অষ্টম শ্রেণী বাংলা পল্লীসমাজ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় অনুশীল প্রশ্ন উত্তর/class 8 bangla anishilani question answers about pallisamaj written by sarat chandra - Online story

Friday 8 July 2022

অষ্টম শ্রেণী বাংলা পল্লীসমাজ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় অনুশীল প্রশ্ন উত্তর/class 8 bangla anishilani question answers about pallisamaj written by sarat chandra

 




ছন্নছাড়া কবিতার প্রশ্নের উত্তর দেখুন

  দাঁড়াও কবিতার অনুশীলনী উত্তর দেখুন
পাড়াগাঁয়ে দুই প্রহর ভালবাসি, কবিতা অনুশীল উত্তর


পল্লীসমাজ -

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
হাতে-কলমে
অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর
১.১ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা দুটি উপন্যাসের নাম লেখো।

উঃ। ‘গৃহদাহ’ এবং ‘দেবদাস’।


১.২ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা দুটি ছোটো গল্পের নাম লেখো।


উঃ। 'মহেশ' এবং 'লালু'।


২. নীচের প্রশ্নগুলির দু-একটি বাক্যে উত্তর লেখো :



২.১ গোপাল সরকারের কাছে বসে রমেশ কী করছিল?
উঃ। গোপাল সরকারের কাছে বসে রমেশ জমিদারির হিসাবপত্র দেখছিল।


২.২ গ্রামের একমাত্র ভরসা কী ছিল?

উঃ। গ্রামের একশো বিঘার মাঠটাই সমস্ত চাষির একমাত্র ভরসা ছিল।


২.৩ ‘বোধ করি এই কথাই হইতেছিল।'—কোন কথার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে?

উঃ। বেণী লাঠিয়াল দিয়ে বাঁধ আটকে রেখেছিল। চাষিরা সকলে গিয়ে হত্যা দিয়ে পড়েছিল। মনে হয় এই কথাই হচ্ছিল বেণীমাধব আর হালদার মহাশয়ের মধ্যে।


২.৪ রমা আকবরকে কোথায় পাহারা দেবার জন্য পাঠিয়েছিল।

উঃ। রমা আকবরকে বাঁধ পাহারা দেবার জন্য পাঠিয়েছিল।



৩.৫ শে বিস্ময়ে হতবুদ্ধি হইয়া গেল।----রসেলের বিস্ময়ের শরণ কী ছিল
উৎ। রমেশ গ্রামে দীর্ঘদিন পর এসেছিল। এখানে তার আপন বলতে কেউ ছিল না। কিন্তু বর্মা ছিল তার মানের একান্ত
বাল্যসী। তার উপর মনে মনে বয়েশ নির্ভর করত। চাষিদের একশো বিঘা মাঠের ধান যখন বর্ষার
ফলে নষ্ট হতে বসেছিল তখন সে বাঁধ কেটে জল বের করে দেবার জন্য বসার অনুমতি নিতে এসেছিল। রমা উত্তরে
তাকে মামা বাঁধ থেকে বেরিয়ে গেলে যে দু-তিনশো টাকার ক্ষতি হবে সেই লোকসান সে করতে পারবে
কাঠি রমা রাজি হবে একদা রমেশ স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি। তার মনে একটা ধারণা জন্মেছিল যে তার একান্ত অনুরোধ
রমা বোধ হয় ফেলতে পারবে না। রমার কাছে এই অমানবিক উত্তর রমেশ প্রত্যাশা করেনি। তাই কমার মুখে এই কথা
শুনে রমেশ বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গিয়েছিল।
মায়া রয়েশের অনুরোধে রাজি হয়নি কেন?
উঃ। মাহিদের সাহায্যের জন্য রমেশ রমাকে অনুরোধ করলেও দুটি কারণে রমা সে অনুরোধ রাখতে পারেনি কারণ

