দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রথম অধ‍্যায় অনুশীলন উত্তর - Online story

Sunday 5 February 2023

দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রথম অধ‍্যায় অনুশীলন উত্তর

 

ভৌত বিজ্ঞান আট অধ্যায় অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর
গণিত লম্ব বৃত্তাকার চোঙ এর অংক গুলো দেখুন
       দশম শ্রেণীর
আমার ভূগোল ও পরিবেশ
   অনুশীলন উত্তর
প্রশ্নমান - 1
 বিভাগ (A) বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন :
* সঠিক উত্তরটি চিহ্নিত করো (MCQ) :



1. নদী বিভাজিকা থেকে উৎপন্ন নদীগুলির মধ্যবর্তী ঢালু উচ্চভূমিটিকে বলা হয়

(a) জলবিভাজিকা
 (b) স্বাভাবিক বাঁধ
 (c) অভিক্ষিপ্তাংশ
 (d) ভৃগুতট।
উঃ-(a) জলবিভাজিকা


2. নদীর পার্বত্য প্রবাহে ক্ষয়কাজের ফলে গড়ে ওঠে
 (a) ফিয়র্ড
 (b) কেটেল
(c) সোয়ালো হোল
(d) মন্থকূপ।
উঃ-(d) মন্থকূপ

 3. পৃথিবীর সর্বোচ্চ জলপ্রপাতটি হল

 (a) যোগ
(b) নায়াগ্রা
 (c) অ্যাঞ্জেল
(d) ভিক্টোরিয়া।
উঃ-(c) অ্যাঞ্জেল

 4. মিসিসিপি নদীর বদ্বীপ কার মতো?
(a) মাত্রাহীন বাংলা ‘ব’অক্ষরের মতো
 (b) পাখির পাখার মতো
(c) পাখির আঙুলের মতো
 (d) ধনুকের মতো।
উঃ-(c) পাখির আঙুলের মতো

5. অশ্বক্ষুরাকৃতিহ্রদ গড়েওঠে
 (a) নদীর ক্ষয়কাজের ফলে
(b) হিমবাহের ক্ষয়কাজের ফলে
(c) নদীর সঞ্চয়কাজের ফলে
(d) নদীর ক্ষয় ও সঞ্চয়কাজের ফলে।
উঃ-(c) নদীর সঞ্চয়কাজের ফলে

6. সুন্দরবন হল
(a) সক্রিয় বদ্বীপ
 (b) পরিণত বদ্বীপ
(c) মৃতপ্রায় বদ্বীপ
(d)'ধনুকাকৃতিবদ্বীপ।
উঃ-(a) সক্রিয় বদ্বীপ

7. পাশাপাশি দুটি করি বা সার্ক গঠিত হলে সৃষ্টি হয়

(a) বোল্ডার ক্লে
 (b) অ্যারেট
 (c) হিমদ্রোণি
(d) রসেমতানে।

উঃ- (b) অ্যারেট


৪. ড্রামলিন সাধারণত দেখা যায়
(a) পর্বতগাত্রে
 (b) পর্বতের পাদদেশের নিম্নভূমিতে
(c) উপকূল অঞ্চলে
(d) মরু অঞ্চলে।

উঃ-(b) পর্বতের পাদদেশের নিম্নভূমিতে

9. ঝুলন্ত উপত্যকা সৃষ্টি হয়
 (a) পার্বত্য হিমবাহ দ্বারা
(b) মহাদেশীয় হিমবাহ দ্বারা
 (c) উপকূলীয় হিমবাহ দ্বারা
(d) পাদদেশীয় হিমবাহ দ্বারা।

উঃ- (a) পার্বত্য হিমবাহ দ্বারা


10. পেডিমেন্ট গড়ে ওঠে
(a) মরু অঞ্চলে
(b) মেরু অঞ্চলে
 (c) উপকূল অঞ্চলে
(d) হিমবাহ অধ্যুষিত অঞ্চলে।

উঃ-a) মরু অঞ্চলে

11. ইয়ারদাঙ গঠিত হয়-

(a) হিমবাহের সঞ্জয়ের ফলে
 (b) বায়ুর সঞ্চয়ের ফলে
(c) বায়ুর ক্ষয়কাজের ফলে
(d) জলধারার ক্ষয়কাজের ফলে।

