class 8 poribesh 11 chapter question answer/অষ্টম শ্রেণি পরিবেশ ও বিজ্ঞান 11 অধ্যায় আমাদের চারপাশে পরিবেশে উদ্ভিদ জগৎ - Online story

Sunday 2 October 2022

class 8 poribesh 11 chapter question answer/অষ্টম শ্রেণি পরিবেশ ও বিজ্ঞান 11 অধ্যায় আমাদের চারপাশে পরিবেশে উদ্ভিদ জগৎ

 



১০ অধ্যায়ের প্রশ্নের উত্তরগুলি দেখুন
অষ্টম শ্রেণি
পরিবেশ ও বিজ্ঞান
 11 অধ্যায়

 আমাদের চারপাশে পরিবেশে উদ্ভিদ জগৎ

প্রঃ। বাঁশের কোন্ অংশ সুস্বাদু খাদ্যরূপে ব্যবহৃত হয়?
উঃ। বাঁশের গোড়া থেকে বেরোনো কচি কাণ্ড এশিয়ার বিভিন্ন দেশে সুস্বাদু খাদ্য রূপে ব্যবহৃত হয়।

প্রঃ। ভারতবর্ষে বাঁশ কী কী কাজে ব্যবহার হয়?
উঃ। ভারতবর্ষে বাঁশ কাগজ তৈরি, ঝুড়ি বা চুবড়ি, ফুলদানি এমনকি ঘর সাজানে কাজে ব্যবহার হয়।


প্রঃ। তবাশির (Tabashir) কী ?

উঃ। বাঁশ থেকে তৈরি সিলিকন ডাই অক্সাইড ও. সিলিসিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ এক গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ তবাশির যা হাঁপানি সর্দিকাশি ও নানা সংক্রামক ব্যাধির চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।


প্রঃ। bamboo fabric ইদানিং কী কাজে ব্যবহার হয়?
উঃ বাঁশের তত্তুর ব্যাস 3 মি.মি.-র কম তাই জামাকাপড় তৈরির কাজেও একে ব্যবহার করা হচ্ছে।


প্রঃ। কচুরিপানা কী ধরনের উদ্ভিদ?

 উঃ। কচুরিপানা একটি জলে ভাসমান বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ।
প্রঃ। কচুরিপানা কত বছর বেঁচে থাকে?

উঃ। প্রায় 24 বছর বেঁচে থাকে।


প্রঃ। পুকুরে কচুরিপানা বেড়ে গেলে কী ক্ষতি হয়?
উঃ। জলে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়। এতে জলে থাকা মাছ ও কচ্ছপদের মৃত্যু হয়।


প্রঃ। কচুরিপানা থেকে কোন্ গ্যাস উৎপন্ন করা হয় এবং কেন?
উঃ। কচুরিপানায় নাইট্রোজেনের পরিমাণ বেশি থাকায় এটিকে বায়োগ্যাসের উৎসরূপে
ব্যবহার করা হয়।


প্রঃ। শাল কী ধরনের উদ্ভিদ?
উঃ। শাল একটি বহুবর্ষজীবী কাষ্ঠল, দ্বিবীজপত্রী ও বৃক্ষজাতীয় উদ্ভিদ।


প্রঃ। রজন কী কাজে লাগে?
উঃ। শালগাছের গুঁড়ি থেকে রজন পাওয়া যায়। এটি স্পিরিট ও বার্নিশ তৈরির কাজে লাগে।

প্রঃ। ট্যানিন কী কাজে লাগে?
উঃ। শালগাছের ছাল থেকে প্রাপ্ত ট্যানিন চমশিল্পে ব্যবহৃত হয়।

প্রঃ। শালবীজের তেল কী কাজে ব্যবহৃত হয়?
উঃ। শালগাছের বীজ থেকে নিষ্কাশিত তেল প্রদীপ জ্বালাতে, রান্নার কাজে ও চকোলেট প্রস্তুত করার কাজে লাগে।


প্রঃ। কোন্ গাছকে লবণাম্বু বা ম্যানগ্রোভ গাছ বলে ?


