অষ্টম বাংলা ভাষা চর্চা অধ্যায় দুই ধ্বনি পরিবর্তন হাতে কলমে অনুশীল প্রশ্নের উত্তর/class 8 bangla bhasha charaya chapter 2 - Online story

Tuesday 30 August 2022

অষ্টম বাংলা ভাষা চর্চা অধ্যায় দুই ধ্বনি পরিবর্তন হাতে কলমে অনুশীল প্রশ্নের উত্তর/class 8 bangla bhasha charaya chapter 2

 






অষ্টম বাংলা
 ভাষা চর্চা অধ্যায় দুই
 ধ্বনি পরিবর্তন

 হাতে কলমে অনুশীল প্রশ্নের উত্তর
হাতে কলমে : অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর
১. ঠিক বিকল্পটি বেছে নিয়ে বাক্যটি আবার লেখো :

১.১ যুক্তি > যুকতি, হলো-
(ক) স্বরভক্তির উদাহরণ
(খ) মধ্য স্বরাগমের উদাহরণ
 (গ) স্বরসংগতির উদাহরণ
 (ঘ) অপিনিহিতির উদাহরণ

উঃ। (খ) মধ্য স্বরাগমের উদাহরণ।


১.২ ইঞ্চি > ইঞ্জি—এক্ষেত্রে ঘটেছে—
(ক) মধ্যস্বরলোপ
 (খ) স্বরসংগতি
(গ) অন্ত্যস্বরলোপ
 (ঘ) অন্তস্বরাগম।

উঃ। (ঘ) অন্ত্যস্বরাগম।


১.৩ জানালা থেকে জানলা হয়েছে—
(ক) অভিশ্রুতির কারণে
 (খ) প্রগত সমীভবনের কারণে
 (গ) অন্যোন্য সমীভবনের কারণে
 (ঘ) মধ্য স্বরলোপের কারণে
.
উঃ। (ঘ) মধ্যস্বরলোপের কারণে।

১.৪ পূর্ববর্তী স্বরের প্রভাবে পরবর্তী স্বর পরিবর্তিত হলে তাকে বলা হয়

(ক) মধ্যগত স্বরসংগতি
(খ) অভিশ্রুতি
 (গ) প্রগত স্বরসংগতি
 (ঘ) সমীকরণ।

উঃ। (ক) মধ্যগত স্বরসংগতি।

 

১.৫ ধোঁকা > ধুঁকো হলো। এক্ষেত্রে ঘটেছে-
(ক) অন্যোন্য সমীভবন
 (খ) অন্যোন্য স্বরসংগতি
(গ) অপিনিহিতি
 (ঘ) মধ্যস্বরাগম।
উঃ। (খ) অন্যান্য স্বরসংগতি।

১.৬ শব্দের মধ্যে ব্যঞ্জনধ্বনির সঙ্গে যুক্ত ই’ কার বা ‘উ’ কার কে সেই ব্যঞ্জনধ্বনির আগেই উচ্চারণ করার রীতিটি হলো-
(ক) অভিশ্রুতি
(খ) ব্যঞ্ছনসংগতি
 (গ) অপিনিহিতি
(ঘ) বিপৰ্যাস।
উঃ। (গ) অপিনিহিতি

১.৭ রাখিয়া > রাইখ্যা > রেখে।
এক্ষেত্রে ঘটেছে-
(ক) ধ্বনি বিপর্যয়
(খ) মধ্যস্বরলোপ
(গ) অন্ত্যস্বরলোপ
(ঘ) অভিশ্রুতি।

উঃ। (ঘ) অভিশ্রুতি।



১.৮ সমাক্ষর লোপের একটি দৃষ্টান্ত হলো-
(ক) ফলাহার > ফলার
 (খ) বড়দিদি > বড়দি
(গ) পোষ্য > পুষ্যি
 (ঘ) দেশি > দিশি।

উঃ। (খ) বড়দিদি > বড়দি।



১.৯ গাত্র > গা। এটি-
(ক) অন্ত্যব্যঞ্জন লোপের উদাহর
 (খ) মধ্যগত স্বরসংগতির উদাহরণ
 (গ) অন্যোন্য স্বরসংগতির উদাহরণ
(ঘ) সমাক্ষর লোপের উদাহরণ।

উঃ। (ক) অম্ভাব্যঞ্জন লোপের উদাহরণ।


১.১০ একাধিক ধ্বনি পরিবর্তন প্রক্রিয়ার যোগফল হলো-
(ক) য়-শ্রুতি
 (খ) অপিনিহিতি
 (গ) অভিশ্রুতি
 (ঘ) ব-শ্রুতি।

উঃ। (গ) অভিশ্রুতি।

২. নির্দেশ অনুযায়ী নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
২.১ ধ্বনি পরিবর্তনের মূল কারণগুলি উল্লেখ করো
-
উঃ। ধ্বনি পরিবর্তনের মূল কারণ হলো- উচ্চারণের সরলীকরণের প্রতি বাগযন্ত্রের সহজাত প্রবণতা। উচ্চারণ স্থান অনুযায়ী কাছাকাছি ধ্বনিগুলির সন্নিবেশ করে শক্ত উচ্চারণকে শব্দের অন্তর্গত বিভিন্ন ধ্বনিকে পরিবর্তনের মাধ্যমে সহজ করে নেওয়া হয়।

ধ্বনি পরিবর্তনের ধারা হলো তিনটি,
 (ক) ধ্বনির আগম
, (খ) ধ্বনিলোপ এবং
 (গ) ধ্বনির রূপান্তর।



২.২ 'স্বরাগম' বলতে কী বোঝ?

