pather panchali question answers 3rd unit examination/ পথের পাঁচালী তৃতীয় পরীক্ষার জন্য প্রশ্ন উত্তর - Online story

Sunday 11 September 2022

pather panchali question answers 3rd unit examination/ পথের পাঁচালী তৃতীয় পরীক্ষার জন্য প্রশ্ন উত্তর

 


  পথের পাঁচালী তৃতীয় পরীক্ষার জন্য প্রশ্ন উত্তর

 ১৫ পর্বের প্রশ্ন
• অতি-সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

★প্রশ্ন-. নরোত্তম দাস বাবাজি কেমন ঘরে বাস করেন?
উঃ। নরোত্তম দাস বাবাজি সামান্য খড়ের ঘরে বাস করেন।

প্রশ্ন-.অপুর সঙ্গে বৃদ্ধ নরোত্তম দাসেরসম্পর্ক কেমন?
উঃ। অপুর সঙ্গে বৃদ্ধ নরোত্তম দাসের বড়ো ভাব।


★প্রশ্ন-.অপু নরোত্তম দাসের উঠানের গাছতলা থেকে কী কুড়িয়ে আনে?
উঃ। মুচকুন্দ চাঁপা ফুল অপু কুড়াইয়া আনে।


★প্রশ্ন-.অপু কার আদেশে পড়তে বসে?

 উঃ। অপু বাবার আদেশে পড়তে বসে।

★প্রশ্ন-. অপু নরোত্তম দাসের বাড়িতে কোন্ বই দেখত?

 উঃ। অপু নরোত্তম দাসের বাড়িতে ‘প্রেমভক্তি চন্দ্ৰিকা’ বইটি দেখত।

★প্রশ্ন-. অপুর স্বভাব কেমন ছিল?
 উঃ। অপুর স্বভাব ছিল মুখচোরা।


★প্রশ্ন-. মাঝে মাঝে অপু নরোত্তম দাসের সঙ্গে কোন সময় গল্প করত ?

 উঃ। সারা বিকেল ধরে অপু নরোত্তম দাসের সঙ্গে গল্প করত।


১৬ পর্বের প্রশ্ন


★প্রশ্ন-.বনভোজনে কারা কারা অংশ নিয়েছিল?
উঃ। অপু, দুর্গা ও বিনি বনভোজনে অংশ নিয়েছিল।

প্রশ্ন-. ‘তবু যেন বিনির সাহস হয়না।' কেন সাহস হয়না?
উঃ। বিনি জল চুমুক দিয়ে খেতে সাহস পায় না। কারণ তারা যুগীর বামুন বলে পাড়াতে জল খেতে চাইলে লোকে ঘটি করে জল দেয় তাও মেজে দিতে হয়।


★প্রশ্ন-. বনভোজনে কী কী রান্না হয়েছিল?
উঃ। বনভোজনে সত্যিকারের ভাত, বেগুন ভাজা, মেটে আলু ভাতে রান্না হয়েছিল।


প্রশ্ন-. দুর্গা তার প্রথম রান্না কেমনভাবে উপভোগ করেছিল?

উঃ। বনভোজন করতে এসে দুর্গা প্রথম রান্না করল। সে নিজেই বিশ্বাস করতে পারছিল না, মায়ের মতো রান্না হয়েছে। সে বিস্ময় মেশানো আনন্দের সঙ্গে নিজের হাতের শিল্পসৃষ্টি উপভোগ করছিল।

প্রশ্ন-. দুর্গা রান্নার হাঁড়িটা ফেলে দিতে চায়নি কেন?

উঃ। দুর্গা হাঁড়িটা ফেলতে চায়নি কারণ আর একদিন সে বনভোজন করতে চেয়েছিল।


★ প্রশ্ন-.বিনি কে? তার সম্বন্ধে লেখক কী বর্ণনা দিয়েছেন?
উঃ। বিনি ওপাড়ার কালীনাথ চক্কোত্তির মেয়ে৷

লেখক বিনির বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন যে বিনি দুর্গারই সমবয়সী,রং কালো, পরনে আধময়লা শাড়ি, হাতে সরু সরু কাঁচের চুড়ি। তার গড়ন লম্বা কিন্তু মুখটি খুবই সাধাসিধে।