উঃ। সুন্দরবনের লবণাক্ত অঞ্চলে মিষ্টি জলে সুন্দরী গাছ জন্মায়। সুন্দরী গাছকে লবণাম্বু বা ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ বলে।

প্রঃ। সুন্দরী গাছের ফল কীসের মতো দেখতে?
উঃ। সুন্দরী গাছের ফল ডিমের মতো, তবে একটু লম্বাটে ধরনের।



প্রঃ। ভাস্কো-দা-গামা কত সালে ভারতে আসেন?
উঃ। 1497 সালে সুদুর পোর্তুগালের লিসবন থেকে ভাস্কো-দা-গামা 4টি জাহাজ নিয়ে ভারতে আসেন।

প্রঃ। লবঙ্গতে কী রাসায়নিক পদার্থ থাকে? এটি কী কাজ করে?

উঃ। লবঙ্গতে ইউজিনল নামে এক রাসায়নিক পদার্থ থাকে। এটির ব্যাকটেরিয়া নাশক ক্ষমতা রয়েছে।
প্রঃ। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কত ধরনের মশলার চাষ হয়?

 উঃ। প্রায় ৪০ ধরনের মশলার চাষ হয়।

প্রঃ। ভারতে কত ধরনের মশলার চাষ হয়? 

উঃ। শুধু ভারতেই প্রায় 50 ধরনের মশলার চাষ হয়।

প্রঃ। কোন্ গাছের ছাল মশলা হিসাবে ব্যবহার হয়? 

 উঃ। দারচিনি গাছের ছাল মশলা হিসাবে ব্যবহার হয়।

প্রঃ। কোন্ গাছের ফল মশলা হিসাবে ব্যবহার হয়? 

উঃ। গোলমরিচ গাছের ফল।

প্রঃ। কোন মুকুলকে আমরা মশলা হিসাবে ব্যবহার করি?
উঃ। লবঙ্গকে আমরা মশলারূপে ব্যবহার করি।

প্রশ্ন-কোন কোন গাছের কন্দ আমরা মশলা হিসাবে ব্যবহার করি?

 উঃ। পিঁয়াজ, আদা, রসুন।

প্রঃ। কোন্ কোন্ গাছের পাতা আমরা মশলা হিসাবে ব্যবহার করি?
উঃ। তেজপাতা, ধনেপাতা, পুদিনা পাতা মশলা হিসাবে ব্যবহার করি।

প্রঃ। কোন্ কোন্ গাছের গ্রন্থিকাণ্ড মশলা হিসাবে ব্যবহার করি?
উঃ। আদা, হলুদ


প্রঃ- হিং কী ধরনের পদার্থ?

উঃ। হিং হল গাছের ক্ষরিত পদার্থ।

প্রঃ। কোন্ কোন্ গাছের বীজ আমরা মশলা হিসাবে ব্যবহার করি?

উঃ। ধনে, সরষে, মেথি, জিরে, পোস্ত, জোয়ান, মৌরি প্রভৃতি।

প্রঃ। জায়ফল কী?
উঃ। জায়ফল একটি অন্তবীজ।

প্রঃ। জাফরান কী?
 উঃ। জাফরান হল ফুলের অংশ।
প্রঃ। গোলমরিচ কী ধরনের উদ্ভিদ?

উঃ। গোলমরিচ একটি বহুবর্ষজীবী লতাজাতীয় উদ্ভিদ। অন্য গাছে ভর করে এটি বেড়ে ওঠে

প্রঃ। গোলমরিচ কাঁচা, পাকা, শুকিয়ে গেলে কেমন রঙের হয়?

উঃ। গোলমরিচ কাঁচা অবস্থায় সবুজ, পেকে গেলে লাল এবং শুকনো হলে কালো রঙের হয়।

★প্রঃ। গোলমরিচের স্বাদ ঝাল কেন?
উঃ। গোলমরিচে পিপেরাইন থাকার জন্য এর স্বাদ তীক্ষ্ণ বা ঝাল হয়।

প্রঃ। দারচিনি কী ধরনের উদ্ভিদ? এই উদ্ভিদের কোন অংশ ব্যবহার হয়?

