ষষ্ঠ শ্রেণি (বাংলা) "কুমোরে পোকার বাসাবাড়ি"হাতেকলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর - Online story

Wednesday 14 December 2022

ষষ্ঠ শ্রেণি (বাংলা) "কুমোরে পোকার বাসাবাড়ি"হাতেকলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর

 




ষষ্ঠ শ্রেণি (বাংলা)
"কুমোরে পোকার বাসাবাড়ি" হাতেকলমে
১.১ গোপালচন্দ্র ভট্টাচার্য বাংলা ভাষায় কী ধরনের লেখালেখির জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন?
উত্তর। বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান বিষয়ক প্রবন্ধ রচনার জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন।



১.২ তাঁর লেখা একটি বইয়ের নাম লেখো।

উত্তর।  ‘বাংলার মাকড়সা'।



২. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
★ ২.১ কুমোরে-পোকার চেহারাটি কেমন?
উত্তর। কুমোরে-পোকার চেহারাটি লিকলিকে। গায়ের রং আগাগোড়া মিশমিশে কালো এবং শরীরের মধ্যস্থলের বোঁটার মতো সরু অংশটি হলদে।

২.২ কুমোরে-পোকা কী দিয়ে বাসা বানায়?

উত্তর। কুমোরে-পোকা ভিজা নরম কাদা মাটি দিয়ে বাসা বানায়।

২.৩ কোনো অদৃশ্য স্থানে কুমোরে-পোকা বাসা বাঁধছে—তা কীভাবে বোঝা যায়?

উত্তর। কোনো অদৃশ্য স্থানে কুমোরে-পোকা বাসা বাঁধে তখন তীক্ষ্ণস্বরে একটানা গুনগুন শব্দ করতে থাকে।তা থেকেই বোঝা যায় কুমোরে-পোকা বাসা বাঁধছে।


২.৪ মাকড়সা দেখলেই কুমোরে-পোকা কী করে?
উত্তর। কোনোরকমে মাকড়সাকে একবার চোখে দেখলে কুমোরে-পোকা ছুটে গিয়ে তার ঘাড় কামড়ে ধরে। শরীরে হুল ফুটিয়ে তার শরীরে বিষ ঢেলে দিয়ে মাকড়সাকে অসাড় করে দেয়।


৩. নীচের বিশেষ্য শব্দগুলিকে বিশেষণ এবং বিশেষণ শব্দগুলিকে বিশেষ্য করো :
লম্বাটে, স্থান, নির্বাচিত, নির্মাণ, সঞ্চিত।

উত্তর।। বিশেষ্য।        বিশেষণ
              লম্বা            লম্বাটে
             স্থান              স্থানীয়
             নির্বাচন       নির্বাচিত





৫. উপযুক্ত প্রতিশব্দ পাঠ থেকে খুঁজে লেখো :
নির্মাণ, উপযোগী; ভরতি, সন্ধান, ক্ষান্ত।

উত্তর নির্মাণ-  প্রতিশব্দ  -  তৈরি
সন্ধান - প্রতিশব্দ   - খোঁজ
উপযোগী - প্রতিশব্দ  -   উপযুক্ত
ভরতি - প্রতিশব্দ    -  পূর্ণ
ক্ষান্ত - প্রতিশব্দ  নিরস্ত


৪. নীচের বাক্যগুলি থেকে অনুসর্গ খুঁজে বের করো :
৪.১ বাসা তৈরির জন্য উপযুক্ত স্থান খুঁজতে বের হয়।
উত্তর। অনুসর্গ—জন্য।

৪.২ সেই স্থান থেকে নির্বাচিত স্থানে যাতায়াত করে রাস্তা চিনে নেয়।
উত্তর। অনুসর্গ—থেকে।

৪.৩ সেই স্থানে কাদামাটি চাপা দিয়ে দেখেছি।
বিশেষ বৈশিষ্ট্য বাসাটি দেখতে কেমন?
কীভাবে বানায়
উত্তর। অনুসর্গ—দিয়ে।





