সপ্তম শ্রেণি (বাংলা) খোকনের প্রথম ছবি বনফুল হাতে-কলমে অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর
সপ্তম শ্রেণি (বাংলা)
খোকনের প্রথম ছবি
বনফুল
হাতে-কলমে
অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর
১. গল্প থেকে একইরকম অর্থযুক্ত আর-একটি করে শব্দ খুঁজে নিয়ে লেখোঃ
শিল্পী, নগর, ঐরাবত, উজ্জ্বলতা, অনুকরণ।
উঃ। শিল্পী সমার্থক শব্দ —চিত্রকর,
নগর সমার্থক শব্দ—শহর,
ঐরাবত সমার্থক শব্দ—হাতি,
উজ্জ্বলতা সমার্থক শব্দ—দীপ্তি,
অনুকরণ সমার্থক শব্দ—নকল।
২. বিশেষ্য থেকে বিশেষণে রূপান্তরিত করো : প্রকৃতি, গাছ, কল্পনা, ফুল, দীপ্তি।
উঃ। প্রকৃতি এর বিশেষণ প্রাকৃতিক,
গাছ এর বিশেষণ—গেছো,
কল্পনা এর বিশেষণ—কাল্পনিক
, ফুল এর বিশেষণ—ফুলেল,
দীপ্তি এর বিশেষণ—দীপ্ত।
৩. নিম্নরেখ অংশটির কারকবিভক্তি নির্ণয় করো :
৩.১ প্রকৃতি থেকে ছবি আঁকো।
উঃ। কর্মকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
৩.২ তোমার ছবি কই?
উঃ। নিমিত্তকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
৩.৩ একদিন তিনি খোকনদের বাড়িতে এলেন।
উঃ। ‘অধিকরণ’ কারকে শূন্য বিভক্তি।
৩.৪ ড্রইং খাতার একটা পাতা কালো রঙে ভরে গেল।
উঃ। কর্মকারকে ‘এ’ বিভক্তি ৷
৪. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর দাও :
৪.১ ড্রইং শিখতে লাগল খোকন'—খোকন কোথায় ড্রইং শিখত? আর প্রথম দিকে কী কী আঁকত?
উঃ। খোকন তার স্কুলে ড্রইং শিখত।
প্রথম দিকে খোকন টুল, টেবিল, চেয়ার, কলশি, কাপ আঁকত।
৪.২ ‘একদিন তো মেঘের ছবি আঁকতে গিয়ে বেকুব হয়ে গেল খোকন’ –‘বেকুব’ শব্দটির অর্থ কী? মেঘের ছবি আঁকতে গিয়ে খোকন বেকুব হয়ে গিয়েছিল কেন?
-
উঃ। ‘বেকুব’ শব্দটির অর্থ বোকা।
একদিন সে দেখল আকাশে একটা মেঘ হাতির মতো। ঠিক যেন একটি হাতি পেছনের
দু-পায়ে ভর করে শুঁড় তুলে আছে। খোকন তাড়াতাড়ি তার ড্রইং খাতায় ছবিটা আঁকতে
লাগল। আঁকা শেষ হবার পর সে মিলিয়ে দেখতে গেল ঠিক হয়েছে কি না, গিয়ে দেখে
হাতি নেই, প্রকাণ্ড একটা কুমির শুয়ে আছে। মেঘের হাতি কুমির হয়ে গেছে। এতে খোকন
একেবারে বেকুব হয়ে গেল।
৪.৩ ‘এগুলো সব নকল করা ছবি।'—কে কাকে এই কথা বলেছেন? 'নকল করা ছবি’ বলতে তিনি কী বুঝিয়েছেন?
