class 8 history 9th chapter anushilani answers / অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস ৯ অধ‍্যায় ভারতীয় সংবিধান গণতন্ত্রে কাঠামো ও জনগণের অধি - Online story

Thursday 22 September 2022

class 8 history 9th chapter anushilani answers / অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস ৯ অধ‍্যায় ভারতীয় সংবিধান গণতন্ত্রে কাঠামো ও জনগণের অধি

 

 

 

 

 ৮ অনুশীলন উত্তর

 

 অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস
৯ অধ‍্যায়
ভারতীয় সংবিধান গণতন্ত্রে কাঠামো ও জনগণের অধিকার

অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর
১. বেমানান শব্দটি খুঁজে বের করো :

(ক) ধর্মনিরপেক্ষ, সার্বভৌম, ধনতান্ত্রিক, গণতান্ত্রিক।
উঃ। ধনতান্ত্রিক।


(খ) রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপাল।
 উঃ। রাজ্যপাল।


(গ) পৌরসভা, লোকসভা, রাজ্যসভা, বিধানসভা।
উঃ। পৌরসভা।


(ঘ) ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ, ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষাণ, জওহরলাল নেহরু, বি. আর. আম্বেদকর।
 উঃ। বি. আর. আম্বেদর


(৬) ১৫ আগস্ট, ২৬ জানুয়ারি, ২০মার্চ (স্বাধীন ভারতের নিরিখে)
 উঃ। ২০ মার্চ।


২. নীচের বিবৃতিগুলির কোনটি ঠিক কোনটি ভুল বেছে নাও :

(ক) সংবিধান হলো বিচার বিভাগের আইন সংকলন।
উঃ। ঠিক।


(খ) ভারতীয় সংবিধানের প্রধান রূপকার বি. আর. আম্বেদকর।
 উঃ। ঠিক।

(গ) ভারতে রাষ্ট্রপতিই প্রকৃত শাসক।
 উঃ। ভুল।


(ঘ) রাজ্যসভায় সভাপতিত্ব করেন মুখ্যমন্ত্রী। উঃ। ভুল।


(ঙ) পশ্চিমবঙ্গে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থা আছে।
 উঃ। ঠিক।

৩. অতি সংক্ষেপে উত্তর দাও (৩০-৪০টি শব্দ) :
(ক) স্বাধীনতা প্রাপ্তির সময় ভারতের সংবিধান রচনার তাগিদ দেখা দিয়েছিল কেন?
উঃ। সংবিধানের অর্থ কতকগুলি আইনের সমষ্টি। আইন দ্বারাই কোনো রাষ্ট্র বা সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয়।তাই ভারতের স্বাধীনতাকালে রাষ্ট্র পরিচালনার তাগিদেই ভারতের সংবিধান রচনার তাগিদ দেখা দেয়। সংবিধান দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক।


(খ) ভারতের সংবিধানে গণতান্ত্রিক শব্দটির তাৎপর্য কী?
উঃ। গণতন্ত্র বলতে বোঝায় সামাজিক, আর্থিক, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সমতা প্রতিষ্ঠার কথা বোঝায়। কিন্তু ভারতীয়
সংবিধানে ‘গণতান্ত্রিক’ শব্দটিতে সার্বিক প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকারের কথা বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে ভোটদান মারফত কেন্দ্র
ও প্রাদেশিক আইনসভায় এবং বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসনমূলক প্রতিষ্ঠানে প্রতিনিধি নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে।


(গ) ভারতকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র বলা হয়েছে কেন?
উঃ। ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ বলতে বোঝায় ভারত রাষ্ট্রের নিজস্ব কোনো ধর্ম নেই। বিশেষ কোনো ধর্মের পক্ষে বা বিপক্ষে
কথা বলা বা বিরোধিতা করা কোনোটিই ভারত রাষ্ট্র করবে না। ভারত রাষ্ট্রের মধ্যে প্রতিটি নাগরিক অন্যের ধর্মবিশ্বাসকে
আঘাত না করে তাঁর নিজের বিশ্বাসমতো ধর্মাচরণ করতে পারবেন।


