অষ্টম শ্রেণী ষষ্ঠ অধ্যায় সমাস হাতে-কলমে অনুশীলনী প্রশ্নের উত্তর/ class 8 bhasha charcha 6 chapter - Online story

Saturday 3 September 2022

অষ্টম শ্রেণী ষষ্ঠ অধ্যায় সমাস হাতে-কলমে অনুশীলনী প্রশ্নের উত্তর/ class 8 bhasha charcha 6 chapter

 


 

 

  ৭ অধ্যায়ের প্রশ্নের উত্তর দেখুন

  ছয় অধ্যায়ের প্রশ্নের উত্তর দেখুন

 ভাষা চর্চা অষ্টম শ্রেণী
হাতে কলমে : অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর

১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :

১.১ অর্থের দিক থেকে সম্বন্ধযুক্ত দুই বা তার বেশি পদকে অথবা একটি উপসর্গ ও একটি পদকে একপাড়ে পরিণত করার নাম—
(ক) সন্ধি
(খ) কারক
 (গ) সমাস
 (ঘ) বাচ্য

উঃ। (ক) সন্ধি।

১.২ যেসব পদের সমাস হয় তাদের প্রত্যেকটিকে বলা হয়—
(ক) সমস্ত পদ
(খ) সমস্যমান পদ
(গ) নামপদ
(ঘ) উত্তর পদ

উঃ। (খ) সমস্যমান পদ।


১.৩ সন্ধির দ্বারা গঠিত সমাসবদ্ধ পদের একটি উদাহরণ হলো—
(ক) ছাতামাথায়
 (খ) খেচর
 (গ) গ্রামান্তর
(ঘ) শীতোয়

উঃ। (ঘ) শীতোয়।


১.৪ প্রতিটি সমস্যমান পদের অর্থ যে সমাস প্রধানভাবে বোঝায় তাকে বলা হয়—
(ক) দ্বিগু সমাস
 (খ) দ্বন্দ্ব সমাস
*(গ) কর্মধারয় সমাস
 (ঘ) তৎপুরুষ সমাস

উঃ। (খ) দ্বন্দ্ব সমাস।

১.৫ যে সমাসের ব্যাসবাক্যে পূর্বপদের সঙ্গে কারক বা অ-কারক বিভক্তি বা বিভক্তিসহ অনুসর্গ থাকে, কিন্তু সমাসবদ্ধ পদে সেই বিভক্তি বা অনুসর্গ লোপ পায় এবং পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায় তাকে বলা হয়—
(ক) কর্মধারয়সমাস
 (খ) তৎপুরুষ সমাস
 (গ) বহুব্রীহি সমাস
(ঘ) বাক্যাশ্রয়ী সমাস।

উঃ। (খ) তৎপুরুষ সমাস।

১.৬ ‘শূন্য’ বিভক্তিযুক্ত দুটি বিশেষ্য বা দুটি বিশেষণ পদ দিয়ে অথবা শূন্য’ বিভক্তিযুক্ত একটি বিশেষ্য পদ ও একটি বিশেষণ পদের সহযোগে যে সমাসের সমস্তপদ তৈরি হয় এবং পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায়, তাকে বলা
হয়—
(ক) কর্মধারয় সমাস
(খ) অলোপ সমাস
(গ) বহুব্রীহি সমাস
 (ঘ) দ্বন্দ্ব সমাস

উঃ। (ক) কর্মধারয় সমাস।

১.৭ দ্বিগু সমাসে পূর্বপদটি—(
ক) একটি বাক্যাংশ, যা বিশেষ্য বা বিশেষণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়
(খ) সংখ্যা বিশেষণ
 (গ) সাধারণ বিশেষ্য
 (ঘ) অব্যয়

উঃ। (খ) সংখ্যা বিশেষণ।


১.৮ দ্বি (দুই) গো (গোরু)-এর বিনিময় ক্রীত -এটি হলো—
(ক) সমাহার দ্বিগুর উদাহরণ
 (খ) তদ্ধিতার্থক দ্বিগুর
উদাহরণ
(গ) অব্যয়ীভাব সমাসের উদাহরণ
 (ঘ) নিত্য সমাসের উদাহরণ

উঃ। (খ) তদ্ধিতার্থক দ্বিগুর উদাহরণ।

১.৯ নিত্য সমাসে—
(ক) সমস্যমান পদগুলি সমাসবদ্ধ হওয়ার পরেও পূর্বপদের বিভক্তির লোপ হয় না।
(খ) ব্যাসবাক্য হয় না কিংবা ব্যাসবাক্য করতে হলে সমার্থক অন্যপদের প্রয়োজন হয়।
 (গ) একটি বাক্যাংশকে বিশেষ্য বা বিশেষণ হিসাবে প্রয়োগ করা হয়।
 (ঘ) পূর্বপদ ও পরপদ যথাক্রমে বিশেষণ ও বিশেষ্য হয় এবং উভয় পদে একই বিভক্তি (শূন্য বিভক্তি) থাকে।

উঃ। (খ) ব্যাসবাক্য হয় না কিংবা ব্যাসবাক্য করতে হলে সমার্থক অন্যপদের প্রয়োজন হয়।

১.১০ রোদে যা পোড়া রোদেপোড়া—এটি হলো
(ক) অলোপ তৎপুরুষের উদাহরণ,
 (খ) অলোপ দ্বন্দ্বের উদাহরণ,
(গ) অলোপ বহুব্রীহির উদাহরণ,
 (ঘ) অলোপ উপপদ তৎপুরুষের উদাহরণ।

