অষ্টম শ্রেণী বাংলা ষষ্ঠ পাঠ কবিতা পড়াগাঁর দু-প্রহর ভালোবাসি। কবি জীবনানন্দ দাশঅনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর/ class 8 bangla story duy pahar bhalabasi question answer - Online story

Friday 5 August 2022

অষ্টম শ্রেণী বাংলা ষষ্ঠ পাঠ কবিতা পড়াগাঁর দু-প্রহর ভালোবাসি। কবি জীবনানন্দ দাশঅনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর/ class 8 bangla story duy pahar bhalabasi question answer

"ছন্নছাড়া"- কবিতার প্রশ্নের উত্তর দেখুন
"দাঁড়াও"- কবিতার অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর দেখুন
অষ্টম শ্রেণী বাংলা ষষ্ঠ পাঠ কবিতা পড়াগাঁর দু-প্রহর ভালোবাসি। কবি জীবনানন্দ দাশঅনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর


১.১ জীবনানন্দ দাশের লেখা দুটি কবিতার বইয়ের নাম লেখো।
উঃ। জীবনানন্দ দাশের লেখা দুটি বই হলো- বনলতা সেন’ এবং মহাপৃথিবী‌।


১.২ তাঁর লেখা প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম কী? উঃ। জীবনানন্দ দাশের লেখা প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ রূপসী বাংলা"।


২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও :

২.১ 'দু-পহর' শব্দের অর্থ কী?
উঃ। দু-পহর' শব্দের অর্থ দ্বি-প্রহর।


২.২ 'কেবল প্রান্তর জানে তাহা'—প্রান্তর' কী জানে?
উঃ। রৌদ্রভরা এক দুপুরে কবির হৃদয়ে কোন গল্প কাহিনি ও অচেনা স্বপ্ন ঘর বাঁধার কথা ।সেটা ‘প্রান্তর’ জানে।


২.৩ তাহাদের কাছে যেন এ জনমে নয়—যেন ঢের যুগ ধরে কথা শিখিয়াছে এ হৃদয়’—কাদের কথা এখানে বলা হয়েছে?

উঃ। এখানে কবির পাড়াগাঁয়ের  প্রান্তরের শঙ্খচিলের কথা বলা হয়েছে।

২.৪ 'জলসিড়িটির পাশে ঘাসে...
— কী দেখা যায় ?
উঃ। জলসিডিটির পাশে ঘাসে দেখা যায় বহুদিনের বুনো চালতার শাখাগুলি ছন্দহীন ভাবে নুয়ে আছে।


২.৫ জলে তার মুখখানা দেখা যায়....'-জলে কার মুখ দেখা যায়?
উঃ। জলে বুনো চালতা গাছটিকে দেখা যায়।


২.৬ ডিঙিও ভাসিছে কার জলে..... ডিঙিটি কেমন?
উঃ। ডিভিটি বহুদিনের একটি ঝাঁঝরা ও ফোঁপরা ডিঙি।



২.৭ ডিভিটি কোথায় বাঁধা রয়েছে?
উঃ। ডিঙিটি জলসিড়ি নদীর পাশে হিজল গাছে বাঁধা আছে।


৩. নীচের প্রশ্নগুলির কয়েকটি বাক্যে উত্তর দাও :
৩.১ পাড়াগাঁয়ের দ্বিপ্রহরকে কবি ভালোবাসেন কেন?
উঃ। কবি জীবনানন্দ বাংলার পাড়াগাঁয়ে দুই প্রহরের গন্ধ তিনি স্বপ্নে খুঁজে পান। তাই প্রকৃতির সঙ্গে এক নাড়ির টান খুঁজে পান।  তাই দ্বিপ্রহরটিকে কবি ভালোবাসেন।


৩.২ 'স্বপ্নে যে-বেদনা আছে'—কবির স্বপ্নে কেন বেদনার অনুভূতি?
উঃ। কবির হৃদয়ে জমা থাকা কষ্ট যেন তিনি পাড়াগাঁয়ের দুপুরের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চান। কবির জীবনে পাড়াগাঁর দুপুরের ছবিগুলি কবির  কাছে স্বপ্নের মত দেখা যায় সেই স্বপ্নের কথা কবির মনে জাগ্রত হয়। কিন্তু তা অস্পষ্ট, তাই কবি তাকে ভালোভাবে দেখতে পান না, বুঝতে পারেন না তাই তিনি বেদনাহত হন। তাঁর সেই বেদনাহত ভাবনা
স্বপ্নের মধ্যে পরিস্ফুট হয়। তাই কবির স্বপ্নে বেদনার অনুভূতি।




