অষ্টম শ্রেণী বাংলা আদাব" প্রশ্নের উত্তর"adab" story anushilani question answer - Online story

Wednesday 7 September 2022

অষ্টম শ্রেণী বাংলা আদাব" প্রশ্নের উত্তর"adab" story anushilani question answer

 

 

 


  "ঘুরে দাঁড়াও" হাতে কলমে অনুশীল উত্তর

   মাসি পিসি কবিতা প্রশ্নের উত্তর

আদাব
সমরেশ বসু
হাতে-কলমে
অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর

সূভা
গল্পের অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর দেখুন।
১.১ সমরেশ বসুর ছদ্মনাম কী?
 

উঃ। সমরেশ বসুর ছদ্মনাম ‘কালকূট’।


১.২ তাঁর লেখা দুটি উপন্যাসের নাম লেখো। 

 উঃ। তাঁর লেখা দুটি উপন্যাসের নাম ‘বি টি রোডের ধারে’, ‘গঙ্গা’।


২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও :

২.১ কোন্ সময়পর্বের কথা গল্পে রয়েছে?
উঃ। গল্পের বর্ণিত সময়কালটি হলো স্বাধীনতার পূর্বে ১৯৪৬-৪৭ খ্রিস্টাব্দের সময়।


২.২ ডাস্টবিনের দুই পাশে দুটি প্রাণী’—প্রাণীদুটির পরিচয় দাও।
উঃ। ডাস্টবিনের দুই পাশে দুটিমানুষের একজন সুতাকলের মজুর সে জাতিতে হিন্দু, আর একজন নৌকার মাঝি জাতিতে
মুসলমান। দুজনেই ছিল দাঙ্গাপীড়িত।


২.৩ ‘ওইটার মধ্যে কী আছে?'—বক্তা কীসের প্রতি ইঙ্গিত করে?

উঃ। মাঝির হাতে একটি জামা-কাপড়ে ভরা পুঁটলি ছিল। বক্তা সেটার প্রতি ইঙ্গিত করেছে।



২.৪ গল্পে কোন্ নদীর প্রসঙ্গ রয়েছে?
 উঃ। গল্পে বুড়িগঙ্গা নদীর প্রসঙ্গ রয়েছে।



২.৫ সুতা-মজুরের ঠোঁটের কোণে একটু হাসি ফুটে উঠল...'—তার এই হাসির কারণ কী?
উঃ। সুতা-মজুর মাঝির ঘরে ফেরার দৃশ্যের কথা ভেবে হেসেছিল। সে ভেবেছিল মাঝি ঘরে ফিরলে তার বিবি কান্নায় ভেঙে পড়ে বলবে—মরণের মুখ থেকে তুমি ফিরে এসেছ। তার ছেলেমেয়েরা নতুন আশা নিয়ে নতুন জামা পরবে।



৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় দাও :

৩.১ শহরে ১৪৪ ধারা আর কারফিউ অর্ডার জারী হয়েছে।'—লেখকের অনুসরণে গল্পঘটনার রাতের দৃশ্য বর্ণনা করো।


উঃ। ‘আদাব’ গল্পের শুরুতে দাঙ্গা কবলিত একটি রাতের ছবি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। রাত্রির নিস্তব্ধতা কে কাঁপিয়ে
মিলিটারি টহলদার গাড়ি একবার ভিক্টোরিয়া পার্কের পাশ দিয়ে পাক খেয়ে গেল। হিন্দু আর মুসলমানের মধ্যে দাঙ্গা বেঁধেছে।
লুটেরা-রা বেরিয়েছে অভিযানে। অন্যদিকে গুপ্তঘাতকের দলও শানিত অস্ত্র হাতে পথে নেমেছে। তারা চোরাগোপ্তা আঘাত
হানছে বস্তিতে বস্তিতে জ্বলছে আগুন। মৃত্যুকাতর নারী ও শিশুর চিৎকার আবহাওয়াকে বীভৎস করে তুলেছে। তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে সৈন্যবাহী গাড়ি। তারা আইন ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দিক্বিদিক্ জ্ঞানশূন্য হয়ে গুলি ছুঁড়ছে।



