ghure daraoy anushilani answer/ঘুরে দাঁড়াও প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত অষ্টম শ্রেণি বাংলা হাতে কলমে অনুসরণ প্রশ্নের উত্তর - Online story

Monday 19 September 2022

ghure daraoy anushilani answer/ঘুরে দাঁড়াও প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত অষ্টম শ্রেণি বাংলা হাতে কলমে অনুসরণ প্রশ্নের উত্তর

 


  "আদাব" হাতে কলমে অনুশীলন উত্তর দেখুন

কবিতা ঘুরে দাঁড়াও
প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত

১.১ প্রণবেন্দু দাশগুপ্তের সম্পাদিত কবিতা পত্রিকা টির নাম কি?

উঃ-অলিন্দ
১.২ তার রচিত দুটি কাব্য গ্ৰন্থের নাম লেখো-

উঃ-"এক ঋতু" এবং" সদর স্ট্রিটের বারান্দা"

২. নীচের প্রধাগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
২.১ কবিতায় কবি কোন আহ্বান জানিয়েছেন?
কবি বলেছেন নিজেকে বদলাতে হবে এবং হাত বাড়াতে হবে। যেখানেই রয়েছ সেখান থেকেই সবকিছুকে টেনে আনতে হবে।
উঃ। ঘুরে দাঁড়াও' কবিতাটিতে কবি বারে বারে সরে না গিয়ে সকলকে ঘুরে দাঁড়াবার আহ্বান জানিয়েছেন।


২.২ 'ছোট্ট একটা ভুল করে বাইরেটা পালটে দাও'- বাইরে টায় কী ধরনের বদল ঘটবে বলে কবি মনে করেন? সেই কাঙ্ক্ষিত বদল ঘটলে জীবন কীভাবে অন্যরকম হবে বলে কবি মনে করেন?

উঃ। ঘুরে দাঁড়াও' কবিতাটিতে কবি মানুষকে ঘুরে দাঁড়াতে বলেছেন।
 কবির ভাষায়, সাইকেল রিকশোগুলো শিস দিয়ে চলে যাবে বনে-বনান্তরে, কাদা জাতি রাস্তা উঠে পড়বে ছায় পথের কাছাকাছি ।আর গাছগুলো নদীর জলে স্নান করে আসবে এবং সা-রা-রা-রা করে উপাত্তের শহরতলি উঠবে জেগে
এই আকাঙ্ক্ষিত বদল ঘটলে , জীবন অন্যরকম হবে এবং একঘেয়েমি থেকে মুক্ত হওয়া মানুষ এক বৈচিে সম্মান পাবে। এই বদল না ঘটলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মরতে হবে এবং বিন্দুর মতো মিলিয়ে যেতে হবে।


২.৩ সরতে সরতে সরতে/তুমি আর কোথায় সরবে?'—কবি কোথা থেকে এই ‘সরণ’ লক্ষ করেছেন? এক্ষেত্রে তাঁর দেওয়া পরামর্শটি কী?

উঃ। কবি এই চলমান পৃথিবীর মাঝে দাঁড়িয়ে মানুষের অবস্থান ভূমি থেকে উপলব্ধি করে এই ‘সরণ’ লক্ষ করেছেন।
এক্ষেত্রে জীবনে যে অবক্ষয় শুরু হয়েছে তাতে লেখকের পরামর্শ যেমন করেই হোক ঘুরে দাঁড়াতে হবে। কারণ কিছু
হটতে হটতে আর সরতে সরতে পিছনে যাওয়ার জায়গা নেই। তাই ঘুরে দাঁড়াতেই হবে। হাত বাড়িয়ে দিতে হবে আর
নিজের দিকে সব কিছুকে টেনে আনতে হবে। শুধু ঘুরে দাঁড়ালেই হবে না চারপাশটাও বদলে দিতে হবে।



২.৪ 'এবার ঘুরে দাঁড়াও।' আর 'এখন ঘুরে দাঁড়াও।'—পক্তি দুটিতে ‘এবার’ আর ‘এখন’ শব্দ দুটির প্রয়োগের সার্থকতা বুঝিয়ে দাও।

উঃ। মানুষ ভাগ্যের হাতে মার খেতে খেতে ক্রমশ পিছন দিকে সরে যাচ্ছে, সরতে সরতে সে কোথায় যাবে? যাবারও তো একটা শেষ আছে, তাই প্রথমবার কবি বলেছেন ‘এবার ঘুরে দাঁড়াও। মানুষকে পরিবর্তন আনতেই হবে, তাই দেরি করার সময় নেই। যেখানে যারা আছে সবকিছুই সেখানে টেনে আনতে
হবে। এখন সময় এসেছে, তাই কবি ‘এখন ঘুরে দাঁড়াও’ বাক্যটি ব্যবহার করেছেন। কবি ঘুরে দাঁড়ানোর বিষয়টিতে জোর সেবার জন্যই ‘এবার’ ও ‘এখন’ এই দুটি সময়বাচক শব্দকে সার্থকভাবে প্রয়োগ করেছেন।


৩. নির্দেশ অনুসারে বাক্য পরিবর্তন করো :


৩.১ তুমি আর কোথায় সরবে? (প্রশ্ন পরিহার করো)

উঃ। তোমার আর সরবার কোনো জায়গা নেই।

৩.২ এবার ঘুরে দাঁড়াও। (না-সূচক বাক্যে)

  উঃ। এবার সরে যেও না।

৩.৩ তুমি যদি বদলে দিতে না পারো, তাহলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মরতে হবে। (সরল বাক্যে)
উঃ। বদলে দিতে না পারলে তোমায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মরতে হবে।

৩.৪ নইলে সরতে সরতে তুমি বিন্দুর মতো মিলিয়ে যাবে। (প্রশ্নবোধক বাক্যে)
উঃ। নইলে সরতে সরতে কি তুমি বিন্দুর মতো মিলিয়ে যাবে না?

৩.৫ গাছগুলো নদীর জলে স্নান করে আসুক (নির্দেশক বাক্যে)
 উঃ। গাছগুলোর নদীর জলে স্নান করবে।

৪. ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লেখো : বনান্তর, ছায়াপথ, উপান্ত, সাইকেল-রিকশো।

ছায়াপথ–ছায়াঘেরা পথ - (মধ্যপদলোপী কর্মধারায় সমাস)।
সাইকেল-রিকশো–সাইকেল ও রিকশো (দ্বন্দ্ব সমাস)।

 বনান্তর-অন্য বন (নিত্য সমাস)।
উপাত্ত —–উপ-অন্ত (অব্যয়ীভাব সমাস)।