প্রশ্ন-.বনভোজনের স্থানটি বর্ণনা দাও।
উঃ। বনভোজনের স্থানটি ছিল বড়ো সুন্দর। চারিদিক বন, ঝোপ একদিকে তেলাকুচা লতার দুলুনি। বেলগাছের তলায় জঙ্গলের শেওড়া গাছের ফুলের ঝাড়, আধপোড়া কটা দুর্বাঘাসের উপর খঞ্জনী পাখিরা নেচে ছুটে বেড়াচ্ছে। নির্জন নিভৃত ঝোপের আড়ালে নিভৃত স্থানটি। ঝোপের মাথায় নতুন কচিপাতা, ঘেঁটুফুলের ঝাড়, বাতাবি লেবুর গাছের মাথায় থোপা থোপা সাদা সাদা ফুলে ভরে গেছে।

 ১৭ পর্বের প্রশ্ন

★প্রশ্ন-. রাণুর বিয়েতে কার সাথে দুর্গার আলাপ হয়েছিল?
উঃ।  টুনি নামে একটি ছোটো মেয়ের সঙ্গে দুর্গার আলাপ হয়েছিল।


প্রশ্ন-.টুনির মা কী খুঁজছিলেন?
উঃ। টুনির মা তার হারিয়ে যাওয়া সোনার সিঁদুরকৌটা খুঁজছিলেন।


প্রশ্ন-.কাকে কেন চোর সাব্যস্ত করা হয়েছিল?
উঃ। কৌটাটি হারিয়ে যাবার সময়, যারা সেখানে ছিল সবাই বাড়ির লোক ছিল, একমাত্র দুর্গা ছিল বাড়ির বাইরের
লোক, সে আম চুরি করত বলে ওই বাড়ির লোকের ধারণা অনুযায়ী মিলিয়ে তারা দুর্গাকেই চোর হিসাবে গণ্য করেছি


 প্রশ্ন-.কে সেজো ঠাকরুনকে বাধা দিয়েছিলেন?
উঃ। টুনির মা সেজো ঠাকুরুনকে বাধা দিয়েছিলেন। তিনি দুর্গাকে বেশ পছন্দ করতেন। সে চুরি করবে এটা তিনি বিশ্বা
করতেন না।


★প্রশ্ন-. টুনির মায়ের নাম কী ছিল?

উঃ। টুনির মায়ের নাম ছিল হাসি।


প্রশ্ন-.সেজো ঠাকরুন দুর্গাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হলেন কেন?
উঃ। বাড়িতে উপস্থিত অন্য মানুষজন, রাণুর মা, টুনির মা সবাই একযোগে মারধোরের প্রতিবাদ করাতে সেজো ঠাকরুন দুর্গাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হলেন।


★প্রশ্ন-. চোরের ওষুধ মারধোর করা। এই কথাটি কে বলেছিলেন?
উঃ। ওই বাড়ির একজন কুটুম্বিনী এই কথাটি বলেছিলেন।


★প্রশ্ন-. সেজো ঠাকরুণের ছোটো মেয়ের নাম কী?
উঃ। সেজোঠাকরুণের ছোটো মেয়ের নাম টেপি।


★প্রশ্ন-.টেপি কী দেখেছে বলে জানিয়েছিল?
উঃ। সেজো ঠাকরুনের ছোটো মেয়ে টেপি চুপিচুপি জানিয়েছিল যে সে দেখেছে তারা খেতে যাবার সময় দুর্গা খিড়কির দোর দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে।

★প্রশ্ন-.দুর্গাকে কীভাবে মারা হয়েছিল?
উঃ। সেজোঠাকরুন দুর্গার চুলের মুঠি ধরে মাথা দেয়ালে ঠুকে দিয়েছিলেন। মারের চোটে দুর্গার নাক দিয়ে রক্ত বেরিয়ে গিয়েছিল এবং মাথা ঝাঁ ঝাঁ করে উঠেছিল।

১৮ পর্বের প্রশ্ন


★প্রশ্ন-. গ্রামে কোন্ পুজোয় সন্ন্যাসীদের নাচ দেখা যায়?
  উঃ- চড়ক পূজার সময়।


★প্রশ্ন-. সন্ন্যাসীদের নাচ কতদিন ধরে চলে?