উঃ। খোকনের বাবার একজন বন্ধু বিখ্যাত চিত্রকর ছিলেন। তিনি এই কথাগুলো খোকনকে বলেছেন।
নকল করা ছবি অর্থাৎ খোকন যা-কিছু এঁকেছে সবকিছু কাউকে দেখে তার অনুকরণ করেছে বা কারোর প্রতিচ্ছবি এঁকেছে। তাই তিনি ছবিগুলিকে নকল করা ছবি বলেছেন।
৫. নীচের প্রতিটি বাক্যকে দুটি বাক্যে ভেঙে লেখো :
৫.১ সে যখন খুব ছোটো কাগজের উপর রঙিন পেনসিল দিয়ে হিজিবিজি কাটত।
উঃ। সে খুব ছোটো ছিল। সে তখন কাগজের উপর রঙিন পেনসিল দিয়ে হিজিবিজি কাটত।
৫.২ পুলের ছবিটা দেখেও খুব প্রশংসা করলেন মাস্টারমশাই।
উঃ। পুলের ছবিটা দেখলেন। তারপর খুব প্রশংসা করলেন মাস্টারমশাই।
৫.৩ সূর্যের যে ছবিটা এঁকেছে সেটা তো সূর্যের মতো নয়।
উঃ। সূর্যের ছবিটা এঁকেছে। কিন্তু সেটা তো সূর্যের মতো নয়।
৫.৪ একদিন তো মেঘের ছবি আঁকতে গিয়ে বেকুব হয়ে গেল খোকন।
উঃ। একদিন খোকন মেঘের ছবি আঁকল। কিন্তু আঁকতে গিয়ে সে বেকুব হয়ে গেল।
৫.৫ খোকন একদিন নিজের ঘরে চোখ বুজে বসে রইল।
উঃ। খোকন বসে রইল। সে একদিন নিজের ঘরে চোখ বুজে বসে রইল।
৬. নীচের আলাদা আলাদা বাক্যগুলি জুড়ে একটি বাক্য তৈরি করো :
৬.১ খোকন বড়ো হয়েছে। ক্লাস টেন-এ পড়ে।
উঃ। খোকন ক্লাস টেন-এ পড়া বড়ো ছেলে।
৬.২ খোকনের বাবার একজন বন্ধু বিখ্যাত চিত্রকর। তিনি লখনউ শহরে থাকেন।
উঃ। খোকনের বাবার একজন বন্ধু লখনউ শহরে থাকেন যিনি বিখ্যাত চিত্রকর।
৬.৩ নিজের আঁকা ছবি? তা কী করে আঁকব ?
উঃ। নিজের আঁকা ছবি কী করে আঁকব?
৬.৪ চোখ বুজে বসে কল্পনা করো। কল্পনায় যা দেখবে সেটাই এঁকে ফেলো।
উঃ। চোখ বুজে কল্পনায় যা দেখবে সেটাই এঁকে ফেলো।
৬.৫ তারপর হঠাৎ দেখতে পেল ওই কালোর ভেতরেই একটা মুখ রয়েছে, চোখও আছে।
উঃ। তারপর হঠাৎ দেখতে পেল কালোর ভেতরেই একটা মুখ, তার চোখও আছে।
৭. গল্পে রয়েছে এমন দশটি ইংরেজি শব্দ খুঁজে নিয়ে লেখো।
উঃ।(১)টুল , (২) কাপ, (৩) বুক , (৪) চেয়ার , (৫) টেবিল, (৬)ড্রইং , (৭) পেনসিল, (৮)স্কুল , (৯) পুল, (১০) টেন
৮. খোকন জিজ্ঞেস করলে—প্রকৃতি থেকে? প্রশ্ন পরিহার করো।
উঃ। খোকন জানতে চাইল সেটা প্রকৃতি থেকে কি না।
৯. লক্ষ্ণৌ শহরটি কোথায়? সেখানকার একটি বিখ্যাত স্থাপত্যের নাম করো।
উঃ। লক্ষ্ণৌ শহরটি উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে অবস্থিত।
সেখানকার একটি বিখ্যাত স্থাপত্য হলো
ভুলভুলাইয়া।
১০. খোকনের ড্রইংয়ের মাস্টারমশাই’ কীভাবে খোকনকে প্রকৃতি দেখতে শিখিয়েছিলেন?
উঃ। খোকনের ড্রইংয়ের মাস্টারমশাই খোকনকে চারপাশের দৃশ্য থেকে ছবি আঁকতে শিখিয়েছিলেন। , তার বাড়ির ছাদের পুল ইত্যাদি থেকে অর্থাৎ চারপাশের প্রকৃতি থেকে তিনি ছবি আঁকতে শিখিয়েছিলেন।
১১. প্রকৃতির দৃশ্যের যে বদল অহরহ হয় তা খোকন কীভাবে বুঝল?