৩.২ “হঠাৎ ডাস্টবিনটা একটু নড়ে উঠল।”— ডাস্টবিন নড়ে ওঠা’র অব্যবহিত পরে কী দেখা গেল?
উঃ। দেখা গেল নড়ে ওঠা ডাস্টবিনের দুইপাশে দুটি মানুষ অসহায়, প্রাণভয়ে ভীত, দুচোখে সন্দেহের দোলা, তার একজন
হিন্দু—অন্যজন মুসলমান। উৎকণ্ঠায় তাদের চোখে ভয়, সন্দেহ মিলেমিশে আছে। দু'জনেই দুজনকে হত্যাকারী ভাবছে।



৩.৩ হিন্দু-মুসলমান সম্প্রীতির আবহ গল্পে কীভাবে রচিত হয়েছে তা বিশ্লেষণ করো।
উঃ। সমরেশ বসু রচিত ‘আদাব’ গল্পটি স্বাধীনতার পূর্বের দাঙ্গাবিধ্বস্ত কলকাতা শহরের এক চিত্র। ভয়ংকর দাঙ্গা,
খুন-আতঙ্ক-আর্ত চিৎকার— এইরকম পরিবেশে দুটি আতঙ্কিত প্রাণ একজন সুতা-মজুর ও অন্যজন নাওয়ের মাঝি
একটি ভেঙে পড়া ডাস্টবিনের পাশে আশ্রয় নিয়েছে। সন্দেহের দোলায় দুলতে দুলতে একসময় তারা পরস্পরের কাছাকাছি
আসে আর আতঙ্ক ভুলে একে অপরের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। নিজেদের সুখ দুঃখকে নিজেরা ভাগ করে নেয়।
দুই জাতির মানুষ একে অপরের জীবনের জন্য উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। মাঝি চলে যেতে চাইলে সুতা মজুর তাকে ধরে
রাখতে চায়। তারা কেউ দাঙ্গা চায়না মানুষ যে এত নির্মম ও নিষ্ঠুর হতে পারে, এ তাদের ধারণায় ছিল না। মাঝি ইদের
পরবে বাড়ি যেতে উদ্গ্রীব, ছেলে মেয়েরা বাবার ফেরার পথ চেয়ে বসে আছে। আটদিন ঘরের কোনো খবর নেই। দুজনে
কোনক্রমে প্রাণ বাঁচিয়ে ইসলামপুর ফাঁড়ির কাছে আসে। মাঝি সুতা-মজুরকে বলে, তুমি ফেরির ঘাটের দিকে যেওনা
ওদিকটা মুসলমান এরিয়া, এদিকে হিন্দুর বাস বেশি। রাতটা কোনক্রমে কাটিয়ে সকালে বাড়ি চলে যেও। মাঝি বিদায় নিলে
সুতা-মজুর ভগবানের কাছে করুণাভিক্ষা করে—ভগবান তুমি মাঝিকে বাঁচিয়ে দাও। সে যেন বিবি-সন্তানের কাছে পৌঁছাতে
পারে। গুলির আওয়াজ ও আর্ত চিৎকারে তার মনে ভেসে আসে রক্তে মাঝির পোলা মাইয়া ও বিবির জামা-শাড়ি রাঙা হয়ে
উঠেছে, আর মাঝি বলছে দুশমনেরা আমাদের যাইতে দিল না—তার মন ভারি হয়ে আসে। গল্পের শেষে পুলিশের গুলিতে
মাঝির মৃত্যু হয়। এভাবেই একে অপরের প্রতি বিশ্বাস, মানবিকতা ‘আদাব গল্পটিতে’ ঘটা ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার
বন্দুক নিয়ে লড়াইতে নেমে পড়ে মানুষ, মুখে
তাদের “আল্লা হো আকবর” আর বন্দে
মাতরম্' ধ্বনি। নির্বিচারে নারী-শিশু,
বৃদ্ধ-বৃদ্ধা বা তরুণ যুবক সবাই এই
সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার শিকার। তাই আইন
শৃঙ্খলা বজায় রাখতে, রাত্রির নিস্তব্ধতাকে
কাঁপিয়ে দিয়ে মিলিটারি গাড়ি টহল দিয়ে
বেড়াচ্ছে—যেটিভিক্টোরিয়া পার্কের পাশ দিয়ে
একটা পাক খেয়ে চলে যায় ।

