class 6 bangla pashu pakhir bhasha question answer
ষষ্ঠ শ্রেণির (বাংলা)
"পশু পাখির ভাষা"
সুবিনয় চৌধুরী
১.১.সুবিনয় চৌধুরী কি কি বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারতেন?
উত্তর -হারমোনিয়াম, এসরাজ প্রভৃতি বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারতেন।
১.২ সুবিনয় চৌধুরী কোন পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন?
উত্তর: সুবিনয় চৌধুরী 'সন্দেশ' পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
২. কোন্টি কার ডাক মিলিয়ে লেখো :
উত্তর। ব্যাঙের ডাক—মকমকি,
হাতির ডাক—বৃংহণ,
পাখির ডাক—কাকলি,
কোকিলের ডাক—কুহু,
ঘোড়ার ডাক—হ্রেষা,
ময়ূরের ডাক—কেকা।
৩. নীচের বিশেষ্য শব্দগুলিকে বিশেষণ এবং বিশেষণগুলিকে বিশেষ্যে রূপান্তরিত করো :
পশু, মুখ, মন, পরীক্ষা, চালাক, অর্থ, লোভ, জন্তু, মেজাজ।
উত্তর। পশু—পাশবিক।
মুখ—মৌখিক।
মন-মানসিক।
পরীক্ষা—পরীক্ষিত।
চালাক—চালাকি।
অর্থ—আর্থিক।
লোভ-লোভী।
জন্তু-জান্তব।
মেজাজ—মেজাজি।
৪.১ মুরগিরা ‘তি-তি’ ডাক শুনে আসে।
উত্তর।
উদ্দেশ্য—মুরগিরা ;
বিধেয়—‘তি-তি’ ডাক শুনে আসে।
৪.২ পাখিরাও ভয়, রাগ প্রভৃতি প্রকাশ করার জন্য বিশেষ বিশেষ শব্দ উচ্চারণ করে থাকে।
উত্তর। উদ্দেশ্য—পাখিরাও ; বিধেয়—ভয়, রাগ প্রভৃতি প্রকাশ করার জন্য বিশেষ বিশেষ শব্দ উচ্চারণ করে থাকে।
৪.৩ ক্যাস্টাং সাহেব প্রায় চল্লিশ বছর বন্যজন্তুদের সঙ্গে থেকেছেন।
উত্তর।
উদ্দেশ্য—ক্যাস্টাং সাহেব ;
বিধেয়—প্রায় চল্লিশ বছর বন্যজন্তুদের সঙ্গে থেকেছেন।
৪.৪ শিম্পাঞ্জি, ওরাং এদের বিষয় কিছু লেখা হয়নি।
উত্তর।
উদ্দেশ্য—শিম্পাঞ্জি, ওরাং ;
বিধেয়—এদের বিষয় কিছু লেখা হয়নি।
৫. প্রতিশব্দ লেখো : পাখি, পুকুর, হাতি, সিংহ, বাঘ।
উত্তর। পাখি—বিহ্বল, খেচর, বিহঙ্গ।
পুকুর—পুষ্করিণী, তড়াগ, জলাশয়
হাতি—গজ, ঐরাবত, হস্তি।
সিংহ—পশুরাজ,
বাঘ—ব্যাঘ্র।
৬. নীচের যে শব্দগুলিতে এক বা বহু বোঝাচ্ছে, তা চিহ্নিত করো লেখো :
৬.১ কুকুরেরাও কথা শুনে হুকুম পালন করতে ওস্তাদ।
উত্তর। কুকুরেরা—বহুবচন।
৬.২ তোমার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছে।
উত্তর। তোমার—একবচন।
৬.৩ বিপদের সময় পরস্পরকে জানাবার উপায়ও পশুপাখিরা বেশ জানে।
উত্তর। পশুপাখিরা—বহুবচন।
৬.৪ রিউবেন ক্যাস্টাং নামে একজন সাহেব বহুকাল পশুদের সঙ্গে ভাব পাতিয়ে বেড়িয়েছেন।
উত্তর। সাহেব—একবচন।
পশুদের—বহুবচন।
৬.৫ একেও ভাষা বলতে হবে।
উত্তর। ভাষা—একবচন।
৭. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর লেখো :
★ ৭.১ ভাষার প্রয়োজন হয় কেন?
উত্তর। মনের ভাব প্রকাশ করবার জন্য, ভাষার প্রয়োজন হয়।
৭.২ “পশুপাখিরা অবধি মানুষের অনেক কথারই অর্থ বোঝে।”—এ কথার সমর্থনে রচনটিতে কোন্ কোন প্রসঙ্গের অবতারণা করা হয়েছে? তুমি এর সঙ্গে কী কী যোগ করতে চাইবে?
