অষ্টম শ্রেণী বাংলা "ন্যাটোরের কথা" অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর/class 8 bangla natorer katha
গণিতে ১১ অধ্যায় উত্তর দেখুন
অষ্টম শ্রেণী বাংলা
ন্যাটোরের কথা
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর
অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর
১.১ অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা দুটি বইয়ের নাম লেখো।
উঃ। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা দুটি বই হলো -শকুন্তলা ,ক্ষীরের পুতুল।
১.২ তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে কোন্ সম্পর্কে সম্পর্কিত?
উঃ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাকা।
২. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
২.১
উঃ। লেখক আজ সকালে মনে পড়ল একটি গল্প’—লেখকের অনুসরণে সেই ‘গল্প’টি নিজের ভাষায় বিবৃত করো।
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বদেশিযুগে কীভাবে বিভিন্ন মিটিং-এ বাংলাভাষার প্রচলন করলেন সেই গল্পটিই বলেছেন।
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও তাঁর কাকা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং আরও কয়েকজন তরুণ বন্ধুদের সঙ্গে নাটোরের মহারাজা জগদিন্দ্রনাথের নিমন্ত্রণে প্রভিনসিয়াল কনফারেন্সে যোগ দিতে পূর্ববঙ্গের নাটোরে যান। । সেখানে তাঁদের প্রত্যেকের জন্য বিশেষ বিশেষ বন্দোবস্ত ছিল। যেদিন প্রভিনসিয়াল কনফারেন্সের সভা বসল সবাই গোল হয়ে টেবিল ঘিরে বসলেন আগে থেকেই ঠিক ছিল বাংলাভাষায় সভা করা হবে। রবীন্দ্রনাথ এই প্রস্তাব করলে ছোকরার দল তাঁকে সমর্থন করল। কংগ্রেসের নেতারা তাঁদের কথা মানলেন না। শেষপর্যন্ত দুটো দল হয়ে গেল। একদল বাংলায় বলবে অন্যদল ইংরেজিতে বলবে। এরপর রবীন্দ্রনাথের ‘সোনার বাংলা’ গানটি গাওয়া হলো। লালমোহন ঘোষ বাংলায় বক্তৃতা দিলেন। কনফারেন্সে বাংলা ভাষার প্রচলন হলো।
২.২ লেখকের বর্ণনা অনুযায়ী, তখনকার নাটোরের মহারাজার নাম কী ছিল?
উঃ। নাটোরের মহারাজার নাম ছিল জগদিন্দ্রনাথ রায়। লেখক তাঁকে শুধু ‘নাটোর’ বলে সম্ভাষণ করতেন।
২.৩ তিনি কোন্ রিসেপশন কমিটি'র প্রেসিডেন্ট ছিলেন?
উঃ। নাটোরের মহারাজা ছিলেন প্রভিনসিয়াল কনফারেন্সের রিসেপশন কমিটির প্রেসিডেন্ট।
২.৪ নাটোর নেমন্তন্ন করলেন
–সেই নেমন্তন্নের তালিকায় কাদের নাম ছিল বলে লেখক স্মরণ করতে পেরেছেন?
উঃ। প্রভিনসিয়াল কনফারেন্সে নিমন্ত্রিত ছিলেন লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর কাকা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং ঠাকুরবাড়ির
অন্যান্য ছেলের দল। তাছাড়া ন্যাশনাল কংগ্রেসের চাঁই অবনীন্দ্রনাথের ন-পিসেমশাই জানকীনাথ ঘোষাল, ডব্ল সি ব্যানার্জি,
সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, অবনীন্দ্রনাথের মেজোজ্যাঠামশাই, লালমোহন ঘোষ প্রমুখরা তালিকায় নিমন্ত্রিত অতিথির তালিকায়
ছিলেন।
- ২.৫ রওনা হলুম সবাই মিলে হৈ হৈ করতে করতে।--কোথায় রওনা হলেন? নাটোরের মহারাজা জগদিন্দ্রনাথের আমন্ত্রণে কীভাবেই বা রওনা হলেন?
উঃ। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং তাঁর তরুণ সঙ্গীর দল এবং কংগ্রেসের তাবড় তাবড় নেতারা প্রভিনসিয়াল কনফারেন্সে যোগ
দিতে নাটোরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন। নাটোরের মহারাজা তাদের জন্য বিশেষ ট্রেনের এবং পরে স্টিমারের বন্দোবস্ত
করেছিলেন। চোগাচাপকান এবং ধুতি পাঞ্জাবি বাক্সে গুছিয়ে নিয়ে খুশিমনে মহারাজার ব্যবস্থা করা বিশেষ ট্রেনে চেপে তাঁরা রওনা হলেন।
২.৬ সরাঘাট থেকে লেখক ও তাঁর সঙ্গীরা কোন নদীতে স্টিমার চড়েছিলেন?