উঃ-(c) বায়ুর ক্ষয়কাজের ফলে


12. বায়ুর গতিপথে আড়াআড়িভাবে গঠিত
অর্ধচন্দ্রাকৃতি বালিয়াড়িকে বলে

(a) সিফ বালিয়াড়ি
(b) বাৰ্খান বালিয়াড়ি
(c) অ্যাকলে বালিয়াড়ি
(d) অধিবৃত্তীয় বালিয়াড়ি ।
উঃ-(b) বাৰ্খান বালিয়াড়ি

 বিভাগ (B) অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন :
শূন্যস্থান পূরণ করো :

1. পাশাপাশি অবস্থিত দুটি নদী অববাহিকাকে পৃথক করে যে উচ্চভূমি তাকে বলে------।
উঃ-জলবিভাজিকা

। 2. উচ্চগতিতে নদীর প্রধান কাজ----
উঃ-ক্ষয় ।



13. পলল শঙ্কু গঠিত হয় পর্বতের----।
উঃ-পাদদেশে।

 4. নদী তার গতিপথে সৃষ্ট শিলাধাপের উপর
দিয়ে নেমে এলে সৃষ্টি হয় –

উঃ-খরস্রোত।

15. চিরতুষারাবৃত অঞ্চলের নিম্নতম প্রান্তরেখাকে বলে -----।
উঃ- হিমরেখা।


6. গ্র্যান্ড ব্যাংক হল একটি------।

উঃ-ক‍্যানিয়ন।


7. কোনো পর্বতশৃঙ্গের চারপাশে করি বা সার্ক গঠিত হলে---- সৃষ্টি হয়।


উঃ-পিরামিড চূড়া।



৪. হিমবাহের সঞ্চয়কাজের ফলে পর্বতগাত্রে--
সৃষ্টি হয়।

উঃ-গ্ৰাবরেখা বা মোরেন।

9. হিমবাহের সঞ্চয়ের ফলে উলটানো নৌকার মতো যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে তাকে--- বলে ।

উঃ-ড্রামলিন।

10------অঞ্চলে জিউগেন দেখা যায়।

উঃ-মরু।

 11. মরু অঞ্চলে অবস্থিত কঠিন শিলাগঠিত টিলাকে বলে
উঃ-ইনসেলবার্জ।

12. মরুভূমির মাঝে লবণাক্ত জলের হ্রদের নাম -----

উঃ-প্লায়া।


13. কঠিন ও কোমল শিলাস্তর-------- ভাবে অবস্থান  করলে ইয়ারদাঙ গড়ে ওঠে।
উঃ-উলম্ব


14. বায়ুতাড়িত সূক্ষ্ম পদার্থ
বহু দূরে গিয়ে সজ্জিত হয়ে ------ গড়ে ওঠে

উঃ-লোয়েস সমভূমি।


প্রশ্নমান - 1


* সত্য/মিথ্যা নিরূপণ করো :

1. পার্বত্য প্রবাহে নদীর ক্ষয়কাজ খুব কম হয়।
উঃ-ভুল।
(ক্ষয়কাজ খুব বেশি হয়।)



2 মধ্যগতিতে নদীর প্রবাহ পথে 'V' আকৃতির  উপত্যকা সৃষ্টি করে।

উঃ-ভুল।
(উচ্চগতিতে নদীর প্রবাহ পথে 'V' আকৃতির
 উপত্যকা সৃষ্টি করে।)

 3. গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন পৃথিবীর দীর্ঘতম ক্যানিয়ন।
উঃ-ঠিক।

 4. পলল শঙ্কুর আকার হাতপাখার
মতো।

উঃ- ঠিক।

 5. নদীর খাঁড়িগুলি বৃষ্টির জলে পুষ্ট হয়।
উঃ-ভুল।
₹নদীর নিম্ন গতিতে মূল নদী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সৃষ্টি হয়।)

6. সুন্দরবন হল সক্রিয় বদ্বীপ।
উঃ-ঠিক।

 7. হিমশৈলের নয় ভাগের আট ভাগ জলের ওপরে থাকে।
উঃ-ভুল
(হিমশৈলের নয় ভাগের আট ভাগ জলের নীচে থাকে। )


৪. 'U' আকৃতির উপত্যকা সৃষ্টি হয় হিমবাহের ফলে।
উঃ-ঠিক।

9. কঠিন শিলাবিশিষ্ট আগ্নেয় উদবেধকে টেল বলে।
উঃ- ভুল।
(কঠিন শিলাবিশিষ্ট আগ্নেয় উদবেধকে ক্রাগ বলে। )


