চতুর্থ শ্রেণি বাংলা বাঘা যতীন গল্পের হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নে উত্তর
আদর্শ ছেলে কবিতা প্রশ্নের উত্তর
যতীনের জুতো প্রশ্নের উত্তর দেখুন
চতুর্থ শ্রেণি বাংলা বাঘা যতীন গল্পের পৃথ্বীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়
হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নে উত্তর শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তরগুলি দেয়া হলো
হাতেকলমে প্রশ্নের উত্তর
১. পৃথ্বীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় কার দৌহিত্র?
উঃ বাঘাযতীনের দৌহিত্র পৃথ্বীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়।
১.২তাঁর লেখা একটি বইয়ের নাম লেখো।
.উঃ তাঁর লেখা একটি বই হল ‘আলোর চকোর'।
১০. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও :
১০.১. জ্যোতির মায়ের নাম কী?
উঃ জ্যোতির মায়ের নাম শরৎশশী।
১০.২. মা জ্যোতিকে কোন নদীতে স্নান করাতে নিয়ে যেতেন?
উঃ মা জ্যোতিকে গড়ুই নদীতে স্নান করতে নিয়ে যেতেন।
১০.৩. রবি ঠাকুরের ভাইপো কে?
উঃ রবি ঠাকুরের ভাইপো সুরেন।
১০.৪. জ্যোতির ন-মামার নাম কী?
উঃ জ্যোতির ন-মামার নাম অনাথ।
১০.৫. ফেরাজ খাঁ-এর বাড়ি কোথায় ছিল?
উঃ ফেরাজ-এর বাড়ি ছিল।উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে ।
১০.৬. জ্যোতির বড়োমামার পেশা কী ছিল?
উঃ জ্যোতির বড়োমামার পেশা ছিল ওকালতি।
১০.৭. জ্যোতি কোন্ স্কুলে ভরতি হয়েছিল?
উঃ জ্যোতি কৃয়নগরের অ্যাংলো ভার্নাকুলার হাইস্কুলে ভরতি হয়েছিল।
১০.৮, ১৮৯৩ সালে জ্যোতির বয়স ছিল ৪। কত সালে জ্যোতির ৭ বছর বয়স ছিল?
উঃ ১৮৮৬ সালে জ্যোতির বয়স ছিল ৭ বছর।
১১. নীচের শব্দগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
১১.১. জ্যোতি কীভাবে সাঁতার শিখেছিল?
উঃ জ্যোতির মা জ্যোতিকে নিয়ে গড়ুই নদীতে স্নান করতে যেতেন। শাড়ির একমুড়ো জ্যোতির কোমর বেঁধে অন্য মুড়োটা বজ্রমুষ্টিতে ধরে তিনি একমাত্র ছেলেকে তিনি ছুঁড়ে ফেলে দিতেন জোয়ারের জলে। জলে ঢেউ-এর সঙ্গে আপ্রাণ লড়তে লড়তে জ্যোতি সাঁতার শেখে।
১১.২. কৃষ্ণনগর স্কুলে জ্যোতির কাঁঠাল পাড়ার কাহিনিটি বর্ননা করো।
উঃ স্কুলের গাছে বড়ো কাঁঠাল পেকেছে। গন্ধে সবার মন মেতে উঠেছে। ইচ্ছে থাকলেও কারো সাহস হতো না কাঁঠালটি পেড়ে আনবে। জ্যোতি একটা মতলব বের করল। স্কুল ছুটির শেষে সবাইকে বাড়ি যেতে মানা করল। ছুটির শেষে বন্ধুদের কয়েকজনকে নিয়ে সে কাঁঠালটা পাড়ল। তারপর মহানন্দে সহপাঠীদের সঙ্গে জ্যোতি ভোজ বসিয়েছিল ।
১১.৩. নগরে জ্যোতি কীভাবে একটি শিশুকে বাঁচিয়েছিল সেই কাহিনিটি লেখো।
উঃ জ্যোতি একদিন কৃষ্ণনগরের বাজারে দোকানে গিয়েছে কাগজ-পেনসিল কিনতে। এমন সময় সে দেখল পথচারীরা সবাই ছুটে পালাচ্ছে। একটা পাগলা ঘোড়া বেরিয়েছে
রাস্তায়। সে আরও দেখল যে, রাস্তার মাঝখানে একটি শিশু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদছে আর ওই পথেই পাগলা ঘোড়া তীব্রগতিতে ছুটে আসছে।জ্যোতির দিকে। সেই মুহূর্তে ঘোড়াটা শিশুটির সামনে চলে এসেছে। জ্যোতি তিরবেগে ঝাঁপিয়ে পড়ে চেপে ধরল ঘোড়ার কেশর। ঘোড়াটা জ্যোতিকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করল কয়েকটা ঝটকা দিয়ে। জ্যোতি ততক্ষণে উঠে বসে শান্ত ভঙ্গিতে ঘোড়ার পিঠে গলায় দাবনাতে ছোটো ছোটো চাপড় মেরে হাত বুলিয়ে দিতে লাগল। ঘোড়া শান্ত হয়ে গেল। শিশুটিও বাঁচতে পারল।
১১.৪. জ্যোতির জীবনে তাঁর মা ও দিদির ভূমিকার কথা লেখো।
উঃ জ্যোতির মায়ের নাম ছিল শরৎশশী। তিনি ছিলেন সুপটু সাঁতারু।তিনি যেমন সাহসী ছিলেন। তার ছেলেকে সাহসী ও বিপদকে তুচ্ছ করতে শিখিয়েছিলেন। তিনি একরত্তি ছেলেকে কেউ গঙ্গার জোয়ারের জলে ছুঁড়ে সাঁতার শেখাতেন।
তাঁর জ্যোতির দিদির নাম ছিল বিনোদবালা। সেও ছিল শান্ত, ধীর, স্থীর। রাতেরবেলায় মায়ের কোলে শুয়ে জ্যোতি, দিদি বিনোদবালার সঙ্গে মায়ের কাছে নানান গল্প শুনতো।
১১.৫. পাঠ্যাংশে জ্যোতির জীবনে তাঁর মামাদের প্রভাব কেমন ছিল?
