শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণদেবের অমৃতবাণী • - Online story

Friday 3 February 2023

শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণদেবের অমৃতবাণী •

 






যুগাবতার শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণদেবের অমৃতবাণী •


★ভক্তের ভাব হচ্ছে— প্রভু, আমি তোমার দাস, তুমি মা, আমি তোমার সন্তান,তুমি আমার সন্তান, আমি তোমার পিতামাতা। তুমি পূর্ণ, আমি তোমার অংশ।



★চাঁদা মামা যেমন সব শিশুর মামা, তেমনি ঈশ্বর সকলেরই আপনার; তাঁকে ডাকবার
সকলেরই অধিকার আছে। যে ডাকবে, তিনি তাকেই দেখা দিয়ে কৃতার্থ করবেন।


★সংসার করো না কেন, তাতে দোষ নাই। তবে ঈশ্বরেতে মন রেখে করো, জেনো
যে বাড়িঘর পরিবার আমার নয়, এ সব ঈশ্বরের। আমার ঘর ঈশ্বরের কাছে। আর
বলি যে, তাঁর পাদপদ্মে ভক্তির জন্য ব্যাকুল হয়ে সর্বদা প্রার্থনা করবে।


★সব কাজ করবে কিন্তু মন ঈশ্বরেতে রাখবে। স্ত্রী, পুত্র, বাপ, মা—সকলকে নিয়ে
থাকবে ও সেবা করবে। যেন কত আপনার লোক। কিন্তু মনে জানবে যে, তারা
তোমার কেউ নয়।



★বড়লোকের বাড়ির ঝি চাকর কাজ করবার সময় ভাবে সবই মনিবের কার্য, নিজের
কিছুই নয়। তেমনি সংসারে থেকে কাজ করতে করতে মনে করবে সবই তাঁর ঈশ্বরের
কাজ, নিজের বলতে কিছুই নাই।


★ ঈশ্বরে ভক্তিলাভ না করে যদি সংসার করতে যাও তাহলে আরও জড়িয়ে পড়বে।
বিপদ, শোক, তাপ—এ-সবে অধৈর্য হয়ে যাবে। আর যত বিষয়-চিন্তা করবে ততই
আসক্তি বাড়বে।


★বিবেক-বৈরাগ্য লাভ করে সংসার করতে হয়। সংসার-সমুদ্রে কামক্রোধাদি কুমির
আছে। বিবেক-বৈরাগ্য হলুদ গায়ে মেখে জলে নামলে কুমিরের ভয় থাকে না।


★ঈশ্বর কি ঐশ্বর্যের বশ? তিনি ভক্তির বশ। তিনি কী চান? টাকা নয়—ভাব, প্রেম,
ভক্তি, বিবেক, বৈরাগ্য—এই সব চান।


★তিন টান একত্র হলে তবে তিনি দেখা দেন—বিষয়ীর বিষয়ের উপর, মায়ের সন্তানের
উপর, আর সতীর পতির উপর টান।


★কখনও ভগবান চুম্বক, ভক্ত ছুঁচ। আবার কখনও ভক্ত চুম্বক পাথর হন, ভগবান
ছুঁচ হন। ভক্তের এমনই আকর্ষণ যে তার প্রেমে মুগ্ধ হয়ে ভগবান তার কাছে গিয়ে।
পড়েন।


★প্রেম রজ্জুর স্বরূপ। প্রেম হলে ভক্তের কাছে ঈশ্বর বাঁধা পড়েন, আর পালাতে পারেন না।


★বদ্ধজীবেরা ঈশ্বরচিন্তা করে না। যদি অবসর হয় তাহলে হয় আবোল-তাবোল ফালতু গল্প করে, নয় মিছে কাজ করে।