10. প্রায় সমান্তরাল শৈলশিরার মতো গঠিত ভূমিরূপকে ড্রামলিন বলে।
উঃ-ভুল।
উলটানো.নৌকার মতো যে ভূমিরূপকে ড্রামলিন বলে ।



 স্তম্ভ মেলাও :
ৰামস্তম্ভ।                       ডানস্তম্ভ
(i)মরুদ্যান
(ii) মন্থকূপ।              (a) জলপ্রপাত
(iii) ঝুলন্ত উপত্যকা।   (b) বায়ুর অপসারণ
(iv) বায়ু ও জলধারার মিলিত(c)কেম
সঞ্চয়ের ফলে গঠিত ভূমি(d) নদীর উচ্চভূমি
বহির্জাত প্রক্রিয়া
(v) হিমবাহ ও জলধারার    (e) বাজাদা
মিলিত সঞ্চয়ের ফলে গঠিত
ভূমিরূপ

উত্তর
ৰামস্তম্ভ।                       ডানস্তম্ভ
(i)মরুদ্যান.          (b) বায়ুর অপসারণ
(ii) মন্থকূপ।             (d) নদীর উচ্চভূমি
(iii) ঝুলন্ত উপত্যকা।    (a)জলপ্রপাত

(iv) বায়ু ও জলধারার মিলিত (e) বাজাদা
সঞ্চয়ের ফলে গঠিত ভূমি
বহির্জাত প্রক্রিয়া

(v) হিমবাহ ও জলধারার   (c)কেম
মিলিত সঞ্চয়ের ফলে গঠিত
ভূমিরূপ





* একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও :


1. নদীর উৎস অঞ্চলের অববাহিকাকে কী বলে?

উঃ-নদীর উৎস অঞ্চলের অববাহিকাকে ধারণ  অববাহিকা বলে।

2. শুষ্ক অঞ্চলের গিরিখাতকে কী বলে?
উঃ-শুষ্ক অঞ্চলের গিরিখাতকে ক‍্যানিয়ন বলে।

3. ভারতের উচ্চতম জলপ্রপাতের নাম কী?
উঃ-ভারতের উচ্চতম জলপ্রপাতের যোগ বা জেরসোপ্পা।


4. একটি ত্রিকোণাকার বদ্বীপের নাম করো।
উঃ- গঙ্গা ব্রহ্মপুত্রে মিলিত বদ্বীপ।


5. পৃথিবীর দীর্ঘতম মহাদেশীয় হিমবাহের নাম লেখো।
উঃ-পৃথিবীর দীর্ঘতম মহাদেশীয় হিমবাহের নাম ল্যাম্বার্ট হিমবাহ।

 6. হিমরেখা কী?
উঃ- চিরতুষারাবৃত অঞ্চলের নিম্নতম প্রান্তরেখাকে বলে  হিমরেখা।

7. হিমবাহ এবং বরফাবৃত পর্বতগাত্রের মধ্যে সৃষ্ট ফাটলকে কী বলে?

উঃ-হিমবাহ এবং বরফাবৃত পর্বতগাত্রের মধ্যে সৃষ্ট ফাটলকে বলে বার্গমুন্ড।

৪. পর্বতের পাদদেশে গঠিত আঁকাবাঁকা শৈলশিরার মতো ভূমিরূপকে কী বলে?

উঃ-পর্বতের পাদদেশে গঠিত আঁকাবাঁকা শৈলশিরার মতো ভূমিরূপকে  বলে এসকার।


 9. ড্রামলিন অধ্যুষিত অঞ্চলের
ভূপ্রকৃতিকে কী বলে?

উঃ- ঝুড়ি ভর্তি ডিমের অঞ্চল বলে।

 10. মরু অঞ্চলে গঠিত ব্যাঙের
ছাতার মতো ভূমিরূপকে কী বলে?

