অষ্টম শ্রেণি বাংলা ভাষা চর্চা (৬ অধ্যায়) সমাস /class 8 bhasha charcha 6 chapter samas - Online story

Tuesday 27 September 2022

অষ্টম শ্রেণি বাংলা ভাষা চর্চা (৬ অধ্যায়) সমাস /class 8 bhasha charcha 6 chapter samas

 


 

অধ্যায় ভাষা চর্চা উত্তর দেখুন
৩ অধ্যায় ভাষা চর্চার উত্তর দেখুন
অষ্টম শ্রেণি
বাংলা ভাষা চর্চা
৬ অধ্যায়
সমাস


অষ্টম শ্রেণী বাংলা ভাষা চর্চা ছয় অধ্যায় সমাস হাতে কলমে প্রশ্নের উত্তর
১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :


১.১ অর্থের দিক থেকে সম্বন্ধযুক্ত দুই বা তার বেশি পদকে অথবা একটি উপসর্গ ও একটি পদকে একপদে পরিণত করার নাম
(ক) সন্ধি (খ) কারক (গ) সমাস (ঘ) বাচ্য।
উঃ-(গ) সমাস


১.২ যেসব পদের সমাস হয় তাদের প্রত্যেকটিকে বলা হয়
(ক) সমস্তপদ (খ) সমস্যমানপদ (গ) নামপদ (ঘ) উত্তরপদ
উঃ-(খ) সমস্যমানপদ



১.৩ সন্ধির দ্বারা গঠিত সমাসবদ্ধপদের একটি উদাহরণ হলো
(ক) ছাতামাথায়
 (খ) খেচর
(গ) গ্রামান্তর
(ঘ) শীতোষ্ণ
উঃ-শীতোষ্ণ



১.৪ প্রতিটি সমস্যমানপদের অর্থ যে সমাসে প্রধানভাবে বোঝায় তাকে বলা হয়
(ক) দ্বিগুসমাস
(খ) দ্বন্দ্বসমাস
 (গ) কর্মধারয় সমাস
(ঘ) তৎপুরুষ সমাস।
উঃ-খ) দ্বন্দ্বসমাস


১.৫ যে সমাসের ব্যাসবাক্যে পূর্বপদের সঙ্গে কারক বা অ-কারক বিভক্তি বা বিভক্তিসহ অনুসর্গ থাকে, কিন্তু সমাসবদ্ধপদে সেই বিভক্তি বা অনুসর্গ লোপ পায় এবং পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায়, তাকে বলা হয়-
(ক) কর্মধারয় সমাস
 (খ) তৎপুরুষ সমাস
(গ) বহুব্রীহি সমাস
 (ঘ) বাক্যাশ্রয়ী সমাস।
উঃ-খ) তৎপুরুষ সমাস



১.৬ ‘শূন্য’ বিভক্তিযুক্ত দুটি বিশেষ্য বা দুটি বিশেষণপদ দিয়ে অথবা ‘শূন্য’ বিভক্তিযুক্ত একটি বিশেষ্যপদ ও একটি বিশেষণপদের সহযোগে যে সমাসের সমস্তপদ তৈরি হয় এবং পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায়, তাকে বলা হয় -

(ক) কর্মধারয় সমাস
 (খ) অলোপ সমাস
(গ) বহুব্রীহি সমাস
(ঘ) দ্বন্দ্ব সমাস
উঃ-(ক) কর্মধারয় সমাস



১.৭ দ্বিগু সমাসে পূর্বপদটি
(ক) একটি বাক্যাংশ, যা বিশেষ্য বা বিশেষণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
(খ) সংখ্যা বিশেষণ
(গ) সাধারণ বিশেষ্য
(ঘ) অব্যয়।
উঃ-গ) সাধারণ বিশেষ্য



১.৮ দ্বি (দুই) গো (গোরু)-এর বিনিময়ে ক্রীত – এটি হলো
(ক) সমাহার দ্বিগুর উদাহরণ
(খ) তদ্ধিতার্থক দ্বিগুর উদাহরণ
(গ) অব্যয়ীভাব সমাসের উদাহরণ
(ঘ) নিত্য সমাসের উদাহরণ
উঃ-(খ) তদ্ধিতার্থক দ্বিগুর উদাহরণ



