অষ্টম শ্রেণি বাংলা "সুভা"গল্পে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর/shubha golpo - Online story

Friday 4 November 2022

অষ্টম শ্রেণি বাংলা "সুভা"গল্পে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর/shubha golpo

 


 

  "লোকটি জানলই না" অনুশীলন উত্তর দেখুন

"  মাসিপিসি" কবিতা প্রশ্নের উত্তর দেখুন

ঘুরে  দাঁড়াও কবিতা প্রশ্নের উত্তর

 অষ্টম শ্রেণি বাংলা "সুভা"গল্পে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা।


১.১ জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি থেকে প্রকাশিত কোন পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথ নিয়মিত লিখতেন?

উত্তর » জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি থেকে প্রকাশিত '"বালক" ও" ভারতী' " পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথ নিয়মিত লিখতেন।

১.২ ভারতের কোন প্রতিবেশী দেশে তাঁর লেখা গান 'জাতীয় |সংগীত' হিসেবে গাওয়া হয়।

উত্তর - বাংলাদেশে ।

২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও:
২.১ সুভার প্রকৃত নাম কী?
উত্তর » সুভার প্রকৃত নাম সুভাষিণী।

২.২ সুভার বাবা কে?
উত্তর » সুভার বাবা হলেন বাণীকণ্ঠ।

২.৩ সূভা কোন্ গ্রামে বাস করত।

উত্তর » সুভা চণ্ডীপুর গ্রামে বাস করত।

২.৪ গল্পে সুভার কোন্ কোন্ বন্ধুর কথা রয়েছে?
উত্তর » বাড়ির গোয়ালের দুটি গাভি সর্বশী ও পাঙ্গুলি ছিল সৃভার বন্ধু। এ ছাড়া  প্রতাপের সঙ্গেও সূভার বন্ধুর কথা রয়েছে


২৫ কে সুভাকে 'সু' বলে ডাকত?
উত্তর -গোঁসাইদের ছোটো ছেলে প্রতাপ সুভাকে ‘সু' বলে ডাকত।


৩. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও:

৩.১ 'সে নির্জন দ্বিগ্রহের মতো শব্দহীন এবং শব্দহীন — সুভা সম্পর্কে এ রকম উপমা লেখক ব্যবহার করেছেন কেন?

উত্তর -সুভা কথা বলতে পারতো না । বাক্যহীন মানুষের প্রতি সকলের একটা নীরব উদাসীনতা থাকে। ।বোবা মেয়ে সুভার ওষ্ঠাধর কখনো কখনো ভাবের আভাসে কেঁপে উঠত। সাধারণ বালক-বালিকারা তার সাথে খেলত না। তাই তাকে একাকী থাকতে হতো। বিশ্বের দুপুর যেমন শব্দহীন, সঙ্গীহীন, নির্জন থাকে । ঠিক তেমনি সুভার জীবনটা থাকে নিঃসঙ্গ, নিথর ,নিস্তব্ধ । তাই লেখক সুভা সম্পর্কে এ রকম উপমা  ব্যবহার করেছেন ।


৩.২ চণ্ডিপুর গ্রামের বর্ণনা দাও।
গাছগাছালির নিবিড় ছায়ায় ঘেরা চণ্ডীপুর গ্ৰাম।গ্ৰাম টি জনকোলাহল, পাখির ডাক,  মাঝির গান সব কিছুকে কেন্দ্র করে।মুখরিত হয়ে থাকে। ঘর গুলি বাখারির বেড়া দিয়ে ঘেরা। গ্রামের মধ্যে আটচালা,গোয়ালঘর, ঢেঁকিশালা, খড়ের স্তূপ দেখা যায়। কোথাও কোথাও কলার বাগান দেখা যায় ।চণ্ডীপুর গ্রামের অধিবাসীদের সরল জীবন যাপন করে। একটি নদী ও গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে।

৩.৩  সুভার সঙ্গে সর্বশী ও পাঙ্গুলির সম্পর্ক কী রকম ছিল?

উত্তর -সর্বশীও পাঙ্গুলি ছিল দুটি গাভি  । এরা ছিল সুভার দুই বন্ধু। দিনে তিনবার নিয়মিত গোয়াল ঘরে যেত সুভা। সুভা যখন গোয়ালে ঢুকে দু-হাত দিয়ে সর্বশীর গলা জড়িয়ে ধরত তখন স্থিরদৃষ্টিতে পাঙ্গুলি তার দিকে তাকিয়ে থেকে তার গা চেটে দিয়ে নিজের নীরব ভালোবাসা প্রকাশ করত।সুভার আদর  তারা ভালো করে বুঝত। তাই সুভার গা ঘেষে দাঁড়িয়ে আস্তে আস্তে তার বাহুতে শিং ঘষে দিত। উভয়ের মধ্যে সম্পর্ক ছিল এক বাক্যহীন ভাষাহীন নিরব আন্তরিকতা ভালোবাসা।


৩.৪ 'এইজন্য প্রতাপ সুভাৱ মর্যাদা বুঝিত’– প্রতাপের কাছে সুভা কীভাবে মর্যাদা পেত, তা গল্প অবলম্বনে লেখো।

উত্তর প্রতাপ চন্ডিপুর গ্রামের গোঁসাইদের ছোট ছেলে। প্রতাপের শখ ছিল ছিপ ফেলিয়া মাছ ধরা। বিকালে প্রায়ই তাকে নদীর ধারে প্রতাপকে মাছ ধরতে দেখা যেন ত।এই  মাছ ধরার সময় সুভার সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হইত। তার একটা সঙ্গী পাইলে ভালো লাগতো। সুভা কথা বলিতে পারিব না । মাছ ধরার সময় বাক্যহীন সঙ্গী সর্বপেক্ষ শ্রেষ্ঠ ।-এজন্য প্রতাপ সুভার মর্যাদা বুঝিত।
সুভা প্রতিদিন প্রতাপের জন্য নিজের হাতে একটি করে পান সেজে নিয়ে আসতো। ।


৩.৫ “তাহাদের জাতি ও পরকাল রক্ষা হইল- কাদের সম্পর্কে এ কথা লেখক বলেছেন? তাঁর এরূপ মন্তব্যের কারণ বিশ্লেষণ করো।
নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :


উত্তর -এখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা সুভা গল্পের সুভার পিতামাতা সম্পর্কে। লেখক একথা বলিয়াছেন।
কলকাতায় গিয়ে  পঞ্জিকা মিলাইয়া একটা শুভ লগ্নে বোবা মেয়ের সুভার বিবাহ দিয়ে দেশি ফিরে এসেছিলেন । সুভার  ভাষাহীন ক্রন্দন পিতা বুঝতে না চেয়ে কন্যাদায় থেকে মুক্তি হতে চেয়েছিলেন। কন্যা রায় থেকে মুক্তি পাইয়াও ছিলেন। কিন্তু সুবহার জীবন অন্ধকারে থেকে এসেছিল। সুবর স্বামী বোবা সুভাকে ত্যাগ করে, অন্যএক ভাষা বিশিষ্ট  মেয়েকে বিয়ে করেছিল। সুভা খুঁজে বেরিয়েছিল সেই পরিচিত মুখগুলি ,যারা তার বোবা ভাষা বুঝি তো।