আমাজনের জঙ্গলে অমরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী চতুর্থ শ্রেণি বাংলা অনুশীল প্রশ্নের উত্তর -class 4 bangla amajaner jaunjale
"মায়াদ্বীপ "-প্রশ্নের উত্তর
চতুর্থ শ্রেণি
বাংলা
আমাজনের জঙ্গলে
অমরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
হাতে কলমে অনুশীল প্রশ্নের উত্তর
গুরুত্বপূর্ণ হাতেকলমে প্রশ্নের উত্তর
১। অমরেন্দ্র চক্রবর্তীর লেখা দুটি বইয়ের নাম লেখো।
উঃ হীরু ডাকাত ও শাদাঘোড়া অমরেন্দ্র চক্রবর্তীর লেখা দুটি বই।
২। ভ্রমণ পত্রিকা ছাড়াও তিনি আর কোন্ পত্রিকার সম্পাদক?
উঃ তিনি কর্মক্ষেত্র, কালের কষ্টিপাথর পত্রিকার সম্পাদক।
ঠিক উত্তরের তলায় দাগ দাও :
৩.১ লেখক গল্পটিতে যে জায়গার উল্লেখ করেছেন সেটি হল
(ইউক্রেন/আমাজন/ সুন্দরবন)।
উঃ আমাজন।
৩.২ আমাদের একেবারে (পিছনের/সামনের/পাশের) নৌকা থেকে ভারি সুরেলা বাজনা ভেসে আসছিল।
উঃ সামনের।
৩.৩ কোনও একটা নৌকা থেকে বোতোর দেখা পাওয়ার
(মিনিট দুয়েকের/মিনিট সাতেকের/মিনিট দশেকের) মধ্যেই সব নৌকায় সেই সুখবর ছড়িয়ে যায়।
উঃ মিনিট দুয়েকের।
৩.৪ (উবা/বোতো/টোবো) আমার চোখের দৃষ্টি দেখে বুঝতে চায় আমি কে?
উঃ উবা।
৩.৫ উবা (চকখড়ি/লতাপাতা/কাঠকুটো) দিয়ে ছবি আঁকায় ভারি ওস্তাদ।
উঃ কাঠকুটো।
নীচের শব্দগুলি দিয়ে বাক্যরচনা করো :
ধীরে ধীরে - বয়স্ক লোকটি ধীরে ধীরে হাঁটছে।
বসে-বসে - ছেলেটি বসে বসে ঘুমাচ্ছে
আগে-আগে- ভোজ বাড়িতে আগে আগে খেতে হয়
হেঁটে-হেঁটে—বর্ষাকালে অজয় নদী হেঁটে হেঁটে পার হয়ে যাওয়া যায়
জেগে-জেগে— ছেলেটি পরীক্ষার সময় রাত জেগে জেগে পড়ে।
গল্পের ঘটনা অনুযায়ী নীচের বাক্যগুলি পরপর সাজিয়ে লেখো :
৭.৫ সামনের নৌকা থেকে সুরেলা বাজনা ভেসে আসছিল।
৭.১ বোতোকে দেখা গেছে।
৭.২ বোতোকে দেখার জন্য আমি ব্যাকুল হয়ে পড়েছিলাম।
৭.৪ একটা নৌকার গানবাজনা থেমে গেলে বাকিরা যারা যত আগে আগে খেয়াল করবে।
তারা তত আগে তাদের নৌকার বাজনা থামাবে।
৭.৩ বোতো মনের ভেতরের ঘুরে তালে ছন্দে নেচে বেড়াচ্ছে।
৮। নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও :
৮.১ লেখক কোথায় হারিয়ে গিয়েছিলেন?
উঃ লেখক আমাজনের জঙ্গলে হারিয়ে গিয়েছিলেন।
৮.২ লেখক কাকে বন্ধু হিসেবে পেয়েছিলেন?
উঃ লেখক আমাজনের বাসিন্দা উবা নামে এক সহজ-সরল আদিবাসী কিশোরকে বন্ধু হিসেবে পেয়েছিলেন।
৮.৩ জলের দেবতা বলে কাকে আমাজনের বাসিন্দারা মানে?