৭. গঠনগতভাবে কোন্‌টি কী ধরনের বাক্য লেখো :
৭.১ ইতিমধ্যে মাটি শুকিয়ে বাসা শক্ত হয়ে গেছে।
উত্তর। সরল বাক্য।

৭.২ একবার হুল ফুটিয়ে নিরস্ত হয় না।
উত্তর। সরল বাক্য।

৭.৩ কাজেই এ থেকে মনে হয় যে, কুমোরে-পোকা ইচ্ছামতো ডিম পাড়বার সময় নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
উত্তর। জটিল বাক্য।

৭.৪ ভিজা মাটির উপর বসে এবং লেজ নাচাতে নাচাতে এদিক ওদিক ঘুরে ফিরে দেখে।
উত্তর। যৌগিক বাক্য।


৮. নীচের প্রশ্নগুলি নিজের ভাষায় উত্তর লেখো :
৮.১ কুমোরে-পোকার বাসাবাড়িটি দেখতে কেমন?
উত্তর। কুমোরে পোকার বাসাবাড়িটি দেখতে অনেকটা লম্বাটে ধরনের, প্রায় সওয়া ইঞ্চি লম্বা।


৮.২ কুমোরে-পোকা বাসা বানানোর প্রস্তুতি কীভাবে নেয় ?
উত্তর। কুমোরে-পোকার ডিম পাড়ার সময় হলে  উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করে।তারপর পঞ্চাশ গজ ব্যবধানের মধ্যে নরম কাদামাটির সন্ধান করতে থাকে। সাধারণত কাদামাটির সন্ধান পেলেই ভালো করে রাস্তা চিনে নেয়।
তারপর ওই নরম কাদামাটি মুখে করে নিয়ে এসে বাসা বাঁধে।

৮.৩ কুমোরে-পোকার বাসা বানানোর প্রক্রিয়াটি নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তর। ।বাসা নির্মাণের জন্য মাটি সংগ্রহ করবার সময় উড়ে গিয়ে ভিজা মাটির উপর বসে এবং লেজ নাচাতে নাচাতে এদিক-ওদিক ঘুরেফিরে দেখে। উপযুক্ত মনে হলেই সেখান থেকে ভিজা মাটি তুলে নিয়ে চোয়ালের সাহয্যে খুব ছোট্ট এক ডেলা মাটি মটরদানার মতো গোল করে মুখে করে উড়ে যায়।মাটি খুঁড়ে তোলবার সময় অতি তীক্ষ্ণ স্বরে একটানা গুনগুন শব্দ করতে থাকে। মুখ দিয়ে চেপে চেপে মাটির ডেলাটিকে দেয়ালের গায়ে অর্ধ-চক্রাকারে বসিয়ে দেয়। মাটির ডেলাটিকে লম্বা করে চেপে বসাবার সময়ও তীক্ষ্ণস্বরে একটানা গুনগুন শব্দ করতে থাকে। কোনো অদৃশ্য স্থানে বাসা বাঁধবার সময়ও এই গুনগুন শব্দ শুনেই বুঝতে পারা যায়, কুমোরে-পোকা বাসা বাঁধছে। পুকুর ধারে কাদামাটির উপর মাছির মতো একপ্রকার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পোকা ঘুরে ঘুরে আহার সংগ্রহ করে। এরূপ স্থলে মাটি তোলবার সময় ওইরূপ কোনো পোকা তার কাছে এসে পড়লে মাটি তোলা বন্ধ রেখে তাকে ছুটে গিয়ে তাড়া করে। বারবার এরূপ এক-এক ডেলা মাটি এনে ভিতরের দিকে ফাঁকা রেখে ক্রমশ উপরের দিকে বাসা গেঁথে তুলতে থাকে। প্রায় সওয়া ইঞ্চি লম্বা হলেই গাঁথুনি ক্ষান্ত করে। এরূপ একটি কুঠুরি তৈরি করতে প্রায় দু-দিন সময় লেগে যায়। ইতিমধ্যে মাটি শুকিয়ে বাসা শক্ত হয়ে যায়। কুমোরে-পোকা তখন কুঠুরির ভিতরে প্রবেশ করে মুখ থেকে একপ্রকার লালা নিঃসৃত করে তার সাহায্যে কুঠুরির ভিতরের দেয়ালে প্রলেপ মাখিয়ে দেয়।


