Rachana suggestion britti examination 2022/ বৃত্তি পরীক্ষার রচনা সাজেশন ২০২২
ইংরেজি প্যারাগ্রাফ সাজেশন দেখুন
বৃত্তি পরীক্ষার রচনা সাজেশন ২০২২
"জীবনী" দিয়ে রচনা অনেক হয় যেমন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বেগম রোকেয়া স্বামী বিবেকানন্দ ইত্যাদি লিখলে হবে আমি এখানে নেতাজি সুভাষ লিখে দিলাম এটা লিখলে অনেক বেশি নম্বর পাওয়া যাবে ওরা আশা করি
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু
ভুমিকা : ভারতবাসীর উদ্দেশ্যে বীরদর্পে যিনি ঘোষণা করেছিলেন“তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব।” তিনি হলেন সুভাষচন্দ্র বসু ।আমাদের প্রিয় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু।
জন্ম ও বংশ-পরিচয় : ওড়িশার
কটক শহরে ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ২৩
জানুয়ারি সুভাষচন্দ্রের জন্ম হয়। তাঁর
বাবা জানকীনাথ বসু।
মায়ের নাম প্রভাবতী দেবী।
জানকী নাথ বসু ছিলেন একজন সরকারি উকিল।
শিক্ষা : সুভাষচন্দ্র বসু ছিলেনমেধাবী ছাত্র। কটকের প্রবেশিকা পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান পেয়ে পাশ করেন। এর পর কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন। পরে স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে অনার্স সহ বি. এ. পাশকরেন। এরপর পড়ার জন্য বিলাত যান । সেখানে তিনি পড়াশোনা করে অনেক সুনাম অর্জন করেন।
কর্মজীবন -ছোটোবেলা থেকেই সুভাষচন্দ্রের মধ্যে দেশপ্রেম ছিল। বিদেশি সরকারের অধীনে তিনি কোনো চাকুরি গ্রহণ করেন নি। তিনি দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনের সহযোগী হিসেবে দেশসেবার কাজে যোগদান করেন।দেশের স্বাধীনতার জন্য তিনি বহু বার জেল খেটেছেন। দু-বার জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি হয়েছিলেন। কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র ছিলেন।‘ফরওয়ার্ড ব্লক' নামে একটি দল গঠন করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গোপনে আফগানিস্তানের মধ্য দিয়ে বার্লিনে পালিয়ে যান। আজাদ হিন্দ বাহিনী দলের নেতৃত্ব দেন। রেঙ্গুন থেকে তিনি ডাক দেন "দিল্লি চলো" । আজাদ হিন্দ বাহিনী নিয়ে ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ভারতে প্রবেশ করেন। খাদ্যের অভাবে ,যুদ্ধের রসদের অভাবে আজাদ হিন্দ বাহিনী পতন হলে, তিনি বিমানে করে বিদেশ যাত্রা করেন ।শোনা যায় তিনি নাকি তাইকুহু বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। আজও তার মৃত্যু নিয়ে রহস্য ভারতবর্ষীয় মনে রয়ে গেছে ।