৪.২ ডাস্টবিনের দুই পাশে দুটিপ্রাণী,
নিস্পন্দ, নিশ্চল।'


উঃ। উপরের উদ্ধৃতিটি সমরেশ বসু রচিত ‘আদাব’ গল্পের অংশ।
দেশ বিভাগের দাবিতে ১৯৪৬ সালে হিন্দু মুসলমানদের মধ্যে শুরু হয়েছে মুখোমুখি সংগ্রাম—সেই দাঙ্গা চলাকালীন
একটি রাতে বিপরীত ধর্মের ও গোষ্ঠীর দুটি মানুষ প্রাণভয়ে আশ্রয় নিয়েছে ডাস্টবিনের ধারে। দুজনে ভয়ে নিশ্চল ও নিশ্চুপ হয়ে বসে আছে। বাইরের শব্দ তাদের আতঙ্কিত করে তুলছে। ভয়ানক কিছু একটার প্রতীক্ষায় রয়েছে তারা।চরম অবিশ্বাস ও সন্দেহ নিয়ে তারা পরস্পরের অস্তিত্ব অনুভব করে। একজন হিন্দু সুতা-কলের মজুর ও অপরজন
মুসলমান মাঝি।


৪.৩ স্থান-কাল ভুলে রাগে-দুঃখে মাঝি প্রায় চেঁচিয়ে ওঠে।'

উঃ। সমরেশ বসু রচিত ‘আদাব’ গল্প থেকে উপরের অংশটি নেওয়া হয়েছে।
ভয়ংকর দাঙ্গার মুখোমুখি হয়ে মানুষ মানুষের উপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে। মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতে ডাস্টবিনের ধারে আশ্রয় নিয়েছে এক হিন্দু মজুর আর একজন মুসলমান মাঝি। কিন্তু প্রত্যেকেই নিজেদের পরিচয় দিতে ভয় পেয়েছে। কিন্তু বিড়ি ধরাতে গিয়ে দেশলাই কাঠি জ্বালতেই মাঝির মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে ‘সোহান আল্লা’—পারস্পরিক অবিশ্বাস এর বাতাবরনে দুজনের দুই জোড়া চোখ অবিশ্বাসে উত্তেজনায় আবার বড়ো বড়ো হয়ে ওঠে। তখন পরিস্থিতি
এমন ছিল যে কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারেনি। মাঝি তার মাঝেই চলে যেতে চায় আর সুতা-মজুর তাকে যেতে দিতে চায় না। মাঝিরা জেদ দেখে সুতা মজুরের মনে হয়, খুন করার জন্য সে বোধহয় দলবল ডেকে আনতে যাচ্ছে তাই স্থানকাল ভুলে মাঝি প্রায় চেঁচিয়ে উঠে প্রতিবাদ করেছে।



৪.৪ অন্ধকারের মধ্যে দু-জোড়া চোখ অবিশ্বাসে উত্তেজনায় আবার বড়ো বড়ো হয়ে উঠল।'

উঃ। সমরেশ বসু রচিত ‘আদাব’ গল্প থেকে উদ্ধৃত অংশটি নেওয়া হয়েছে। দাঙ্গার পরিবেশে শহরের গলিপথে এ
আতঙ্কতার মাঝে ডাস্টবিনের পাশে আশ্রয় নেওয়া মাঝি ও সুতা মজুর দুজনের মধ্যেই প্রবল অবিশ্বাসের সৃষ্টি হয়। তার
দুজনেই একে অপরকে খুনি ভাবে। অথচ স্পষ্ট করে কেউ কারোর পরিচয় চায় না। এই পরিস্থিতিতে সুতা-মজু মাঝিকে একটা বিড়ি দেয়। কিন্তু ভিজে দেশলাই জ্বালাবার সময় মাঝির মুখ দিয়ে ‘সোহান আল্লা’ কথাটি বেরিয়ে আসতে সুতা মজুর বুঝতে পারে মাঝি মুসলমান। সে ভূত দেখার মতো চমকে ওঠে। তার চোখে নেমে আসে অবিশ্বাসের ছায়
তাই অন্ধকারের মধ্যে সুতা-মজুরের দুজোড়া চোখ অবিশ্বাস ও উত্তেজনায় যেন বড়ো হয়ে ওঠে।


