রচনা মাতৃভাষা /rachana matri bhasha class 5,7,8,9,10
মাতৃভাষা রচনা
ভুমিকা- ভাষা হলো মনের ভাব প্রকাশ করা। আর মাতৃভাষা হলো, মায়ের মুখনিঃসৃত ভাষা।যাকে মাতৃভাষা বলে।একটি শিশু জন্মর পর প্রথম যে ভাষা শোনে এবং কথা বলা শুরু করে তা হল তার মাতৃ ভাষা। এই ভাষার প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা অপরিসীম। নিজের পরিচয়ের সঙ্গে ওতপ্রভাবে জড়িয়ে থাকে এই ভাষা। এগুলি একটা একটা নির্দিষ্ট অঞ্চলের ভাষা হয়ে গড়ে ওঠে । এই ভাষার সংখ্যা পৃথিবীতে অনেক । ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতির ভাষা দিবসের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।
মাতৃভাষার প্রয়োজনীয়তা -শিশুদের জন্য প্রথম মাতৃভাষা শিখতে সাহায্য করে শিশুর মা।প্রথমে মাতৃভাষা শিখলে সহজেই অন্যান্য ভাষা গুলো দক্ষতা লাভ করতে পারে। এই ভাষার মাধ্যমে একটি শিশু সামাজিক ও ব্যক্তিগত পরিচয় বিকাশ করে। মাতৃভাষা শিশুদের দক্ষতা বিকাশ করে এবং শিশুরা সমালোচক মূলক আলোচনায় অংশ নিতে পারে মাতৃভাষার মাধ্যমে ।
মাতৃভাষা গুরুত্ব -মাতৃভাষা শিশুদের জন্য অন্যান্য ভাষা বাছাই এবং শিখতে সহজ করে। আমাদের শিশুরা আগে বাংলা শেখে বলেই তারা অন্যান্য আরো কয়েকটি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে পারে। মাতৃভাষা একটি শিশুর ব্যক্তিগত, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক পরিচয় বিকাশ করে। মাতৃভাষা ব্যবহার শিশুকে তাদের সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা এবং শিক্ষার দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করে।।
মাতৃভাষা উপকারিতা - মাতৃভাষার মাধ্যমে সহজেই মানুষ প্রকৃতিকে চিনতে পারে জানতে পারে। এই ভাষা খুব দ্রুত উপলব্ধি করার সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করা যায় এটা বৈজ্ঞানিক প্রমাণিত আছে।
মাতৃভাষার অপকারিতা - সবকিছুর জীবন একটা ভালো দিক আছে তেমনি খারাপ দিকও আছে। মাতৃভাষা যদি রাষ্ট্রীয় ভাষায় মর্যাদা না পাওয়া যায় তাহলে চাকরি পরীক্ষার চোখ বন্ধ করে বসে থাকতে হয়। মাতৃভাষা জ্ঞানের পরিধিকে সীমিত করে রাখে । কোন মূল্যবান শিক্ষা গ্রন্থ মাতৃভাষায় প্রকাশিত না হয় তাহলে সেই মূল্যবান শিক্ষা থেকে নিজেকে বঞ্চিত করে রাখতে হয়। মাতৃভাষার মাধ্যমে বিশ্বকে চেনা যায় না ।শুধু মাতৃভাষার ওপর শিক্ষিত হলে বা জ্ঞানলাভ করলে অন্য ভাষাভাষি মানুষদের সঙ্গে কথা বলতে অসুবিধা হয়। চিনতেও জানতে অসুবিধা হবে। ফলে অন্য কোন স্থানে সমস্যা সৃষ্টি হয়। মাতৃভাষার সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রীয় ভাষারও জ্ঞান উপলব্ধি করলে অন্য কোন স্থানের সমস্যায় পড়তে হয় না।
উপসংহার- মাতৃভাষা শিশু সহ যেকোনো মানুষের কাছে অসীম গুরুত্ব । এটা বেঁচে থাকার একটা ভাষা। মাতৃভাষা শিক্ষার পাশাপাশি যদি রাষ্ট্রীয় বা আন্তর্জাতিক ভাষা শিখতে না পারা যায় তাহলে জীবনের পরিধি অনেকটা ছোট হয়ে যায় ।তাই মাতৃভাষা সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রীয় এবং আন্তর্জাতিক ভাষা গুলি চর্চা করতে পারলে জীবন এক সুন্দর গড়ে ওঠে ।সেই সঙ্গে একটা সুন্দর সমাজ তৈরি করা যায়।
রচনা লিষ্ট নীচে রচনা গুলি দেখুন
৩. সময়ের মূল্য
৪. আমাদের গ্ৰাম
৫. দুয়ারে সরকার
৭. পরিবেশ দিবস
১১. শীতের সকাল
১২. সরস্বতী পূজা
১৩. দূর্গা পূজা
১৪. নবান্ন উৎসব
১৫. ছায়াতরু বটবৃক্ষ
১৬. বর্ষাকাল
১৭. বইমেলা (১)
১৮. তোমার ইস্কুল
২০. উৎসব মুখর বাংলা
২১. একটি নদীর শোভা
২৩. একটি শীতের দিন
২৪. শীতকাল (১)
২৬. পরিবেশ দিবস
২৭. কাজের গৌরব
২৮. মাতার স্নেহ
২৯. দূরদর্শন
৩১. সংবাদ পত্র
৩২. জগদীশ চন্দ্র বসু
৩৮. বসন্ত কাল
৩৯. চিড়িয়াখানা
৪০. কালবৈশাখী
৪১. জীবনের লক্ষ্য
৪৩. গ্ৰন্থাগার
৪৪. গৃহপালিত পশু
৪৫. তোমার প্রিয় খেলা
৪৯. গ্ৰামের হাট
৫০.. ছোটো অন্য রচনা
৫২. মাতৃভাষা
৫৯. বাংলার ফুল ফল
৬০.বনোমহোৎসব
৬১. তোমার প্রিয় উৎসব
৬২. কুকুর
৬৬. চন্দ্রযান -৩
৬৮. গ্ৰামের পরিবেশ
৬৯. শহরের পরিবেশ
৭১. শরীর চর্চা
৭২. খেলাধুলার জগৎ
৭৪. মাটি দূষণ
৭৯. বাংলার কৃষক
৯৮. নদীর গুরুত্ব
১০০. স্বাস্থই সম্পদ
১০১. বিদ্যুতের গুরুত্ব
১০২. ম্যালেরিয়া
১০৩. বিশ্ব উষ্ণায়ন
১০৪. বর্যণ মুখর বাংলা
১০৫. শীতের দিন
১০৬. গ্ৰাম বাংলার উৎসব
পত্ররচনা বাবা কে