীয় শ্রেণি)
(প্রথম শ্রেণি)
লেখক পরিচিতি : প্রখ্যাত শিশু সাহিত্যিক পূণ্যলতা চক্রবর্তীর লেখা। জন্ম :১০ই সেপ্টেম্বর, ১৮৯০, মৃত্যু : ২১শে নে
১৯৭৪। প্রখ্যাত শিশু সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর মেয়ে এবং সুকুমার রায়ের বোন ছিলেন।
দ্বিতীয় শ্রেণির ‘বাদল দিনে' পাঠটিতে একটি বৃষ্টির দিনে একটি পরিবারের সকলে কীভাবে নানারকম কাজের মধে
দিনটা প্রত্যেকে নিজের মতো করে উপভোগ করে তার মনোগ্রাহী বর্ণনা রয়েছে।
বীণা, মীনা আর নন্দ তিন ভাইবোন মিলে দারুণ মজা করবে।
আবার, তৃতীয় শ্রেণির ‘মনকেমনের গল্প' পড়ার সময় দেখবে ছোট্ট রুবাই একটু একা। মেঘলা দিনে তার আনমন
যাওয়া এবং বৃষ্টির দিনে তার কি কি করার ইচ্ছে জাগে সেসব কথা সে লিখে রাখে তার একমাত্র সঙ্গী ছোটো মামুর
একটা সুন্দর বাঁধানো খাতায়।
পড়তে পড়তে ভাবি

         ‘বাদল দিনে’র বীণার সঙ্গে ‘মন কেমনের গল্প’র রুবাইয়ের আলাপ হলে নিশ্চয়ই খুব বন্ধুত্ব হতো। দুজনেরই যে ব
খুব পছন্দ। এই পাঠটি পড়ে বীণার সঙ্গে রুবাইয়ের আর কোনো মিল পাও কি না দেখো তো।
• রুবাইয়ের মতো তুমি তোমার মন খারাপ বা আনন্দের কথা কাদের সঙ্গে ভাগ করে নাও?
কর্মপত্র

বাদল দিনে পুণ্যলতা চক্রবর্তী লেখা গল্পটি সমগ্র অংশটি একবারে নিচে দেওয়া হয়েছে। ওখান থেকে দেখে দেখে উত্তর গুলো তোমার নিজেরাও করতে পারো।


-। নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লিখি :


(ক) ‘এমন বিচ্ছিরি দিনেও তোর গান পায় দিদি? আমার তো কান্না পায়'।
–বাদলা দিনে কার গান পায় আর কার কান্না পায়?
উ:- বীনার গান পায়, মীনার কান্না পায়।



(খ) বীণা-মীনার ছোটো ভাইয়ের নাম কী? ঝমাঝম বৃষ্টি নামলে সে কী করল?

উঃ- বীনা-মীনার ছোট ভাইয়ের নাম নন্দ।
বৃষ্টি নামলে নন্দ কাগজের নৌকা বানিয়ে জলে ভাসাচ্ছিল।

(গ) বীণা গুন গুন করে কোন গান গাইছিলো?
উ:- সকাল বেলার বাদল আঁধারে গানটি বিনা গুনগুন করে গাইছিল।


(ঘ) মা কী কী রান্না করেছিল?
উঃ- মা খিচুড়ি আলু ভাজা ডিমের বড়া রান্না করেছিল।


(উ) সামনে রাস্তার ধারে ধুলোমাখা রোদেপোড়া গাছটা বৃষ্টির জল পড়ে কেমন হয়েছে?
উঃ-সামনে রাস্তার ধারে ধুলোমাখা রোদেপোড়া গাছটি বৃষ্টি জলে স্নান করে তাজা হয়েছে। অর্থাৎ সতেজ হয়েছে।

(চ)বর্ষার কোন ফুলের কথা পাঠটিতে খুঁজে পেলে? বর্ষাকালে ফোটে এমন দুটি ফুলের নাম লিখি।
উঃ- বর্ষায় কদম ফুলের কথা পাঠ‍্যটিতে খুজে পাওয়া যায়।
বর্ষাকালে ফোটে এমন দুটি ভুতের ফুলের নাম হইলো করবী,কদম।