★যত লোক দেখি, ধর্ম ধর্ম করে— এ ওর সঙ্গে ঝগড়া করছে, ও ওর সঙ্গে ঝগড়া
করছে। হিন্দু, মুসলমান, ব্রহ্মজ্ঞানী, শাক্ত, বৈষ্ণব, শৈব—সব পরস্পর ঝগড়া। এ
বুদ্ধি নাই যে, যাঁকে কৃষ্ণ বলছ, তাঁকেই শিব, তাঁকেই আদ্যাশক্তি বলা হয়, তাঁকেই
যীশু, তাঁকেই আল্লা বলা হয়। এক রাম তাঁর হাজার নাম। এরকম মনে করা ভাল
নয় যে, আমার ধর্মই ঠিক, আর অন্য সকলের ধর্ম ভুল। সব পথ দিয়েই তাঁকে
পাওয়া যায়। আন্তরিক ব্যাকুলতা থাকলেই হল। অনন্ত পথ — অনন্ত মত।


★জ্ঞানযোগও সত্য, ভক্তিপথও সত্য—সব পথ দিয়ে তাঁর কাছে যাওয়া যায়। তিনি
যতক্ষণ ‘আমি’ রেখে দেন, ততক্ষণ ভক্তিপথই সোজা।



★নিষ্কামভাবে কর্ম করতে পারলে চিত্তশুদ্ধি হবে, ঈশ্বরের উপর তোমার ভালবাসা
আসবে। ভালবাসা এলেই তাঁকে লাভ করতে পারবে।



★মন স্থির না হলে যোগ হয় না। সংসার-হাওয়া মনরূপ দীপকে সর্বদা চঞ্চল করছে।
এই দীপটা যদি আদপে না নড়ে তাহলে ঠিক যোগের অবস্থা হয়ে যায়।



★কর্ম সকলেই করে— তাঁর নাম গুণগান করা এও কর্ম—সোহহংবাদীদের ‘আমিই
সেই’ এই চিন্তাও কর্ম—নিঃশ্বাস ফেলা, এও কর্ম। কর্মত্যাগ করবার জো নাই। তাই
কর্ম করবে, কিন্তু ফল ঈশ্বরে সমর্পণ করবে।



★মনকে যদি কুসঙ্গে রাখ, তবে কথাবার্তা, চিন্তাধারা সেইরকমই হয়ে যাবে। যদি ভক্তের
সঙ্গে রাখ, ঈশ্বরচিন্তা, হরিকথা— এই সব হবে।

★এক উপায়ে জাতিভেদ উঠে যেতে পারে। সে উপায়—ভক্তি। ভক্তের জাতি নাই।
ভক্তি হলেই দেহ, মন, আত্মা সব শুদ্ধ হয়।


★সর্বদা তাঁর নাম করতে হয়। কাজের সময় মনটা তাঁর কাছে ফেলে রাখতে হয়।



★বিষয়বুদ্ধি ত্যাগ না করলে চৈতনাই হয় না—ভগবান লাভ হয় না—বিষয়বুদ্ধি থাকলেই
কপটতা হয়। সরল না হলে তাকে পাওয়া যায় না।



★যদি বলো কোন মূর্তির চিন্তা করব; যে-মূর্তি ভাল লাগে তারই ধ্যান করবে। কিন্তু
জানবে যে, সবই এক।



★সংসার কর্মক্ষেত্র, কর্ম করতে করতে তবে জ্ঞান হয়। গুরু বলেছেন, এই সব কর্ম
করো, আর এই সব কর্ম করো না। আবার তিনি নিষ্কাম কর্মের উপদেশ দেন।
কর্ম করতে করতে মনের ময়লা কেটে যায়।


★বেশি বিচার করা ভাল নয়, মা-র পাদপদ্মে ভক্তি থাকলেই হল। বেশি বিচার করতে
গেলে সব গুলিয়ে যায়।


★সাধুসঙ্গ সর্বদা দরকার, সাধু ঈশ্বরের সঙ্গে আলাপ করে দেন।



★সত্যকথা কলির তপস্যা। কলিতে অন্য তপস্যা কঠিন। সত্যকে আঁট করে ধরে থাকলে
তবে ভগবান লাভ হয়। যার সত্যনিষ্ঠা আছে, মা তার কথা কখনও মিথ্যা হতে দেন না।