উঃ। সন্ন্যাসীদের নাচ দশ বারোদিন ধরে চলে।


★প্রশ্ন-. নীলপুজোর দিন বিকেল বেলায় কী হয়?
উঃ। নীলপুজোর দিন বিকেলবেলায় একটি খেজুর গাছে সন্ন্যাসীরা কাঁটা ভাঙে।


প্রশ্ন-.কাদের সাথে দুর্গার দেখা হয়েছিল?
ওই দলে কারা ছিল?

উঃ। ভুবন মুখুজ্যের বাড়ির মেয়েদের সাথে দুর্গার দেখা হয়েছিল। টুনু, পুঁটি, রানি ওই দলে ছিল।


প্রশ্ন-.কার গায়ে কাঁটা দিয়েছিল? তার মনে কী অনুভূতি হয়েছিল?
উঃ। অপুর গায়ে কাঁটা দিয়েছিল। চারিধারে অন্ধকার সন্ধ্যা, আকাশে কালো মেঘ, বাঁশবন, শ্মশানের গন্ধ, শিবের অনুচর ভূতপ্রেত এসব ভেবে ছোটো ছেলের মন বিস্ময়ে, ভয়ে অজানা রহস্যের অনুভূতিতে ভরে উঠেছিল।


প্রশ্ন-.অপুর সাথে কার দেখা হয়েছিল? তিনি কোথায় যাচ্ছিলেন?
উঃ। অপুর সাথে নেড়ার ঠাকুমার দেখা হয়েছিল। তিনি নীল পূজার নৈবেদ্য হাতে চড়কতলায় পুজো দিতে যাচ্ছিলেন।


প্রশ্ন-.হরিহর দাওয়ায় বসে কী লিখছিলেন?
উঃ। হরিহর মুখুজ্যে শিষ্য বাড়ি বিলি করার জন্য দাওয়ায় বসে বালির কাগজে কবচ লিখছিলেন।


★প্রশ্ন-.কোথায় যাত্রাপালার আয়োজন হয়েছিল?
 উঃ। পঞ্চাননতলায় যাত্রাপালার আয়োজন হয়েছিল।


★প্রশ্ন-. আগে অপু তার দিদির কাছে কী চেয়েছিল?
উঃ। সাত দিন আগে অপু দিদির কাছে দুটো পয়সা চেয়েছিল।


★প্রশ্ন-. দুর্গা চড়ক দেখতে যাবার নাম করে   বাবার থেকে কত পয়সা নিয়েছিল?
উঃ। দুর্গা চড়ক দেখতে যাবার নাম করে বাবার কাছ থেকে দু-পয়সা নিয়েছিল।


★প্রশ্ন-.. চড়ক তলায় মেয়েদের বসার জন্য কী ব্যবস্থা হয়েছিল?
 উঃ। মেয়েদের বসার জন্য চিকের ব্যবস্থা হয়েছিল।



প্রশ্ন-.দুর্গা কী আবৃত্তি করছিল?
উঃ।  দুর্গা পিসিমার মুখে ছেলেবেলার শেখানো ছড়া আবৃত্তি করছিল। 'হলুদ বনে
বনে—নাকছাবিটি হারিয়ে গেছে সুখ নেইকো মনে—।'


★প্রশ্ন-. অপুদের গ্রামে কোন্ যাত্রার দল এসেছিল?
 উঃ। অপুদের গ্রামে নীলমণি হাজরার যাত্রার দল এসেছিল।

প্রশ্ন-. যাত্রা শোনার দেখার তন্ময়তা আলাদা।- কেন এমন বলা হয়েছে?
উঃ। গ্রাম বাংলায় আনন্দের উপকরণ বেশি নেই। তার মধ্যে যাত্রাপালা একটা বিরাট অনুষ্ঠান। মানুষের মুখে মুখে গান আর গান, কেমন যেন একটা ঘোরের মধ্যে তারা দিনগুলো কাটিয়ে দেয়।


★প্রশ্ন-.অজয় কে ছিল? তার সাথে কার ভাব হয়েছিল?
উঃ। অজয় নীলমণি হাজরার যাত্রাদলে রাজপুত্র সাজত। তার সাথে অপুর ভাব হয়েছিল।