উঃ-মরু অঞ্চলে গঠিত ব্যাঙের
ছাতার মতো ভূমিরূপকে বলে গৌর।

11.
মরুভূমিতে দেখতে পাওয়া শুষ্ক নদীখাতকে কি  বলে ?1??1. মরুভূমিতে দেখতে পাওয়া শুষ্ক নদীখাতকে কী বলে?
উঃ-মরুভূমিতে দেখতে পাওয়া শুষ্ক নদীখাতকে  বলে ওয়াদি।


বিভাগ (C) সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন : প্রশ্নমান - 2

1. নদী অববাহিকা কাকে বলে?
উঃ- প্রধান নদী ও তার উপনদী এবং শাখা নদী গুলি যে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সেই বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে নদী অববাহিকা বলে।


 2. ষষ্ঠ ঘাতের সূত্র কী?
উঃ- নদীর গতিবেগের সঙ্গে নদীর পরিবহন ক্ষমতার এই অনুপাতকে বলা হয় ষষ্ঠ ঘাতের সূত্র।


3. নদীপ্রবাহ বলতে কী বোঝো?
উঃ- নদী উৎস থেকে তার জল স্রোতের দ্বারা দ্রব্যসমূহ মোহনার দিকে বয়ে নিয়ে যায় এই প্রক্রিয়ায় কি নদীর পরিবহন বা নদী প্রবাহ বলে।

 4. হিমরেখা কী?

উঃ-চিরতুষারাবৃত অঞ্চলের নিম্নতম প্রান্তরেখাকে বলে  হিমরেখা।


5. হিমশৈল বলতে কী বোঝো?
উঃ- ইমো চললো বলতে সমুদ্র জলে ভাসমান পাহাড় প্রমাণ বরফের স্তুপ কে বোঝায় এর নয় ভাগের আট ভাগ জলের তলায় থাকে।

 6.মগ্নচড়া কীভাবে সৃষ্টি হয়?

উঃ- হিমশৈল গুলি ভাসতে ভাসতে উষ্ণ স্রোতের সংস্পর্শে এলে গলে যায় এবং তখন সমুদ্রবক্ষে মগ্নচড়া সৃষ্টি করে।


7. ‘ঝুড়ি ভরতি ডিমের মতো ভূপ্রকৃতি’—বলতে কী বোঝো?
উঃ-হিমাবাহ অধ্যুষিত বোল্ডার ক্লে অঞ্চলে, হিমগ্ৰাবের অধ্যক্ষেপণের দ্বারা গঠিত উলটানো চামচ বা উলটানো নৌকার মতো,
অর্থাৎ উপবৃত্তাকার সারি সারি যে উঁচু ঢিবিগুলি চোখে পড়ে, তাদের ড্রামলিন বলে। বোল্ডার ক্লে সঞ্জিত অঞ্চলে অনেক ছোট ছোট পোস্ত খন্ড সঞ্চিত হয়ে সারিবদ্ধ টিলার মত ড্রামলিন গঠন করে ড্রামলিনবহুল অঞ্চল কে উপর থেকে দেখলেই ঝুড়ি ভর্তি ডিমের মতো লাগে।


 ৪. বালিয়াড়ি কী?
উঃ- বায়ুপ্রবাহ দ্বারা মরুভূমির বালি এক স্থান থেকে অন্য স্থানে এসে সঞ্চিত হয়ে যে দীর্ঘ ও উচ্চ বালির স্তূপ গঠন করে ,তাকে বালিয়াড়ি বলে।

 9. লোয়েস সমভূমি বলতে কী বোঝো?
উঃ- বায়ুবাহিত হলুদ বা ধূসর রঙের অতিসূক্ষ্ম (0.05 মিমি অপেক্ষা ক্ষুদ্র ব্যাসবিশিষ্ট)অদৃঢ়, অসংবদ্ধ ক্যালসাইট, ডলোমাইট, কোয়ার্টজ প্রভৃতির কণাকে লোয়েস বলে। এই লোয়েস কণা উৎস অঞ্চল থেকে বায়ু দ্বারা বাহিত হয়ে বহুদূরে অবক্ষিপ্ত হয়ে যে সমভূমির সৃষ্টি করে, তাকে লোয়েস সমভূমি বলে।
 


10. মরূদ্যান কীভাবে গড়ে ওঠে?
উঃ-মরুভূমির কোনো অঞ্চল থেকে অবনমন প্রক্রিয়ায় প্রবল বায়ুপ্রবাহের দ্বারাপ্রচুর পরিমাণে বালুকারাশি অপসারিত হতে থাকলে ভূমি অবনমিত হয়ে পড়ে এবং সেখানে অবনমিত ভূমির সৃষ্টি হয়। এগুলিকে মরুখাত বলে। এখানে জল জমা হয় । কঠিন কঠিন শিলার স্তরের ফাঁকে গাছ জন্মায় এইভাবে মরুদ্দ্যান গড়ে ওঠে‌