৩.৩ প্রকৃতির কেমন ছবি কবিতাটিতে ফুটে উঠেছে তা আলোচনা করো।
উঃ। জীবনানন্দ দাশ গ্রাম বাংলার দ্বি-প্রহরের এক অপরূপ সৌন্দর্যের কথা তাঁর এই কবিতায় ব্যক্ত করেছেন। গ্রাম-বাংলার দুপুরের রৌদ্রে কীসের যেন গন্ধ লেগে থাকে। তার স্বপ্নে ভেসে ওঠে পুরনো স্মৃতি ।স্বপ্নের কথা কেউ জানে না, জানে কেবল প্রান্তর আর জানে প্রান্তরের শঙ্খচিল। অর্থাৎ কবির চোখে
রৌদ্রের মধ্যেও জমাট হয়ে রয়েছে এক বেদনা। কবি যেন সেই বেদনার ছবি
দেখতে পাচ্ছেন শুষ্ক পত্র, শালিকের কণ্ঠস্বর, ভাঙা মঠ আর নকশাপেড়ে শাড়ি
পরা মেয়েটির মধ্যে। বুনো চালতার শাখাগুলি বহুদিন নুয়ে আছে জলসিড়ি নদীর
পাশে ঘাসের মধ্যে। জলে ওই গাছের ছায়া পড়ে আছে। একটা ঝাঁঝরা ফোঁপরা
ডিঙি নৌকো কেউ হিজল গাছের ডালে বেঁধে রেখেছে। ডিঙি নৌকোটির মালিক
নেই। সেটি একাই পড়ে রয়েছে। পাড়াগাঁয়ের দ্বিপ্রাহরিক জীবনের শান্তশিষ্ট এক
মায়াময় রূপ কবির চোখে আজ ধরা পড়েছে।


৩.৪ ‘কেঁদে কেঁদে ভাসিতেছে আকাশের তলে'—কবির এমন মনে হওয়ার কারণ কী বলে তোমার মনে হয়?
উঃ। কবি দুপুরের বেদনার ছবি তাঁর কবিতায় ব্যক্ত করতে চেয়েছেন। কবির মনে হয়েছে সমস্ত বিশ্বপ্রকৃতি যেন কেঁদে কেঁদে কবির কাছে আকুতি করছে। কবি এখানে আকাশের তলে দুপুরের রোদকে দেখে তার মধ্যে বেদনার গন্ধ অনুভব করেছেন। আসলে পাড়াগাঁর দ্বিপ্রহরে এক বিষণ্ন প্রকৃতিকে কবি দেখেছেন। তিনি দেখেছেন শুকনো ঝরা পাতা, শালিকের
স্বর, ভাঙা মঠ, নকশা পাড়ের মেয়েটির হলুদ পাতার মতো সরে যাওয়া আর ঝাঁঝরা হয়ে যাওয়া ডিঙি নৌকো। কবি বোঝাতে
চেয়েছেন আসলে প্রতিদিনই প্রকৃতি বিনষ্ট হয়ে চলেছে। এই নষ্ট হয়ে যাওয়া পৃথিবীর কান্নার ছবি সর্বত্র ছড়িয়ে আছে এবং তা
চিরন্তন। তাই প্রতি মুহূর্তে ক্ষয় হওয়া প্রকৃতি যেন আকাশের নীচে যেন কেঁদে চলেছে।


৪. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :


৪.১ ‘পাড়াগাঁর দু-পহর ভালোবাসি’... শীর্ষক কবিতাটি ‘রূপসী বাংলা’ কাব্যগ্রন্থের কতসংখ্যক কবিতা? ‘পাড়াগাঁর
দু-পহর ভালোবাসি’ কবিতায় কবি জীবনানন্দের কবি-মানসিকতার পরিচয় কীভাবে ধরা দিয়েছে, তা বুঝিয়ে দাও।

