অষ্টম শ্রেণি বাংলা মাসি পিসি জয় গোস্বামী অনুশীলনী প্রশ্নের উত্তর
অষ্টম শ্রেণি বাংলা মাসি পিসি জয় গোস্বামী
অনুশীলনী প্রশ্নের উত্তর হাতে কলমে
১.১ জয় গোস্বামীর লেখা দুটি কবিতার বই-এর নাম লেখো।
উত্তর» জয় গোস্বামীর লেখা দুটি কবিতার বই‘ ভুতুমভগবান এবং ‘পাগলী তোমার সঙ্গে'।
১.২ জয় গোস্বামীর লেখা একটি উপন্যাসের নাম লেখো।
উত্তর» জয় গোস্বামীর লেখা একটি বিখ্যাত উপন্যাস "সুরঙ্গ ঐ প্রতিরক্ষা"।
২. নীচের প্রশ্নগুলির অতিসংক্ষেপে উত্তর দাও :
২.১ অনেকগুলো পেট বাড়িতে’—‘পেট’-এর আভিধানিক অর্থ কী? এখানে কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
উত্তর» ‘পেট’ শব্দের আভিধানিক অর্থ ‘উদর’। এখানে বাড়িতে খাবার মানুষ হিসেবে ‘পেট’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে।
২.২ 'সাত ঝামেলা জোটায়'—এখানে 'সাত' শব্দটির ব্যবহারের কারণ কী?
উত্তর » এখানে একাধিক বিভিন্ন ঝামেলা অর্থে 'সাত ঝামেলা' কথাটি ব্যবহার করা হয়েছে।
২.৩ ‘মাহিনা' শব্দটি কবিতায় কী অর্থে ব্যবহৃত? শব্দটির অন্য কোন্ অর্থ তোমার জানা আছে?
উত্তর» ‘মাহিনা' শব্দটি কবিতাটিতে ‘মাস' অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
শব্দটির অন্য একটি অর্থ হল ত্রিশদিন।
২.৪ কোন্ শব্দ থেকে এবং কী করে ‘জষ্টি’ শব্দটি এসেছে?
উত্তর বাংলা জ্যৈষ্ঠ শব্দটি থেকে বর্ণবিকারের মাধ্যমে‘জষ্টি' শব্দটি এসেছে।
৩. নীচের শব্দগুলির উত্তর সংক্ষেপে লেখো :
৩.১ ‘শুকতারাটি ছাদের ধারে, চাঁদ থামে তালগাছে'—এই পঙ্ক্তিটির মাধ্যমে দিনের কোন সময়ের কথা বলা হয়েছে? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।
উত্তর» ‘এই পঙ্ক্তিটির মাধ্যমে ভোর বেলা সময়ের কথা বলা হয়েছে।
ভোরবেলার কথা বলেছেন। কারণ ভোরবেলায় শুকতারা পূর্ব আকাশে হেলে পড়ে। তাই এখানে ছাদের ধারের কথা বলেছেন।
চাঁদও ভোরবেলায় ম্লান হয়ে তালগাছের আড়ালে আস্তে আস্তে তার দীপ্তি হারিয়ে অবস্থান করে। অর্থাৎ দিনের শুরু সংকেত দেয়।
৩.২ ‘দু এক ফোঁটা শিশির তাকায় ঘাসের থেকে ঘাসে’–এই পঙ্ক্তিটিতে যে-ছবিটি ফুটে উঠেছে তা নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তর - সূর্য ডোবার পর থেকে শিশির পড়তে শুরু করে। ভোররাতে ঐ শিশির জলকণা হয়ে ঝরে পড়ে ঘাসের বুকে। কবি ভোরবেলায় ঘাসের বুকে শিশিরের জলকণা দেখে মনে করেন, তারা একে অপরের দিকে তাকিয়ে হাসছে।
৩.৩ 'সাল মাহিনার হিসেব তো নেই'—সাল মাহিনার হিসেব নেই কেন?
উত্তর -কবি তার মাসি পিসি কবিতায় শ্রমজীবী মহিলাদের প্রবল দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকা এই মহিলারা সংসারের ক্ষুধা নিবারণের স্বার্থে, ভোরের আলো ফোটার সাথেই পিঠে চালের বস্তা নিয়ে শিশিরভেজা পথ ধরে ছুটে চলে ট্রেন ধরতে। এই নিরন্তর পরিশ্রমের চাপে তারা ভুলে যায়,
সাল-তারিখ-মাস-সময়ের হিসাব। তাই সাল মাহিনার হিসেব নেই ।
৪. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
৪.১ ‘শতবর্ষ এগিয়ে আসে—শতবর্ষ যায়’—এই পঙ্ক্তিটির মধ্য দিয়ে কবি কী বলতে চেয়েছেন আলোচনা করো।
উত্তর যুগ যুগ ধরে মাসি পিসিরা সংসারের ক্ষুধা নিবারণের স্বার্থে, ভোরের আলো ফোটার সাথেই পিঠে চালের বস্তা নিয়ে শিশিরভেজা পথ ধরে ছুটে চলে ট্রেন ধরতে। লালগোলা বনগাঁ লোকালে। তাদের সময়ের পিছনে তাকাবার সময় নেই । তাই কবি তাদের কর্মজীবনকে শ্রদ্ধা জানাতে এই কথা বলিয়াছেন-
শতবর্ষ এগিয়ে আসে -শতবর্ষ যায়
চাল তোলো গো মাসি পিসি লালগোলা বনগাঁয়।
৪.২ 'মাসিপিসি' কবিতায় এই মাসিপিসি কারা? তাদের জীবনের কোন্ ছবি তুমি খুঁজে পাও?
উত্তর» ‘মাসিপিসি' কবিতায় মাসিপিসি হল একশ্রেণির শ্রমজীবী মহিলা। যারা ভোরের বেলায় চালের পোটলা পুটলি নিয়ে বনগাঁ লোকাল ধরে জীবিকার সন্ধানে ছুটে যায় ।
তাদের এ কর্মময় জীবনের বাস্তবতা ফুটে উঠেছে। সংসারে অনেকগুলো পেট ।এক মুঠো রোজগার থাকায় অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে বুঝি রোজগারের আশায় ভোরের আলো ফোটার আগেই লালগোলা ট্রেন ধরে চালের পোটলা নিয়ে। কর্মের তাগিদে বিরামহীন ছুটে চলা মাসি পিসির কর্ম জীবনের এক সাক্ষী থেকে থাকে চাঁদ ,শুকতারা, এবং ভোরের ভেজা ঘাস । মাস ,দিন এমনকি শতবর্ষের হিসাব তারা রাখে না। তারা জানে শুধু কর্মৈর দ্বারা রুজি রোজগার । তাদের জীবনের নিরালস পরিশ্রম করা এক কর্মব্যস্ততার ছবি খুঁজে পাওয়া যায়
অন্য গুলি দেখুন
আলাপ
অন্য টা দেখুন দাঁড়াও
অন্যটা দেখুন আদাব
পথের পাঁচালী বইয়ের অনুশীলন প্রশ্ন উত্তর
ভাষাচর্চা (১)