সপ্তম শ্রেণির (বাংলা) "আঁকা - লেখা" মৃদুল দাশগুপ্ত হাতে-কলমে অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর - Online story

Sunday 18 December 2022

সপ্তম শ্রেণির (বাংলা) "আঁকা - লেখা" মৃদুল দাশগুপ্ত হাতে-কলমে অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর

 



"আত্মকথা" হাতে কলমে  অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর দেখুন

সপ্তম শ্রেণির (বাংলা)
"আঁকা - লেখা"
 মৃদুল দাশগুপ্ত
হাতে-কলমে
অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর


২. ঠিক উত্তরটি বেছে নাও :
২.১ মৎস্য/মৎস/মৎশ্য।
উঃ। ২.১ মৎস্য।

 ২.২ দুধের স্বর/দুধের সর/ দুধের শর।
উঃ ২.২ দুধের সর। ।

২.৩ কাপন/কাঁপন/কাঁপণ।
উঃ ২.৩ কাঁপন।

 ২.৪ ঈশৎ /ইষৎ/ঈষৎ।
উঃ ২.৪ ঈষৎ



৩. নীচে দেওয়া শব্দগুলির সমার্থক শব্দ কবিতা থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো : সামান্য, আনন্দ, মীন, নক্ষত্র, মূষিক।
উঃ। সামান্য সমার্থক শব্দ—ঈষৎ।
 আনন্দ সমার্থক শব্দ-পুলক।
 নক্ষত্র সমার্থক শব্দ—তারা।
মীন সমার্থক শব্দ— মৎস্য।
মূষিক সমার্থক শব্দ—ইঁদুর।



● নীচের বিশেষ্যগুলির বিশেষণের রূপ লেখো : রং, চিত্র, নীল, লেখা, পুলক।
উঃ। রং(বিশেষ্য) রঙিন(বিশেষণ)
 চিত্র (বিশেষ্য)চিত্রিত।(বিশেষণ)
 নীল (বিশেষ্য)নীলাভ। (বিশেষণ)
লেখা (বিশেষ্য)লিখিত। (বিশেষণ)

পুলক(বিশেষ্য) পুলকিত (বিশেষণ)



৮. বিপরীতার্থক শব্দ লেখো: গোপন, ঈষৎ, খুশি, পুরু, ঝগড়া।
উঃ। গোপন বিপরীতার্থক শব্দ—প্রকাশ
 ঈষৎ বিপরীতার্থক শব্দ— অধিক।
 খুশি বিপরীতার্থক শব্দ-দুঃখী।
 পুরু বিপরীতার্থক শব্দ- পাতলা।
ঝগড়া বিপরীতার্থক শব্দ—ভাৰ।

৯. নিম্নরেখ অংশগুলির কারক বিভক্তি নির্ণয় করো।
৯.১ তিনটি শালিক ঝগড়া থামায়।


৯.২ গর্ভ থেকে ইঁদুর, সেটাও পিটপিটে চোখ দেখছে চেয়ে।


৯.৩ ঝাঁক চাইছে তাদের রাখি আমার আঁকায়।


৯.৪ এবার যেন ভাবার মালা খুব গোপনে নামছে কাছে।

৯.৫ সেই তো আমার পদক পাওয়া।
উঃ। গর্ত থেকে
উঃ। আঁকায়
কর্মকারকে শূন্য’ বিভক্তি।
– অধিকরণ কারকে 'এ' বিভক্তি।
অধিকরণ কারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
কর্মকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
উঃ। পদক -- কর্মকারকে শূন্য’ বিভক্তি।


১০. বাক্য ৰাড়াও :
১০.১ আমি যখন আঁকি। (কী? কীভাবে?)
উঃ। আমি যখন ছবি আঁকি।রং তুলি দিয়ে।

১০.২ চাঁদের দুধের সর জমে যায়। (কোথায়? কেমন?)
উঃ। মাঠে চাঁদের দুধের সর জমে যায় পুরু দুধের সব জমে যায়।

১০.৩ পিটপিটে চোখ দেখছে চেয়ে। (কে? কোথা থেকে?)
উঃ। ইঁদুরটা গর্ত থেকে পিটপিটে চোখ দেখছে চেয়ে।

১০.৪ ছড়া লেখার শুরু। (কার? কখন?)
 উঃ। বাতাসে টাৎ কাপন দিতেই আমার সন্ধেবেলা ছড়া লেখার শুরু।

১০.৫ 'অ' লিখছে 'আ' লিখছে। (কারা? কোথায়?)
উঃ। দশ জোনাকি অ লিখছে আ লিখছে বকুল গাছে।

১১. একটি বাক্যে উত্তর দাও :


১১.১ কবি কখন ছবি আঁকেন?
উঃ। কবি দুপুরবেলায় ছবি আঁকেন।

১১.২ কখন তাঁর ছড়া লেখার শুরু?
উঃ। বাতাসে ঈষৎ কাঁপন দিলে তাঁর ছড়া লেখার শুরু।

১১.৩ তিনটি শালিক কী করে?
উঃ। তিনটে শালিক ঝগড়া থামায়

১১.৪ কে অবাক ডাকায়?
উঃ। অবাক হয়ে তাকায় চড়ুই পাখি।
১১.৫
মাছরাঙা কী ধার দিতে চায ?
উঃ। মাছরাঙা নীল রংটি ধার দিতে চায়