উঃ। একদিন খোকন দেখল আকাশে একটা মেঘ হাতির মতো দেখতে। ঠিক যেন একটি হাতি পেছনের দু-পায়ে ভর করে তুলে আছে। খোকন তাড়াতাড়ি তার ড্রইং খাতায় ছবিটা আঁকতে লাগল। আঁকা শেষ হবার পর মিলিয়ে দেখতে গেল ঠিক য়ছে কি না, গিয়ে দেখে, হাতি নেই প্রকাণ্ড একটা কুমির শুয়ে আছে। হাতি কুমির হয়ে গেছে। এই দেখে খোকন বুঝল তির দৃশ্যের অহরহ বদল হয়।
১২. খোকন অবাক হয়ে গেল; আর
....অবাক হয়ে চেয়ে রইল খোকন।
—এই দুই ক্ষেত্রে খোকনের ‘অবাক’ হওয়ার কারণ বিশ্লেষণ করো।
উঃ। খোকন প্রকৃতির যা-কিছু দেখত তাই দিয়ে ছবি আঁকত। কিন্তু তার নিজের আঁকা কোনো ছবি ছিল না। তাই তার বাবার বন্ধু যিনি ছিলেন একজন বিখ্যাত চিত্রকর, তিনি যখন জিজ্ঞাসা করলেন খোকনের নিজের আঁকা ছবি কোথায় তখন অবাক হয়ে গেল।
খোকনের বাবার বন্ধু তাকে যখন নিজের কল্পনা করা ছবি আঁকতে বললেন সে তখন নিজের ঘরে বসে কল্পনা করে কার ছাড়া কিছু দেখতে পেল না। সে তখন ঐ অন্ধকারেই ছবি আঁকবে ঠিক করল। আঁকতে গিয়ে খোকনের খাতার একটা পাতা কালো রঙে ভরে গেল। সেই কালোর ভেতরে সে একটা মুখ ও চোখ দেখতে পেল। তাই দেখে খোকন অবাক হয়ে চেয়ে রইল।
১৩. 'চিত্রকর চলে গেলেন’—এই চিত্রকরের পরিচয় দাও। চলে যাওয়ার আগে তিনি খোকনকে কী বলে গেলেন?
উঃ। এই চিত্রকর হলেন খোকনের বাবার বন্ধু। তিনি লক্ষ্ণৌতে থাকেন।
তিনি চলে যাওয়ার আগে খোকনকে নিজের কল্পনা থেকে যা মনে আসবে তাই তিনি আঁকতে বলে গেলেন।
১৪. ‘এই অন্ধকারেরই ছবি আঁকবে’—কখন খোকন এমন সিদ্ধান্ত নিল? অন্ধকারের সেই ছবির দিকে তাকিয়ে খোকন কী দেখতে পেল?
উঃ। খোকনের বাবার বন্ধু বিখ্যাত চিত্রকর যখন খোকনের ভুল ভেঙে দিয়ে তাকে বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন যে, খোকন এখন পর্যন্ত যা এঁকেছে সবই কোনো না কোনো নকল বা প্রতিচ্ছবি। তাই তিনি খোকনকে বুদ্ধি দিয়ে গেলেন যে তার কল্পনা থেকে যা আসবে তাই আঁকবে। সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে সে অন্ধকারের ছবি আঁকবে।
ছবি আঁকার পর অন্ধকারের সেই ছবির ছবি দিকে তাকিয়ে খোকন দেখল সেই কালোর ভেতর একটা মুখ ও চোখ হাঁসি সেই চোখে।আঁকতে কোনো কৃত্রিমতা নেই।
অন্য গুলি দেখন
(১) ছন্দে শুধু কান রাখো (১)
(২) কার দৌড় কদ্দুর
(৩) বঙ্গভূমির প্রতি
(৪) পাগলা গণেশ
(৫) আত্মকথা
(৬) চিরদিনের কবিতা
(৮) নোট বই
(৯) স্মৃতি চিহ্ন
(১০) দেবাতাত্মা হিমালয়
(১১) আঁকা- লেখা
(১২) খোকনের প্রথম ছবি
(১৩) ভারত তীর্থ
(১৫) রাস্তায় ক্রিকেট খেলা
(১৬) দিন ফুরালো
(১৭) গাধার কান
(১৮) পটল বাবু ফ্লিমস্টার
(১৯) মেঘ-চোর
(২০) কুতুব মিনারের কথা
(২১) চিন্তা শীল
(২২) একুশের কবিতা
মাকু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর
মাকু হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর
মাকু গল্পের সকল প্রশ্নের উত্তর