ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা "সেনাপতি শংকর" শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় হাতে কলমে অনুশীলন উত্তর - Online story

Saturday 10 December 2022

ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা "সেনাপতি শংকর" শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় হাতে কলমে অনুশীলন উত্তর

 


গণিত সমাধান দেখুন
ঘাসফড়িং কবিতার প্রশ্নের উত্তর দেখুন
  "পাইন দাঁড়িয়ে আকাশে নয়ন তুলি" প্রশ্নের উত্তর দেখুন

ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা

"সেনাপতি শংকর"
শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা

কেবলমাত্র গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তরগুলি দেওয়া হলো।

 হাতেকলমে
১.১ শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা দুটি বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর। এবং ‘শাহাজাদা দারাশুকো’ এবং ‘কুবেরের বিষয় আশয়’  ।


১.২ তিনি কোন্ বইয়ের জন্য সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন?

উত্তর। ‘শাহাজাদা দারাশুকো’ উপন্যাসের জন্য সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন।


২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও :


২.১ আকন্দবাড়ি স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা কোন্ কোন্ জায়গা থেকে পড়তে আসে?

উত্তর। ভেটুরিয়া, সাঁইবাড়ি, ঘোলপুকুর এবং আকন্দবাড়ি গ্রামের ছাত্রছাত্রীরা আকন্দবাড়ি স্কুলে পড়তে আসে।


২.২ স্কুলের জানলা থেকে কী কী দেখা যায় ?


উত্তর। স্কুলের  জানালা দিয়ে দিগন্ত বিস্তৃত আকাশের মেঘ ও উড়ন্ত পাখি দেখতে পাওয়া যায়।


২.৩ শংকর কীসের স্বপ্ন দেখে?
উত্তর। শংকর শঙ্খচিলের স্বপ্ন দেখে।


২.৪ শংকরের স্বপ্নে বাতাসের রং কী?
উত্তর। শংকরের স্বপ্নের বাতাসের রং নীলচে।


২.৫ এমু ছাড়া উড়তে পারে না শুধু দৌড়তে পারে এমন একটি পাখির নাম লেখো।
উত্তর। উটপাখি ।


৩. গল্প থেকে একই অর্থযুক্ত শব্দ খুঁজে নিয়ে লেখো :
বিদ্যালয়, অনিল, জগৎ, একাগ্রচিত্ত, পাখা, রোপণ করা।


উত্তর। বিদ্যালয়—স্কুল।
অনিল—বাতাস।
জগৎ—পৃথিবী।
একাগ্রচিত্তে—একমনে।
পাখা—ডানা।
রোপণ করা—রোয়া।


৪. বিপরীতার্থক শব্দ লিখে তা দিয়ে বাক্যরচনা করো :
ভিজে, রাত, বাইরে, গাঢ়, বিশ্বাস।


উত্তর।
ভিজে—শুকনো—শুকনো কাঠ ভালো জ্বলে।

রাত -দিন -শীতকালে দিন ছোট হয়।

বাইরে-ভিতরে -পেটের ভিতরে নাড়িভুঁড়ি থাকে।

গাঢ় -পাতলা- কাকুর ঘুম খুব পাতলা

বিশ্বাস-অবিশ্বাস – মিথ্যাবাদীকে সকলেই অবিশ্বাস করে।




উত্তর। ১৪.১ জানালায় কোনো শিক নেই ।সরল বাক্য।


১৪.২ জেগে থাকতে দেখা আর স্বপ্নে দেখা জিনিস আজকাল শংকরের গুলিয়ে যাচ্ছে।— যৌগিক বাক্য।


১৪.৩ পাখি দেখার জন্য যখন মাঠে বা বাগানে ঘুরবে তখন খুব সাবধানে পা টিপে টিপে চলবে।—জটিলবাক‍্য।


১৪.৪ বিভীষণ মাস্সাই যে তাকে এমন একটা কথা বলবেন তা ভাবতে পারেনি শংকর।—জটিল বাক্য।





১৬. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর লেখো :

১৬.১ ‘পাগলা বাতাসে তার ঢেউয়ের গুঁড়ো সবসময়ে উড়ে আসছে'—এখানে বাতাসকে ‘পাগলা’ বলা হল কেন?

উত্তর। আকন্দবাড়ি স্কুলের ৫-৭ মাইল দূরত্বে বঙ্গোপসাগর থেকে  আসা বাতাস খামখেয়ালি আচরণ করে বলে , বাতাসকে ‘পাগলা' বলা হয়েছে।


১৬.২ “বিভীষণ দাশ এমু পাখির কথা বলেছিলেন”—গল্পের বিভীষণ দাশ এর পরিচয় দাও। এমু পাখি ছাড়া গল্পে আর কোন পাখির প্রসঙ্গ এসেছে?