৮.৪ ‘এইসব অসুবিধার জন্য অবশ্য বাসা নির্মাণে যথেষ্ট বিলম্ব ঘটে।'—কোন্ অসুবিধাগুলির কথা এ প্রসঙ্গে
বলা হয়েছে?
উত্তর।কুমোরে পোকা মাটির সন্ধান পেলেই বাসা নির্মাণের জন্য সেই স্থান থেকে নির্বাচিত স্থানে যাতায়াত করে।রাস্তা চিনে নেয়। সাধারণত আশেপাশে চল্লিশ-পঞ্চাশ গজ ব্যবধান থেকে মাটি সংগ্রহ করে থাকে। কিন্তু অত কাছাকাছি বাসা নির্মাণের উপযোগী মাটি না পেলে সময় সময় দেড়-দুশো গজ দূর থেকেও মাটি সংগ্রহ করে থাকে। কাছাকাছি কোনো স্থান থেকে মাটি সংগ্রহ করে বাসার একটা কুঠুরি নির্মাণ প্রায় শেষ করে এনেছে, এমন সময় সেই স্থানে কাদামাটি চাপা দিয়ে বা বাসাটা লেখক যতবার সরিয়ে ফেলে —ততবার সংস্কারবশেই হোক আর বৃদ্ধি করেই হোক, কুমোরে-পোকাটা বাসার সন্ধান না পেয়ে কোনো একটা জলাশয়ের পাড়ে উড়ে গিয়ে সেখান থেকে ভিজা মাটি সংগ্রহ করে পূর্বের জায়গায় নতুন করে বাসা তৈরি শুরু করেছে। যতবারই এরূপ করেছি, ততবারই দেখেছি – পুকুর বা নালা, ডোবা যত দূরেই থাকুক না কেন, সেখান থেকেই ভিজা মাটি এনে বাসা তৈরি করেছে। এইসব অসুবিধার জন্য অবশ্য বাসা নির্মাণে যথেষ্ট বিলম্ব ঘটে।  




৮.৫ কুমোরে-পোকার শিকার ধরার উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করো। শিকারকে সে কীভাবে সংগ্রহ করে?
উত্তর। কুমোরে পোকা বেছে বেছে এরূপ ভ্রমণকারী মাকড়সা শিকার করে থাকে। কোনোরকমে মাকড়সা একবার চোখে পড়লেই হলো, ছুটে গিয়ে তার ঘাড় কামড়ে ধরে। কিন্তু কামড়ে ধরলেও একেবারে মেরে ফেলে না। শরীরে হুল
ফুটিয়ে একরকম বিষ ঢেলে দেয়। একবার হুল ফুটিয়ে নিরস্ত হয় না। কোনো কোনো মাকড়সাকে
পাঁচ-সাতবার পর্যন্ত হুল ফুটিয়ে থাকে। এর ফলে মাকড়সাটার মৃত্যু হয় না বটে, কিন্তু একেবারে অসাড়ভাবে পড়ে থাকে। তখন কুমোরে-পোকা অসাড় মাকড়সাকে মুখে করে নবনির্মিত কুঠুরির মধ্যে উপস্থিত হয়। কুঠুরির নিম্নদেশে মাকড়সাটাকে চিত করে রেখে তার উদরদেশের এক পাশে লম্বাটে ধরনের একটি ডিম পাড়ে। ডিম পেড়েই আবার নতুন শিকারের সন্ধানে বের হয়। সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে দশ-পনেরোটা মাকড়সা সংগ্রহ করে সেই কুঠুরির মধ্যে জমা করে আবার দু-তিন ডেলা মাটি এনে
কুঠুরির মুখ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেয়।




ঘাসফড়িং -কবিতার প্রশ্নের উত্তর দেখুন