সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ‍্যায় অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর। - Online story

Tuesday 31 January 2023

সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ‍্যায় অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর।

 


পরিবেশ বিজ্ঞানে প্রথম অধ্যায় প্রশ্নের উত্তর দেখুন
সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস
দ্বিতীয় অধ‍্যায় 

অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর।

ভেবে দেখো  খুঁজে দেখো
১। শূন্যস্থান পূরণ করো :

(ক) বঙ্গ নামের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায়---
গ্রন্থে।

(ঐতরেয় আরণ্যক/আইন-ই-আকবরি/অর্থশাস্ত্র)

উঃ-ঐতরেয় আরণ্যক।

(খ) প্রাচীন বাংলার সীমানা তৈরি হয়েছিল.-----, -------, এবং।------।(ভাগীরণী
পদ্মা, মেঘনা/গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, সিন্ধু/কৃয়া, কাবেরী, গোদাবরী) নদী দিয়ে।

উঃ-ভাগীরথী, পদ্মা, মেঘনা।



(গ) সকলোত্তরপথনাথ উপাধি ছিল।------
(শশাঙ্কের/হর্ষবর্ধনের/ধর্মপালের)।

উঃ-হর্ষবর্ধনের


(ঘ) কৈবর্ত বিদ্রোহের একজন নেতা ছিলেন---
(ভীম/রামপাল/প্রথম মহীপাল)।

উঃ-ভীম


(ঙ) সেন রাজা--------(বিজয়সেনের/বল্লালসেনের/লক্ষ্মণসেনের) আমলে বাংলায় তুর্কি আক্রমণ ঘটে।
উঃ-লক্ষ্মণসেনের




(চ) সুলতানি যুগের একজন ঐতিহাসিক ছিলেন।-(মহম্মদ ঘুরি/মিনহাজ-ই সিরাজ/ ইখতিয়ার উদ্দিন‌/মহম্মদ বখতিয়ার খলজি।)

উঃ-মিনহাজ-ই সিরাজ।

২। 'ক'স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো :
ক-স্তম্ভ                        ক-স্তম্ভ
বজ্রভূমি                        উত্তর রাঢ়
লো-টো-মো-চিহ          বৌদ্ধ বিহার
গঙ্গাইকোওচোল          প্রথম রাজেন্দ্র
গৌড়বহো                     বাপতিরাজ
হরিকেল                      আধুনিক চট্টগ্রাম
কিতাব অল-হিন্দ          অল বিরুনি


,
৩। সংক্ষেপে (৩০-৫০ টি শব্দের মধ্যে) উত্তর লেখো :
(ক) এখনকার পশ্চিমবঙ্গের একটি মানচিত্র দেখো। তাতে আদি-মধ্যযুগের বাংলার কোন কোন নদী দেখতে পাবে?

উঃ- মানচিত্রে আদি মধ্যযুগে বাংলায় অজয় ,দামোদর, ময়ূরাক্ষী, রূপনারায়ন, ভাগীরথী, মহানন্দা ইত্যাদি নদী দেখতে পাওয়া যাবে।।

(খ) শশাঙ্কের আমলে বাংলার আর্থিক অবস্থা কেমন ছিল তা ভেবে লেখো।
উঃ- শশাঙ্কের আমলে বাংলার আর্থিক অবস্থা ছিল কৃষি নির্ভর ।ব্যবসা-বাণিজ্য শশাঙ্কের আমলে ভালো ছিল না। কৃষি গুরুত্ব খুব বেড়ে গিয়েছিল। ফলে মানুষ হয়ে পড়েছিল গ্রাম কেন্দ্রিক।


(গ) মাৎস্যন্যায় কী?
উঃ-মাৎস্যন্যায় বলতে অরাজকতা বা দেশের স্থায়ী রজার অভাবকে বোঝানো হয় । পুকুরের বডো মাছ যেমন ছোট মাছ গুলি খেয়ে ফেলে ,তেমনই অরাজকতা সময়ে শক্তিশালী লোক দুর্বল লোকের ওপর অত্যাচার করে।। সময়টা ছিল শশাঙ্কের মৃত্যুর পরে সপ্তম শতকের মধ্যভাগ থেকে অষ্টম শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত। ১০০ বছর বাংলার ইতিহাসে একটা পরিবর্তনের যুগ ।ওই সময় ক্ষত্রিয়, সম্ভ্রান্ত লোক, ব্রাহ্মণ ও বণিকটা ইচ্ছামত নিজেদের এলাকার শাসন করতেন । বাংলায় কোন কেন্দ্রীয় শাসক ছিল না। ওই যুগে ইতিহাসে মৎস্যনয় বলে অভিহিত করা হয়েছে।



(ঘ) খ্রিস্টীয় সপ্তম ও অষ্টম শতকের আঞ্চলিক রাজ্যগুলি কেমন ভাবে গড়ে উঠেছিল?
উঃ-খ্রিস্টীয় সপ্তম ও অষ্টম শতকে উত্তর এবং দক্ষিণ ভারতে কিছু নতুন আঞ্চলিক উত্থান ঘটে ছিল রাজবংশ গুলি স্থানীয় শক্তিশালী ব্যক্তিদের মর্যাদা দিয়ে তাদেরকে নানা উপাধিতে সম্মানিত করতো। তার বিনিময়ে শক্তিশালী ব্যক্তিবর্গরা রাজাকে যুদ্ধে সৈন্য দিয়ে সাহায্য করতো আবার কখনো কখনো রাজা দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ওই শক্তিশালী ব্যক্তিরাই নিজেদের অঞ্চল শাসন করতে শুরু করতো। এবং একটা নুতন রাজত্বের উত্থান ঘটাতো। যেমন কর্নাটকের চালুক্য শক্তি এর উদাহরণ আবার কখনো কখনো একটা শক্তির পতন ঘটলে অন্য একটা শক্তি সেখানে শাসন শুরু করতো।


