বিজ্ঞান বিষয়ক রচনা বিজ্ঞানের আশীর্বাদ অভিশাপ বিজ্ঞানের দান বিজ্ঞানে কুসংস্কার বিজ্ঞানের জয়যাত্রা
(এই রচনাটি সহজ সরল ভাষায় যারা পড়ার মধ্যে থাকো না তাদের জন্য দেয়া হয়েছে। বিজ্ঞান বিষয়ের যে কোন রচনা পড়লে এটা লিখতে পারো কিছু না কিছু নম্বর পাবে। জীবন বিজ্ঞানের দান বিজ্ঞানের আশীর্বাদ অভিশাপ বিজ্ঞানে কুসংস্কার বিজ্ঞানের জয়যাত্রা ইত্যাদি রচনা অংশ এখানে দেওয়া আছে।)
ভূমিকা- বর্তমান সমাজ বিজ্ঞান নির্ভরশীল। বিজ্ঞান ছাড়া মানুষ চলতে পারবে না। বিজ্ঞান মানুষের অগ্রগতি ধারক হিসেবে কাজ করে সত্যটা মানুষের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করে।
বিজ্ঞানের দান- সেই আদিম যুগ থেকে মানুষ প্রকৃতির রহস্যকে জানার জন্য নিরালস পরিশ্রম করে চলেছে ।সেই সঙ্গে নিজেদের জীবনে চাহিদা মেটানোর জন্য নিত্য নতুন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করছে ।আমরা আদিম যুগে তাকালে দেখতে পাবো ,হিংস্র পশুদের হাত থেকে বাঁচার জন্য আগুন আবিষ্কার এবং পাথরের তৈরি অস্ত্র আবিষ্কার। বিজ্ঞানের নিত্য নতুন আবিষ্কারের শেষ কোথায় আমরা জানি না। সকালে উঠে দাঁতের মাজন থেকে শুরু করে রাত্তিরে বিছানায় শুতে যাওয়া পর্যন্ত যেসব জিনিস আমরা ব্যবহার করি সবই বিজ্ঞানের দান। বিজ্ঞান বিশ্বকে এনেছে হাতের মুঠোয়। মোবাইল ,ল্যাপটপ ,টেলিভিশন রেডিও কম্পিউটার মানুষের হাতের কাছে পৌঁছে দিয়েছে।
বিজ্ঞানের জয়যাত্রা- বিজ্ঞানের জয়যাত্রা এগিয়ে চলেছে দুর্বার গতিতে। অতীতে যে সকল জটিল রোগে মানুষ মারা যেত ,বিজ্ঞান সেগুলোর ওষুধ বার করে মানুষকে নতুন জীবন দান করেছে। মানুষ এক গ্রহ থেকে অন্য গ্রহে পাড়ি দিচ্ছে। ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আগাম পূর্বাভাস দিয়ে মানুষকে সচেতন করে তুলছে । সমুদ্রের নিচে থেকে মানুষ খনিজ উত্তোলন করছে বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে। কোন মহাজাগতিক বস্তু পৃথিবীর ক্ষতি করতে না পারে ,তার জন্য বিজ্ঞানীরা শক্তিশালী টেলিস্কোপে চোখ দেখে মহাবিশ্বের দিকে সাড়া সারা রাত দিন তাকিয়ে থাকে।
কুসংস্কার দূরীকরণে বিজ্ঞান - বিজ্ঞান মানুষের জীবনকে করে তুলেছে । দূরকে করেছে নিকট। মানুষের জীবনে গঠনমূলক সংস্কার করলেও মনের কুসংস্কার দূর করতে পারিনি। তাইতো আমরা দেখতে পাই সাপে কাটা রোগীকে ওঝার বাড়িতে ঝাড়ফুঁক করতে । বহু নামিদাম চিকিৎসক বা অধ্যাপকের হাতে দেখা যায় মাদুলি ,তাবিজ। বিড়ালের রাস্তা কেটে গেলে বহু গাড়ি চালক কে দেখা যায় দাঁড়িয়ে যেতে। হয়তো কোন অঘটন ঘটবে এই ভেবে ।বাড়ির মা , ঠাকুমাকে দেখা যায় জ্বর হলে পাশের বাড়ির গুনিন এর কাছ থেকে জল পোড়া নিয়ে আসতে। জ্যোতিষীর দোকান গুলোতে দেখা যায় মানুষকে ভিড় জমাতে ।এই অন্ধবিশ্বাস বা এই কুসংস্কার থেকে মানুষ আজও মুক্তি হতে পারেনি
বিজ্ঞানের আশীর্বাদ- বিজ্ঞান মানুষের জীবনকে আশীর্বাদে ভরিয়ে দিয়েছে। একদিকে কৃত্রিম পদ্ধতিতে ধান চাষ মাছ চাষ সহ বিভিন্ন চাষাবাদ করে মানুষের খাদ্যাভাব মিটিয়েছে। অন্যদিকে বহু জীবনদায়ী ঔষধ আবিষ্কার করে মানুষকে মানুষকে করেছি দীর্ঘায়ু।
বিজ্ঞানের অভিশাপ- বিজ্ঞান যেমন একদিকে মানুষের কাছে আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে তেমনি অন্যদিকে অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে । বিজ্ঞান একদিকে যেমন দুরারোগ্য রোগের ঔষধ বার করে মানুষকে নতুন জীবন দান করেছে । অন্যদিকে ভয়ংকর মরণ অস্ত্র তৈরিকরে মানুষের জীবনকে মৃত্যুর পথে দাঁড় করিয়ে রেখে দিয়েছে। পারমাণবিক বোমা, মিসাইল, গ্রেনেড ইত্যাদি আবিষ্কার করে মানুষকে বিপদে পথে দাঁড় করিয়ে রেখেছে ।এ নিদারুণ দৃষ্টান্ত আমরা দেখতে পাই হিরোশিমা নাগাসিকা পারমাণবিক বিস্ফোরণ ।
উপসংহার- বিজ্ঞান যে সকল কিছু আবিষ্কার করেছে সবই মানুষের ভালোর জন্য যদি ব্যবহার করা যায় ,তাহলে পৃথিবীটা হয়তো সুন্দর হবে। কুসংস্কারগুলি দূর করতে বিজ্ঞানের প্রচারকে যদি কাজে লাগানো যায় মানুষের মনকে যদি সচেতনতা করা যায়। তাহলে হয়তো একদিন এক কুসংস্কারময় জীবন থেকে মানুষ মুক্তি হতে পারবে।)