প্রশ্ন-. অজয় টাকা দিতে চেয়েছিল কেন?
উঃ। অজয়ের কেউ ছিল না, সে অপুর বাড়ি এসে খুবই আদর যত্ন পেয়েছিল, যা সে কখন পায়নি। দুর্গাকে সে দিদির মতো ভেবেছিল। তাই বিদায় নেবার সময় দিদিকে একটা ভালো কাপড় কিনে দেবার জন্য পাঁচ টাকা দিতে চেয়েছিল।


★প্রশ্ন-. কোন্ কথা অপু জানত না ?
উঃ। যাত্রাদলে
কাজ করা মনুষ্য জীবনের চরম উদ্দেশ্য একথা অপু জানত না।


★ প্রশ্ন-.যাত্রাদলে যোগ দিলে অপু কত মাইনে পেত?
 উঃ। যাত্রাদলে যোগ দিলে অপু পনেরো টাকা মাইনে পেত।


প্রশ্ন-. অজয় অপুকে কী কী মনের কথা বলেছিল?
উঃ। মনের কথা বলে এমন সাথি অজয়ের জোটেনি। তাই অপুকে পেয়ে তার মনের কথা খুলে বলল, সে প্রায় চল্লিশ টাকা জমিয়েছে। একটু বড়ো হলে সে এই যাত্রাদল ছেড়ে দেবে কারণ অধিকারী বড়ো মারে। সে আশু পালের দলে যোগ দেবে। সেখানে বড়ো সুখ। রোজ রাত্রে লুচি খেতে দেয়। না খেলে তিন আনা পয়সা খোরাকি দেয়। এই দল ছাড়লে সে আবার অপুদের বাড়ি আসবে।


★প্রশ্ন-.অপুর জীবনের ধ্রুব লক্ষ্য কী ছিল?
উঃ। জরির মুকুট পরে সে যাত্রাদলের সেনাপতি সেজে তলোয়ার ঝোলাবে, যুদ্ধ করবে। বড়ো হলে সে যাত্রার দলে
যাবেই—এটাই ছিল তার জীবনের ধ্রুব লক্ষ্য।


প্রশ্ন-.বাড়িতে কেউ না থাকলে অপু দিদিকে কী বলত?
উঃ। বাড়িতে কেউ না থাকলে অপু দিদিকে বলত—দিদি আমার গলায় গান আছে তো, গান হবে আমার?


 প্রশ্ন-.যাবার সময় অজয় কী বলে গিয়েছিল?
উঃ। যাবার সময় অজয় বারবার বলে গিয়েছিল দিদির বিয়ের সময় তাকে যেন পত্র দেওয়া হয়।

প্রশ্ন-.অজয়কে দেখে সর্বজয়ার কী মনে হয়েছিল?
উঃ। অজয়কে দেখে সর্বজয়ার মনে হয়েছিল—আহা বড়ো ছেলেমানুষ, এই বয়সে বের হয়েছে রোজগার করতে অপুর যদি এরকম কপাল হতো—এই ভেবে সর্বজয়ার সারা শরীর শিহরিত হয়েছিল।

.প্রশ্ন-. অপু কখন যাত্রা দেখে বাড়ি যাবে?
উঃ। শেষ রাত্রে যাত্রা ভাঙার পর অপু বাড়ি যাবে।


(২০)

★প্রশ্ন-. দুর্গার কখন জ্বর আসত?
 উঃ। প্রতিদিন রোদ পড়তে না পড়তেই দুর্গার জ্বর আসত।

প্রশ্ন-.কে টিনের বাক্স নিয়ে খেলা দেখাতে এসেছিল?
উঃ। এক বুড়ো বাঙালি মুসলমান টিনের বাক্স নিয়ে খেলা দেখাতে এসেছিল।

★প্রশ্ন-.. অপু মায়ের কাছে খয়ের চেয়েছিল কেন?
উঃ। দোয়াতের কালির রং উজ্জ্বল করার জন্য অপু মায়ের কাছে খয়ের চেয়েছিল।

প্রশ্ন-.দুর্গা কী খাবে বলে এনেছিল এবং কেন?