উঃ। সরাঘাট থেকে লেখক ও তাঁর সঙ্গীরা পদ্মানদীতে স্টিমারে চড়েছিলেন।
২.৭ স্টিমারে খাওয়া-দাওয়ার প্রসঙ্গ আলোচনায়, লেখকের সরস মনের পরিচয় কীভাবে দেদীপ্যমান হয়ে উঠেছে তা বুঝিয়ে দাও।
উঃ। লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্টিমারে খাওয়া-দাওয়ার বিষয়ে চমৎকার বর্ণনা দিয়েছেন। নাটোরের রাজার তত্ত্বাবধানে
তাঁদের খাবার টেবিলের একদিকে বড়ো ও বিখ্যাতরা, লেখক যাঁদের চাঁই বলেছেন আর অন্যদিকে ছোটোরা। তিনি ও তাঁর অপর সঙ্গী দীপুদা দুজনেই খাদ্যরসিক ছিলেন। ফলে তাঁরালোভনীয় খাবারের আশায় উদ্গ্রীব হয়ে আছেন। কিন্তু একজন হোমরাচোমরা নেতা এমন ছিলেন যে তাঁর কাছে ‘বয়’রা খাবার
নিয়ে গেলেই তিনি বেশি বেশি খাবার পাতে তুলে নিচ্ছেন। এভাবে কাটলেট আনায় একসঙ্গে অনেকগুলো তুলে নিলেন
ফলে লেখক ও তাঁর সঙ্গীরা কম পেলেন। এরপর পুডিং আসাতে তাঁরা বেশ খানিকটা খাবার আশা করলেন কিন্তু সেই
হোমরাচোমরা নেতা অর্ধেকের বেশি নিজের পাতে তুলে নিলেন। লেখক মজা করে এই খাওয়াটিকে বলেছেন ‘জাইগ্যানটিক’
খাওয়া।
২.৮ ‘যেন ইন্দ্রপুরী।'—কীসের সঙ্গে ইন্দ্রপুরী’র তুলনা করা হয়েছে? কেনই বা লেখক এমন তুলনা করেছেন
উঃ। নাটোরের মহারাজা জগদিন্দ্রনাথের বাড়ি অর্থাৎ নাটোরের রাজপ্রাসাদটিকে ইন্দ্রপুরীর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে ।
লেখক নাটোর প্রাসাদে যখন পৌঁছোলেন তখন দেখলেন সেখানে রাজপ্রাসাদের বিশালতা তার বৈঠকখানা, ঝাড়লণ্ঠন
তাকিয়া, সুন্দর ও দামি ফুলদানি, কার্পেট ইত্যাদি বহুমূল্য ও সুন্দর জিনিসে বাড়ি ও বৈঠকখানাটি সাজানো। সে সবের তুলন
কেবল ইন্দ্রপুরী অর্থাৎ দেবতাদের রাজা ইন্দ্রের প্রাসাদের সঙ্গেই তুলনীয়। তাই লেখক নাটোরের রাজবাড়িটিকে ইন্দ্রপুরী সঙ্গে তুলনা করেছেন।
২.৯ ‘একেই বলে রাজ সমাদর।'—উদ্ধৃতিটির আলোকে নাটোরের মহারাজার অতিথি-বাৎসল্যের পরিচয় দাও
উঃ। লেখক আলোচ্য উক্তির মাধ্যমে নাটোরের মহারাজার অসাধারণ আতিথেয়তার কথা উল্লেখ করেছেন।
আগের প্রশ্নের উত্তর পাবে ২.৪
২.১২ নাটোরে নিসিয়াল কনফারেন্সে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোন গানটি পরিবেশন করেছিলেন?
উঃ নাটোরে প্রতিমপিয়াস কমলবেসে বর্ণীন্দ্রনাথ ঠাকুর 'আমার সোনার বাংলা" গানটি পরিবেশন করেছিলেন।
উঃ। নাটোরের প্রভিনশিয়াল কনফারেন্সে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমার সোনার বাংলা' গানটি
২.১৩ আমাদের তো জয়জয়কার। —কী কারণে লেখক ও তাঁর সঙ্গীদের জয়জয়কার' হলো?
উঃ। লেখক ও তাঁর সঙ্গীরা প্রভিনসিয়াল কনফারেন্সে স্থির করেন বাংলায় বক্তৃতা করবেন। কিন্তু বড়োরা স্থির করেন
যে, ইংরেজিতেই বক্তৃতা করবেন উভন্ন দলের মধ্যে দারুণ তর্কবিতর্ক হলো। দু-দলে তাঁরা ভাগ হয়ে গেলেন। যখন প্রেসিডেন্ট বক্তৃতা করতে উঠলেন তখন ছোকরারা বাংলা' 'বাংলা' বলে চিৎকার করে থামিয়ে দিলেন। শেষ পর্যন্ত ইংরেজিতে অসাধারণ বক্তৃতা দিতে পারতেন যিনি সেই লালমোহন ঘোষ বাংলায় বক্তৃতা দিলেন। তরুণদের জয়জয়কার হলো।
২.১৪ ' সেই প্রথম আমরা পাবলিকলি বাংলা ভাষার জন্য। লেখকের অনুসরণে সেই লড়াই এর বিশদ বর্ণনা দাও-
উত্তর ২.১৩ প্রশ্নের উত্তরটি এখানে লিখে দিলেই হবে।
এতক্ষণ দেখার জন্য ধন্যবাদ
অন্য গল্পে উত্তর গুলো দেখুন
অন্য গুলি দেখুন
আলাপ
অন্য টা দেখুন দাঁড়াও
অন্যটা দেখুন আদাব
পথের পাঁচালী বইয়ের অনুশীলন প্রশ্ন উত্তর
ভাষাচর্চা (১)