(ঘ) মহাত্মা গান্ধি দলিতদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কী কী উদ্যোগ নিয়েছিলেন?
উঃ। মহাত্মা গান্ধি ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে অসহযোগ প্রস্তাবে অস্পৃশ্যতা দূরীকরণকে স্বরাজ অর্জনের জরুরি শর্ত বলে মনে
করেন। অসহযোগ আন্দোলন বন্ধ হবার পর গান্ধিজির এই আন্দোলনের প্রতি কারোরই বিশেষ আগ্রহ ছিল না। গান্ধিজি
প্রধানত হিন্দু মন্দিরে হরিজনদের প্রবেশ করতে পারার অধিকার নিয়ে আন্দোলন করেন। ফলে ধর্মীয় অধিকার পেলেও
আর্থিক, রাজনৈতিক অধিকার থেকে হরিজনরা বঞ্চিত ছিলেন।


(ঙ) ভারতের সংবিধানে নাগরিকদের কী কী মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে?
উঃ। ভারতের সংবিধানে নাগরিকদের ছয়টি মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে। এইসব অধিকারগুলি হলো :
সাম্যের অধিকার, স্বাধীনতার অধিকার, শোষণের বিরুদ্ধে অধিকার, ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার, শিক্ষা ও সংস্কৃতির
অধিকার, সাংবিধানিক প্রতিবিধানের অধিকার। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের কোনো আইন ভারতের নাগরিকদের মৌলিক
অধিকারগুলি ক্ষুণ্ণ করতে পারে না।


৪. নিজের ভাষায় লেখো (১২০-১৬০টি শব্দ) ঃ
(ক) ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনাটি ব্যাখ্যা করো। প্রস্তাবনায় বর্ণিত সাধারণতন্ত্র শব্দটি কীভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে বলে তোমার মনে হয়?
উঃ। ভারতীয় সংবিধানের একটি প্রস্তাবনা আছে। এই প্রস্তাবনায় সংবিধানের আদর্শ ও উদ্দেশ্য ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রস্তাবনাকে সংবিধানের বিবেক' বা সংবিধানের আত্মা বলা হয়। সংবিধানের মূল প্রস্তাবনায় ভারতকে একটি '‘সার্বভৌম,
গণতান্ত্রিক, প্রজাতন্ত্র’ বলা হয়েছে। । এই
শব্দগুলির প্রত্যেকটির গভীর তাৎপর্য আছে।
‘সার্বভৌম’ বলতে বোঝায় ভারতবর্ষ অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে চরম ও চূড়ান্ত ক্ষমতার অধিকারী
‘সমাজতন্ত্র’ বলতে উৎপাদনের উপকরণগুলির ওপর রাষ্ট্র তথা সমাজের মালিকানা প্রতিষ্ঠা এবং উৎপাদিত সম্পদের
সমান ভাগ বোঝায়। ।

‘ধর্মনিরপেক্ষ’ বলতে রাষ্ট্র কোনো বিশেষ ধর্মের পক্ষে বা বিপক্ষে কথা বলবে না। প্রতিটি নাগরিক তার বিশ্বাস অনুসারে ধর্মাচরণ করতে পারবে। ব্যাপক অর্থে ‘গণতন্ত্র’ বলতে সামাজিক-অর্থনৈতিক রাজনৈতিক প্রভৃতি ক্ষেত্রে সমতা প্রতিষ্ঠা বোঝায়। কিন্তু ভারতীয় সংবিধানে গণতন্ত্র বলতে মূলত প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকার বোঝানো হয়েছে। যেখানে ভোটের দ্বারা কেন্দ্র ও প্রদেশগুলির
আইনসভায় প্রতিনিধি নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে।
‘সাধারণতন্ত্র’ বলতে বোঝায় বংশানুক্রমিকভাবে কোনো রাজা বা রানি নয়। রাষ্ট্রের শীর্ষস্থানে থাকা রাষ্ট্রপতি জনগণের
দ্বারা পরোক্ষভাবে নির্বাচিত হন। ভারতীয় শাসনতন্ত্রের উৎস ও রক্ষক হলেন স্বয়ং ভারতীয় জনগণ। তাই ভারতবর্ষের
ক্ষেত্রে ‘সাধারণতন্ত্র' শব্দটি উপযুক্তভাবে এবং সর্বত্রভাবে ব্যবহার হয়েছে।

