অষ্টম শ্রেণী ইতিহাস ৮ অধ্যায় অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর খুঁজে দেখো ভেবে দেখো /class 8 history 8 chapter anushiulini - Online story

Wednesday 21 September 2022

অষ্টম শ্রেণী ইতিহাস ৮ অধ্যায় অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর খুঁজে দেখো ভেবে দেখো /class 8 history 8 chapter anushiulini

 ৯ অনুশীলন উত্তর

৭ অধ্যায়ের অনুশীলনী উত্তর দেখুন

অষ্টম শ্রেণী ইতিহাস
 ৮ অধ্যায়
অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর
খুঁজে দেখো
ভেবে দেখো

তৃতীয় পরীক্ষার জন্য ইতিহাসের সাজেশন নোট
১. ঠিক শব্দ বেছে নিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো :
(ক) ঔপনিবেশিক ভারতে সরকারি ভাষা হিসাবে ফারসির বদলে ইংরেজিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়—১৮৪৭/১৮৩৭/ ১৮৫০) খ্রিস্টাব্দে।
উঃ। ১৮৩৭ খ্রিস্টাব্দে।


(খ) ভারতের মুসলিম সমাজের আধুনিকীকরণের অভিযান প্রথম শুরু করেছিলেন—(মহম্মদ আলি জিন্নাহ/মৌলানা
আবুল কালাম আজাদ/স্যার সৈয়দ আহমদ খান)।
উঃ। স্যার সৈয়দ আহমদ খান।


(গ) কৃষক প্রজা পার্টির নেতা ছিলেন—(এ. কে. ফজলুল হক/মহম্মদ আলি জিন্নাহ/জওহরলাল নেহরু)।
উঃ। এ. কে. ফজলুল হক।



(ঘ) স্বাধীন পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল—(১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৫ আগস্ট/১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৪ আগস্ট/১৯৪৭
খ্রিস্টাব্দের ২৬ জানুয়ারি)।

উঃ। ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৪ আগস্ট।



২. নীচের বিবৃতিগুলির মধ্যে কোনটি ঠিক কোনটি ভুল বেছে নাও :
(ক) উনিশ শতকে হিন্দুদের তুলনায় মুসলমানেরা শিক্ষা, চাকরি ইত্যাদি ক্ষেত্রে পিছিয়ে ছিল।
 উঃ।ঠিক।


(খ) হিন্দু পুনরুজ্জীবনবাদী আন্দোলন ভারতে হিন্দু-মুসলমান সম্পর্ককে প্রভাবিত করেছিল।
উঃ। ঠিক।

(গ) মহাত্মা গান্ধি খিলাফৎ আন্দোলনকে সমর্থন করেনি।
 উঃ। ভুল।


(ঘ) পাকিস্তান প্রস্তাব তোলা হয়েছিল ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দের লাহোর অধিবেশনে।

উঃ। ঠিক।


৩. অতি সংক্ষেপে উত্তর দাও (৩০-৪০টি শব্দে) :
(ক) আলিগড় আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য কী ছিল?


উঃ।আলিগড় আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্যছিল- আলিগড় আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্যার সৈয়দ আহমদ মুসলমান সমাজের আধুনিকীকরণের সূচনা করা। ইসলামীয় ধর্মতত্ত্বের সঙ্গে পাশ্চাত্য জ্ঞান-বিজ্ঞানের সম্মিলন ঘটিয়ে মুসলমান সমাজে আধুনিক উদার মনোভাব-এর বিকাশ ঘটানো।



(খ) স্বদেশি আন্দোলন বাংলায় হিন্দু-মুসলমানদের উপর কীরকম প্রভাব ফেলেছিল?
উঃ। স্বদেশি আন্দোলনকে ঘিরে বাংলায় হিন্দু-মুসলমান সমস্যা ঘোরতর হয়।হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে সামাজিক বিভাজন প্রকট হয়ে ওঠে।  ফলে বঙ্গভঙ্গ বিরোধী স্বদেশি আন্দোলন এক সময় হিন্দু মুসলমান বিরোধী
আন্দোলনে পরিণত হয়।

তৃতীয় পরীক্ষার জন্য ইতিহাসের সাজেশন নোট
(গ) ভারতীয় মুসলমানরা খিলাফৎ আন্দোলন শুরু করেছিল কেন?
উঃ। তুরস্কের সুলতানকে খলিফা বা মুসলিম জগতের ধর্মগুরু বলে মনে করা হতো। তুরস্কের সুলতানকে খলিফাকে গদিচ্যুত করার কারণে খেলাফত আন্দোলন শুরু হয়েছিল ।এ আন্দোলনের মাধ্যমে ইসলামের
পবিত্র স্থানগুলি খলিফাকে ফেরত দেওয়ার দাবি জানানো হয়।


(ঘ) ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দ ভারতে হিন্দু-মুসলমান সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কেন?
উঃ। ১৯৩০ এর দশক দ্বি-জাতি তত্ত্বভিত্তিক সাম্প্রদায়িক বিচ্ছিন্নতার গুরুত্বপূর্ণ সময়। ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে মুসলিম লিগের সভাপতি মহম্মদ ইকবাল এবং রহমৎ আলি পাঞ্জাব, উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ, বালুচিস্তান ও কাশ্মীর নিয়ে মুসলমানদের জন্য আলাদা ভূ-খণ্ড গঠন করার প্রস্তাব দেন। রহমৎ আলি অস্পষ্টভাবে“পাকিস্তান” এর কথা উল্লেখ করেছিলেন।