উঃ। দারচিনি চিরহরিৎ উদ্ভিদ। এই গাছের কান্ডের ছালের ভিতরের স্তর শুকিয়ে দারচিনি তৈরি হয়।

প্রঃ। প্রাচীনকালে কোন্ মশলাকে এক অমূল্য মশলা হিসাবে ব্যবহার করা হত?

উঃ। প্রাচীনকালে দারচিনিকে এক অমূল্য মশলা হিসাবে ব্যবহার করা হত।

প্রঃ। হলুদ কী ধরনের উদ্ভিদ?
উঃ। হলুদ একটি বহুবর্ষজীবী বীরুৎ জাতীয় উদ্ভিদ।

প্রঃ। এলাচ কী ধরনের উদ্ভিদ?
উঃ। এলাচ হল একরকমের বহুবর্ষজীবী বীরুৎজাতীয় উদ্ভিদ। এর কান্ড থাকে মাটির নীচে।

প্রঃ। এলাচ কয় রকমের ও কী কী?
উঃ। দুই রকমের হয় যথা বড়ো এলাচ আর ছোটো এলাচ।

প্রঃ। রসুনে কী ধরনের যৌগ থাকে?
উঃ। রসুনে অ্যালিসিন নামে এক যৌগ থাকে। এই যৌগের জীবানুনাশক ক্ষমতা আছে।

প্রঃ। আদা কীরূপ উদ্ভিদ? এর কোন অংশ ব্যবহার করা হয়?

উঃ। আদা একটি বহুবর্ষজীবী বীরুৎ জাতীয় উদ্ভিদ। আদা গাছের গ্রন্থিকান্ডটিকে শুকিয়ে নিয়েই ব্যবহার করা হয়।


প্রঃ। রসুন কী জাতীয় উদ্ভিদ?
উঃ। রসুন বর্ষজীবী উদ্ভিদ।কাণ্ড কন্দ জাতীয়।

প্রঃ। বিশ্বে ওষধি গাছের সংখ্যা কত?
 উঃ। বিশ্বে ওষধি গাছের সংখ্যা প্রায় 20,000

প্রঃ। এশিয়া মহাদেশ এবং ভারতবর্ষে কত রকমের ওষধি প্রজাতির গাছ আছে?
উঃ। এশিয়াতে প্রায় 8500 প্রজাতির ওষধি গাছ আছে এবং ভারতবর্ষে প্রায় 3500. প্রজাতির ওষধি গাছ আছে।

প্রঃ। নিম কী ধরনের উদ্ভিদ?
উঃ। নিম একটি মাঝারি ধরনের বৃক্ষজাতীয় উদ্ভিদ। এই চিরহরিৎ উদ্ভিদ খুব তাড়াতাড়ি বাড়ে।

প্রঃ। বেল কী ধরনের উদ্ভিদ?
উঃ। এটি একটি মাঝারি আকারের পর্ণমোচী উদ্ভিদ।

প্রঃ। বেল কীসের ওষুধ?
উঃ। বেলে থাকে মিউসিলেজ আর পেকটিন যা কোষ্ঠকাঠিন্যের অব্যর্থ ওষুধ।

প্রঃ। আমলকী কী ধরনের উদ্ভিদ?

উঃ। আমলকী একটি মাঝারি ধরনের পর্ণমোচী বৃক্ষজাতীয় উদ্ভিদ।

প্রঃ-আমলকির মধ্যে কোন ভিটামিন প্রচুর পরিমাণ থাকে?
উঃ-প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন C থাকে।

প্রঃ-নয়ন তারা কত বর্ষজীবী উদ্ভিদ?
উঃ। নয়নতারা একবর্ষজীবী জাতীয় উদ্ভিদ।

প্রঃ-নয়নতারা থেকে কী উপক্ষার পাওয়া যায়?