মনে রমা জানতো বাঁধ কেটে না দিলে একশো বিশ্বের মাঠের সমস্ত ফসল নষ্ট হয়ে যাবে। রমেশের বক্তব্য ঠিক,
কিন্তু সেও মনে মনে জানত প্রথমত তাঁর বড়দা বেণী ঘোষাল তাতে রাজি নন। দ্বিতীয়ত তার পিতা নাবালক সন্তান
যতীনকেই জমিদারি দিয়ে গেছেন। নিজের ভাই যতীনের ক্ষতি করার সাহস সে দেখাতে পারেনি। কারণ তাঁর বাবা তাকে সম্পত্তি লিখে দিলেও সে নিজেকে ভাইয়ের অভিভাবক মনে করত। তাই রমেশের অনুরোধে রমা রাজি হয়নি।


৩.৭ 'মানুষ খাঁটি কিনা চেনা যায় শুধু টাকার সম্পর্কে।'—কে, কার সম্পর্কে একথা বলেছিল? সে কেন একথা বলেছিল?

উঃ। 'পল্লীসমাজ’ গল্পে রমেশ তার বাল্যসখী রমা সম্পর্কে একথা বলেছিল।
বৃষ্টির জলে ডুবে চাষিদের একশো বিঘে ধান নষ্ট হতে বসেছিল। রমেশ জমিদারির অপর শরিক রমার কাছে সেএই অনুরোধ নিয়ে গিয়েছিল। বাঁধ কেটে জল বার করে দিলে মাছ বেরিয়ে গিয়ে অনেক টাকার ক্ষতি হবে জানিয়ে রমারমেশের বাঁধ কেটে দেবার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে। রমার উপর রমেশের ভীষণ ভরসা ছিল। তার কেমন যেন বিশ্বাস জন্মেছিল যে তার একান্ত অনুরোধ রমা কিছুতেই প্রত্যাখ্যান করতে পারবে না। কিন্তু রমা জানায় বিষয় তার ভাই যতীনের,সে শুধু যতীনের অভিভাবক মাত্র। এই শুনে রমেশ মিনতি করে রমাকে জানায় যে এই কটা টাকা তার কাছে তেমন বড়ো
জতি নয়, কিন্তু তার জন্য এত লোকের অন্নকষ্ট দেবার মতো নিষ্ঠুর কাজ সে যেন না করে। রমা এর উত্তরে মৃদুভাবে নিজের ক্ষতি করতে না পেরে যদি নিষ্ঠুর হই তাহলে তাই হোক। আর রমেশবাবুর যখন চাষিদের জন্য এতই দয়াতবে তিনি নিজেও ক্ষতিপূরণ করে দিন। এই কথাটিকে বিদ্রুপ কল্পনা করে রমেশ ওই উক্তিটি করেছিল।
বলে

৩.৮ রমা বিহ্বল হতবুদ্ধির ন্যায় ফ্যালফ্যাল করিয়া চাহিয়া রহিল—রমার এমন অবস্থা হয়েছিল কেন?

উঃ। বর্ষায় একশো বিঘের মাঠের ধান নষ্ট হতে বসেছে দেখে রমেশ রমাকে চাষিদের হয়ে দক্ষিণের বাঁধ কেটে দেবার অনুরোধ জানায়। রমা বাঁধ কেটে দেবার ব্যাপারে রমেশের পাশে থাকবে না এটা সে স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি। অনেকঅনুরোধ সত্ত্বেও সে কোনোভাবেই রাজি হয় নি। তখন দুজনের মধ্যে বেশ কিছু উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। রমা স্পষ্ট জানিয়ে
দেয় তার পক্ষে ক্ষতি স্বীকার করা সম্ভব নয়। চাষিদের প্রতি দরদি হলে রমেশ যেন ক্ষতিপূরণ নিজে দিয়ে দেয়। এই কঠিন
কথাটি রমেশ আশা করেনি, কারণ তার কাছে রমার স্থান অনেক ওপরে ছিল। তাই নিজেকে সংযত করতে না পেরে রমেশ বলে তুমি অত্যন্ত হীন এবং নীচ, আমি ব্যাকুল হয়েছি বলে তুমি আমার কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করলে। সংসারে যত গাপ আছে মানুষের দয়ার উপর জুলুম করাটা সবচেয়ে বড়ো পাপ। আমার দুর্বলতা জানো বলে টাকা আদায়ের চেষ্টা করলে।এই মন্তব্য শুনে রমা অপমানিত বোধ করলেও এর কোনো উত্তর সে দিতে পারেনি। এই অশ্রুসজল চোখে বিহ্বল হয়ে রমা রমেশের দিকে চেয়ে থাকে।