উত্তর। পশুপাখিরা অবিশ্যি মানুষের অনেক কথারই অর্থ বোঝে। এ প্রসঙ্গে রচনায় উল্লেখ করা হয়েছে কুকুরকে নাম ধরে ডাক দিলে তারা কাছে আসে। মুরগিরা ‘তি-তি’ ডাক শুনে আসে, হাঁস‘সোই-সোই’ ডাক শুনে আসে। ছাগল ‘অ-র্-র্’ ডাক শুনে আসে। হাতি মাহুতের কথা শুনেই চলে। কুকুরেরাও প্রভুর কথা শুনে হুকুম পালন করতে পটু। এ ছাড়া বাড়িতে পোষা গোরু, ভেড়া, বেড়াল মানুষের কথা বোঝে এবং মানুষের ডাকে সাড়া দেয়। তাছাড়া পোষা পাখি, যেমন—ময়না, কাকাতুয়া, টিয়া প্রভৃতি পাখি মানুষের কথা বোঝে এবং মানুষের কণ্ঠস্বরের মতো শব্দ করে সাড়া দেয়।
৭.৩ রিউবেন ক্যাস্টাং এর অভিজ্ঞতার কথা পাঠ্যাংশে কীভাবে স্থান পেয়েছে, তা আলোচনা করো।
উত্তর। রিউবেন ক্যাস্টং সাহেব প্রায় চল্লিশ বছর বন্য জীবজন্তুদের সঙ্গে থেকেছেন। তিনি পশুদের ভাষা কিছু বুঝতেন। তাঁর সেই অভিজ্ঞতার ফলেই জংলি হাতি, হিংস্র বাঘ, গরিলার সামনে পড়েও মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচেছেন।
পোষা ও বুনো জন্তুদের সঙ্গে তাঁর আলাপ-পরিচয়ের সুযোগ হয়েছে। তাঁর বন্ধুদের মধ্যে বেশিরভাগই হচ্ছে শিম্পাঞ্জি,
গরিলা, সিংহ, গ্রিজ্বলি ভাল্লুক ও শ্বেত ভাল্লুক। এইসব পশুদের গলার শব্দ অবিকল নকল করার জ্ঞান থাকায় তিনি
বহুবার প্রাণ বাঁচিয়েছেন এবং তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাবার অনেক সুবিধে হয়েছে।
৭.৪ ‘একেও ভাষা বলতে হবে’—কাকে ভাষার মর্যাদা দিতে হবে বলে বক্তা মনে করেন? তুমি কি এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত? বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর। পশুরা শুধু শব্দের সাহায্যেই কথা বলে না, নানারকম ইশারার সাহায্যে কথা বলে। কুকুরের লেজ নাড়া আর কান নাড়ার মধ্যে কত অর্থ আছে, তা আমরা অনেকেই জানি। একেই ভাষার মর্যাদা দিতে হবে বলে বক্তা মনে করেন।হ্যাঁ, আমি এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করি। কারণ পশুরা নানা ইশারার সাহায্যে তাদের মনের ভাব প্রকাশ
করে এবং নিজেরাও নানা ইশারা বোঝে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করে।
★৭.৫ ‘তাই তারা স্বভাবতই নীরব’—কাদের কথা বলা হয়েছে? তাদের এই স্বভাবগত নীরবতার কারণ কী?
উত্তর। এখানে জঙ্গলের পশুদের কথা বলা হয়েছে।
কারণ জঙ্গলের পশুকে সর্বদাই প্রাণ বাঁচিয়ে চলতে হয়। তাই তারা স্বভাবতই নীরব।
★৭.৬ ‘এরা তো মানুষেরই জাত ভাই।'—কাদের ‘মানুষের জাতভাই' বলা হয়েছে? তা সত্ত্বেও মানুষের সঙ্গে তাদের কোন পার্থক্যের কথা পাঠ্যাংশে বলা হয়েছে, তা লেখো।
উত্তর। শিম্পাঞ্জি, ওরাং, গরিলা এদেরকে মানুষের জাত ভাই বলা হয়েছে।
কারণ এদের মুখের কোনো ভাষা না থাকলেও ,এরা ভালোবাসা, সহানুভূতি খুব ভালো বোঝে ; ভাবও পাতায় সহজেই। মানুষ কথা বলে বা ভাষার সাহায্যে মনের ভাব প্রকাশ করে।
৭.৭ তোমার পরিবেশে থাকা জীবজন্তুর ডাক নিয়ে তুমি একটি অনুচ্ছেদ রচনা করো।
উত্তর। আমার পরিবেশে গোরু, ছাগল, কুকুর, বেড়াল প্রভৃতি জীবজন্তুকে দেখতে পাই।