★মিথ্যার কিছুই ভাল নয়। মিথ্যা ভেক ভাল নয়। মিথ্যা ভেকের মতো যদি মনটা
হয়, তবে ক্রমে সর্বনাশ হয়। মিথ্যা বলতে বা করতে ক্রমে ক্রমে ভয় ভেঙে যায়।



★যতক্ষণ ঈশ্বরকে লাভ না হয়, ততক্ষণ মনে হয় আমরা স্বাধীন। এ তিনিই রেখে
দেন, তা না হলে পাপের বৃদ্ধি হত।


★তিনি তো সর্বভূতেই আছেন—তবে ভক্ত কাকে বলে? যে তাঁতে থাকে—যার মন-
প্রাণ-অন্তরাত্মা সব তাঁতে গত হয়েছে।

★তাঁকে ব্যাকুল হয়ে প্রার্থনা করতে হয়। আন্তরিক হলে তিনি প্রার্থনা শুনবেনই শুনবেন।


★যে ধর্মই হোক, যে মতই হোক, সকলেই সেই এক ঈশ্বরকে ডাকছে; তাই কোনো ধর্ম, কোনো মতকে অশ্রদ্ধা বা ঘৃণা করতে নাই।


★যার বিবেক হয়েছে, সে জানে ঈশ্বরই বস্তু আর সব অবস্তু।


★হাজার লেখাপড়া শেখ, ঈশ্বরে ভক্তি না থাকলে তাঁকে লাভ করবার ইচ্ছা না
থাকলে—সব মিছে।



★সত্য সত্যই ঈশ্বরের দেখা পাওয়া যায় রে, এই যেমন তোতে আমাতে এখন বসে
কথা কইচি, এই রকম করে তাঁকে দেখা যায়, তাঁর সঙ্গে কথা কওয়া যায় সত্য বলছি, মাইরি বলছি।



★ভোগ করতে গেলেই বন্ধনে পড়ে যেতে হয়। সেজন্য বড় বড় করে, তাতে দোষ দেখে, মন থেকে তাড়াতে হয়।

★ধ্যান করবে মনে, কোণে আর বনে। ঈশ্বরচিত্তা যত লোকে টের না পায়, ততই ভালো।


লোকে বিচার


★ত্যাগ করতে হলে ঈশ্বরের কাছে পুরুষকারের জন্য প্রার্থনা করতে হয়। যা মিথ্যা বলে বোধ হবে তা তৎক্ষণাৎ ত্যাগ করতে হয়।



★অভ্যাস দ্বারা মনে অসাধারণ শক্তি এসে পড়ে, তখন ইন্দ্রিয় সংযম করতে কাম,
ক্রোধ বশ করতে কষ্ট হয় না।



★ইশ্বরের নামগুণগান সর্বদা করতে হয়। আর সৎসঙ্গ ঈশ্বরের ভক্ত বা সাধু, এদের
কাছে মাঝে মাঝে যেতে হয়।


★যারা খানদানি চাষা, তারা বারো বৎসর অনাবৃষ্টি হলেও চাষ দিতে ছাড়ে না। তেমনই
যারা ঠিক ঠিক ভক্ত ও বিশ্বাসী, তারা সমস্ত জীবন তাঁর দর্শন না পেলেও তাঁর
নাম-গুণানুকীর্তন করতে ছাড়ে না।



★মানুষের শক্তি দ্বারা লোকশিক্ষা হয় না। ঈশ্বরের শক্তি না হলে অবিদ্যা জয় করা
যায় না।


★তাঁকে হৃদয়মন্দিরে আগে প্রতিষ্ঠা করো। বক্তৃতা, লেকচার, তারপর ইচ্ছা হয়তো
করো। শুধু ব্রহ্ম ব্রহ্ম বললে কী হবে, যদি বিবেক-বৈরাগ্য না থাকে? ও তো
ফাঁকা শঙ্খধ্বনি।