উঃ। ‘পাড়াগাঁর দু-পহর ভালোবাসি’ শীর্ষক কবিতাটি ‘রূপসী বাংলা’ কাব্যগ্রন্থের পঁচিশ সংখ্যক কবিতা।
কবি জীবনানন্দ দাশ তাঁর এই কবিতায় গ্রাম বাংলার একটি চিত্র, সুচারুভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। কবি তাঁর এই কবিতায়
পাড়াগাঁয়ের দুপুরবেলার একটি অন্যরকম ছবি আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন।।প্রকৃতি যেন একটা অন্য জগতে বিচরণ করে। সেখানে কোনো মানুষ নেই প্রকৃতিই সেখানে বিদ্যমান। সাধারণত জীবনের ফেলে আসা দিনগুলোর স্মৃতি নির্জনতার মাঝেই মানুষের মনকে নাড়া দেয়, বেদনার্ত করে তোলে। কবির মনের যে বদনা তা যেন আমরা প্রকৃতির মধ্যে দেখতে পায়। কবি ভালোবাসেন পাড়াগাঁয়ের দুপুর। কবি যেন শুষ্ক পাতা, শালিখের ডাক আর ভাঙা মঠের মধ্যে তাঁর সেই পুরোনো স্বপ্নকে খুঁজেন, যে স্বপ্নে বেদনা আছে। কবির সেই নকশাপেড়ে শাড়ি পরা বালিকাটি যে রৌদ্রের ভিতর দৌড়ে পালায় তার কথা মনে
ড়ে। তিনি সেই মেয়েটির প্রতি আকর্ষণ বোধ করেন। মেয়েটি যেন বহু পুরাতন স্মৃতির মধ্যে বেদনার মতো কবির চোখের
মনে থেকে সরে যায়। চোখের সামনে নুয়ে পড়া বুনো চালতার ডাল যার প্রতিবিম্ব জলে দেখা যায় কিংবা সেই ডিঙি নৌকো
হিজল গাছে বাঁধা। যার কোনো মাঝি নেই, মালিক নেই, অব্যবহারে সেটি জীর্ণ হয়ে গেছে। এইসব কিছুর  দৃশ্য কবিই শুধুমাত্র হৃদয় দিয়ে অনুভব করেন আর তা লেখনীর মধ্যে দিয়ে পাঠকের মনে কাব্য ও ছন্দের সঞ্চার ঘটায়।ভাবেই কবিতায় কবি-মানসিকতার বিষন্ন এক ভাবনার পরিচয় পাওয়া যায়।


৫. নীচের শব্দগুলির ধ্বনিতাত্ত্বিক বিচার করো। পাড়াগী, দু-পহর, স্বপন, জনম, ভিজে।
উঃ। পাড়াগাঁ = পাড়াগ্রাম > পাড়াগী (নাসিক্যভবন)। শহর দুই > পর (বলোপ)।
স্বপন = স্ব> স্বপন (ভ) । = জন্ম জনম (স্বরভক্তি)। ভিজে = ভিজা > ভিডিয়া (অভিমৃতি)।
৬. নীচের শব্দগুলির ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লেখো। শচিল, নকশাপেড়ে,

উঃ। শঙ্খচিল শঙ্খ রঙের চিল (মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস)।
নকশাপেড়ে নকশা পাড় আছে যার (পরীহি সমাস)।
হীন-মাই যার (নঞর্থক বহুরীহি সমাস)।


৭. নীচের বাকাগুলিতে ক্রিয়ার কাল নির্দেশ করো।
৭.১ পাড়াগাঁর দু-পরে ভালোবাসি।
উঃ। নিতা বর্তমানকাল।
৭.২ পৌঁছে যেন গখ লেগে আছে স্বপনের। উঃ। বর্তমানকাল।
৭.৩ শাখাগুলো নুয়ে আছে বহুদিন ছন্দহীন বুনো চালতার......
 উঃ। পুরাঘটিত বর্তমানকাল।
৭.৪ ডিঙিও ভাসিছে কার জলে।
উঃ। ঘটমান বর্তমান।
৭.৫ কোনোদিন এইদিকে আসিবে না আর। উঃ। সাধারণ ভবিষ্যত।

দাঁড়াও কবিতার অনুশীলনী প্রশ্নের উত্তর দেখুন