৪.৫ সুতো-মজুরের বুকের মধ্যে টনটন করে ওঠে।

উঃ। সমরেশ বসু রচিত ‘আদাব’ গল্পের অংশ এটি।দাঙ্গা হাঙ্গামাজনিত পরিস্থিতি আয়ত্বে আনতে শহরে ১৪৪ ধারা ও কারফিউ জারি হয়েছে। চারিদিকের পরিস্থি অশান্ত। এই অবস্থায় ডাস্টবিনের দুই ধারে আশ্রয় নিয়েছে ভিন্নধর্মী দুটি মানুষ। অনেক অবিশ্বাস ও সন্দেহের পথ পেরিয়ে তারা চলে আসে পাশাপাশি, কাছাকাছি। প্রথমে তাদের মনে অবিশ্বাস ও ভয় ছায়া ফেললেও পরে বুঝেছে তারা কেউ কারোর শত্রু নয়। দুজনেরই পরিবার আছে, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা তাদের রুজি রোজগার কেড়ে নিয়েছে। ধীরে ধীরে তার। একে অপরের সহমর্মী হয়ে ওঠে। তাই মাঝি যখন তার বউ ছেলেমেয়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য উতলা হয়ে উঠল তখন সুতা-মজুর তাকে যেতে দিতে না চাইলে সে বলে বলে ঘরে তার ছেলেমেয়েরা আশা করে আছে। কাল ঈদের দিনে তারা বাপজানের কোলে চড়বে। তার এই কথা শুনে দুঃখে সুতা-মজুরের বুকও ব্যাথায় টন টন করে উঠেছিল।


৪.৬ ভুলুম না ভাই এই রাত্রের কথা।'
উঃ। এই অংশটি সমরেশ বসু রচিত ‘আদাব’ গল্পের অংশ।
দাঙ্গাবিদ্ধস্ত শহরের পথে একটি ভাঙা ডাস্টবিনের দুই পাশে আশ্রয় নিয়েছে মাঝি এবং সুতা-মজুর। শহরের পথে তখন
কারফিউ চলেছে মিলিটারি টহলদারি গাড়ির পাহারা দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে। অনেক সন্দেহ ও অবিশ্বাসের পথ পেরিয়ে
এই দুই ভিন্ন ধর্মী মানুষ কাছাকাছি আসে। কেউ কাউকে ছাড়তে চায় না। কিন্তু বাড়ি ফেরার জন্য মাঝি বড়োই উতলা। ইদের
পরবে স্ত্রী-পুত্রের কাছে পৌঁছানো বড়ো জরুরি। মাঝি আট দিন ঘর ছাড়া। বাদামতলিতে তার নাও কেউ ডুবিয়ে দিয়েছে। বাড়ির খবরও তার কিছুই জানা নেই। কিন্তু ১৪৪ ধারা ও কারফিউর মধ্যে যে সাংঘাতিক সময় ও পরিস্থিতির ভয়াবহতা দেখা যায়
পরবর্তীক্ষেত্রে কিন্তু তাদের মধ্যে এক বিপরীত স্রোত জেগে ওঠে। একে অপরের প্রতি সহানুভূতির ও ভালোবাসার জন্ম হয়।
যাবার আগে মাঝি সুতা-মজুরকে বিদায় সম্ভাষণ জানিয়ে বলে ‘আদাব’। সুতা মজুরের সঙ্গে যে সময় সে কাটিয়েছে তা সে
কোনদিনও ভুলবে না বলে মাঝি জানায়।


৫. নীচের বাক্যগুলি থেকে অব্যয় পদ খুঁজে নিয়ে কোনটি কোন শ্রেণির অব্যয় তা নির্দেশ করো :
৫.১ শহরে ১৪৪ ধারা আর কারফিউ অর্ডার জারি হয়েছে।
 উঃ। আর (সংযোজক অব্যয়)।


৫.২ তারা গুলি ছুঁড়ছে দিগ্‌বিদিক্ জ্ঞানশূন্য হয়ে আইন ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে।

 উঃ। ও (সংযোজক অব্যয়)।


৫.৩ উভয়েই একটা আক্রমণের প্রতীক্ষা করতে থাকে, কিন্তু খানিকক্ষণ অপেক্ষা করেও কোনো পক্ষ থেকেই আক্রমণ এল না।