★প্রকৃত প্রচার কীরকম জান? লোককে না ভজিয়ে আপনি ভজলে যথেষ্ট প্রচার
হয়। যে আপনি মুক্ত হবার চেষ্টা করে সে যথার্থ প্রচার করে।




★যার সংসার অনিত্য বলে বোধ হয় নাই, তার কাছে উপদেশ লওয়া উচিত নয়।
যে কাশী দেখেছে তার কাছেই কাশীর কথা শুনতে হয়।



★জীবের অহঙ্কারই মায়া। এই অহঙ্কার সব আবরণ করে রেখেছে। আমি মলে ঘুচিবে
জঞ্জাল।' যদি ঈশ্বরের কৃপায় ‘আমি অকর্তা' এই বোধ হয়ে গেল, তাহলে সে ব্যক্তি তো জীবন্মুক্ত হয়ে গেল। তার আর ভয় নাই।


★একান্ত যদি ‘আমি’ যাবে না, তবে থাক শালা ‘দাস আমি’ হয়ে। 'হে ঈশ্বর! তুমি
প্রভু, আমি দাস’ এই ভাবে থাকো। আমি দাস, আমি ভক্ত– এরূপ আমিতে দোষ
নাই, মিষ্টি খেলে অম্বল হয়, মিছরি মিষ্টির মধ্যে নয়।


★সকলকে ভালবাসতে হয়। কেউ পর নয়। সর্বভূতেই সেই হরি আছেন। তিনি ছাড়া কিছুই নাই।


কাউকে নিন্দা কোরো না, পোকাটিরও না। নারায়ণই এই সব রূপ ধরে রয়েছেন।
যেমন ভক্তি প্রার্থনা করবে তেমনই এটাও বলবে—‘যেন কারও নিন্দা না করি।'





★অর্থ যার দাস, সেই মানুষ। যারা অর্থের ব্যবহার জানে না, তারা মানুষ হয়ে মানুষ
নয়। আকৃতি মানুষের, কিন্তু পশুর ব্যবহার।




★সহ্যগুণের চেয়ে আর গুণ নেই। যে সয়, সে রয়। যে না সয়, সে নাশ হয়।
সকল বর্ণের মধ্যে ‘স’ তিনটি—শ, ষ, স। সকলেরই সহ্যগুণ থাকা চাই।


★তিনি আপনার মা, আপনার বাপ। তাঁর উপর জোর খাটে। আপনার লোককে এমন
কথা পর্যন্ত বলা যায়, দিবি নে রে, শালা? আপনার মা বোধ থাকলে এক্ষণি হয়।
তিনি তো মা নন, আপনারই মা। ব্যাকুল হয়ে মা-র কাছে আবদার করো। ব্যাকুল হলে তিনি শুনবেনই শুনবেন।



★আগুন দেখলে কোথা হতে পতঙ্গ উড়ে এসে তাতে প্রাণ দেয়, আগুন কোনোদিন
পতঙ্গকে ডাকুতে যায় না। সিদ্ধ পুরুষদিগের প্রচারও সেইরূপ। তাঁহারা কাহাকেও
ডাকতে যান না, অথচ কোথা হতে শত শত লোক এসে তাঁদের নিকট শিক্ষা লয়।



★পরলোকের কথা বলছো? গীতার মতো—মৃত্যুকালে যা ভাববে তাই হবে। ভরত
রাজা ‘হরিণ' হরিণ' করে শোকে প্রাণ ত্যাগ করেছিল। তাই তার হরিণ হয়ে জন্মাতে
হলো। তাই জপ, ধ্যান, পূজা এসব রাতদিন অভ্যাস করতে হয়—তা হ'লে মৃত্যুকালে
ঈশ্বর চিন্তা আসে—অভ্যাসের গুণে। এরূপ মৃত্যু হ'লে ঈশ্বরের স্বরূপ পায়।