উত্তর। ‘সেনাপতি শংকর’ গল্পে উল্লিখিত বিভীষণ দাশ আকন্দবাড়ি স্কুলের  বিঞ্জানের শিক্ষক ছিলেন।
গল্পে এমু পাখি ছাড়া তিতির, পানকৌড়ি, শঙ্খচিল, হাঁড়িচাচা, ডৌখোল ইত্যাদি পাখির প্রসঙ্গ এসেছে।


১৬.৩ “শংকর বুঝল, কোথাও একটা বড়ো ভুল হয়ে যাচ্ছে”—কে এই শংকর ? তার স্বভাবের প্রকৃতি কেমন? তার যে কোথাও একটা বড়ো ভুল হয়ে যাচ্ছে—এটা সে কীভাবে বুঝতে পারল?
উত্তর। ‘সেনাপতি শংকর’ গল্পে আকন্দবাড়ি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র শংকর।

শংকর প্রকৃতিপ্রেমিক ও ভাবুক প্রকৃতির বালক। ক্লাসের পড়াশোনায় মনোযোগ না দিয়ে সে প্রকৃতি এবং পাখি দেখতে ভালো বাসে।

শংকরে উত্তর শুনে, মাস্টারমশাই যখন ব্যঙ্গ করে ধমক দেয়,তখন সে বুঝতে পারে যে তার  কোথাও একটা ভুল হয়ে যাচ্ছে।।


১৬.৪ এমু পাখির যে বর্ণনা শংকর দিয়েছিল তার সঙ্গে পাখিটির মিল বা অমিল কি লেখো।

উত্তর। শংকর এমুপাখি  বর্ণনা  দিয়েছিল, এমুপাখি বাজপাখির থেকে বড়ো, তার বুক প্রশস্ত এবং সে ওড়ার সময় ডানা দিয়ে বাতাস কাটার জোের শব্দ হয়।
অন্য পাখিরা আবার এমু পাখিকে ভয় পায়।
প্রকৃতপক্ষে এমু পাখি আকারে বড়ো। কিন্তু সে দৌড়ালেও উড়তে পারে না।  তাকে দৌড়বাজ পাখি বলা হয়।


১৬.৫ “এটা কি পঞ্চানন অপেরা পেয়েছ?”—‘অপেরা’ বলতে কী বোঝো? এখানে অপেরার প্রসঙ্গ এল কেন?


উত্তর। অপেরা বলতে যাত্রা দলকে বোঝানো হয়  ।
যাত্রা দলেরঅভিনেতা অভিনেত্রীরা  নিজে দের প্রতিভার দ্বারা মন থেকে অনেক কথা বলেন।ঠিক সেই রকম শংকর নিজের প্রতিভার মাধ্যমে এমু পাখির বর্ণনা দিচ্ছিল। ফলে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গে সাদৃশ্য কল্পনা করে মাস্টারমশাই অপেরার প্রসঙ্গ এনেছেন। পঞ্চানন অপেরা এখানে একটি যাত্র দলের নাম।


১৬.৬ “বলো, বলতেই হবে”—কাকে একথা বলা হল? উদ্দিষ্টকে কোন কথা বলতে হবে বলে দাবি জানানো হয়েছে?
উত্তর। আকন্দবাড়ি স্কুলের প্রকৃতিবিজ্ঞানের শিক্ষক বিভীষণ দাশ একথা শংকরকে বলেছেন।
এমু পাখির বর্ণনা দিতে গিয়ে ,শংকরের দেখা ঘোলপুকুরে সবেদা গাছে এমু পাখি দেখার আজগুবি কথার সত্যতা নির্ণয় করার জন্য মাস্টারমশাই তাকে একথা বলার কথা বলেন।


১৬.৭ গল্প অনুসরণে আকন্দবাড়ি স্কুলে সে প্রকৃতিবিজ্ঞান ক্লাসে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিজের ভাষায় বলো।
উত্তর। মাস্টারমশাই বিভীষণ দাশ আকন্দবাড়ি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণিতে এমু পাখি পড়াচ্ছিলেন। ছাত্র শংকর ক্লাসের পড়ায় মন না দিয়ে জানালার বাইরে আকাশে ওড়া শঙ্খচিল পাখি দেখছিল। মাস্টারমশাই তার ভাবভঙ্গি লক্ষ করে তাকে এমু পাখি সম্বন্ধে প্রশ্ন করেন। সে মন থেকে বানিয়ে অবাস্তব কিছু বলায় শিক্ষক মশাই এর ধমক খায়। তার অবস্থা থেকে সারা ক্লাসের ছাত্ররা হেসে উঠে তাকে ব্যঙ্গ করতে থাকে।


১৬.৮ “স্বপ্নে সে অনেককিছু জানতে পেরেছে।”—কার স্বপ্ন দেখার কথা বলা হয়েছে? স্বপ্ন দেখে সে কী জেনেছে?

উত্তর। উদ্ধৃত অংশে শংকরের স্বপ্ন দেখার কথা বলা হয়েছে। শংকরের দেখা স্বপ্নে বাড়িঘর খয়েরি রঙের এবং
বাতাস নীল রঙের। সে আরও দেখেছে যে স্বপ্নের মধ্যে ধাক্কা বা গুঁতো খেলে শরীরে কোনো ব্যথা অনুভূত হয় না।


১৬.৯ ‘পাখি দেখার জন্য যখন মাঠে বা বাগানে ঘুরবে’—তখন কীভাবে চলতে হবে?

উত্তর। পাখি দেখার জন্য মাঠে বা বাগানে ঘুরতে হলে খুব সাবধানে পা টিপে টিপে চলতে হবে—যেন পায়ে শব্দ না হয়। জামা কাপড়ের রং শুকনো পাতার রং বা জলপাই রঙের হলে ভালো। এই রং গাছের পাতারমিশে থাকে। বেগুনি রঙের জামা হলেও ভালো। কারণ পাখি বেগুনি রং দেখতে পায় না। ফলে পাখি ভালো করে দেখা যায়।


কেবলমাত্র গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তরগুলি দেওয়া হলো।

পরের অধ্যায় প্রশ্ন দেখুন