১.৯ নিত্য সমাসে
(ক) সমস্যমানপদগুলি সমাসবদ্ধ হওয়ার পরেও পূর্বপদের বিভক্তির লোপ হয় না।
(খ) ব্যাসবাক্য হয় না কিংবা ব্যাসবাক্য করতে হলে সমার্থক অন্য পদের প্রয়োজন হয়।
(গ) একটি বাক্যাংশকে বিশেষ্য বা বিশেষণ হিসেবে প্রয়োগ করা হয়।।
ঘ) পূর্বপদ ও পরপদ যথাক্রমে বিশেষণ ও বিশেষ্য হয় এবং উভয় পদে একই বিভক্তি (শূন্য বিভক্তি) থাকে।
উঃ-(ক) সমস্যমানপদগুলি সমাসবদ্ধ হওয়ার পরেও পূর্বপদের বিভক্তির লোপ হয় না।



১.১০ রোদে যা পোড়া > রোদেপোড়া।— এটি হলো
-
(ক) অলোপ তৎপুরুষের উদাহরণ
(খ) অলোপ দ্বন্দ্বের উদাহরণ
(গ) অলোপ বহুব্রীহির উদাহরণ
(ঘ) অলোপ উপপদ তৎপুরুষের উদাহরণ
উঃ-(ঘ) অলোপ উপপদ তৎপুরুষের উদাহরণ





.




২.নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
২.১ সন্ধি ও সমাসের একটি পার্থক্য লেখো।
উঃ। সন্ধিতে সন্নিহিত ধ্বনিসমূহের মিলন ঘটে। সমাসে অর্থসম্বন্ধযুক্ত একাধিক পদের একপদে পরিণতি ঘটে।


২.২ ভাষার কোন্ প্রক্রিয়াকে ব্যাকরণে ‘সমাস' বলা হয় ?
উঃ। অর্থসম্বন্ধযুক্ত দুই বা দুইয়ের বেশি পদের মিলিত হওয়ার প্রক্রিয়াকে ব্যাকরণে ‘সমাস’ বলা হয়।


২.৩ 'সমাস' শব্দটির সাধারণ অর্থ লেখো।
উঃ। ‘সমাস' শব্দটির সাধারণ অর্থ সংক্ষিপ্ত করা।

২.৪ নীচের প্রতিক্ষেত্রে সংজ্ঞা নির্দেশ করো :
২.৪.১ সমস্ত পদ,
২.৪.২ সমস্যমান পদ
২.৪.৩ ব্যাসবাক্য
 ২.৪.৪ পূর্ব পদ
 ২.৪.৫ উত্তর পদ
উঃ। সমস্ত পদ

২.৫ ঃ সমাস করে যে নতুন পদটি হয়, তাকে বলে সমস্ত পদ।

সমস্যমান পদ : যে কটি পদ মিলে সমাস হয় তার প্রতিটিকে বলা হয় সমস্যমান পদ।

ব্যাসবাক্য ঃ যে বাক্য বা বাক্যাংশ দিয়ে সমস্যমান পদগুলোর অর্থ ব্যাখ্যা করা হয় তাকে বলে ব্যাসবাক্য বা বিগ্রহবাক্য।

পূর্বপদ : সমস্যমান পদগুলোর প্রথমটির নাম পূর্বপদ।

উত্তর পদ : সমস্যমান পদগুলোর শেষেরটির বা পরের পদটির নাম পরপদ বা উত্তরপদ।


২.৫. ‘দ্বিগু’ শব্দটির আক্ষরিক অর্থ কী?
উত্তর» ‘দ্বিগু’ শব্দের আক্ষরিক অর্থ দ্বি (দুই) গো (গোরু)-এর বিনিময়ে ক্রীত।