★সংসারীর জ্ঞান আর সর্বত্যাগীর জ্ঞান অনেক তফাৎ। সংসারীর জ্ঞান দীপের আলোর ন্যায়; ঘরের ভেতরটাই আলো হয়, নিজের দেহ ঘরকন্না ছাড়া আর কিছুই বুঝতে
পারে না। কিন্তু সর্বত্যাগীর জ্ঞান সূর্যের আলোর ন্যায়। যে আলোকে ঘরের ভেতর
বাহির সব দেখা যায়।



★প্রদীপের স্বভাব আলো দেওয়া। কেহ তাতে ভাত রাঁধে, কেহ জ্বাল করে, কেহ তাতে
ভাগবত পাঠ করে। সে কি আলোর দোষ? অর্থাৎ কেউ ভগবানের নাম করে মুক্তির
চেষ্টা করছে, কেউ চুরি করতে চেষ্টা করছে, সে কি ভগবানের দোষ?



★যেমন কালীঘাটে মায়ের বাড়ি যাবার অনেক পথ আছে; সেইরকম ভগবানের ঘরেও নানাপথ দিয়ে যেতে পারা যায়। প্রত্যেক ধর্মই এক এক পথ দেখিয়ে দিয়েছে।



★জলে নৌকো থাকে ক্ষতি নেই, কিন্তু নৌকোয় যেন জল না থাকে। সাধক সংসারে থাকুক ক্ষতি নেই, কিন্তু সাধকের ভেতর যেন সংসার না থাকে।


★কেন নাম কি কম? তিনি আর তাঁর নাম তফাৎ নয়। সত্যভামা যখন তুলাযন্ত্রে
স্বর্ণ মণি-মাণিক্য দিয়ে ঠাকুরকে ওজন কচ্ছিলেন, তখন ওজন ঠিক হলো না। যখন
রুক্মিণী তুলসী আর কৃষ্ণনাম একদিকে লিখে দিলেন তখন ঠিক ওজন হলো!



★ ঈশ্বর কি ঐশ্বর্যের বশ? তিনি ভক্তির বশ। তিনি কি চান? টাকা নয়, ভাব, প্রেম, ভক্তি বিবেক , বৈরাগ্য এসব চান।


★ঈশ্বরেতে সব মন দাও, তাঁর প্রেম সাগরে ঝাঁপ দাও এ সমুদ্রে ডুব দিলে মরবার ভয় নেই
এ যে অমৃতের সাগর।


★সংসার আর মুক্তি দুই ঈশ্বরের ইচ্ছা।
তার মারতে সংসরী জীব কামিনী ফনে বন্ধ
আবার তিনি ইচ্ছা করে যখন ডাকবেন তখন মুক্তি হবে।
তাঁর দয়া হলেই মুক্তি তিনি ভববন্ধনের বন্ধনহারিণী তারিণী।

★কেউ ঐশ্বর্যের-বিভব, মান, পদ; এই সবের অহঙ্কার করে। এই সব দুই দিনের জন্য;
কোন কিছুই সঙ্গে যাবে না।

★এক হাতে কর্ম কর, আর এক হাতে ঈশ্বরকে ধরে থাকো, কর্ম শেষ হলে দুই হাতে ঈশ্বরকে ধরবে।



★প্রদীপের সামনে বসে কেউ বা ভাগবত পড়ছে, আর কেউ বা জাল করছে; প্রদীপ
নির্লিপ্ত। সূর্য শিষ্টের উপর আলো দিচ্ছে আবার দুষ্টের উপরও দিচ্ছে।


■আমার জিনিস, আমার জিনিস, বলে—সেই সকল জিনিসের নাম মায়া, সবাইকে ভালোবাসার নাম দয়া।


★শিব ও শক্তি ভিন্ন জগতে কেউ নেই।


★ধ্যান করবে মনে, বনে আর কোণে।


★অনুরাগ হলে ঈশ্বর লাভ হয়।