অষ্টম শ্রেণী বাংলা কবিতা গড়াই নদী তীরে জসীমউদ্দীন/class 8 bangla gari nadir tire
অষ্টম শ্রেণী
বাংলা কবিতা
গড়াই নদী তীরে
জসীমউদ্দীন
হাতে-কলমে
অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর
১.১ কবি জসীমউদ্দীন কোন্ অভিধায় অভিহিত?
উঃ। কবি জসীমউদ্দীন ‘পল্লীকবি’ অভিধায় অভিহিত।
১.২ তাঁর লেখা দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম লেখো।
উঃ।
তাঁর লেখা দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম হলো 'নক্সীকাঁথার মাঠ' এবং ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট'।
২. একটি বাক্যে উত্তর দাও :
২.১ কবিতায় বর্ণিত নদীটির নাম কী ?
উঃ। কবিতায় বর্ণিত নদীটির নাম গড়াই নদী।
২.২ মাচানের পরে কী আছে?
উঃ। মাচানের, উপরে সিম লতা ও লাউ-কুমড়ার ঝাড় আছে।
২.৩ মানুষের বসত করার কথা এখানে কারা বোঝেনি?
উঃ। এখানে বনের পাখিরা মানুষের বসত করবার কথা বোঝেনি।
২.৪ উঠানেতে কী কী শুকাচ্ছে?
উঃ। উঠোনেতে মটর ডাল, মুসুর ডাল, কালোজিরা, ধনে, লংকা ও মরিচ রোদে
শুকোচ্ছে।
২.৫ বাড়িটিকে ভালোবেসে কারা বেড়াতে এলে কিছুক্ষণ থেমে রয়?
উঃ। বাড়িটিকে ভালোবেসে সন্ধ্যা সকালের রঙিন মেয়েরা এলে কিছুক্ষণ থেমে রয়।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির কয়েকটি বাক্যে উত্তর দাও :
৩.১ কুটিরখানিরে লতাপাতা ফুল মায়ায় রয়েছে ঘিরে'—এখানে কুটিরটিকে লতাপাতা-ফুলের মায়া দিয়ে ঘিরে রাখা বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
উঃ। কবি জসীমউদ্দীন গড়াই নদীর তীরে থাকা একখানি কুটিরের কথা বলেছেন। পল্লিগ্রামের কুটির কখনো একটা
কেবলমাত্র ঘর এমন নয়। কুটিরের আশেপাশে থাকে গাছপালা, লতাপাতা, ফুলফলের গাছ। সেইসব গাছ সাধারণত
কুটিরে বসবাসকারী মানুষেরাই রোপণ করে। কুটিরে যেন তাদের মায়া ছড়িয়ে থাকে। আসলে লতা, পাতা, ফুল. ফলে
কুটিরটিকে এমনভাবে ঘিরে রয়েছে তা দেখে মনে হয়েছে প্রকৃতি যেন পরম স্নেহের বন্ধনে বেঁধে কুটিরটিকে রক্ষা করে
চলেছে। একথা বোঝাতেই কবি কুটিরটিকে লতাপাতা-ফুলের মায়ায় ঘেরা বলেছেন।
৩.২ ডাহুক মেয়েরা বেড়াইতে আসে গানে গানে কথা কয়ে’ – ডাহুক মেয়ে' কারা? তারা কাদের নিয়ে আসে? তারা কীভাবে কথা বলে?
উঃ। কবিতায় ডাহুক মেয়ে হলো পল্লি প্রকৃতির এঁদো ডোবায় থাকা জলচর স্ত্রী পাখি। ডাহুক হলো একধরনের জলচর পাখি।
ডাহুক বা জলচর পাখিরা নিজেদের বাচ্চাদের নিয়ে গড়াই নদীর তীরে কবির বর্ণিত কুটিরটিতে বেড়াতে আসে।
ডাহুকরা গান গেয়ে গেয়ে কথা বলে।
৩.৩ ‘যেন একখানি সুখের কাহিনি নানান আখরে ভরি'—‘আখর’ শব্দটির অর্থ কী? সুখের কাহিনির যে নানা ছবি কবি এঁকেছেন তার মধ্যে কোনটি তোমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে এবং কেন?
উঃ। আখর শব্দের অর্থ হলো অক্ষর বা বর্ণ।
কবি জসীমউদ্দীন ‘গড়াই নদীর তীরে’ কবিতাটিতে সুখের কাহিনির যে ছবিটি তুলে ধরেছেন তা বেশ মনোমুগ্ধকরছ বিএঁকেছেন।
কবিতাটিতে তিনি কুটিরের সামনে পরপর যে বিভিন্ন ডাল শুকনো করা, মশলা শুকনো করার ছবিটি দিয়েছেন তা অনবদ্য।
মটরডাল হলুদ বর্ণের, মুসুর ডাল লালচে-গোলাপি, তার পাশে কালোজিরে কালো আর ধনে হলদেটে। আবার লংকা লাল, মরিচ কালচে, সবমিলিয়ে এ যেন রঙের মেলা। দেখে মনে হচ্ছে নানা রঙের মিশ্রণে সমৃদ্ধি ও খুশি যেন উপচে পড়ছে। বিভিন্ন রঙের আলপনা দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন রঙের বাহারে উঠোনটা যেন হাসছে। বএই ছবিটিই আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে।
নীচের শব্দগুলির মধ্যে কোন্টি কোন্ শ্রেণির বিশেষ্য তা নির্দেশ করো :
মানুষ, আনন্দ, ফুলগুলি, আলপনা।
উঃ। মানুষ—শ্রেণিবাচক বিশেষ্য।
আনন্দ—ভাববাচক বিশেষ্য।
ফুলগুলি—সমষ্টিবাচক বিশেষ্য।
আলপনা—ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য।
১০. নীচের শব্দগুলির মধ্যে কোন্টি কোন্ শ্রেণির সর্বনাম তা নির্দেশ করো :
যার, কেউ, তাহারা, তার।
উঃ। যার—ব্যক্তিবাচক সর্বনাম।
কেউ—অনির্দেশক সর্বনাম।
তাহারা—ব্যক্তিবাচক সর্বনাম
তার—ব্যক্তিবাচক সর্বনাম।
১১. নীচের বিশেষণগুলির সাহায্যে নতুন শব্দবন্ধ তৈরি করো : এঁদো, লাল, বুনো, রঙিন।
উঃ। এঁদো—এঁদো পুকুর
। লাল—লালফুল। বুনো—বুনো হরিণ।
রঙিন—রঙিন আলপনা।
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তরগুলি তুলে ধরা হলো
অন্য গুলি দেখুন
আলাপ
অন্য টা দেখুন দাঁড়াও
অন্যটা দেখুন আদাব
পথের পাঁচালী বইয়ের অনুশীলন প্রশ্ন উত্তর
ভাষাচর্চা (১)