সপ্তম শ্রেণীর (বাংলা) "পাগলা গণেশ" শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় হাতে-কলমে অনুশীলনীর উত্তর - Online story

Saturday 17 December 2022

সপ্তম শ্রেণীর (বাংলা) "পাগলা গণেশ" শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় হাতে-কলমে অনুশীলনীর উত্তর

 


 

 

  "বঙ্গভূমির প্রতি" প্রশ্নের উত্তর দেখুন
সপ্তম শ্রেণীর (বাংলা)
"পাগলা গণেশ"
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

হাতে-কলমে
অনুশীলনীর উত্তর

১. সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো : 

১.১ পাগলা গণেশএকটি (বিজ্ঞান/কল্পবিজ্ঞান/ রূপকথা) বিষয়ক গল্প।
 উঃ।  কল্পবিজ্ঞান।
১.২ অবস্থাভেটরি - বাংলা প্রতিশব্দ (শরীক্ষাগার/ গবেষণাগার / নিরীক্ষণাগার)।
উত্তর-নিরীক্ষণাগার

১.০ সন্ধসমাজ থেকে দূরে পালিয়ে গিয়ে গণেশ (হিমালয়ের গিরিগুহায়/ গভীর জঙ্গলে/মহাকাশে) আশ্রয় নিয়েছিলেন।
উঃ। হিমালয়ের গিরিগুহায় ।


১.৪ গল্পের তথ্য অনুসারে মৃত্যুপ্তয় টনিক আবিষ্কার হয়েছিল (৩৫৮৯/৩৪৩৯/৩৫০০) সালে।

উঃ। ৩৪৩৯ সালে।



২.১ ৩৫১”-এই সময়ের মধ্যে পৃথিবীতে কোন্ কোন্ নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের কথা বলা হয়েছে?
উঃ। এই সময়ের মধ্যে পৃথিবীতে মাধ্যাকর্ষণ প্রতিরোধকারী মলম, নানারকম উড়ান যন্ত্র, মৃত্যুঞ্জয়ী টনিক আবিষ্কার হয়েছে। সূর্যের দুটি গ্রহ আবিষ্কৃত হয়েছে।


২.২ ওসব অনাবশ্যক ভাবাবেগ কোনো কাজেই লাগে না"- অনাবশ্যক ভাবাবেগ' বলতে কী বোঝানো হয়েছে? তাকে সত্যিই তোমার অনাবশ্যক বলে মনে হয় কি?

উত্তর-অনাবশ্যক ভাবাবেগ বলতে কবিতা, গান, নাটক, আঁকা ইত্যাদিকে বোঝানো হয়েছে।
না, এগুলিকে আমার অনাবশ্যক বলে মনে হয় না। কারণ মানুষের এই ভাবাবেগ গুলির প্রয়োজন আছে  ।



২.৩. "চর্চার অভাবে মানুষের মনে আর ওসবের উদ্রেক হয় না”- মানুষের মন থেকে কোন কোন অনুভূতিগুলো হারিয়ে গেছে?

উঃ। দয়া মায়া, করুণা ভালোবাসা ইত্যাদির  এই অনুভূতিগুলো মানুষের মন থেকে হারিয়ে গেছে।


২.৪. ব্যতিক্রম অবশ্য এক আসজন আছে" - ব্যতিক্রমী মানুষটি কে? কীভাবে তিনি 'ব্যতিক্রম হয়ে উঠেছিলেন?

উঃ। ব্যতিক্রমী মানুষটি হলেন বিজ্ঞানী পাগলা গণেশ।
 গণেশ অনেক চেষ্টা করেও যখন দেখলেন কালের ঢাকাকে উল্টোদিকে ঘোরানো যাবে না তখন এই মানুষটি সমাজের মূল স্রোতের থেকে বেরিয়ে গিয়ে দূরে হিমালয়ের গিরিগুহার আশ্রয় নিয়ে কবিতা লিখতেন। সেই কবিতা আকাশে বাতাসে ছড়িয়ে দিতেন। গান গাইতেন। ছবি আঁকতেন ।এইভাবে তিনি ব্যতিক্রমী হয়ে উঠেছিলেন।



২.৫. “ও মশাই এমন বিকট শব্দ করছেন কেন?”- কার উদ্দেশ্যে কারা এ কথা বলেছিল? কোন কাজকে তারা বিকট শব্দ মনে করেছিল?
উত্তর-  একদিন সন্ধেবেলা গণেশ গলা ছেড়ে গান গাইছিল। সেই সময় দুটো পাখাওয়ালা লোক লাসা থেকে ইসলামাবাদ যেতে যেতে নেমে এসে গণেশকে রীতিমতো ধমক দিয়ে এই কথা বলেছিল।
গণেশের গলা ছেড়ে গান গাওয়াকে তারা বিকট শব্দ বলে মনে করেছিল