উঃ। কোনো শব্দের আদি, মধ্যে বা অন্তে সংযুক্ত ব্যঞ্জন থাকলে তার আগে, পরে বা মধ্যে একটি স্বরধ্বনির অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে উচ্চারণ প্রয়াস হ্রাস করার প্রক্রিয়াকে স্বরাগম বলা হয়।



২.৩ মধ্যস্বরাগমের একটি দৃষ্টান্ত উল্লেখ করো।

উঃ। শব্দের মধ্যে যুক্ত ব্যঞ্জন থাকলে উচ্চারণের প্রয়াস কমানো, সরলীকরণের প্রয়াস বা ছন্দের কারণে দুটি যুক্ত ব্যঞ্জনের মধ্যে একটি স্বরধ্বনির অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে শব্দের উৎকর্ষ বৃদ্ধি করা হয়। এই রীতিকে মধ্যস্বরাগম বলা হয়।
যেমন: নির্মল > নিরমল। বর্ষণ > বরিষণ।



২.৪ শব্দের শুরুতে ব্যঞ্ছনাগম ঘটেছে এমন একটি উদাহরণ দাও।
উঃ। সাধারণত বাংলা ভাষায় শব্দের শুরুতে ব্যঞ্জনাগম কদাচিৎ দেখা যায়, এমন একটি উদাহরণ হলো : আম > রাম।



২.৫ ব-শ্রুতি ঘটার কারণ কী?
উঃ। দুটি স্বরধ্বনি পরস্পর সন্নিহিত থাকলে উচ্চারণের সুবিধার্থে অনেক সময় একটি অন্তঃস্থ -ব ধ্বনির আগম ঘটে থাকে। একেই ব-শ্ৰুতি বলা হয়।
 যেমন : শোআ > শোবা (শোওয়া)।



২.৬ ভক্ত >ডত্ত–-এক্ষেত্রে ধ্বনি পরিবর্তনের কোন নিয়মটি লক্ষ করা যায়?
উঃ। এক্ষেত্রে ধ্বনি পরিবর্তনের প্রগত ব্যঞ্জন সংগতি বা সমীভবন নিয়মটি লক্ষ করা যায়।



২.৭ অভিভূতিকে অপিনিহিতির পরবর্তী স্তর বলা হয় কেন?

উঃ। অভিশ্রুতিকে অপিনিহিতির পরের স্তর বলা হয় কারণ অপিনিহিতির কারণে পূর্বে উচ্চারিত ‘ই’ বা ‘'উ' সন্নিহিত স্বরধ্বনিগুলিকে প্রভাবিত করে এবং নিজেরাও প্রভাবিত হয়ে চলিত বাংলায় ধ্বনির পরিবর্তন ঘটায়।



২.৮ সমীভবনকে বাল্গুন সংগতি বলার কারণ কী?

উঃ। ভিন্ন ভিন্ন বাঞ্ছনধ্বনি পদের মধ্যে সন্নিবিষ্ট হলে উচ্চারণের সুবিধার জন্য একে অপরকে, অথবা উভয়েই পরস্পরকে প্রভাবিত ও রূপান্তরিত করে। তাই সমীভবন কে ব্যঞ্ছন সংগতি বলা হয়।

১ ৯ এই দুই ক্ষেত্রে কীভাবে অপিনিহিতি লক্ষ করা যায়?

উঃ। বাংলা ভাষায় 'স্ক’-র উচ্চারণ "থিয়" এবং "জ্ঞ"-র উচ্চারণ অনেকটা 'গ্য’-এর মতো। এই দুই ক্ষেত্রে অপিনিহিত যেভাবে দেখা যায় তা হলো : লক্ষ > লইকথ। যজ্ঞ > যইগগোঁ।


২.১০ ধ্বনিবিপর্যয় বলতে কী বোঝ?

উঃ। উচ্চারণকালে বিপর্যয়জনিত কারণে শব্দের মধ্যবর্তী ধ্বনিগুলির স্থান পরিবর্তিত হলে তাকে ধ্বনি-বিপর্যয় বলা হয়। বলা যেতে পারে যে উচ্চারণের ভুলে ধ্বনির স্থান অদল-বদল হয়ে যাওয়াকেই ধ্বনি বিপর্যয় বলে।
যেমন: রিকশা > বিশকা। আলনা > আনলা।






পরবর্তী অধ‍্যায় দেখো।





ধন্যবাদ