কৃতিত্ব -নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু বলে যাকে আমরা জানি ,তিনি আসলে তিনি সুভাষচন্দ্র বসু। নেতাজি তার উপাধি ।জার্মান সরকারি সৈনিকরা নেতাজি নামে তাকে সম্বোধন করেছিল। সেই থেকে আমরা তাকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বলে জানি।
উপসংহার : ।সুভাষচন্দ্রের সাহস, বীরত্ব, দেশপ্রেম এসবের তুলনা হয় না। তার বীরত্ত্বোর কাহিনী ভারতবাসী চিরকাল মনে রাখে এবং পরেও রাখবে। তার প্রেরণায় ভারতবাসীরা এক স্বাধীন দেশের নাগরীক হয়ে ওঠেন।
কুকুর-রচনা
ভূমিকা : কুকুর একটি গৃহপালিত পশু। কুকুর স্তন্যপায়ী প্রাণী। আদিম যুগে প্রথম পোষ মেনে ছিল কুকুর । আজও মানুষ কুকুরকে খুব যত্নের সঙ্গে পালন করে।
বর্ণনা ঃ কুকুরের চারটি পা, দুটি কান, দুটি চোখ এবং একটি লেজ আছে। কুকুরের সামনে দাঁত দুটি খুব বড়ো বড়ো। পায়ের নখ এবং দাঁতগুলি খুব ধারালো। কুকুরের পায়ের তলায় নরম মাংসপিণ্ড থাকে। এদের সমস্ত শরীর লোমে ঢাকা। কুকুরের লেজটি ছোটো এবংবাঁকা। কুকুর বিভিন্ন রঙে হয়ে থাকে ।তবে বেশিরভাগ কুকুর কালো এবং সাদা কালো মিশিয়ে হয়।
স্বভাব প্রকৃতি : কুকুর মাংসাশী প্রাণী। কুকুর সহজে পোষ মানে। এরা প্রভুভক্ত হয়। প্রভুর জন্য চোখের জলও ফেলতে পারে । কুকুরের ঘ্রাণশক্তি এবং শ্রবণশক্তি খুব শক্তিশালী। এদের একটা বিশেষ স্বভাব হল ,চেনা লোক দেখলে আনন্দে লেজ নাড়ে, আবার অচেনা লোক দেখলে ঘেউ ঘেউ করে চীৎকার করে। । সামান্য শব্দেই এদের ঘুম ভেঙ্গে যায়।
জীবনের সময়কাল- কুকুর সাধারণত দশ-বারো বছর বাঁচে। বছরে একবার কুকুর বাচ্চা দেয় ।একসঙ্গে অনেকগুলি বাচ্চা কুকুর প্রসব করতে পারে।
জাতি : কুকুর নানা জাতের হয়। এদের মধ্যে অ্যালসেশিয়ান উল্লেখযোগ্য। জাতের পার্থক্যের সঙ্গে কুকুরের স্বভাব, দেহের গঠন ও রং-এ অনেক পার্থক্য দেখা যায়। মানুষ বাড়িতে শখ করে অনেক বিদেশি জাতের কুকুর পোষে ।রাস্তায় অনেক জাতির কুকুর ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়
খাদ্য : কুকুর মাংসাশী প্রাণী।তাই মাংসই এদের সবচেয়ে প্রিয় খাদ্য। এছাড়াভাত, রুটি, মাছ, দুধ ইত্যাদি কুকুরের খাদ্য হিসাবে বিবেচিত হয়।
উপকারিতা ঃ মানুষ কুকুরের কাছ থেকে অনেক উপকার পায়। যেমন বাড়ির পাহারদার হিসাবে , ইউটিউবে ভিডিও করার কাজে, সার্কাসে খেলা দেখানো কাজে ।,চোর ডাকাত, খুনি কে ধরার জন্য পুলিশ কুকুর ব্যবহার করে। কোথায় বোম লুকানো আছে কিনা সেখানেও কুকুরের সাহায্য নেয়া হয়। ভূমিকম্পের কোন মানুষ চাপা পড়েছে কিনা সেখানেও কুকুরের সাহায্য নেওয়া হয়। এক কথায় কুকুরের ঘ্রাণ শক্তি কে কাজে লাগিয়ে মানুষ অনেক উপকার পায় । বরফের দেশে কুকুরকে শ্লেজ গাড়ি টানতে কাজে লাগানো হয়।