৪. নিজের ভাষায় লেখো : (১২০-১৬০টি শব্দ) :
(ক) স্যার সৈয়দ আহমদ খান কীভাবে মুসলমান সমাজকে আধুনিকীকরণের পথে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন তা বিশ্লেষণ করো।


উঃ। মুসলিম সমাজের আধুনিকীকরণের অভিযান শুরু হয় স্যার সৈয়দ আহমদ খান-এর আলিগড় আন্দোলনের মধ‍্যে দিয়ে। ইসলামীয় ধর্মতত্ত্বের সঙ্গে পাশ্চাত্য জ্ঞান-বিজ্ঞানের সন্মিলন ঘটিয়ে তিনি মুসলমান সমাজে আধুনিক উদার মনোভাবের বিকাশ ঘটাতে চেয়েছিলেন। স্যার সৈয়দ দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িক বিরোধ তৈরি করতে চাননি। তিনি মুসলমান অভিজাত ও শিক্ষিত শ্রেণিকে স্বনির্ভর করে তুলতে চেয়েছিলেন।তাঁর উদ্দেশ্য ছিল বৃহত্তর মুসলমান সমাজের তরফে ব্রিটিশ শাসনের সুযোগ-সুবিধাগুলির সদব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া। তাই আলিগড়ে মহামেডান অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল কলেজের পাঠক্রমে ইউরোপীয় দর্শনের সঙ্গে ইসলামীয় ধর্মতত্বের সহাবস্থান ছিল।


(খ) কীভাবে ঊনিশ শতকে হিন্দু পুনরুজ্জীবনবাদী আন্দোলনের জন্ম হয়েছিল? সাম্প্রদায়িক মনোভাব তৈরিতে
ঐসব আন্দোলনগুলির ভূমিকা কী ছিল?
উঃ। হিন্দু পুনরুজ্জীবনমুখী সংস্কারক আন্দোলন রাজনৈতিক চরমপন্থার জন্ম দেয়। এই উদ্যোগে হিন্দুধর্মের কল্পকাহিনি
এবং প্রতীক চিহ্নের মাধ্যমে ভারতীয় জাতিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। ঊনবিংশ শতাব্দীর হিন্দু সমাজের সংস্কারমুখী ধারা থেকেই জন্ম নিয়েছিল ওই পুনর্জাগরণের আন্দোলন। হিন্দু পুনরুজ্জীবনবাদীরা ভারত ও হিন্দুকে সমার্থক বলে প্রচার করতে থাকেন। বলা হতে থাকে যে মুসলিম শাসনের
কারণে সেই সভ্যতায় অধঃপতন ঘটেছে। হিন্দু জাতীয়তাবাদ প্রধানত উঁচু জাতির সংস্কারকদের ব্রাহ্মণ্য মতানুসারী ছিল।
অধিকাংশ বিপ্লবী জাতীয়তাবাদীরা ভারতীয় সংস্কৃতি ও ভারতীয় জাতিকে হিন্দুধর্ম এবং হিন্দুদের বলে চিহ্নিত করতে থাকেন। এই প্রসঙ্গে বলা যায় তিলকের শিবাজি উৎসব ও গণপতি উৎসব, অরবিন্দের দেশকে মাতৃবন্দনা ও জাতীয়তাবাদকে ধর্ম হিসাবে দেখা, গীতায় হাত রেখে বিপ্লবীদের শপথ নেওয়া প্রভৃতি। এর ফলে সাম্প্রদায়িকতা নানাভাবে ছড়িয়ে পড়ে।


(গ) অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের পরে কীভাবে মুসলমান নেতাদের অনেকের সঙ্গে কংগ্রেসের দূরত্ব তৈরি হয়েছিল?
উঃ ১৯২২ সালে অসহযোগ আন্দোলন তুলে নেওয়ার পর হিন্দু মুসলমান সম্পর্কের অবনতি হয়। খিলাফৎ নেতারা
গান্ধির সর্বজনগ্রাহ্যতাকে ব্যবহার করে জনগণের কাছে পৌঁছতে চেষ্টা করেন। অসহযোগ তুলে নেওয়ায় খিলাফৎ
আন্দোলন স্তিমিত হয়ে পড়ে। ১৯২২-২৩ খ্রিস্টাব্দে কয়েক স্থানে দাঙ্গা ঘটে যায়, যা হিন্দু-মুসলমানের ঐক্যের মধ্যে ভাঙন ঘটায়। পাশাপাশি বাড়তে থাকে উগ্র হিন্দু পুনরজ্জীবনবাদী আন্দোলন। হিন্দু মহাসভার মতো উগ্র হিন্দু সংগঠনগুলির সঙ্গে কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। মদনমোহন মালব্য প্রমুখ নেতাদের গোঁড়া কার্যকলাপ কংগ্রেসে প্রাধান্য পেতে
থাকে। ফলে মুসলমান সম্প্রদায় ক্রমশ কংগ্রেসের থেকে আরও দূরে সরতে থাকে।


(ঘ) ১৯৪০-১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে কীভাবে ভারত-ভাগ স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল? তোমার কী মনে হয় ভারত-ভাগ সত্যিই অপরিহার্য ছিল? তোমার বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি দাও।

তৃতীয় পরীক্ষার জন্য সাজেশন নোট ইতিহাস