উঃ বোতো নামে একটি জলজ গোলাপি রঙের প্রাণীকে জলের দেবতা মানে।
৮.৪ উবা কোন্ শহরকে বালির দেশ বলে বুঝিয়েছিল?
উঃ কলকাতা শহরকে উবা বালির দেশ বলে বুঝিয়েছিল।
৮.৫ বালির দেশ—কথার অর্থ কী? উঃ বালির দেশ কথার অর্থ মরুভূমি।
৯. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
৯.১ কাকাদের সঙ্গে না থাকাকে পাঠ্যাংশের আগন্তুক ছেলেটি সৌভাগ্যজনক মনে করেছে কেন?
উঃ কাকাদের সঙ্গে থাকলে আগন্তুক ছেলে দক্ষিণ আমেরিকার আমাজনের জঙ্গলে ঢুকতে পারত না। আমাজনের
জঙ্গলের বর্ণময় রূপ, আমাজনের মতো সুন্দর নদী, সেখানকার আকাশে চাঁদের দৃশ্য, সেখানকার কৃত্রিম সরস মানুষজনের
সঙ্গলাভ করতে পারত না। লেখক তাই একে সৌভাগ্যজনক মনে করেছেন।
৯.২ কোন উৎসবের কথা পাঠ্যাংশে রয়েছে? কীভাবেই বা সে প্রসঙ্গ উত্থাপিত হয়েছে?
উঃ পাঠ্যাংশে নৌকা উৎসবের কথা বলা হয়েছে।
কিশোর লেখক নৌকা উৎসবের দিনে তার সমবয়সি সেখানকার এক কিশোরের সঙ্গলাভ করে একটি নৌকায় উৎসব দেখতে আমাজনের জলে ভাসছিল। সেই নদীর জলে রাতে চাঁদের আলোয় বোতো নামে একটি বিচিত্র জলজ প্রাণীর দেখা পাওয়ায় এই উৎসবের প্রসঙ্গ এসেছে। এই উৎসবের দিনে বোতোর দেখা পাওয়া সৌভাগ্যের সূচক। ওই জলজ প্রাণীটির অকস্মাৎ দর্শনলাভেই সেখানকার নৌকা উৎসবের প্রসঙ্গ এসেছে।
৯.৩ ‘বোতো’ সম্পর্কে আমাজন অঞ্চলে প্রচলিত বিশ্বাসটি কী? তার সম্বন্ধে সকলে কী কল্পনা করে?
উঃ ‘বোতো’ সম্পর্কে আমাজন অঞ্চলে প্রচলিত হল, ওই জলজ জীবটির দর্শন পাওয়া সবসময় ভালো। এ ছাড়া নৌকো
উৎসবের দিনে বোতোর দেখা পাওয়া সৌভাগ্যের লক্ষণ।তার সম্পর্কে সকলে কল্পনা করে যে, বোতোই নাকি আমাজনের বিপদে-আপদে মানুষকে রক্ষা করে। জলের তলায় তার মস্ত শহর, সেখানে রঙিন পাথরে তৈরি তার বিরাট প্রাসাদ।
৯.৪ গল্প কথকের চোখে দেখা ‘বোতো’-র শারীরিক গঠনের পরিচয় দাও। তাকে দেখে আগন্তুক ছেলেটির কেমন লাগল?
উঃ গল্পকথকের চোখে দেখা ‘বোতো’-র শারীরিক গঠনের পরিচয় নিম্নরূপ—
খুব লম্বা মতো একটি প্রাণী তিন-চার হাত জলের নীচে ধীরে ধীরে এঁকেবেঁকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তার নাক বা ঠোঁট খুব
সরু, লম্বায় প্রায় এক-দেড় হাত। মস্ত বড়ো মাথা, এর মস্তিষ্ক মানুষের চেয়ে বড়ো হলে আশ্চর্যের কিছু নেই। এর ল্যাজটা
শরীরের শেষপ্রান্ত থেকে দু-দিকে ভাগ হয়ে ভারি সুন্দর দেখাচ্ছে। রংটা ঠিক লাল নয়, মনে হয় যেন গোলাপির দিকেই।
৯.৫ যে রাতের ছবি পাঠ্যাংশে রয়েছে, তার বিশেষত্বটি কী, লেখো।
উঃ পাঠ্যাংশে যে রাতের ছবিটি রয়েছে তার বিশেষত্ব হল, সেই রাত ছিল নৌকো উৎসবের রাত। সেই নৌকা উৎসবের রাতে আমাজনের জলে ভাসে অসংখ্য নৌকো। নৌকো ভাসিয়ে সেখানকার আদিবাসীরা সুরেলা বাজনা বাজায়। গান-বাজনা চলে। সেই রাতের নদীর বুকে ‘বোতো’ নামক জলজ প্রাণীর দর্শন লাভ করলে মানুষের সৌভাগ্য মনে করা
হয়—এটাই হল সেখানকার বিশেষত্ব।
৯-৬ বোতোর কাছে আগন্তুক ছেলেটির নীরব প্রার্থনাটি কী ছিল?