২.৬ "গণেশ তাদের মুখশ্রী ভুলে গেছে”-গণেশ কাদের মুখশ্রী ভুলে গেছে? তাঁর এই ভুলে যাওয়ার কারণ কী বলে তোমার মনে হয়?
উঃ। গণেশ নিজের ছেলে-মেয়েদের মুখশ্রী ভুলে গেছে।
তাঁর এই ভুলে যাওয়ার কারণ দীর্ঘদিন তাদের সাথে দেখা হয় নাই। কারণ ছেলেমেয়েরা কেউই বাবার কাছে আসে না। অন্তত গত একশো বছরের মধ্যে তাদের সঙ্গে গণেশের দেখা হয়নি।


২.৭. “গণেশকে সসম্ভ্রমে অভিবাদন করে বলল”—কে, কী বলেছিল? তার এভাবে তাকে সম্মান জানানোর কারণটি কী?
উঃ। একজন পুলিশম্যান গণেশকে স্যার বলে সসম্ভ্রমে অভিবাদন করেছিল।
এভাবে তাঁকে সম্মান জানানোর কারণ হল এককালে গণেশ যখন কলকাতার সায়েন্স কলেজে মাইক্রো ইলেকট্রনিক পড়াতেন তখন এই পুলিশম্যানটি তাঁর ছাত্র ছিলেন।


 ২.৮. “আমি পৃথিবীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছি”—বক্তা কীভাবে পৃথিবীকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল ? তার প্রয়াস।সফল হয়েছিল কি?

উঃ। বক্তা গণেশ কবিতা লিখে,  সেই কবিতার  কাগজগুলো বাতাসে ভাসিয়ে দিত। যদি কেউ সেগুলো পড়ে, অন্তত তার অনুভূতিগুলো যদি কবিতা পড়ে জেগে ওঠে। কখনও গান গেয়ে, ছবি এঁকে পৃথিবীকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল।

হ্যাঁ, তার প্রয়াস শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছিল। লোকে একসময় গান গাইতে, কবিতা অভ্যাস করতে ও ছবি আঁকতে শুরু করেছিল।


২.৯. “লোকটা অসহায়ভাবে মাথা নেড়ে বলল”—এখানে কার কথা বলা হয়েছে? সে কী বলল ? তার অসহায়ভাবে মাথা নাড়ার কারণ কী?
উঃ। এখানে গণেশের ছাত্র পুলিশম্যানটির কথা বলা হয়েছে।
সে বলল, কবিতাটি পড়ে সে কিছু বুঝতে পারছে না। কোনোদিন এ জিনিস পড়েনি।

পুলিশম্যানটি গণেশের কবিতা পড়ে কিছু বুঝতে পারছিল না। কারণ তার আমলে
শিক্ষানিকেতনে এসব পড়ানো হত না। তাই অসহায়ভাবে সে মাথা নেড়েছিল।




২.১০. “তিনজন মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে বসে রইল।”—এই তিনজন কারা? তাদের মুগ্ধতার কারণ কী?
উঃ। এই তিনজন হল (১)পুলিশম্যান(২)তাঁর স্ত্রী ও (৩) তাঁর মা।
মন্ত্র যখন পাঠ করা হয় তখন সকলে যেমন মন দিয়ে শোনে , তেমনি গণেশের কবিতা গান তারা মন হয়ে শুনছিল ।



৩. “পাগলা গণেশ” গল্পের মুখ্য চরিত্র গণেশকে তোমার কেমন লাগল?
উঃ। ভালো লেগেছে । গণেশ বিজ্ঞানের যুগে জন্মেও তিনি বিজ্ঞানসর্বস্ব হয়ে যাননি।ধরাবাঁধা নিয়মে চলার বিরোধী একজন মানুষ। তাঁর মধ্যে মনুষ্যত্ব রয়েছে। তাঁর অনুভূতিও আছে। তিনি কবিতা লেখেন, গান করেন, ছবি আঁকেন ।  তিনি পৃথিবী থেকে যে ভাবাবেগ হারিয়ে গেছে তা ফিরিয়ে এনে পৃথিবীকে বাঁচিয়ে তোলার জন্য অক্লান্ত শ্রম করে শেষে তিনি সফল হয়েছিলেন ।এই অদ্ভুত পাগলামির কাহিনীটি সত্যি ভালো লেগেছে।


৪. অর্থ অপরিবর্তিত রেখে নিম্নরেখাঙ্কিত শব্দগুলির পরিবর্ত শব্দ বসাও :

৪.১. ওসব অনাবশ্যক ভাবাবেগ কোনো কাজেই লাগে না।
উঃ। ওসব অপ্রয়োজনীয় ভাবাবেগ কোনো কাজেই লাগে না।


৪.২. কেউ ঠাট্টা-বিদ্রূপ করল না
উঃ। কেউ রং-তামাশা করল না।


৪.৩. দুনিয়াটা বেঁচে গেল।
 উঃ। পৃথিবীটা বেঁচে গেল।


৪.৪. মহাসচিব তাঁর বিমান থেকে নামলেন গণেশের ডেরায়।
উঃ। মহাসচিব তাঁর উড়োজাহাজ থেকে নামলেন গণেশের আস্তানায়।