(ছ) বৃষ্টির দিনে তোমার কী কী করতে ইচ্ছে করে ৪/৫ টি বাক্যে লেখো।



২। পাঠে আছে এমন যুক্তব্যগুনগুলি দিয়ে দুটি করে নতুন শব্দ লিখি।
উদাহরণ : চ্ছ (কচ্ছপ) (মোচ্ছব)
ন্দ (আনন্দ)(মন্দ)
দ্ভ (উদ্ভিদ)(অদ্ভুত)
ঙ্গ (সঙ্গ)(ভঙ্গ)
ম্প (কম্পিউটার)(কম্মন)


৩। নীচের শব্দগুলির বর্ণ বিশ্লেষণ করি।
চমৎকার →চ + অ + ম + অ + ৎ + ক + আ + র
খিচুড়ি -খ + ই + চ + উ + র+  ই
ফুরফুরে →ফ + উ + র + ফ + উ + র + এ
কাদামাখা →ক+  আ + দ +  আ + ম + আ + খ + আ

৪। নাম বোঝায় এমন শব্দের তলায় দাগ দিই :

উদাহরণ:- হঠাৎ খিল খিল করে জোরে হেসে উঠল( মীনা)।


(ক) পাতার মাঝে ফুটে আছে গোল-গোল, ফুরফুরে, হলদে (কদমফুল)।


(খ)( বীণা-মীনা) চায়ের টেবিল সাজাতে সাজাতে গান করছে।


‘কাজ করা’ বোঝায় এমন শব্দের তলায় দাগ দিই :
উদাহরণ:- মেঘ-জল যাই হোক, বাবা ঠিক সময়ে অফিস( যাবেন)।
(ক) মা তাড়াতাড়ি স্টোভে( রান্না চাপালেন)।
(খ) নন্দ কাগজের নৌকা বানিয়ে জলে (ভাসাচ্ছে)।
(গ) গল্পের ছোট্ট মেয়েটি গভীর বনে পথ হারিয়ে( ফেলল)।


৬। পাঠটি থেকে তিনটি ধ্বন্যাত্মক শব্দ খুঁজে নিয়ে নীচের খোপে লিখি :

বৃষ্টি     -    নন্দ --    বিচ্ছিরি

৭। যুক্তব্যগুনযুক্ত শব্দ ব্যবহার করে বাক্য বানাই :

মৃত্যু-জন্ম মৃত্যু নিয়ে মানুষের জীবন।

বৃষ্টি →বর্ষা কালে বৃষ্টি বেশি হলে বন‍্যা হয়।

বিস্কুট →চায়ের সঙ্গে বিস্কুট খেতে দেওয়া হয়।

গল্প →ভূতের গল্প শুনতে অনেকে ভয় পায়।

ইস্কুল →রবিবার ইস্কুল ছুটি থাকে।


৮। ‘জল’ ও ‘মেঘ’ শব্দদুটিকে বাক্যের প্রথমে, বাক্যের শেষে ও বাক্যের মাঝে বসিয়ে বাক্য বানাই

জল →■ জলের অপর নাম জীবন।
          ■ নদীর জল ঘোলা।
          ■ তৃষ্ণা মেটায় জল।
            



মেঘ →■ মেঘ থেকে বৃষ্টি নামে।
     ■     বর্ষার সময় কলো মেঘ দেখা যায়
    ■   পেঁজা তুলোর মতো ভেসে বেড়ায় শরৎতের মেঘ।