উঃ। ক্লিন আর স্কিনরাস্টিন নামের উপক্ষার পাওয়া যায়।

প্রঃ- নয়নতারা গাছের মূলে কী থাকে?
উঃ। নয়নতারা গাছের মূলে রৌবেসিন নামে একটি উপক্ষার থাকে যা মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালনে বাধার সৃষ্টি হলে তা দূর

প্রঃ-পুদিনা ধরনের উদ্ভিদ?
উঃ। পুদিনা একটা বহুবর্ষজীবী বীরুৎজাতীয় উদ্ভিদ।

প্রঃ-পুদিনারএকটি ওষধি গুণের উল্লেখ করো।

উঃ। পুদিনার শরবত পেটের গোলমালে খুব উপকারী। এছাড়াও মুত্রের পরিমাণ বাড়াতে, বমিভাব দূর করতে পুদিনা উপকারী

প্রঃ। ঘৃতকুমারী কী ধরনের উদ্ভিদ?

 উঃ। ঘৃতকুমারী হল বহুবর্ষজীবী বীরুৎজাতীয় উদ্ভিদ।




প্রঃ। গাছ থেকে আমরা কী কী পেয়ে থাকি?

উঃ। উদ্ভিদের কাছ থেকে আমরা খাদ্য, ওষুধ, জামাকাপড়, ঘরবাড়ি তৈরির উপকরণ–অক্সিজেন, ইত্যাদি। এছাড়াও উদ্ভিদ পরিবেশ থেকে নূষক পদার্থ শুষে নিয়ে দূষণের মাত্রা কমায়। জমির সার তৈরি করে। পরিবেশের তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত
● বায়ুপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণেও গাছের নানা ভূমিকা আছে।
জনে বাঁশ ব্যবহার করা হয়?
উঃ। i) এর কান্ড, গোড়া, পাতা বিশ্বের বিপন্নতম প্রাণীদের খাদ্য। ii) বাঁশের গোড়া থেকে বেরোনো নতুন কচি কাণ্ড
এশিয়ার বিভিন্ন দেশে অত্যন্ত সুস্বাদু খাদ্যরূপে ও নানা পানীয় তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। iii) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নানা জায়গায়
সুপকে গরম করা ও ভাত রান্নার পাত্র রূপে বাঁশের ফাঁপা কাণ্ডকে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া রান্নার কাজে বাঁশের তৈরি
নানা উপকরণ ব্যবহার করা হয়। iv) ভারতবর্ষে বাঁশ কাগজ তৈরি, ঝুড়ি/চুপড়ি, ছাতার বাট, ফুলদানি, ট্রে, বাঁশি নানা
ধরনের খেলনা এবং এমনকি ঘরসাজানোর কাজে ব্যবহার করা হয়। v) বাঁশ থেকে এক গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ প্রস্তুত হয় যা
হাঁপানি, সর্দিকাশি ও নানা সংক্রামক ব্যাধির চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।


প্রঃ। কী কী প্রয়োজনে কচুরিপানার ব্যবহার করা হয়?
উঃ।1) কচুরিপানায় নাইট্রোজেনের পরিমাণ বেশি থাকায় এটিকে বায়োগ্যাসের উৎসরূপে ব্যবহার হয়। ii) ফিলিপিনস
থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে কচুরিপানার কাস্তকে এমব্রয়ডারির কাজে ব্যবহার করা হয়। কচুরিপানার তত্ত্বকে কাগজ, ঝুড়ি,
ফার্নিচার তৈরির কাজে ব্যবহার হয়। iii) সোনার খনি অঞ্চলে জলে নির্গত সায়ানাইড শোষণ করে এটি জলকে বিষমুক্ত
করে। আর্সেনিক সমৃদ্ধ পানীয় জল থেকে কচুরিপানা আর্সেনিককে সম্প্রসারিত করে। iv) নাইটিফিকেশন পদ্ধতিতে
নাইট্রোজেন আবদকরণ কচুরিপানার মূলে বসবাসকারী ব্যাকটেরিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। v) কচুরিপানায়
নাইট্রোজেন তথ্য প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকায় পশুখাদ্য রূপে এর কদর ক্রমশ বাড়ছে