(ঙ) সেন রাজাদের আদি নিবাস কোথায় ছিল? কীভাবে তারা বাংলায় শাসন কায়েম করেছিলেন?
উঃ- সিন রাজাদের আদি নিবাস ছিল দক্ষিণ ভারতের মহীশূর ও তার আশেপাশে এলাকায়।
 সেন রাজারা আদিতে মহীশূর ও তার আশেপাশে অঞ্চল থেকে তারা বাংলায় এসেছিলেন। তারা বংশগতভাবে প্রথমে ছিলেন ব্রাহ্মণ। পরে কোন কারণে ক্ষত্রিয় হয়ে যান। সামন্ত সেন ও তার ছেলে হেমন্ত সেনের সময়ে রাগ অঞ্চলে তারা কিছুটা আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন। হেমন্ত সেনের পুত্র বিজয় সেন রাঢ়, গৌড় ,পূর্ববঙ্গ, মিথিলা জয় করে সে রাজ্যের পরিধি বাড়িয়েছিলেন। এইভাবে তারা বাংলায় শাসন কায়েম করেছিলেন।


(চ) সুলতান মাহমুদ ভারত থেকে লুঠ করা ধনসম্পদ কীভাবে ব্যবহার করেছিলেন।
উঃ-সুলতান মাহমুদ ভারত থেকে লুঠ করা ধনসম্পদ তার রাজ্যে ভালো ভালো কাজ করেছিলেন ।যেমন তা রাজধানী গজনী ও অন্যান্য শহরকে সুন্দর করে সাজিয়েছিলেন। সেখানে মসজিদ, গ্রন্থগার, প্রাসাদ ,বাগিচা জলাধার, খাল এবং দরিয়া নদীর উপর বাঁধ নির্মাণ করেছিলেন।


৪.(ক) প্রচীন বাংলার রাঢ় -সূক্ষ্ম এবং গৌড় অঞ্চলের ভৌগোলিক পরিচয় দাও।

উঃ-রাঢ় রাঢ় অঞ্চলকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয় ।একটি উত্তরাঢ় ও দক্ষিণ রাঢ়। উত্তর রাঢ় বজ্জভূমি আর দক্ষিণ রাঢ় সুষ্মভূমি নামে পরিচিতি ছিল ।দুটি রাঢ়ের মাঝে সীমানা ছিল অজয় নদী। দক্ষিণ রাঢ় ছিল বঙ্গোপসাগরের নিকটবর্তী এলাকায়।আর উত্তরাঢ় ছিল আজকের মুর্শিদাবাদ জেলার পশ্চিমভাগ, বীরভূম জেলায়।

 গৌড় - সেকালে গৌড়ের প্রধান এলাকা বলতে ভাগীরথী পশ্চিম পাড়ে অঞ্চল কে বোঝাতো। আজকের মুর্শিদাবাদ জেলা।
বরাহ ও মেয়েদের রচনা অনুসারে মুর্শিদাবাদ বীরভূম ও বর্ধমান জেলার পশ্চিমভাগ নিয়ে তৈরি হয়েছিল সেকালের গৌড়।

(খ) শশাঙ্কের সঙ্গে বৌদ্ধদের সম্পর্ক কেমন ছিল, সে বিষয়ে তোমার মতামত দাও।
উঃ- শশাঙ্ক ছিলেন শিবের উপাসক বৌদ্ধ গ্রন্থে এবং সুয়ান জাং এর ভ্রমণ কাহিনীতে শশাঙ্ককে বৌদ্ধবিদ্বেষী বলা হয়েছে সেখানে শশাঙ্ক বিরুদ্ধে বৌদ্ধ ভিক্ষুকদের হত্যার কথা বলা হয়েছে অন্যদিকে চিনা পর্যটক ই-সিঙ্ ভ্রমণ কাহিনীতে শশংকর আমলে বৌদ্ধ ধর্মের অনেক উন্নতি কথা উল্লেখ করা হয়েছে। শশাঙ্ক যদি সত্যিই বৌদ্ধ বিদ্বেষী হতেন তাহলে বৌদ্ধ ধর্মের ওই উন্নতি তার চোখে পড়তো না বা তিনিও লিখতে পারতেন না ।


(গ) ত্রিশক্তি সংগ্রাম কাদের মধ্যে হয়েছিল? এই সংগ্রামের মূল কারণ কী ছিল?
উঃ-ত্রিশক্তি সংগ্রাম  হয়েছিল তিনটি শক্তির মধ্যে। এগুলি হলো (i)পাল (ii)গুর্জর-প্রতিহার (iii)রাষ্ট্রকুট ।
এই সংগ্রামের মূল কারণ ছিল কনৌজ দখল করা।



(
অন্য প্রশ্নের উত্তরগুলি করা দরকার নেই কারণ প্রথম পরীক্ষায় এ ধরনের প্রশ্ন আসা উচিত নয় আসবেও না