                 বাদল দিনে
             পুণ্যলতা চক্রবর্তী
সকালে চোখ মেলেই আবার চোখ বুজে ফেলল মীনা—উঃ— আর পারা যায় না। সারা রাত ধরে
বৃষ্টি হলো, তবু এখনও টিপ-টিপ-টিপ! পাশে বসে বীণা গুন গুন করে গাইছিল ‘সকাল বেলার
বাদল আঁধারে’, মীনা ঠোঁট ফুলিয়ে বলল ‘এমন বিচ্ছিরি দিনেও তোর গান পায় দিদি? আমার তো
কান্না পায়।' বীণা হেসে বলল ‘তুই যে বাদলা দিন দুচোখে দেখতে পারিস না তাই তোর কান্না পায়,
আমি বাদল ভালোবাসি তাই আমার গান পায়। নে, এখন উঠে মুখ ধুয়ে চা খাবি চল।'
চা খেতে বসে ঝমাঝম্ বৃষ্টি নামল। ছোটো ভাই নন্দ হাততালি দিয়ে বলল ‘বেশ মজা! আজ
ইস্কুলে যেতে হবে না—আয় বৃষ্টি হে—নে, বিস্কুট দিব মে—নে।' মীনা বলল ‘যা বৃষ্টি ঝরে যা—মাখন
রুটি গরম চা।’
(নন্দ) ‘আয় মেঘ ঝেঁ—পে, দুধ দিব মে—পে’
(মীনা) ‘যারে মেঘ উড়ে যা— দেশ ছেড়ে দূরে যা
মেঘ জল যাই হোক্, বাবা ঠিক সময়ে অফিস যাবেন— তাঁর অনেক কাজ। রাস্তায় জল জমেছে,
মা তাড়াতাড়ি স্টোভে রান্না চাপালেন।
নন্দ কেমন মজা করে বৃষ্টিতে স্নান করল, মীনার কাল একটু কাশি হয়েছিল বলে, ভিজতে পেল
না, তাই মনটা আরো খারাপ হয়ে গেল। মায়ের রান্না চমৎকার খিচুড়ি আলুভাজা, ডিমের বড়া খেয়ে,
তবে মনটা আবার ভালো হলো।
দুপুরে, মা শুয়ে বই পড়ছেন, বীণা সেলাই করছে, নন্দ কাগজের নৌকো বানিয়ে জলে।
মীনার কোনো কিছুতেই মন বসছে না— সেলাই হাতে নিয়ে, নেড়ে চেড়ে রেখে দিল; ন
বসে দু-চারটা নৌকো ভাসিয়েই ‘দূর ছাই’! বলে উঠে পড়ল; একটা গল্পের বই নিয়ে বসল
না গল্পের ছোট্ট মেয়েটি গভীর বনে পথ হারিয়ে ফেলল, অমনি বইটা ছুঁড়ে ফেলে দিল।
মুখখানা হাঁড়িপানা করে জানালার ধারে বসে রইল।
সামনে রাস্তার ধারে ধুলোমাখা রোদেপোড়া গাছটা বৃষ্টির জলে স্নান করে তাজা হয়ে
পাতার মাঝে ফুটে আছে গোল গোল, ফুরফুরে, হলদে কদমফুল! গাছতলায় কত ময়লা
সেসব এখন সবুজ ঘাসে ঢেকে গিয়েছে; চুষে ফেলে দেওয়া আমের আঁটি থেকে ছোটো চারা
কচি লালাপাতা চিকচিক করছে, শেওলাপড়া পাঁচিলটা মনে হলো যেন সবুজ মখমল।
—দেখতে দেখতে হাঁড়ি মুখখানা হাসিমুখ হয়ে এল।
হঠাৎ খিল খিল করে জোরে হেসে উঠল মীনা। নন্দ ছুটে এল ‘কী হলো ভাই ছোটদি
‘একটা ছোট্ট ছেলে সামনের রোয়াকে বসে কী যেন খাচ্ছিল, ঐ বড়ো ছেলেটা তার
খাবারটা ছিনিয়ে নিয়ে পালাতে গিয়ে, পা পিছলে—হিঃহিঃহিঃ—জানালা দিয়ে দেখে না
করে হেসে উঠল, একেবারে কাদামাখা ভূত! বেশ হয়েছে। যেমন কর্ম তেমনি ফল!
বিকেলে আবার কালো মেঘে আকাশ ছেয়ে গেল ; বাদল মেঘে গুরু গুরু মাদল বাজ
ঝোড়ো হাওয়ার পাগলা নাচন। বৃষ্টি নামবার ঠিক আগেই বাবা বাড়ি ফিরলেন। ভিতরে
লোভনীয় একটা গন্ধ তাঁর নাকে এল, কানে গেল একটা মিষ্টি গানের সুর। দেখলে
হালুয়া তৈরি করছেন, আর বীণা মীনা চায়ের টেবিল সাজাতে সাজাতে গান করছে .
-
‘মেঘের জটা উড়িয়ে দিয়ে নৃত্য কে করে-এ-এ-এ-এ-এ-1নন্দ গাইতে পারে না, সে ওদের গানের তালে তালে হেলেদুলে নৃত্য করছে!

পরের প্রকৌশল 6 দেখুন