প্রঃ- শাল গাছের গুনাগুন লেখ বা গাছের ব্যবহার লেখ
উঃ। খুঁটি, আসবাবপত্র, জানালা দরজার কাঠের ফ্রেম, পাটাতন, নৌকা, সেতু, জাহাজের জেটি প্রভৃতি শাল কাঠ
থেকে তৈরি হয়। ii) শালগাছের আঠা থেকে সুগন্ধযুক্ত লাল ধুনো পাওয়া যায়, যা ধূপ ও অন্যান্য কাজে ব্যবহার হয়।
iii) শালগাছের শুকনো পাতা থালা-বাটি, ঠোঙা, জ্বালানি প্রভৃতি কাজে ব্যবহৃত হয়। শালপাতা, গবাদি পশুর খাদ্য। iv)
গজন, স্পিরিট ও বার্নিশ তৈরির কাজে লাগে। v) ছাল থেকে প্রাপ্ত ট্যানিন চমশিল্পে ব্যবহৃত হয়। vi) শালবীজের তেল প্রদীপ জ্বালাতে, রান্নার কাজে লাগে।


প্রঃ। নিম গাছের ওষধি গুণ উল্লেখ করো।
উঃ। i) কানের ব্যথায়, দাঁত আর দাঁতের মাড়ির ব্যথায় নিমতেল ব্যবহার করা হয়। ii) বহুমূত্র রোগে নিমপাতার রস
খুবই উপকারী। বর্তমানে বহু প্রসাধনী জিনিস যেমন—সাবান, শ্যাম্পু, দাঁতের মাজন, পাউডার প্রভৃতি তৈরিতে নিমজার
পদার্থ ব্যবহার করা হয়। ভাইরাসজনিত মহামারি আর বাতে নিম বীজ কাজে লাগে। iii) কীটনাশক ওষুধ হিসাবেও
নিমতেলের ব্যবহার আছে। নিমের তেল চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে, যকৃতের কাজ করার ক্ষমতা বাড়াতে, রক্তকে
পরিষ্কার রাখতে ব্যবহার করা হয়। iv) ওষুধ তৈরি, চর্মরোগ সারাতেও এটি ব্যবহার করা হয়।

প্রঃ। বেলের ওষধি গুণ কী কী?
উঃ। i) বেলের শরবত আমাশয় রোগীদের অন্ত্রের যত্ন নেয়। ii) কাঁচা বা আধ-কাঁচা ফল খিদে
ও হজম ক্ষমতা বাড়ায়। iii) বেলে থাকে মিউসিলেজ আর পেকটিন যা কোষ্ঠকাঠিন্যে অব্যর্থ।
iv) দীর্ঘস্থায়ী পেটের অসুখে বেল কার্যকরী। বর্তমানে বিভিন্ন পরীক্ষায় বেলের পাতা, ফল আর
মূলের অ্যান্টিবায়োটিক বা জীবাণু প্রতিরোধী ক্ষমতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
প্রঃ। আমলকীর ঔষধি গুণাগুণ উল্লেখ করো।
উঃ। i) শুকনো আমলকী ফল পেটের গোলমাল, রক্তক্ষরণ আর আমাশয় বন্ধ করতে সক্ষম।
ii) আমলকী ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন C আছে। দাঁতের মাড়ি ফোলায় আমলকী ফল খুব
কাজে আসে। iii) আমলকী ফলের বীজ হাঁপানি, পিত্তরোগ আর ফুসফুসের প্রদাহে উপকারী। iv)
বমিভাব আর কোষ্ঠকাঠিন্যেও ভালো কাজ করে আমলকী। অ্যানিমিয়া, বার্ধক্য ও ক্যানসার দ্রুত
রোধে আমলকী ফল কার্যকরী।
আমলকী
প্রঃ। নয়নতারার ওষধি গুণ উল্লেখ করো।
উঃ। i) মূত্র বৃদ্ধি কারক, আমাশয় প্রতিরোধক, রক্তক্ষরণ প্রতিরোধক গুণ আছে। ii) নয়নতারা গাছের মূলে থাকে
রৌবেসিন নামে একটি উপক্ষার। মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালনে কোনোরকম বাধার সৃষ্টি হলে এই উপক্ষার সচল করতে সাহায্য
করে। iii) নয়নতারা পাতা বহুমূত্র রোগের একটা ভালো ওষুধ। iv) বোলতার কামড়ে নয়নতারা পাতা ব্যবহার করলে
উপকার পাওয়া যায়। v) নয়নতারায় ভিনক্রিস্টিন ও ভিনব্লাস্টিন নামে দুটি উপক্ষার পাওয়া যায়। এই উপক্ষার দুটি ব্লাড
ক্যানসার ও টিউমার প্রশমনে বর্তমানে চিকিৎসা জগতে ব্যবহৃত হচ্ছে।




