একটি ভ্রমণ কাহিনী একটি ভ্রমণ কাহিনী রচনা দীঘা ভ্রমণ/bengali paragraph digha bhraman - Online story

Saturday 17 September 2022

একটি ভ্রমণ কাহিনী একটি ভ্রমণ কাহিনী রচনা দীঘা ভ্রমণ/bengali paragraph digha bhraman

 


 

 

 রচনা-

 

 একটি ভ্রমণ কাহিনি

 দীঘা ভ্রমণ

ভূমিকা - দীঘা একটি পর্যটন কেন্দ্র এটি বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত ।

গুরুত্ব -দিঘা একটি বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্রের মধ্যে একটি। এখানে বহু মানুষ ছুটি পেলে সময় কাটাতে আসে। সমুদ্র দেখতে আসে এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশে কিছুদিন সময় কাটায়। এখানে অনেক নামি দামি হোটেল আছে । অনেক পর্যটকরা এসে হোটেলে থাকে। তাদের হোটেল থেকে আয় করে জীবিকা সংগ্রহ করে। এছাড়া অনেক ছোট ছোট বোট, লঞ্চ ,স্টিমার দেখা যায়। ভারতবর্ষের বহু মানুষ এখানে বসবাস করে।


ভ্রমণের কারণ -অন্য সকলের মতো আমিও বেড়াতে ভীষণ ভালোবাসি। দীঘা সমুদ্র দেখার আমার খুব ইচ্ছা ছিল ।

সময়কাল- গত সরস্বতী পূজার ছুটিতে আমার মা, বাবা, দিদি আর আমি দীঘা বেড়াতে গিয়েছিলাম ।

যাত্রাপথ- হাওড়া থেকে কালকা মেলে চেপে দিল্লি বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেই প্রথমবার আমি দূরপাল্লার ট্রেনে চেপে যেতে মনে দারুণ আনন্দ হচ্ছিল । বৈকাল পাঁচটায় ট্রেনে কেঁপে সারা রাত ট্রেনে কাটিয়ে ভোর তিনটি দীঘা পেছনে পৌঁছোল। নিউ দীঘা স্টেশনে। ঝকঝকে একটা সুন্দর টেশন দেখলাম সেখান থেকে আমরা একটি অটো নিয়ে নিয়ে
একটা হোটেলে পৌঁছালাম।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য- খুব সুন্দর এই হোটেল ।অনেক ছোট ছোট ঘর। হোটেলের দু-তলা ঘরে আমাদের জায়গা হল। দু-তলা ঘরে জানালা ঘড়ির জানলা খুলতেই ভেসে এলো সুন্দর ঠান্ডা এক মিষ্টি বাতাস । ভোরের আবঝা আলোয়  সমুদ্র দেখতে পেয়ে মন আনন্দে ভরে গেল। বেরিয়ে পড়লাম হোটেল থেকে সূর্য উদয় দেখতে। অদ্ভুত এক দৃশ্য দেখলাম। প্রথমে মনে হলো সূর্য সমুদ্রের জল থেকে উঠছে । আমার সামনে পেছনে দুদিকে দু'রকম জলের রং।  সূর্যটা যেন খুব তাড়াতাড়ি উঠে পড়ল। এরপর সকলের সঙ্গে হোটেলে ফিরে এলাম । জলে প্রথমে নিচে দেখলাম তারপরে অনেক হোটেলে কিছু খাবার খেয়ে নিয়ে, ঠিক নটার সময় সমুদ্রে ধরে এসে পৌঁছলাম অদ্ভুত দৃশ্য ।জল আর জল । কেউ কেউ কখনো সমুদ্রের স্নান করছে। জলের ওপরে কিছু কিছু বোট স্টিমাকে দেখতে পেলাম। বাবা মায়ের হাত ধরে আস্তে আস্তে সমুদ্রে জ্বলে স্নান করতে নামলাম। ঘনঘন ঢেউ এসে আমাদের স্নান করিয়ে দিতে লাগলো । আনন্দে হই হুল্লোড় করতে করতে স্নান করলাম। সারা রাত টেনে আস্তে আস্তে খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম কিছু খবর খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম বিকাল বেলায় উঠে আবার সমুদ্রের ধারে উপস্থিত হলাম। সুন্দর এক মনোরম পরিবেশ। সূর্য পশ্চিম দিকে হেলে পড়েছে এবার অস্ত যাবে সূর্য অস্ত দেখব সকলে বসে আছি সমুদ্রের ধারাবার ভিড়ে ভরে গেছে একটু পরেই সূর্য হাসতে হাসতে সমুদ্রের জলে মিশে গেল শুধু কানে ভেসে আসতে লাগলো সমুদ্রের ঢেউয়ের শব্দ। বিকালে সমুদ্রে ঢেউ উত্তাল হয়। সমুদ্রের তীরগুলি এখন উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা । যাতে স্থানীয় মানুষের বা পর্যটক যে কোন ক্ষতি না হয় । অচেনা পরিবেশ তার ওপর সন্ধানে যাবার জন্য বেশিক্ষণ সমুদ্রের ধারে থাকলাম না ।আবার হোটেলে পথে ফিরলাম। জানলা খুলে শুয়ে কুয়াশা ঢাকা সমুদ্র দেখতে দেখতে আর সমুদ্রে গর্জন শুনতে শুনতে কোন এক সময় ঘুমিয়ে পড়লাম। সকালে উঠে হাত মুখ ধুয়ে কিছু খাবার খেয়ে নিসপত্র গুছিয়ে নিয়ে আবার  দীঘা টেশনে এসে ট্রেন ধরে ,হাওড়ায় এসে নামলাম। সেখান থেকে বাসে করে নিজের গ্রামের প্রতি ফিরে এলাল।

