অষ্টম শ্রেণি বাংলা" হাওয়ার গান " বুদ্ধদেব বসু হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর/class 8 bangla manushik ami question answer - Online story

Saturday 23 July 2022

অষ্টম শ্রেণি বাংলা" হাওয়ার গান " বুদ্ধদেব বসু হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর/class 8 bangla manushik ami question answer

 


 

  সুভা"গল্প অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর

 

" ছন্নছাড়া "-কবিতার অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর দেখুন
"দাঁড়াও"- কবিতার অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর দেখুন

"দুই প্রহর ভালোবাসি"- কবিতার অনুশীলনে উত্তর দেখুন
            অষ্টম শ্রেণি
       বাংলা" হাওয়ার গান "
            বুদ্ধদেব বসু
হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর
হাতে-কলমে
অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর
১.১ বুদ্ধদেব বসু রচিত দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম লেখো।
উঃ। বুদ্ধদেব বসু রচিত দুটি কাব্যগ্রন্থ হলো ‘বন্দীর বন্দনা’ এবং ‘কঙ্কাবতী’।


১.২ তিনি কোন্ পত্রিকা সম্পাদনা করতেন? উঃ। তিনি ‘কবিতা’ নামক পত্রিকাটি সম্পাদনা করতেন।


২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি/দুটি বাক্যে উত্তর
দাও :
২.১ দুর্বার ইচ্ছায় হাওয়া কী কী ছুঁয়ে গেছে? উঃ। পৃথিবীর সব জল সহ তীর হাওয়া তার দুর্বার ইচ্ছায় ছুঁয়ে গেছে।


২.২ তার কথা হাওয়া কোথায় শুধায় ?
উঃ। পার্কের বেঞ্চিতে, ঝরা পাতায়, শার্শিতে, কেঁপে ওঠা দেওয়ালের পঞ্জরে, চিমনির নিস্বনে ও কাননের ক্রন্দনে হাওয়া তার কথা শুধায়।

২.৩ মাস্তুলে দীপ জ্বলে কেন?
উঃ। জাহাজ যখন রাতের আঁধারে সমুদ্রপথে চলে তখন দূর থেকে তার অবস্থান
বোঝাতে জাহাজের মাস্তুলে দীপ জ্বলে।


২.৪ পার্কের বেঞ্চিতে আর শার্সিতে কাদের উপস্থিতির চিহ্ন রয়েছে?
উঃ। পার্কের বেঞ্চিতে ঝরাপাতার এবং শার্সিতে কেঁপে ওঠা দেয়ালের পাঁজরে
হাওয়াদের উপস্থিতির চিহ্ন রয়েছে।


২.৫ নিশ্বাস কেমনভাবে বয়ে গেছে?
উঃ। নিশ্বাস উত্তাল ও অস্থিরভাবে বয়ে গেছে।


৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর সংক্ষেপে লেখো :


৩.১ হাওয়ার চোখে ঘরের যে ছবি পাওয়া যায়, তা কবিতা অনুসরণে লেখো।

উঃ। ‘হাওয়ার গান’ কবিতায় হাওয়ার চোখে একটি ঘরের ছবি সুন্দরভাবে ধরা পড়ে।
সেই ঘরে একটি মিষ্টি ছেলে দোলনায় ঘুমিয়ে রয়েছে। আবছা ঘরের মেঝেতে কার্পেটের ওপর কুকুরটি তন্দ্রামগ্ন হয়ে রয়েছে। '
ঘরের মধ্যে মোমবাতির জ্বলা আলোয় এক স্বপ্নময় পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সেই ঘরে হাওয়া যাকে খুঁজে চলে সে বোধ হয়
সেখান থেকে বিদায় নিয়ে গেছে।


৩.২ সমুদ্রের জাহাজের চলার বর্ণনা দাও।
উঃ। অন্ধকার সমুদ্রের মাঝে যখন জাহাজ চলে তখন মাস্তুলে দীপ জ্বলে। জাহাজে বিভিন্ন আমোদ অনুষ্ঠান হয়। কেউ
সিনেমা দেখে, কেউ নৃত্য করে, বিশাল বিশাল তরঙ্গ ভেঙে জাহাজ এগিয়ে চলে। এক সময় সব থেমে যায়, ডেক নির্জন হয়ে যায়। চাঁদ অস্ত যায় এবং অকূল অন্ধকারে শুধু দুলে ওঠা সমুদ্রের ফেটে পড়া গর্জন শোনা যায়। সে গর্জন উপেক্ষা করে সমুদ্রে জাহাজে ভেসে চলে।


৩.৩ পৃথিবীর কোন্ কোন্ অংশে হাওয়া ঘুরে বেড়ায়?
উঃ। পৃথিবীর কোনো নির্দিষ্টস্থানে হাওয়া থাকে না। সব জল সব তীর ছুঁয়ে সর্বত্র হাওয়া ঘুরে বেড়ায়। পাহাড়, বন্দর,নগরে, ঘন ভীড়, অরণ্য, তেপান্তরের মতো শূন্য প্রান্তরে হাওয়ারা ঘুরে বেড়ায়। এমনকি পার্কের বেঞ্চিতে, চিমনির নিস্বনে,কাননের ক্রন্দনেও তাদের অস্তিত্ব অনুভব করা যায়।


৪. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর বিশদে লেখো :

৪.১ হাওয়াদের কী নেই? হাওয়ারা কোথায় কীভাবে তার খোঁজ করে?
উঃ। হাওয়াদের নিজস্ব ঘর নেই। তাই সর্বত্র তারা সেই না পাওয়া ঘরকে খুঁজে বেড়ায়। তারা পৃথিবীর সব জল, তীর,পাহাড় বন্দর, বন্দর-নগর, তেপান্তর পার্কের বেঞ, ঝরা পাতা, শার্সিতে, দেওয়ালের পঞ্জরে, চিমনির নিস্বনে, কাননের ক্রন্দনে সর্বত্র তার খোঁজ করে চলে।


৪.২ ‘চিরকাল উত্তাল তাই রে’—কে চিরকাল উত্তাল ? কেন সে চিরকাল উত্তাল হয়ে রইল?
উঃ। কবি বলেছেন হাওয়া চিরকাল উত্তাল।
হাওয়াদের কোনো বাড়ি নেই, তারা চিরকালই বাইরে কেঁদে যায়। পৃথিবীর সব জায়গা তারা ছুঁয়ে যায় তার সেই ঘরের খোঁজে, যে ঘর আর কোথাও নেই। যার খোঁজে হাওয়া উত্তাল হয়ে অস্থিরভাবে ছুটে বেড়ায়, তাকে সে পায় না। পৃথিবীর সব জল, তীর, বন্দর, নগর ছুঁয়ে সে বৃথাই বয়ে যায়। পার্কের ঝরাপাতা ঢাকা বেঞ্চিকে, দেয়ালের শার্সিকে, চিমনিকে
ও কাননের কান্নাকে সে প্রশ্ন করে। কিন্তু কোথাও তাকে পায় না। হাওয়া কোনো বিশ্রাম নেয় না কোনো পায় না। অন্তহীন সময় ধরে সারা বিশ্ব জুড়ে হাওয়ার এই অফুরন্ত সন্ধান চলতে থাকে। তাই সে চিরকাল উত্তাল হয়ে
আশ্রয়স্থল থাকে।

দাঁড়াও কবিতার  প্রশ্নের উত্তর
ছন্নছাড়া দেখুন

পল্লী সমাজ
দুই প্রহর ভালোবাসি