প্রঃ। পুদিনার ওষধি গুণ উল্লেখ করো।

উঃ। i) পেট ফাঁপা, বদহজম, বাচ্চাদের পাতলা পায়খানা আর মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে পুদিনা
কার্যকরী। ii) পুদিনার শরবত পেটের গোলমালে খুব উপকারী। iii) কাশি, অরুচি ও পাকস্থলীর
প্রদাহে পুদিনা উপকারী। iv) পুদিনা জীবাণুনাশক হিসাবেও কাজ করে। পুদিনার প্রলেপ ব্যাথার
জায়গায় লাগালে বাতের যন্ত্রনা ও মাথাধরা কমাতে সাহায্য করে।
প্রঃ। ঘৃতকুমারীর কোন্ কোন্ ওষধি গুণ রয়েছে।
উঃ। i) গ্যাস্ট্রিক ক্ষত, কোষ্ঠকাঠিন্য, তেজস্ক্রিয় বিকিরণজনিত চামড়ার ক্ষতে
ঘৃতকুমারী পাতার নির্যাস ব্যবহার করা হয়। ii) ভিটামিন, খনিজ় মৌল, ফ্যাটি অ্যাসিড,
অ্যামাইনো অ্যাসিড, ঘৃতকুমারী পাতার নির্যাসে পাওয়া যায়। iii) ঘৃতকুমারী নির্যাসে
অ্যান্টিপাইরেটিক উপাদান থাকায় জ্বর হলে তাপমাত্রা কমাতে এটি ব্যবহৃত হয়। iv)
ঘৃতকুমারীর নির্যাসে প্রায় 99% জল থাকে তাই এর নির্যাস ব্যবহার করলে চামড়ায় রক্ত
ও অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি পায়। v) মানসিক চাপ ও উদবেগ কমাতে ঘৃতকুমারী পাতার
নির্যাস ব্যবহার করা হয়।


প্রঃ-ত্রিফলা কি ?এ ব্যবহার লেখ
1. ত্রিফলা ঃ ত্রিফলা হল একধরনের আয়ুর্বেদিক ওষুধ। ত্রিফলা কথাটির অর্থ হল তিনটে ফল।
ত্রিফলায় থাকে সমপরিমাণে আমলকী, হরতকি, আর বহেড়া। ত্রিফলাচূর্ণ জোলাপের কাজ করে,
যা আমাদের শরীরের পরিপাকনালীকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। ত্রিফলা রক্ত পরিষ্কারক
হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে ত্রিফলায় খুব বেশি পরিমাণে ভিটামিন C থাকায় ত্রিফলাকে
অনেকসময় সহযোগী খাদ্য হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। 

 

 

১০ অধ্যায়ের প্রশ্নের উত্তর গুলি দেখুন