উঃ বোতোর কাছে আগন্তুক ছেলেটির নীরব প্রার্থনা ছিল, বোতো যদি সত্যিই আমাজনের রক্ষাকর্তা হয় তাহলে আগন্তুককে সে যেন তার মা-বাবার কাছে আর স্কুলের বন্ধুদের কাছে ফিরে যাওয়ার উপায় করে দেয়।
৯.৭ ছবি এঁকে আগন্তুক ছেলেটি ‘উবা’-কে কী বোঝাতে চেয়েছিল?
উঃ ছবি এঁকে আগন্তুক ছেলেটি উবাকে বোঝাতে চেয়েছিল, আগন্তুক কলকাতায় থাকে, তার বাবা-মায়ের কথা, বন্ধুদের
কথা, স্কুলের কথা, কলকাতা শহরের কথা, শহর ভরা ঘরবাড়ি, গাড়ি-ঘোরা, দোকানবাজার, লোকজনের কথা বোঝাল।
৯.৮ ‘উবা’-র কলকাতা সম্বন্ধে কী ধারণা হলো?
উঃ কলকাতা সম্পর্কে উবার ধারণা হল, কলকাতায় জঙ্গল নেই, পাখি নেই, প্রজাপতি নেই, বড়ো বড়ো নদী নেই। কলকাতা একটা শুধু বালির দেশ। অর্থাৎ কলকাতা একটা মরুভূমির দেশ।
৯.৯ কলকাতা সম্পর্কে ‘উবা’-র ধারণাকে বদলে দিতে তুমি কী কী করতে চাও, লেখো।
উঃ কলকাতা সম্পর্কে ‘উবা’-র ধারণাকে বদলে দিতে আমি যা যা করতাম তা হল এইরকম—গঙ্গা আমাদের দেশের দীর্ঘতম নদী। এই নদী-তিরেই আমাদের কলকাতা নগরী। তাই প্রসঙ্গত গঙ্গার তিরে কলকাতার
যত দূর অংশ বিস্তৃত আছে ততদূর অংশে অন্তত একশো মিটার চওড়া এলাকায় ঘন জঙ্গলের উপযোগী গাছপালা
কিছু প্রশ্ন
১। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো :
(১) আমাদের একেবারে (পিছনের/পাশের/সামনের) নৌকো থেকে ভারী সুরেলা বাজনা ভেসে আসছিল।
উত্তর : সামনের।
(২) (এক মিনিটের/দু-মিনিটের/তিনমিনিটের)—মধ্যেই কাছে দুরে সব কটা নৌকোর গান-বাজনা থেমে ে
উত্তর ঃ দু-মিনিটের।
(৩) (বোতোই/টোটোই/উবাই)—নাকি আমাজনের বিপদে-আপদে মানুষকে রক্ষা করে।
উত্তর ঃ বোতোই।
(৪) বোতো জলের (তিন-চার হাত / দশ-বারো হাত/চোদ্দো-পনেরো হাত)—নীচে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
উত্তর : তিন-চার হাত।
(৫) (উবা মাটির ওপর রংতুলি দিয়ে/কাঠকুটো দিয়ে)—ছবি তৈরি করতে লাগল।
উত্তর ঃ কাঠকুটো দিয়ে।
(৬) উবা কলকাতাকে বলে (বালির দেশ/সবুজের দেশ/জলের দেশ)।
উত্তর : বালির দেশ।