১১.৬ প্রজাপতির ইচ্ছা কী?
উঃ। প্রজাপতির কবির আঁকায় থাকার ইচ্ছা।

১১.৭ গর্তে কে থাকে?
উঃ। গর্ভে ইঁদুর থাকে


১১.৮ সের গুরু দুধের সর কোথায় জমে?
উঃ। চাঁদের পুরু দুধের সর মাঠে জমে।

১১.৯ কারা, কোথায় অ-আ লিখছে? উঃ। দশ জোনাকি বকুল গাছে অ-আ লিখছে।




১১.১০ কবি কোন্ বিষয়কে ‘পদক পাওয়া’ মনে করেছেন?
উঃ। ছড়া লেখার মধ্য দিয়েই পাঠকের কাছে পৌঁছে যাওয়াকে কবি পদক পাওয়া মনে করেছেন।।


১২. দু-তিনটি বাক্যে উত্তর দাও :
১২.১ কবি কখন ছড়া লিখতে শুরু করেন ?
উঃ। রাতে যখন মাঠে চাঁদের আলোর জ্যোৎস্নাকে দুধের সরের মতো পুরু
হয়ে উঠতে দেখা যায়। বাতাস তখন ঈষৎ কেঁপে ওঠে। আকাশের তারারা যেন থালার মতো কবির কাছে নেমে আসে,তখন কবি ছড়া লিখতে শুরু করেন।



১২.২ কবি যখন ছবি আঁকেন তখন কী কী ঘটনা ঘটে?
উঃ। কবি যখন ছবি আঁকেন তখন তিনটি শালিক ঝগড়া থামায়, চড়ুই পাখি অবাক হয়ে তাকায়, মাছরাঙা মাছধরা ভুলে যায়।
 আর ইঁদুর গর্ত থেকে বেরিয়ে পিটপিট করে কবিকে চেয়ে দেখে।


১২.৩ ‘তিনটি শালিক ঝগড়া থামায়’—কোন্ কবির কোন্ কবিতায় এমন তিন শালিকের
প্রসঙ্গ অন্যভাবে আছে?
উঃ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা সহজপাঠ গ্রন্থে একটি কবিতায় তিনটি শালিকের প্রসঙ্গ
রয়েছে।


১২.৪ মাছরাঙা পাখি কেমন দেখতে? সে মৎস্য ভুলে যায় কেন?
উঃ। মাছরাঙা পাখি নীল রঙের দেখতে।
 সে কবির ছবি আঁকা দেখে মাছ ধরা ভুলে যায় ।


১২.৫ ‘রং-তুলিরা বেজায় খুশি আজ দুপুরে আমায় পেয়ে'—কবির এমন বক্তব্যের কারণ কী?
উঃ। কবি সবসময় ছবি আঁকেন না। তিনি সেদিন নিজের খুশখেয়ালে দুপুরবেলায় ছবি আঁকছেন এবং কবিকে পেয়ে রং-তুলিরা খেয়ালখুশিমতো রং করতে পারছে, তাই তারা বেজায় খুশি বলে কবির মনে হয়েছে।



১২.৬ 'অ' লিখছে ‘আ’ লিখছে—কারা কীভাবে এমন লিখছে? তাদের দেখে কী মনে হচ্ছে?
উঃ। দশটি জোনাকি বকুল গাছে ‘অ’ ‘আ’ লিখছে।
 তাদের দেখে মনে হচ্ছে খুব গোপনে যেন এ তারার মালা কাছে নেমে আসছে।

১৩. অনধিক দশটি বাক্যে উত্তর দাও :
১৩.১ ‘এই ছড়াতেই আজ আমাকে তোমার কাছে আনল হাওয়া’—কাকে উদ্দেশ্য করে কবি এ কথা বলেছে ? কবির আঁকা এবং লেখার সঙ্গে এই মানুষটির উপস্থিতির সম্পর্ক এবং গুরুত্ব বিচার করো।
উঃ। কবি কথাটি পাঠককে উদ্দেশ্য করে বলেছেন।
কবির আঁকা এবং লেখা সবই পাঠকের জন্য। পাঠকই একজন কবিকে কবি করে তোলে। একজন চিত্রশিল্পীও
তেমনই তাঁর দর্শকদের প্রশংসাতেই আনন্দ পান। তাই ।কবিতা লেখার সময় বা ছবি আঁকার সময় সশরীরে যদি কেউ উপস্থিত নাও থাকে তা হলেও কবি বা চিত্রশিল্পীর ব
তার গুরুত্ব অপরিসীম।


১৩.২ এই কবিতায় যে উপমা ও তুলনা ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলি ব্যবহারের সার্থকতা বুঝিয়ে দাও।
উঃ। একজন চিত্রশিল্পী যখন ছবি আঁকেন তখন তার প্রয়োজন হয় রং ।   ছবি আঁকার সময় শালিক পাখিরা ঝগড়া থামিয়ে দেখে। মাছরাঙা তার গায়ের নীল রং
আঁকার জন্য কবিকে ধার দিতে চায়। প্রজাপতির ঝাঁক চাইছে তিনি যেন তাদের আঁকার মধ্যে রাখেন। কবির চোখে এ
শিল্পীর কল্পনা কিন্তু তা বাস্তবতার সাথে অত্যন্ত সঙ্গতিপূর্ণ। চাঁদের আলোর কল্পনা কবির কাছে চাঁদের দুধ। এইভাবে
ব্যবহৃত উপমা ও তুলনা সার্থকতা লাভ করেছে।