উপসংহার- এখনো শুধু সেই স্মৃতিচিহ্নটা মনে পড়ে। মনে হয় আবার যাবো সমুদ্র কে দেখতে। পছন্দ কর স্বাস্থ্য পরিবেশের সঙ্গে আবার মিশতে পারবো।



ভ্রমণ বিষয়ক রচনা
একটি ভ্রমণ কাহিনি পুরী ভ্রমণ

ভূমিকা - পুরী একটি তীর্থস্থান সহ একটি পর্যটন কেন্দ্র ।উড়িষ্যা রাজ্যে এই পুরীর অবস্থান। এখানে জগন্নাথ দেবের মন্দির আছে ।এটি বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত ।

গুরুত্ব-পুরীতে অনেক মন্দির আছে। তার মধ্যে রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন প্রতিষ্ঠিত জগন্নাথ
মন্দির । মন্দিরের ভিতরে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার বিগ্রহ। এই মন্দিরের সঙ্গে চৈতন্যদেবের স্মৃতি জড়িয়ে আছে। এছাড়াও গম্ভীরা, গুণ্ডীচা মন্দিরও । এছাড়াও সমুদ্রের উত্তল ঢেউ এখানে দর্শনার্থীদের খুব প্রিয় স্থান।  বহু মানুষ ছুটি পেলে সময় কাটাতে আসে সমুদ্র দেখতে আসে । এখানে অনেক নামি দামি হোটেল আছে । অনেক পর্যটকরা এসেই হোটেলে থাকে । তাদের হোটেল থেকে আয় করে জীবিকা সংগ্রহ করে।  অনেক পান্ডা দেখা যায়। যারা দর্শনার্থীদের ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সমস্ত মন্দির দর্শন করায় ।এবং কিছু অর্থ আয় করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে।


ভ্রমণের কারণ -অন্য সকলের মতো আমিও বেড়াতে ভীষণ ভালোবাসি। পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দির এ সমুদ্র দেখার আমার খুব ইচ্ছা ছিল ।

সময়কাল- বার্ষিক পরীক্ষা শেষে আমার মা, বাবা, দিদি আর আমি পুরী বেড়াতে গিয়েছিলাম ।

