অষ্টম শ্রেণি বাংলা ছন্নছাড়া অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর। /class 8 bangla chhannachara
দাঁড়াও কবিতার অনুসরণী উত্তর দেখুন
পাড়াগাঁয়ে দুই প্রহর ভালোবাসি অনুশীলনী উত্তর দেখুন
"গাছের কথা" অনুশীলনী প্রশ্নের উত্তর দেখুন
অষ্টম শ্রেণি বাংলা
ছন্নছাড়া
অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তর লেখা কবিতা, অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর।
১.১ অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা দুটি বইয়ের নাম লেখো।
উঃ। 'অকালবসন্ত', 'পরমপুরুষ শ্রীশ্রী রামকৃয়'।
১.২ তিনি কোন্ পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন?
উঃ। 'কল্লোল' পত্রিকার সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন।
২. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর একটি বাক্যে লেখো :
অষ্টম শ্রেণীর জীবন বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় অনুশ্লীল প্রশ্ন উত্তর দেখুন
২.১ কবি প্রথমে গাছটিকে কেমন অবস্থায় দেখেছিলেন?
উঃ। কবি প্রথমে গাছটিকে রুক্ষ, ৱুষ্ট, রিক্ত, জীর্ণ, লতাপাতাহীন, ছায়াহীন, ছালবাকল নেই একটি গাছের প্রেতছায়া রূপে দেখেছিলেন।
২.২ ড্রাইভার বললে, ওদিকে যাব না'।—ওদিকে না যেতে চাওয়ার কারণ কী?
উঃ। ওদিকে ছন্নছাড়া বেকাররা রাস্তার মোড়ে আড্ডা দেয়, তারা গাড়ি থামিয়ে লিফট চাইবে। তাই ড্রাইভার ওদিকে যেতে চায় নি।
২.৩ তাই এখন পথে এসে দাঁড়িয়েছে সড়কের মাঝখানে। সড়কের মাঝখানে, পথে এসে দাঁড়ানোর কারণ কী?
উঃ। মধ্যবিত্ত বাড়ির এক চিলতে একটি বাতিল রক ছিল। সেখানেই ছন্নছাড়া ওই বেকারের দলটি তাদের আসর বসাতো, সেটাই এখন লোপাট হয়ে গেছে। তাই তারা সড়কের মাঝখানে পথে এসে দাঁড়িয়েছে।
২.৪ আমি বললুম, না ওখান দিয়েই যাব। —কবির ওখান দিয়েই যেতে চাওয়ার কারণ কী।
উঃ। কবি ড্রাইভাব কথিত ছন্নছাড়া ছেলেগুলোকে দেখতে চান ।তাদের বুঝতে চান। তাই ওই মোড়ের রাস্তা নিয়েই তিনি যেতে চান।
২.৫ 'ওই দেখতে পাচ্ছেন না ভিড়।'—ওখানে কীসের ভিড়?
উঃ। ওইখানে একটা নিরীহ মানুষ গাড়ি চাপা পড়েছে তারই ভিড়।
২.৬'কে সে লোক? — লোকটির পরিচয় দাও।
উঃ। লোকটি একজন বেওয়ারিশ ভিখারি, তার কেউ নেই, কিছু নেই।
২.৭ 'চেঁচিয়ে উঠল সমস্বরে...'—কী বলে তারা সমস্বরে চেঁচিয়ে উঠল?
উঃ। তারা সমস্বরে আনন্দে ঝংকৃত হয়ে চেঁচিয়ে উঠল প্রাণ আছে, এখনও প্রাণ আছে।
২.৮ আমি নেমে পড়লুম তাড়াতাড়ি।'—কৰি তাড়াতাড়ি নেমে পড়লেন কেন?
উঃ। কবির গায়ে সেই বেওয়ারিশ ভিখিরির রক্তের দাগ লেগে যেতে পারে। এর থেকে নিজের ভব্যতা ও ও শালীনতা বাঁচাতে গিয়ে কবি তাড়াতাড়ি ট্যাক্সি থেকে নেমে পড়লেন।
২.৯ ফিরে আসতেই দেখি...'-ফেরার পথে কবি কী দেখতে পেলেন?