উঃ। অলোপ উপপদ তৎপুরুষের উদাহরণ।

২. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
২.১ সন্ধি ও সমাসের একটি পার্থক্য লেখো।
উঃ। সন্ধিতে সন্নিহিত ধ্বনিসমূহের মিলন ঘটে।
 সমাসে অর্থসম্বন্ধযুক্ত একাধিক পদের একপদে পরিণতি ঘটে।


২.২ ভাষার কোন্ প্রক্রিয়াকে ব্যাকরণে 'সমাস' বলা হয়?
উঃ। অর্থসম্বন্ধযুক্ত দুই বা দুইয়ের বেশি পদের মিলিত হওয়ার প্রক্রিয়াকে ব্যাকরণে ‘সমাস’ বলা হয়।


২.৩ ‘'সমাস' শব্দটির সাধারণ অর্থ লেখো।
উঃ। ‘সমাস’ শব্দটির সাধারণ অর্থ সংক্ষিপ্ত করা।


২.৪ নীচের প্রতিক্ষেত্রে সংজ্ঞা নির্দেশ করো :



২.৪.১ সমস্ত পদ,
২.৪.২ সমস্যমান পদ
 ২.৪.৩ ব্যাসবাক্য
 ২.৪.৪ পূর্ব পদ
২.৪.৫ উত্তর পদ
উঃ। সমস্ত পদ ঃ সমাস করে যে নতুন পদটি হয়, তাকে বলে সমস্ত পদ।
সমস্যমান পদ : যে কটি পদ মিলে সমাস হয় তার প্রতিটিকে বলা হয় 'সমস্যমান পদ।
ব্যাসবাক্য ঃ যে বাক্য বা বাক্যাংশ দিয়ে সমস্যমান পদগুলোর অর্থ ব্যাখ্যা করা হয় তাকে বলে ব্যাসবাক্য বা বিগ্রহবাক্য।
পূর্বপদ : সমস্যমান পদগুলোর প্রথমটির নাম পূর্বপদ।
উত্তর পদ : সমস্যমান পদগুলোর শেষেরটির বা পরের পদটির নাম পরপদ বা উত্তরপদ।


২.৫ দ্বিগু শব্দের আক্ষরিক অর্থ কী?
উঃ। দ্বি গো-র বিনিময়ে কেনা।


২.৬ উপমিত কর্মধারয় এবং উপমান কর্মধারয় সমাসের একটি পার্থক্য লেখো।

উঃ। উপমিত কর্মধারয় সমাসে পূর্বপদে উপমেয় অর্থাৎ যার সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে ও উত্তর পদে উপমান থাকে। সাধারণ ধর্মের উল্লেখ থাকে না। এখানে পূর্বপদ ও উত্তরপদ দুটিই বিশেষ্য হয়। উপমান কর্মধারয় সমাসে পূর্বপদ উপমান ও উত্তরপদে সাধারণ ধর্ম থাকে। এর পূর্বপদটি বিশেষ্য ও উত্তরপদটি
বিশেষণ হয়ে থাকে।


২.৭ রূপক কর্মধারয় সমাস বলতে কী বোঝ?
উঃ। যে কর্মধারয় সমাসে পূর্বপদে উপমেয় এবং উত্তরপদে উপমান এবং এদের মধ্যে অভেদ বা অভিন্নতা কল্পনা করা
হয়, তাকে রূপক কর্মধারয় সমাস বলে।


২.৮ বাক্যাশ্রয়ী ও একশেষ দ্বন্দ্ব সমাসের পার্থক্য কোথায়?
উঃ। বাক্যাশ্রয়ী সমাসে বাক্য বা বাক্যাংশ সমাসবদ্ধপদ রূপে ব্যবহৃত হয়। যেমন : বসে আঁকো প্রতিযোগিতা।একশেষ দ্বন্দ্ব সমাসে দুই বা তার বেশি পদের মিলন হয়ে থাকে এবং সেটি একটি পদে পরিণত হয়।
যেমন : তুমি ও সে = তোমরা।


২.৯. একটি উদাহরণের সাহায্যে নিত্য সমাসের বিষয়টি বুঝিয়ে দাও।
উঃ। নিত্য সমাসে সমস্যমান পদগুলি সর্বদাই সমাসবদ্ধ থাকে তাই এর কোনো ব্যাসবাক্য থাকে না। এই সমাসেরব্যাসবাক্য তৈরি করতে হলে অন্য পদের প্রয়োজন হয়। যেমন : অন্য দেশ = দেশান্তর, কেবল দর্শন = দর্শনমাত্র।


২.১০. সংখ্যা বহুব্রীহি ও দ্বিগু সমাসের পার্থক্য কী?
উঃ। সংখ্যা বহুব্রীহি সমাসের পূর্বপদ সংখ্যাবাচক বিশেষণ ও উত্তরপদ বিশেষ্য হয়। যেমনঃ দশ আনন যার = দশানন
দ্বিগু সমাসে পূর্বপদ সংখ্যাবাচক বিশেষণ ও উত্তরপদ বিশেষ্য হয় এবং সমাসবদ্ধ পদটিতে সমাহার বোঝায় ও উত্তরপদের
অর্থটি প্রধান হয়। যেমন : পাঁচমাথার সমাহার = পাঁচমাথা।

পরের  অধ্যায়ের প্রশ্নের উত্তর দেখুন