উঃ। কিন্তু (সংযোজক অব্যয়)।


৫.৪ তোমার মতলবড়া তো ভালো মনে হইতেছে না।
উঃ। তো (আলংকারিক অব্যয়)।


৫.৫ মাঝি এমনভাবে কথা বলে যেন সে তার কোনো আত্মীয়বন্ধুর সঙ্গে কথা বলছে।
উঃ। যেন (সমুচ্চয়ী অব্যয়)।


নীচের বাক্যগুলি থেকে সন্ধিবদ্ধপদ খুঁজে নিয়ে তাদের সন্ধিবিচ্ছেদ করো ঃ
৬.১ তাছাড়া চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়েছে গুপ্তঘাতকের দল।
উঃ। চতুর্দিকে = চতুঃ + দিকে।


৬.২ মৃত্যু-বিভীষিকাময় এই অন্ধকার রাত্রি তাদের উল্লাসকে তীব্রতর করে তুলেছে।

উঃ। উল্লাস = উৎ + লাস।

৬.৩ নির্জীবের মতো পড়ে রইল খানিকক্ষণ। 

উঃ। নির্জীবের = নিঃ + জীবের।

৬.৪ দাঁতে দাঁত চেপে হাত-পা গুলোকে কঠিন করে লোকটা প্রতীক্ষা করে রইল ভীষণ একটা কিছুর জন্য।
উঃ। প্রতীক্ষা = প্রতি + ঈক্ষা । >


৬.৫ সমস্ত অঞ্চলটার নৈশ নিস্তব্ধতাকে কাঁপিয়ে দুবার গর্জে উঠল অফিসারের আগ্নেয়াস্ত্ৰ ৷

উঃ। আগ্নেয়াস্ত্র = আগ্নেয় + অস্ত্র।

৭. ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লেখো :
চোরাগোপ্তা, পথনির্দেশ, নির্জীব, দীর্ঘশ্বাস, পোলামাইয়া ।

উঃ। চোরাগোপ্তা—যা চোরা তাই গোপ্তা—(কর্মধারয় সমাস)
নির্জীব—নয় জীব- (নঞ তৎপুরুষ সমাস)

পোলামাইয়া—পোলা ও মাইয়া - (দ্বন্দ্ব সমাস)

পথনির্দেশ—পথের নির্দেশ—(সম্বন্ধ তৎপুরুষ)

দীর্ঘশ্বাস—দীর্ঘ যে নিশ্বাস – (কর্মধারয় সমাস)

৮. নিম্নরেখাঙ্কিত অংশের কারক-বিভক্তি নির্দেশ করো :
উঃ। ৮.১ দুদিক থেকে দুটো গলি এসে মিশেছে এ জায়গায়৷
উঃ। অধিকরণে ‘য়’ বিভক্তি ।

৮.২ সন্দেহের দোলায় তাদের মন দুলছে।

উঃ। সম্বন্ধে পদে ‘এর’ বিভক্তি।;


৮.৩ নিষ্ফল ক্রোধে মাঝি দু-হাত দিয়ে হাঁটু দুটোকে জড়িয়ে ধরে।
উঃ।

করণকারকে ‘এ’ বিভক্তি।

৮.৪ আমাগো কথা ভাবে কেডা?
উঃ। আমাগো—নিমিত্ত কারকে ‘গো’
বিভক্তি।
কেডা কর্তৃকারকের শূন্য বিভক্তি


৮.৫ মুহূর্তগুলি কাটে রুদ্ধ নিশ্বাসে।

উঃ। করণকারকে ‘এ’ বিভক্তি


৯. নীচের শব্দগুলিতে ধ্বনি পরিবর্তনের কোন্ কোন্ নিয়ম কাজ করেছে লেখো :
হেইপারে, নারাইনগঞ্জ, ডাইকা, আঙুল, চান্দ।

উঃ। সেইপারে > হেই পারে।
 (বঙ্গালী উপভাষার ধ্বনিবিকার)

নারায়ণগঞ্জ > নারাইনগঞ্জ। (মধ্যস্বরলোপ)

ডাকিয়া > ডাইকা। (অপিনিহিতি)