উঃ। ফেরার পথে কবি দেখতে পেলেন গলির মোড়ে গাছের সেই শুকনো বৈরাগ্য বিদীর্ণ করে বেরিয়ে পড়েছে হাজার
হাজার সোনালি কচিপাতা, মর্মরিত হচ্ছে বাতাসে। আর তার ডালে ডালে উড়ে এসেছে নানা রঙের পাখি।
বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় অনুশীলন ী দেখুন
২.১০ অবিশ্বাস্য চোখে দেখলুম।'—কবির চোখে অবিশ্বাসের ঘোর কেন?
উঃ। কারণ কবি যা শুনে ছিলেন, তা সবটা ঠিক ছিল না, তাই অবিশ্বাস্য চোখে তিনি দেখলেন যে কীভাবে এক কৃত্রিমতা, অমানবিকার শিকড়কে তুলে ফেলে শান্তির বারিধারা প্রকৃতিকে করতে পারে।
৩.১উত্তর- শূন্যের দিকে এলোমেলো তুলে
দেওয়া রুক্ষ, রুষ্ট, রিক্ত, জীর্ণ চেহারা, যার
লতা নেই পাতা নেই, ছালবাকল নেই। কোথাও এক আঁচড় সবুজের প্রতিশ্রুতি বা একবিন্দু সরসের সম্ভবনাও নেই। তিনি আরও
দেখেছিলেন দূরে রাস্তার ধারে একদল কর্মহীন ছোকরার জটলা ও গাড়ি চাপা পড়া এক বেওয়ারিশ ভিখিরিকে। তারপর তারা সেই দেহটিকে তুলে আনল গাড়িতে। তখনও তার প্রাণ আছে একথা ভেবেই তারা উল্লাসে ফেটে পড়ল।গায়ে সেই ভিখিরির রক্ত লেগে যেতে পারে তাই ভদ্রতা এবং শোভনতা রক্ষা করতে কবি নেমে গেলেন গাড়ি থেকে। ফেরার পথে কবির চোখে পড়ল সেই পত্রহীন গাছটিকে। সেই গাছটি এখন সোনালি সবুজ পাতায় ভরে গেছে এবং তার ডালে উড়ে এসে বসেছে নানা রঙের পাখি।
৩.২ ‘গলির মোড়ে একটা গাছ দাঁড়িয়ে। গাছ না গাছের প্রেতচ্ছায়া।'—একটি গাছ দাঁড়িয়ে আছে বলেও কেন পরের পঙ্ক্তিতে ‘গাছের প্রেতচ্ছায়া’ বলা হয়েছে তা বুঝিয়ে দাও।
উঃ। গলির মোড়ে যেটি দাঁড়িয়ে ছিল সেটা নিঃসন্দেহে গাছ কিন্তু সেটা কেবল আকৃতিতে, প্রকৃতিতে নয়। একটা গাছ বলতে বোঝায় প্রচুর ডালপালা সমৃদ্ধ সবুজ প্রাণের প্রাচুর্য। কিন্তু এই গাছটির ছিল না পাতা, এমন কি ছালবাকলও ছিল না, ছিল না এক আঁচড় সবুজের প্রতিশ্রুতি, তাই তাকে কবি প্রেতচ্ছায়া বলেছেন। কারণ সেটা যেন কোনো এক কাঠামো।
৩.৩ ‘ওই পথ দিয়ে/জরুরি দরকারে যাচ্ছিলাম ট্যাক্সি করে।'—এভাবে কবিতায় উত্তমপুরুষের রীতি কীভাবে ব্যবহৃত হয়েছে, অন্তত পাঁচটি পক্তি উদ্ধৃত করে দেখাও।
উঃ। (১) আমি বললুম, না এখান দিয়েই যাব, (২) ওখান দিয়েই আমার শর্টকাট (৩) বললুম, কদ্দুর যাবে,(৪) আমি নেমে পড়লুম তাড়াতাড়ি। (৫) অবিশ্বাস্য চোখে চেয়ে দেখলুম।
৩.৪ ‘কারা ওরা’? কবিতা অনুসরণে তাদের পরিচয় দাও।
উঃ-