৩.৯ রমা আকবরকে ডেকে এনেছিল কেন?
উঃ। বর্ষার জলে একশো বিঘে মাঠের ধান নষ্ট হতে বসেছে দেখে রমেশ চাষিদের হয়ে প্রথমে বেনী ঘোষাল ও পরে রমাকে অনুরোধ জানায়। রমার কাছ থেকে সহয়তা না পেয়ে রমেশ জানায় যে সে গরিব গ্রামবাসীর ক্ষতি হতে দেবে না। সে একাই বাঁধ কেটে জল বের করে দেবে। এতে রমা বুঝেছিল একটা অনর্থ হতে পারে। বাঁধকেটে একশো বিঘে মাঠের জল বার করতে যাতে না পারে তাই বাঁধ পাহারা দেবার জন্য রমা পীরপুরের প্রজা লাঠিয়াল আকবরকে ডেকে এনেছিল।



৩.১০ ‘মোরা নালিশ করতি পারব না।'—কে একথা বলেছে? সে নালিশ করতে পারবে না কেন?

উঃ। এ কথা বলেছে পীরপুরের প্রজা পাঁচ গ্রামের সর্দার লাঠিয়াল আকবর।
আকবর ধর্মপ্রাণ মুসলমান, গ্রামের মানুষ তাকে সর্দার বলে মান্য করে। রমেশের হাতে লাঠি খেয়ে সে আঘাত পয়েছে। কিন্তু তার চোখে ছোটোবাবুর কোনো অপরাধ নেই, ছোটোবাবু অপূর্ব লাঠি চালিয়েছে আত্মরক্ষার জন্য কাউকে মনো আঘাত করেনি। যে আঘাত তারা পেয়েছে তা এলোমেলো লাঠি চালানোর জন্য। গ্রামবাসীদের স্বার্থেই ছোটোবাবু একাজ করেছে। তাই রমা বা বেণী ঘোষালের কথামতো সে মিথ্যা নালিশ করতে পারবে না। এতে তার সম্মানে আঘাত লাগবে। তাই সে নালিশ করতে চায় নি।

৪. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :



৪.১ নইলে আর ব্যাটাদের ছোটোলোক বলেচে কেন'?—বক্তা কে? এই উক্তির মধ্যে দিয়ে বক্তার চরিত্রের কী পরিচয় পাও?

উঃ। উক্তিটির বক্তা শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘পল্লীসমাজ' গল্পের অন্যতম চরিত্র বেণী ঘোষাল।
হাওয়ার গান দেখুন

ছন্নছাড়া দেখুন

দুই প্রহর ভালোবাসি

 দাঁড়াও কবিতা


অন্য গুলি দেখুন

বোঝাপড়া

অদ্ভুত আতিথেয়তা

চন্দ্রগুপ্ত

বনভোজনের ব‍্যাপার

সবুজ জামা

চিঠি

আলাপ

পরবাসী

পথচলতি

একটি চড়ুই পাখি

দাঁড়াও

অন্য টা দেখুন দাঁড়াও

পল্লীসমাজ

ছন্নছাড়া

গাছের কথা

হাওয়ায় গান

কি করে বুঝবো

পাড়াগাঁর দু-পহর ভালোবাসি

নাটোরের কথা

অন‍্যটা দেখুন নাটোরের কথা

গড়াই নদীর তীরে

জেলখানায় চিঠি

স্বাধীনতা

আদাব

অন্যটা দেখুন আদাব

শিকল পরার গান

হরিচরণ বন্দোপাধ্যায়

ঘুরে দাঁড়াও

সুভা

পরাজয়

মাসিপিসি

টিকিটের অ্যালবাম

লোকটা জানলই না



পথের পাঁচালী (১)

পথের পাঁচালী(২)

পথের পাঁচালী(৩)

পথের পাঁচালী বইয়ের অনুশীলন প্রশ্ন উত্তর

ভাষাচর্চা (১)

ভাষা চর্চা (২)