উঃ জ্যোতি খুব দস্যি ছেলে হলেও সে মামার বাড়িতেই মানুষ। মামারা জ্যোতিকে খুব ভালোবাসত। জ্যোতি সব কিছুতেই ছিল
পারদর্শি। মামারা যেমন ছিলেন উচ্চশিক্ষিত, ভালো বনেদি পরিবার, শিকার করা, অভিনয়, নাটক-থিয়েটার করা,
গরিব-দুঃখীদের দেখা সবকিছুতেই তাঁরা ছিলেন সিদ্ধহস্ত। জ্যোতিও হয়েছিল মামাদের মতো। মামারাও জ্যোতির সবকিছুতেই
প্রেরণা যুগিয়েছিল। পড়াশুনাতেও জ্যোতি ছিল তুখর। মানুষের দুঃখে দুঃখ পেত সে, জাতপাত বিচার করতো না, মানুষের
বিপদে এগিয়ে যেত। মামাদের সবরকম প্রভাব তার ওপর পড়েছিল বলেই সে আমাদের কাছে একজন স্মরণীয় ব্যক্তি।
১১.৬. জ্যোতির মামাবাড়ির সঙ্গে রবিঠাকুরের সম্পর্ক কী ছিল?
উঃ জ্যোতির মামার বাড়ি হল রবিঠাকুরের বন্ধুর বাড়ি। ঠাকুরবাড়ির সঙ্গে কয়ার চাটুজ্যে বাড়ির তিন-চার পুরুষের সম্পর্ক।
বড়োমামা বসন্তকুমারের মক্কেল ও বন্ধু ছিলেন রবিঠাকুর।
১১.৭. ‘ফেরাজের কাছে জ্যোতি খবর পেল,'— কে এই ফেরাজ? তাঁর কাছ থেকে জ্যোতি কী খবর পেল?
উঃ ফেরাজ খাঁ চাটুজ্যে-বাড়ির পাহারাদার। তাঁর বাড়ি উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে (বর্তমান আফগানিস্তানে)। লাঠি,
ছোরা, তরোয়াল, বন্দুক চালাতে অতি দক্ষ সে।
১১.৮. পাঠ্যাংশ থেকে খুঁজে নিয়ে জ্যোতির শিশুসুলভ/কিশোরসুলভ চাপল্যের উদাহরণ দাও।
উঃ কিশোর বয়সে জ্যোতি মায়ের সঙ্গে গঙ্গায় সাঁতার শিখল। সে মায়ের কোলে শুয়ে গল্প শুনতো। সে গল্প শুনতো
আর বলত বড়ো হয়ে সে সবার দুঃখ ঘুচিয়ে দেবে। একবার সে স্কুলের বাগান থেকে পাকা কাঁঠাল পেড়ে এনে বন্ধুদের
নিয়ে ভোজ বসিয়েছিল। এমনকি পাগলা ঘোড়ার হাত থেকে রাস্তায় থাকা এক শিশুকে বাঁচিয়েছিল সে।
১১.৯. 'কিছুই হয়নি এমনভাবে জ্যোতি চলে গেল তার নিজের পথে'— কোন ঘটনার পর জ্যোতি এমনভাবে চলে
গিয়েছিল?
উঃ পাগলা ঘোড়ার হাত থেকে যখন রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা শিশুটিকে বাঁচালো তখন সকল পথচারীরা ধন্য ধন্য করে উঠল। এমনকি ঘোড়াটাকেও শান্ত করে দিয়েছিল। পথচারীরা তো অবাক। সাহসের সঙ্গে নিজের পথে জ্যোতি চলে গেল । এর জন্য কোন বাহবা নিতে চাইলেননা।
১১.১০. জাতপাতের ক্ষুদ্র সংকীর্ণতা ছোটোবয়েসেই কীভাবে জ্যোতি অতিক্রম করতে পেরেছিল?
উঃ জ্যোতি জাতপাত মানতো না। এসব বিশ্বাসও করত না। জ্যোতির মামার বাড়িতে দুর্গাপুজো হত। সেই সময় চারদিন
তার মামার বাড়িতে নিত্য প্রায় ৪০০ কেজি চালের ভাত রান্না করা হত। বহুলোকের সমাগম হত। তারা মায়ের প্রসাদ খেতো।