৪.৫. গণেশকে সসম্ভ্রমে অভিবাদন জানিয়ে বলল।
উঃ। গণেশকে সসম্মানে অভিবাদন জানিয়ে বলল।

৪.৬. লোকে গান গাইতে লেগেছে, কবিতা মকসো করছে।
উঃ। লোকে গান গাইতে লেগেছে, কবিতা অভ্যাস করছে।

৪.৭. হিমালয় যে খুব নির্জন জায়গা, তা নয়।  

উঃ। হিমালয় যে জনহীন জায়গা, তা নয়।

৪.৮. ধুর মশাই, এ যে বিটকেল শব্দ।

 উঃ। ধুর মশাই, এ যে বিশ্রী শব্দ।

৫. এককথায় লেখো :
উঃ। প্রধান যে সচিব—মহাসচিব।

প্রতিরোধ করে যে—প্রতিরোধী।

গতিবেগ আছে যার—গতিশীল।

মৃত্যুকে জয় করেছে যে—মৃত্যুঞ্জয়ী।

 অন্ত নেই যার—অনন্ত।

৬. সন্ধিবিচ্ছেদ করো :
মাধ্যাকর্ষণ—মধ্য + আকর্ষণ।
 আবিষ্কার—আবিঃ + কার।
মৃত্যুঞ্জয়-মৃত্যু + জয়।
অনাবশ্যক—অন + আবশ্যক।
গবেষণা-গো + এষণা।
অন্তরীক্ষ—অন্তঃ + ইক্ষ।
গণেশ—গণ + ঈশ।
হিমালয়—হিম + আলয়।
নির্জন—নিঃ + জন
গবেষণাগার-গো + এষণা + আগার।
পরীক্ষা—পরি + ঈক্ষা।


৭. সমার্থক শব্দ লেখো
 কৃত্রিম-নকল।
পৃথিবী—ধরা।
আন্দোলন—বিক্ষোভ।




৯. রেখাঙ্কিত পদগুলির কারক ও বিভক্তি নির্ণয় করো :
৯.১ গণেশও আর সকলের মতো টনিকটা খেয়েছিল।
উঃ। কর্তৃকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।

৯.২ তার গানের গলা বেশ ভালোই।

উঃ। কর্মকারক ‘এর’ বিভক্তি।


৯.৩ আকাশে একটা পিপে ভাসছিল।
উঃ। অধিকরণ কারকে ‘এ’ বিভক্তি

৯.৪ আজ সকালে গণেশকে কবিতায় পেয়েছে।
উঃ। অধিকরণ কারকে ‘এ’ বিভক্তি

৯.৫ আমি পৃথিবীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছি।

উঃ। সম্বোধন কারকে ‘এ’ বিভক্তি।


৯.৬ ও মশাই অমন বিকট শব্দ করছেন কেন?
উঃ। কর্মকারকে শূন্য বিভক্তি।

৯.৭ রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব তাঁর বিমান থেকে নামলেন।
উঃ। অপাদান কারকে ‘এ’ বিভক্তি।


৯.৮ তিনজন মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে বসে রইল।
উঃ। কর্মকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।


অন্য গুলি দেখন

(১) ছন্দে শুধু কান রাখো (১)

ছন্দে শুধু কান রাখো (২)

(২) কার দৌড় কদ্দুর

(৩) বঙ্গভূমির প্রতি

বঙ্গভূমির প্রতি (২)

(৪) পাগলা গণেশ

(৫) আত্মকথা

(৬) চিরদিনের কবিতা

(৭) ভানু সিংহের পত্রাবলী

(৮) নোট বই 

(৯) স্মৃতি চিহ্ন

(১০) দেবাতাত্মা হিমালয়

(১১) আঁকা- লেখা

(১২) খোকনের প্রথম ছবি

(১৩) ভারত তীর্থ

(১৪) স্বাধীনতা সংগ্ৰামে নারী

(১৫) রাস্তায় ক্রিকেট খেলা

(১৬) দিন ফুরালো

(১৭) গাধার কান

(১৮) পটল বাবু ফ্লিমস্টার

(১৯) মেঘ-চোর

 (২০) কুতুব মিনারের কথা

(২১) চিন্তা শীল

(২২) একুশের কবিতা


প্রথম পরীক্ষার নমুনা প্রশ্ন

আর ও প্রশ্ন প্রথম পরীক্ষা

ভাষাচর্চা অনুশীলন

মাকু প্রশ্ন (১)

মাকু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর

মাকু প্রথম পরীক্ষা

মাকু হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর

মাকু গল্পের সকল প্রশ্নের উত্তর

মাকু বইয়ের প্রশ্নের উত্তর

মাকু ছোট প্রশ্ন বড়ো পাতা ধরে