ওরা,নামগোত্রহীন একদল বখাটে ছেলে।তারা এক ভিখিরির প্রাণ বাঁচাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।চোখা জুতো, রোখা মেজাজ, ঠোকা কপাল । ওখানে দিয়ে গেলে তারা গাড়িতে লিফট চায়, বলে হাওয়া খাওয়ান। ওদের ভিটে নেই ওদের অনুনয়, বিনয়, ভদ্রতা, শালীনতা নেই। ওদের জন্য কলেজে সিট নেই, অফিসে চাকরি নেই, কারখানায়কাজ নেই। কেউ তাদের ভালোবাসে না। সেই রাস্তায় উঠে আসা ছন্নছাড়ার দল কিন্তু প্রকৃত অর্থে মানবিক।
3.4 উত্তর
উঃ। ছন্নছাড়া কবিতায় যে ট্যাক্সি ড্রাইভার কবিকে তার গাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি এই সাবধানবাণী উচ্চারণ করেছিলেন।
ওদের বলতে পথের ধারে থাকা একদল ছন্নছাড়া বেকার যুবকদের কথা বলা হয়েছে।
নৈরাজ্যের বাসিন্দা। ওঁদের কোন রীতিনীতি নেই। সব থেকে বড়ো কথা ওদের কাছে গেলেই ওরা হাওয়া খাওয়ার জন্য
ড্রাইভারের ধারণা ওই ছন্নছাড়া যুবকদের কোনো বিনয় নেই, ভদ্রতা নেই, শ্লীলতা নেই, স্বাধীনতা নেই।
৩.৬ তাই এখন এসে দাঁড়িয়েছে সড়কের মাঝখানে।'—এখানে কাদের কথা বলা হয়েছে? তাদের জীবনের এমন
,
উঃ। এখানে কবিতায় বর্ণিত অধিকারহীন, নৈরাজ্যের বাসিন্দা সেই সমস্ত ছেলেদের কথা বলা হয়েছে। যারা রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকে, গাড়ি দেখলেই লিফট চায় বলে দাদা হাওয়া খাওয়ান, তাদের কথা বলা হয়েছে।
তারা একসময় মধ্যবিত্তের পরিবারের বাড়ির একচিলতে রকে বসে আড্ডা মারত। কিন্তু তারা রক শুদ্ধ লোপাট করে দিল। ফলে সেই বেকার যুবকরাই এখন সড়কের মাঝখানে এসে দাঁড়িয়েছে। রাস্তার মোড়েই আড্ডার আসর জমায়। এছাড়াও তারা ছিল নৈরাজ্যের ও এক নেই রাজ্যের বাসিন্দা। তাদের জন্য কোনো অধিকার নেই, কলেজে সিট নেই,অফিসে চাকরি নেই, কারখানায় কাজ নেই, মেলায়-খেলায় তাদের জন্য টিকিট নেই, বাড়িতে ঘর নেই, খেলার মাঠ নেই,
তাদের ভালোবাসারও কেউ নেই। এই কর্মহীন যুবকের দলকে তথাকথিত ভদ্রসমাজ এক বিড়ম্বনা বলে মনে করেন। কিন্তু
তাদের জীবনের এই পরিণতির জন্য দায়ী ধনবান শাসকের শোষণ, যার ফলশ্রুতি হিসেবে তাদের জীবনে এসেছে হতাশা,
যন্ত্রণা। এসবই সামাজিক ও আর্থিক পরিস্থিতির করুণ পরিণাম।
———
৩.৭ জিজ্ঞেস করলুম/তোমাদের ট্যাক্সি লাগবে?? প্রশ্নবাক্যটিতে প্রশ্নকর্তার কোন্ অনুভূতির প্রকাশ ঘটেছে?
তাঁর এই প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়ার পর কীরূপ পরিস্থিতি তৈরি হলো?