(খ) ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাজকর্ম বিষয়ে আলোচনা করো। যথাক্রমে রাষ্ট্র ও রাজ্যের পরিচালনায় এঁদের ভূমিকা কী?
উঃ। প্রধানমন্ত্রী কাজ -:রাষ্ট্রপতি সাংবিধানিক প্রধান ঠিকই। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীই প্রকৃত পরিচালক। তিনি নতুন নতুন পরিকল্লনার মাধ্যমে দেশের মানুষ কে পরিষেবা দেন।বিভিন্ন রাজ‍্যের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে দেশের উন্নতি করেন।তিনি দেশের সমগ্ৰ মানুষের অবিভাবক হিসাবে কাজ করেন।

 
মুখ্যমন্ত্রীর কাজ- রাজ‍্যপাল রাজ‍্যের সাংবিধানিক প্রধান ঠিকই। কিন্তু মুখ‍্যমন্ত্রীই প্রকৃত পরিচালক। তিনি নতুন নতুন পরিকল্লনার মাধ্যমে রাজ‍্যের মানুষ কে পরিষেবা দেন।সকলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে রাজ‍্যের উন্নতি করেন।তিনি  রাজ‍্যের সমগ্ৰ মানুষের অবিভাবক হিসাবে কাজ করেন।


:

(গ) পশ্চিমবঙ্গে আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থার মাধ্যমে কীভাবে গণতন্ত্রের ধারণা বিস্তৃত হয়? তোমার স্থানীয় অভিজ্ঞতার নিরিখে আলোচনা করো।
উঃ। স্বায়ত্তশাসব্যবস্থার তিনটি স্তর আছে। সবচেয়ে নীচে গ্রাম পঞ্চায়েত, তার ওপর
পঞ্চায়েত সমিতি এবং এর ওপর জেলা পরিষদ।আমি নদীয়া জেলার ধর্মদার বাসিন্দা। আমাদের যে কোন সুযোগ সুবিধা সব পঞ্চায়েত থেকে পাই।আমার জেলায় স্বায়ত্তশাসন বন্দোবস্ত খুব চমৎকারভাবে কার্যকর হয়েছে।


গ্রাম পঞ্চায়েত : এটি পঞ্চায়েত ব্যবস্থার সর্বনিম্ন স্তর। এই স্তরে পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী কতকগুলি গ্রাম বা গ্রামের
সমষ্টি নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকা গঠিত হয়। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থীকে নিজ পঞ্চায়েত অধীনস্থ ভোটার হতে হবে।কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারী কর্মী হওয়া ব্যক্তি প্রার্থী হবার যোগ্য নন। গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরা ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত হন। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা নিজেদের মধ্যে থেকে একজনকে প্রধান অন্যজনকে উপপ্রধান নির্বাচিত করেন।

পঞ্চায়েত সমিতি : পঞ্চায়েত ব্যবস্থার দ্বিতীয় স্তর পঞ্চায়েত সমিতি। কয়েকটি গ্রাম নিয়ে একটি ব্লক তৈরি হয়। ব্লকের নাম অনুযায়ী পঞ্চায়েত সমিতির নামকরণ হয়। ব্লক উন্নয়নের দায়িত্ব পঞ্চায়েত সমিতির হাতে থাকে। এর কার্যকাল ৫ বছর। এই সমিতির সদস্যগণ নিজেদের মধ্যে থেকে সভাপতি ও একজন সহসভাপতি নির্বাচিত করেন।

জেলা পরিষদ ঃপঞ্চায়েত ব্যবস্থার জেলা পরিষদ প্রথম  স্তর।গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির মতো জেলা পরিষদ গঠন করা হয়।কোনোরকম ব্যবসা, পেশায় বা লাভদায়ক সংস্থায় তিনি যুক্ত থাকতে পারেন না ।প্রার্থীর যোগ্যতামান  কার্যকাল ৫ বছর। পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী জেলা পরিষদের ক্ষেত্রেও তিনমাসে অন্তত একবার অধিবেশন ডাকা বাধ্যতামূলক। জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্যগণ তাঁদের মধ্যে থেকে একজন সভাধিপতি ও একজন সহ-সভাধিপতি নির্বাচিত করেন।

(ঘ) ভারতের সংবিধান নারীদের অধিকার কীভাবে সুরক্ষিত করেছে? নারীদের সামাজিক ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার জন্য