যাত্রাপথ- বাড়ি থেকে প্রথমে বাসে করে হাওড়া স্টেশনে ছিলাম। রাত্রি ন'টায় সময় হাওড়া থেকে কালকা মেলে চেপে পুরীর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলাম ।সেই প্রথমবার আমি দূরপাল্লার ট্রেনে চেপে যেতে মনে দারুণ আনন্দ হচ্ছিল।  সারা রাত ট্রেনে কাটিয়ে ভোর তিনটে পুরী স্টেশনে পৌঁছোল। ঝকঝকে একটা সুন্দর স্টেশন দেখলাম। সেখান থেকে আমরা একটি অটো নিয়ে নিয়ে একটা হোটেলে পৌঁছালাম।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য- খুব সুন্দর এই হোটেল ।অনেক ছোট ছোট ঘর। হোটেলের দু-তলা ঘরে আমাদের জায়গা হল। দু-তলা ঘরে জানালা ঘড়ির জানলা খুলতেই ভেসে এলো সুন্দর ঠান্ডা এক মিষ্টি বাতাস । ভোরের আবঝা আলোয়  সমুদ্র দেখতে পেয়ে মন আনন্দে ভরে গেল। বেরিয়ে পড়লাম হোটেল থেকে সূর্য উদয় দেখতে। অদ্ভুত এক দৃশ্য দেখলাম। প্রথমে মনে হলো সূর্য সমুদ্রের জল থেকে উঠছে । আমার সামনে পেছনে দুদিকে দু'রকম জলের রং।  সূর্যটা যেন খুব তাড়াতাড়ি উঠে পড়ল। এরপর সকলের সঙ্গে হোটেলে ফিরে এলাম । জলে প্রথমে নিচে দেখলাম তারপরে অনেক হোটেলে কিছু খাবার খেয়ে নিয়ে, ঠিক নটার সময় সমুদ্রে ধরে এসে পৌঁছলাম অদ্ভুত দৃশ্য ।জল আর জল । কেউ কেউ কখনো সমুদ্রের স্নান করছে। জলের ওপরে কিছু কিছু বোট স্টিমাকে দেখতে পেলাম। বাবা মায়ের হাত ধরে আস্তে আস্তে সমুদ্রে জ্বলে স্নান করতে নামলাম। ঘনঘন ঢেউ এসে আমাদের স্নান করিয়ে দিতে লাগলো । আনন্দে হই হুল্লোড় করতে করতে স্নান করলাম। তারপর মা বাবার সাথে বিভিন্ন মন্দিরে ঘুরে ঘুরে পুজো দিলাম অনেক পান্ডাদের সঙ্গে দেখা হলো। মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রসাদ খেয়ে হোটেলের পথে রওনা দিলাম ।সারা রাত টেনে আস্তে আস্তে খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম কিছু খবর খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম বিকাল বেলায় উঠে আবার সমুদ্রের ধারে উপস্থিত হলাম। সুন্দর এক মনোরম পরিবেশ। সূর্য পশ্চিম দিকে হেলে পড়েছে এবার অস্ত যাবে সূর্য অস্ত দেখব সকলে বসে আছি । সমুদ্রের ধারাবার ভিড়ে ভরে গেছে ।একটু পরেই সূর্য আস্তে আস্তে সমুদ্রের জলে মিশে গেল। শুধু কানে ভেসে আসতে লাগলো সমুদ্রের ঢেউয়ের শব্দ। বিকালে সমুদ্রে ঢেউ উত্তাল হয়। সমুদ্রের তীরগুলি এখন উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা । যাতে স্থানীয় মানুষের বা পর্যটক যে কোন ক্ষতি না হয় । অচেনা পরিবেশ তার ওপর সন্ধানে যাবার জন্য বেশিক্ষণ সমুদ্রের ধারে থাকলাম না । আবার হোটেলে পথে ফিরলাম। জানলা খুলে শুয়ে কুয়াশা ঢাকা সমুদ্র দেখতে দেখতে আর সমুদ্রে গর্জন শুনতে শুনতে কোন এক সময় ঘুমিয়ে পড়লাম। সকালে উঠে হাত মুখ ধুয়ে কিছু খাবার খেয়ে জিনিস পত্র গুছিয়ে নিয়ে আবার  টোটো করে আবার পুরী টেশনে এসে ট্রেন ধরে ,হাওড়ায় এসে নামলাম। সেখান থেকে বাসে করে নিজের গ্রামের প্রতি ফিরে এলাম।

উপসংহার- পুরীর সমুদ্রের ঢেউ অনেক বড় আজও আমি ভুলতে পারিনি । এখনো শুধু সেই স্মৃতিচিহ্নটা মনে পড়ে। মনে হয় আবার যাবো সমুদ্র কে দেখতে। পছন্দ কর স্বাস্থ্য পরিবেশের সঙ্গে আবার মিশতে পারবো।




রচনা লিষ্ট নীচে রচনা গুলি দেখুন





পত্ররচনা বাবা কে