উঃ। প্রশ্নকর্তা যে মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল তাঁর প্রশ্নের মধ্য দিয়ে সেই মানসিকতারই প্রকাশ ঘটেছে।লেখক জিজ্ঞাসা করলেন ট্যাক্সি লাগবে? লিফট চাই লিফট? প্রশ্নকর্তা বা লেখক প্রশ্নের মধ্যে দিয়ে মহত্ত্বের পরিচয়
দিয়েছেন, তিনি ব্যাতিক্রমী, তাই তিনি অবহেলিত এই ভবঘুরেদের মহৎ প্রচেষ্টার পাশে দাঁড়াতে চেয়েছেন। ট্যাক্সি পেয়ে ছেলের দল সোল্লাসে চিৎকার করে এবং সিটি দিয়ে ওঠে। আর দেরি না করে চাপা পড়া বেওয়ারিশ ভিখিরির দলা পাকানো দেহটি তুলে নিল গাড়ির ভিতরে। তখনও লোকটা বেঁচে ছিল, তাই যুবকেরা প্রাণ আছে বলে
আনন্দে চেঁচিয়ে ওঠে এবং তারা চলে যায় কোনো হাসপাতালে।
৩.৮ ‘প্রাণ আছে, এখানো প্রাণ আছে।'—এই দুর্মর আশাবাদের তপ্ত শঙ্খধ্বনি' কবিতায় কীভাবে বিঘোষিত হয়েছে, তা আলোচনা করো।
উঃ। গলির মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা বেকার ছেলেগুলি একটি ট্যাক্সি খুঁজছিল কারণ একজন বেওয়ারিশ ভিখিরি গাড়িচাপা
পড়েছে। কবি ট্যাক্সি নিয়ে সেখানে উপস্থিত হতে তিনজন যুবক ভিখিরির দল পাকানো দেহটা পাঁজাকোলা করে ট্যাক্সিতে
তুলে নিয়ে এল। ছেলেগুলো সমস্বরে চেঁচিয়ে উঠল প্রাণ আছে প্রাণ আছে বলে। এই পৃথিবীতে প্রাণই সবকিছু। প্রাণ না
থাকলে পৃথিবীটা তো ইট-কাঠ-পাথরে ভরা এক বস্তুতে পরিণত হতো। কবি দেখেছেন সভ্যতার কঠিন শাসনে পড়ে সবই
৮. নির্দেশ অনুযায়ী বাক্য পরিবর্তন করো :
৮.১ ওই পথ দিয়ে জরুরি দরকারে যাচ্ছিলাম ট্যাক্সি করে। (জটিল বাক্যে)
উঃ। যেহেতু জরুরি দরকার ছিল সেহেতু ওই পথ দিয়ে ট্যাক্সি করে যাচ্ছিলাম।
৮.২ দেখছেন না ছন্নছাড়া কটা বেকার ছোকরা রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছে। (যৌগিক বাক্যে)
উঃ। দেখছেন না ছন্নছাড়া কটা বেকার ছোকরা রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে এবং আড্ডা দিচ্ছে।
৮.৩ কারা ওরা? (প্রশ্ন পরিহার করো)
উঃ। ওদের পরিচয় জানতে চাইছি।
৮.৪ ঘেঁষবেন না ওদের কাছে। (ইতিবাচক বাক্যে)
উঃ। ওদের কাছে ঘেঁষা থেকে বিরত থাকুন।
৮.৫ একটা স্ফুলিঙ্গ-হীন ভিজে বারুদের স্তূপ। (না-সূচক বাক্যে)
উঃ। একটা স্ফুলিঙ্গ-হীন ভিজে বারুদের স্তূপ ছাড়া আর কিছুই নয়।
৮.৬ জিজ্ঞেস করলুম, তোমাদের ট্যাক্সি লাগবে? (পরোক্ষ উক্তি)
উঃ। তাদের ট্যাক্সি লাগবে কিনা তা জিজ্ঞাসা করলেন।
৮.৭ আমরা খালি ট্যাক্সি খুঁজছি। (জটিল বাক্যে)
উঃ। যেটা খালি ট্যাক্সি আমরা সেটাই খুঁজছি।
৮.৮ দেখতে দেখতে গুচ্ছে গুচ্ছে উথলে উঠছে ফুল। (ক্রিয়ার কাল নির্দেশ)
উঃ। ঘটমান বর্তমান কাল।
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নাবলী উত্তর দেওয়া হলো
নিচে লিংকে ক্লিক করে বাকি অনুশীলনী প্রশ্নের উত্তর গুলো দেখে নিন
দাঁড়াও কবিতা
গাছের কথা
পাড়া গায়ে দুই প্রহর ভালোবাসি উত্তর দেখুন
অন্য গুলি দেখুন
আলাপ
অন্য টা দেখুন দাঁড়াও
অন্যটা দেখুন আদাব
পথের পাঁচালী বইয়ের অনুশীলন প্রশ্ন উত্তর
ভাষাচর্চা (১)