অপকারিতা -প্রত্যেককের যেমন ভালো দিক আছে ।তেমন খারাপ দিক আছে। রাস্তার কুকুর ভাগাড় থেকে মাংস এনে লোকালয়ে ফেলে দিতে পারে। পথচলতি কোন মানুষকে কামড়ে তাকে অসুস্থ করে দিতে পরে। যার জন্য জলাতঙ্ক রোগ হয় এছাড়াও সময়েও অসময়ে চিৎকার মানুষের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়।
সুযোগ পেলে বাড়িতে রাখা খাবার খেয়ে নেয়।
উপসংহার : কুকুরের অনেক খারাপ দিক থাকা সত্ত্বেও মানুষ কুকুরকে নিজের আপন কেউ মনে করে। কুকুর মানুষের বিশ্বস্ত ও উপকারী বন্ধু। এরা কখনও বিশ্বাসঘাতকতা করে না।
গরু- রচনা
ভূমিকা : গরু একটি গৃহপালিত পশু। গরু স্তন্যপায়ী প্রাণী। গোরু মানুষের সবচেয়ে উপকারী পশু।
বর্ণনা : গোরুর চারটি পা, দুটি কান, দুটি শিং আছে। গরুর কান দুটি খুব লম্বা হয় ।গরুর একটি লম্বা লেজ আছে। লেজের আগায় একগুচ্ছ লোম আছে। এই লেজের সাহায্যে এরা মশা মাছি তাড়ায়। গোরুর পায়ের নিচে খুরদেখা যায় ।খুর গুলি চেরা। এদের গলার নিচের দিকে নরম চামড়াটিকে গলকম্বল বলে। গরুর নীচের মাড়িতে দাঁত থাকে। গোরুর সমস্ত শরীর লোমে ঢাকা। এরা চার-পাঁচ হাত লম্বা হয়। গরু সাদা, কালো, খয়েরি ইত্যাদি রং-এর হয়ে থাকে।
স্বভাব প্রকৃতি : গোরু খুব শান্ত ও নিরীহ প্রাণী। এরা মুখে হাম্বা হাম্বা শব্দ করে। -গরু সর্বদা মাথা নিচু করে খায় । গোরু প্রথমে খাবার ভালোভাবে না চিবিয়ে গিলে ফেলে।বিশ্রামের সময় আবার খাবার মুখে এনে ভালো করে চিবোয়। একে ‘জাবর কাটা’ বলে। এরা সহজেই পোষ মানে।
খাদ্য : গোরুর খাদ্য ঘাস, খড়, লতাপাতা, ভূষি, বিচালি, খোল, ভাতের ফ্যান ইত্যাদি।
উপকারিতা : গাভী গরু আমাদের দুধ দেয় সেই দুধ সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর পানীয়। শিশু, বৃদ্ধ, রোগী সবাই খেতে পারে। দুধ থেকে দই, ছানা, ক্ষীর, মাখন, ঘি এবং নানারকম সুস্বাদু খাদ্য তৈরি হয়। বলদ-গোরু লাঙ্গল টেনে চাষের কাজে সাহায্য করে। আবার গাড়িও টানে। গোবর সার জ্বালানী হিসাবে ব্যবহৃত হয়। আজকাল গোবর গ্যাস রান্নার কাজে এবং আলো জ্বালাতে ব্যবহৃত হচ্ছে। গোরুর চামড়ায় জুতো, ব্যাগ, সুটকেস তৈরি হয়। গোরুর হাড় গুঁড়ো করে সার তৈরি হয়।শিং ও হাড় অনেক কাজেও লাগে।
অপকারিতা -প্রত্যেকে যেমন একটা ভালো দিক আছে তেমন খারাপ দিকও আছে। গরু সুযোগ পেলে অনেক ফসল খেত নষ্ট করে দেয় । শিং দিয়ে অনেক সময় মানুষকে আক্রমণ করে ।
উপসংহার : গরু মানুষের নানাভাবে উপকার করে। হিন্দুরা গোরুকে ভগবতী রূপে পূজা করে। খাদ্য সংকট ও রোগ অসুখ-বিসুখের জন্য গরুর সংখ্যা আস্তে আস্তে অনেক কমে যাচ্ছে। আমাদের সকলের উচিত এই উপকারী জীবটিকে বাঁচিয়ে রাখা এবং লালন পালন করা ।