২.৬ উপমিত কর্মধারয় এবং উপমান কর্মধারয় সমাসের একটি পার্থক্য লেখো।
উঃ। উপমিত কর্মধারয় সমাসে পূর্বপদে উপমেয় অর্থাৎ যার সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে ও উত্তর পদে উপমান থাকে। সাধারণ ধর্মের উল্লেখ থাকে না। এখানে পূর্বপদ ও উত্তরপদ দুটিই বিশেষ্য হয়। উপমান কর্মধারয় সমাসে পূর্বপদ উপমান ও উত্তরপদে সাধারণ ধর্ম থাকে। এর পূর্বপদটি বিশেষ্য ও উত্তরপদটি
বিশেষণ হয়ে থাকে।


২.৭ রূপক কর্মধারয় সমাস বলতে কী বোঝ?
উঃ। যে কর্মধারয় সমাসে পূর্বপদে উপমেয় এবং উত্তরপদে উপমান এবং এদের মধ্যে অভেদ বা অভিন্নতা কল্পনা করা
হয়, তাকে রূপক কর্মধারয় সমাস বলে।


২.৮ বাক্যাশ্রয়ী ও একশেষ দ্বন্দ্ব সমাসের পার্থক্য কোথায়?
উত্তর-বাক্যাশ্রয়ী সমাসে অধিকাংশ সমস্তপদ এবং পূর্ণ বাক্যটাই সমস্তপদে অবস্থান করে। অপরপক্ষে একশেষ দ্বন্দ্ব
সমাসে সমস্তপদগুলির বহুবচনান্ত একটি পদ ছাড়া বাকি সব পদ লুপ্ত হয়‌।
যেমন : তুমি ও সে = তোমরা।

২.৯. একটি উদাহরণের সাহায্যে নিত্য সমাসের বিষয়টি বুঝিয়ে দাও।
উঃ। নিত্য সমাসে সমস্যমান পদগুলি সর্বদাই সমাসবদ্ধ থাকে তাই এর কোনো ব্যাসবাক্য থাকে না। এই সমাসে ব‍্যাসবাক্য তৈরি করতে হলে অন্য পদের প্রয়োজন হয়। যেমন : অন্য দেশ =দেশাত্তর,

২.১০. সংখ্যা বহুব্রীহি ও দ্বিগু সমাসের পার্থক্য কী?
উত্তর -সংখ্যা বহুব্রীহি সমাসে পূর্বপদ সংখ্যাবাচক বিশেষণ এবং উত্তরপদ বিশেষ্য হলেও এই সমাসে তৃতীয় একটি অর্থের প্রাধান্য পায়। অপরদিকে দ্বিগু সমাসে পূর্বপদ সংখ্যাবাচক বিশেষণ এবং উত্তরপদ বিশেষ্য থাকলেও সমাসবদ্ধ পদ কোনো কিছুর সমাহার বোঝায়।





৩. উদাহরণ দাও :
উঃ।
সমাসের নাম-     ব্যাসবাক্য
বিশেষ্যপদের সঙ্গে- জন্ম ও মৃত্যু
বিশেষ্য পদের দ্বন্দ্ব-  জন্ম ও মৃত্যু
একশেষ দ্বন্দ্ব-  তুমি ও সে  
অপাদান তৎপুরুষ - দুগ্ধ থেকে জাত
উপসর্গ তৎপুরুষ– নদীর সাদৃশ
না বহুব্রীহি- নেই লোভ যার
সংখ্যা বহুব্রীহি–  চতুঃ মুখ যার
সমাহার দ্বিগু - পঞ্ঞ নদের সমাহার
রূপক কর্মধারয়-  প্রাণ রূপ পাখি
বাক্যাশ্রয়ী সমাস- যে দেশে সব পাওয়া যায়
অলোপ বহুব্রীহি-হাতে খড়ি দেওয়া হয় যে       
                         অনুষ্ঠানে



সমস্ত পদ
জন্মমৃত্যু
তোমরা
দুগ্ধজাত
উপনদী
নির্লোভ
চতুর্মুখ
পঞ্চনদ
প্রাণপাখি
সব পেয়েছির দেশ
হাতেখড়ি

তিন অধ্যায় ভাষা চর্চের উত্তর দেখুন