উঃ। দুর্গা মানকচু এনেছিল, ভাতে দিয়ে দুটো ভাত খাবে বলে। তার খুব জ্বর তাই তাকে ভাত দেওয়া হয়নি।

প্রশ্ন-.ঘন বর্ষার রাতে তাল কুড়াতে গিয়ে কী বিপদ ঘটেছিল?
উঃ। একবার ঘন বর্ষার রাতে অপু দুর্গা মতলব এঁটে রাত্রি শেষে পিছনে সেজো ঠাকরুনের বাগানে তাল কুড়াতে গিয়েছিল। সেখানে দুই পায়ে বেলকাঁটা ফুটেছিল। পাছে কেউ তাল কুড়িয়ে নিয়ে যায় তাই সতু একবার ঘন বর্ষার রাতে তালতলার পথে সোজা সারি সারি বেলকাঁটা পুঁতে রেখেছিল।


★প্রশ্ন-.সর্বজয়ার স্বপ্ন কী ছিল?
উঃ। পাড়ার এক পাশে নিকানো ছোট্ট খড়ের দুই তিন খানি ঘর। গোয়ালে হৃষ্টপুষ্ট দুটো দুগ্ধবতী গাভী বাঁধা। মাচা ভরা বিচালি, গোলা ভরা ধান। মাঠের ধারের মটর খেতের তাজা সবুজ গন্ধ খোলা হাওয়ায় উঠান দিয়ে বয়ে যায়। পাখি ডাকে নীলকণ্ঠ, বাবুই, শ্যামা। অপু সকালে উঠে মাটির ভাঁড়ে দোয়া তাজা সফেন কালো গাইয়ের দুধ এর সঙ্গে গরম মুড়ি ফলার খেয়ে পড়তে বসে। দুর্গা ম্যালেরিয়া জ্বরে ভুগবে না। ভালো হয়ে যাবে। এসবই সর্বজয়ার স্বপ্ন ছিল।

প্রশ্ন-.. সেদিন আশ্চর্য ব্যাপার ঘটেছিল—আশ্চর্য ব্যাপার কী কী ছিল?
উঃ। এক বুড়ো বাঙালি মুসলমান একটা বড়ো রং-চঙে কাঁচ বসানো টিনের বাক্স নিয়ে খেলা দেখাতে এসেছিল। জীবন চৌধুরিদের ওখানে সবাই এক এক পয়সা দিয়ে নলে চোখ লাগিয়ে দেখছিল। দুর্গার কাছে পয়সা ছিল না। সে দাঁড়িয়ে ছিল। বুড়ো লোকটি তাকে পয়সা ছাড়াই দেখতে বলেছিল। নলে চোখ লাগিয়ে সে যা দেখেছিল তা খুবই আশ্চর্যের।

(২১)

প্রশ্ন-. বর্ষা কীভাবে চলছিল?
উঃ। কয়দিন ভীষণ বর্ষা চলছিল। বৃষ্টির বিরাম নেই। বৃষ্টির ছাটে চারধার ধোঁয়া ধোঁয়া হয়ে গিয়েছিল।


প্রশ্ন-.হরিহর কোথায় গেছে?

 উঃ। হরিহর বিদেশ যাত্রা করেছে।


★প্রশ্ন-. দুর্গা কী খেতে চেয়েছিল?

উঃ। দুর্গা একটা নোনতা বিস্কুট খেতে চেয়েছিল।


 ★প্রশ্ন-.ঔষধ হিসাবে দুর্গা কী খেত?
 উঃ। ঔষধ হিসেবে দুর্গা নিমছাল সিদ্ধ খেত।


★.প্রশ্ন-. হরিহর বাড়ির জন্য কত টাকা পাঠিয়েছিল?
উঃ। হরিহর বাড়ির জন্য পাঁচ টাকা পাঠিয়েছিল।

★.প্রশ্ন-. বাঁশতলায় কোন্ মাছ উঠে এসেছিল?

 উঃ। বাঁশতলায় কইমাছ উঠে এসেছিল।

প্রশ্ন-. সর্বজয়া ও দুর্গা কোথায় কী তুলতে গিয়েছিল ?

উঃ- সর্বজয়া ও দুর্গা জামতলায় কচুর শাক তুলতে গিয়েছিল।


★প্রশ্ন-. সর্বজয়া নাপিতের বউকে কী বিক্রি করেছিল?
উঃ। সর্বজয়া নাপিতের বউকে একটা কাঁসার রেকাবি বিক্রি করেছিল।
(২২)