আঙ্গুল > আঙুল। (মধ্যব্যাঞ্জনলোপ)

চন্দ্ৰ > চাঁন্দ। (অভিশ্রুতি)

১০. নির্দেশ অনুযায়ী বাক্য পরিবর্তন করো :

১০.১ রাত্রির নিস্তব্ধতাকে কাঁপিয়ে দিয়ে মিলিটারি টহলদার গাড়িটা একবার ভিক্টোরিয়া পার্কের পাশ দিয়ে একটা পাক খেয়ে গেল। (জটিল বাক্যে)।

উঃ। রাত্রির নিস্তব্ধতাকে কাঁপিয়ে দিয়ে মিলিটারি টহলদার গাড়িটা যেদিকে একবার পাক খেয়ে গেল সেদিকে ভিক্টোরিয়া পার্কের পাশ।

১০.২ খানিকক্ষণ চুপচাপ। (না-সূচক বাক্যে) 

 উঃ। খানিকক্ষণ শব্দ নেই।

১০.৩ পরিচয়কে স্বীকার করতে উভয়েই নারাজ। (প্রশ্নবোধক বাক্যে)
উঃ-পরিচয় স্বীকার করতে উভয়ই কি রাজি নয়?
১০.৪ শোরগোলটা মিলিয়ে গেল দূরে। (যৌগিক বাক্যে)
উঃ। শোরগোলটা উঠল এবং মিলিয়ে গেল দূরে।

১০.৫ মাঝি বলল, চল যেদিক হউক। (পরোক্ষ উক্তিতে)

উঃ। মাঝি তাকে যেদিকে খুশি যেতে বলল।

১১. ক্রিয়ার কাল নির্দেশ করো :

১১.১ কান পেতে রইল দূরের অপরিস্ফুট কলরবের দিকে।

উঃ-বর্তমান

১১.২ সন্দেহের দোলায় তাদের মন দুলছে।
উঃ-ঘটমান বর্তমান
১১.৩ ধারে-কাছেই য্যান লাগছে।
উঃ--ঘটমান বর্তমান





১১.৪ অশান্ত চঞ্চল ঘোড়া কেবলি পা ঠুকছে মাটিতে।
উঃ। পুরাঘটিত বর্তমান।

১১.৫ বাদামতলির ঘাটে কোন অতলে ডুবাইয়া দিছে তারে—।

১২. নীচের শব্দগুলির শ্রেণিবিভাগ করো : মজুর, রাত্রি, পুলিশ, লিগওয়ালো, নসিব।
উঃ। মজুর—বিদেশি (ফারসি শব্দ)।

 রাত্রি—(তৎসম শব্দ)।

পুলিশ–বিদেশি (ইংরাজি শব্দ)।

লিগওয়ালো—লিগ ইংরেজি শব্দ।
এর সাথে ‘ওয়ালা’ প্রত্যয় যোগ হয়েছে

নসিব—বিদেশি (আরবি শব্দ)।

অন্য গুলি দেখুন

বোঝাপড়া

অদ্ভুত আতিথেয়তা

চন্দ্রগুপ্ত

বনভোজনের ব‍্যাপার

সবুজ জামা

চিঠি

আলাপ

পরবাসী

পথচলতি

একটি চড়ুই পাখি

দাঁড়াও

অন্য টা দেখুন দাঁড়াও

পল্লীসমাজ

ছন্নছাড়া

গাছের কথা

হাওয়ায় গান

কি করে বুঝবো

পাড়াগাঁর দু-পহর ভালোবাসি

নাটোরের কথা

অন‍্যটা দেখুন নাটোরের কথা

গড়াই নদীর তীরে

জেলখানায় চিঠি

স্বাধীনতা

আদাব

অন্যটা দেখুন আদাব

শিকল পরার গান

হরিচরণ বন্দোপাধ্যায়

ঘুরে দাঁড়াও

সুভা

পরাজয়

মাসিপিসি

টিকিটের অ্যালবাম

লোকটা জানলই না



পথের পাঁচালী (১)

পথের পাঁচালী(২)

পথের পাঁচালী(৩)

পথের পাঁচালী বইয়ের অনুশীলন প্রশ্ন উত্তর

ভাষাচর্চা (১)

ভাষা চর্চা (২)