★ বিভাগ (D) সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক উত্তরভিত্তিক
প্রশ্নমান - 3
প্রশ্ন:
1. পার্বত্য অঞ্চলে ক্ষয়জাত ভূমিরূপের প্রাধান্য দেখা যায় কেন?
উঃ- (1)পার্বত্য অঞ্চলে ভূমিরূপ নরম ও কঠিন শিলার গঠিত হয়।
(2)পার্বত্য ভূমিরূপ অভিকর্ষের টানে নিচের দিকে হেলিত থাকে।
(3)বহির্জাত ও শক্তি সঞ্চয়জাত ও ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে না।
(4)বহির্জাত শক্তি গুলি পর্বত অঞ্চলে ক্ষয়জাত ভূমিরূপ গঠনের সাহায্য করে।

2. নিম্নগতিতে নদী প্রধানত সঞ্চয়কাজ করে কেন?
উঃ- (1)নিম্ন গতিতে নদী গতিপথ হারিয়ে ফেলে। গতিপথ ঠিক না থাকায় সে বহন করতে পারেনা সঞ্চয় করে।
 
(2)বহন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।  মধ্যগতিতে বয়ে নিয়ে আসা নুড়ি, বালি ,কাদা নিম্ন গতিতে সঞ্চয় করে।

(3) নিম্ন গতিতে নদী সম্পূর্ণরূপে সমুদ্র সমতলে নেমে আসে।

(4) নিম্ন গতিতে গতিতে নদী প্রশস্ত ও অগভীর হওয়া জন্য সঞ্চয় করে থাকে।

(6)নিম্ন গতিতে নদী স্রোত হারিয়ে ফেলে ফলে শুধু সঞ্চয় করে।

(7) নিম্ন গতিতে নিম্ন ক্ষয় সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায় শুধু সামান্য পারস্য ক্ষয় হয়। তার ফলে নদী কেবল সঞ্জয় করে।




 3. আর্দ্র অঞ্চলে গিরিখাত ও মালভূমি অঞ্চলে ক্যানিয়ন সৃষ্টি হয় কেন?

উঃ- গিরিখাত এবং ক্যানিয়ন এ দুটি নদীর উচ্চগতিতে সৃষ্টি হয় এই দুটি নদী গতিপথের গভীর এবং সংকীর্ণ উপত্যকা শুধু অঞ্চলভেদে এ দুটি নামের পরিবর্তন আন্দোলন গিরিখাত এবং মালভূমি বা শুষ্ক অঞ্চলে ক্যানিয়ন একটি" V" আকৃতি।
অন্যটি "I "আকৃতি।
আগ্রা অঞ্চলে গিরিখাত সৃষ্টির অন্যতম কারণ এর ভূমিরূপ এর গঠন এখানকার ভূমিরূপ বেশিরভাগ গঠিত হয় কঠিন শিলার দ্বারা। নরম শিলা কম থাকে তার ফলে পার্শ্ব ক্ষয়ের সাথে সাথে নিম্ন ক্ষয় বেশি হয়। এবং বৃষ্টির জন্য দু-পাশে ধস নামায় অধিক প্রশস্ততার ফলে "v" আকৃতি গড়ে ওঠে।
শুষ্ক বা মালভূমি অঞ্চলে নরম শিলায় ভূমিরূপ গঠিত হয় ফলে দ্রুত নিম্ন ক্ষয় হয়এবং শুষ্কতার জন্য ধস না নামায় অত্যন্ত সংকীর্ণ।তার ফলে (I)আকৃতি উপত্যকা গড়ে ওঠে।

4. গিরিখাত ও ক্যানিয়নের মধ্যে পার্থক্যগুলি উল্লেখ করো।
উঃ-গিরিখাত  / ক্যানিয়ন
বিষয়
1. আকৃতি - উপত্যকা ‘V’ আকৃতির হয়।

/ উপত্যকা ‘।’ আকৃতির হয়।


2. জলবায়ু-আর্দ্র পার্বত্য অঞ্চলে গড়ে ওঠে।

/শুষ্ক পার্বত্য অঞ্চলে বা মালভূমি অঞ্চলে গড়ে ওঠে।

3. প্রশস্ততা-বৃষ্টির জন্য দু-পাশে ধস নামায় অধিক প্রশস্ত
/শুষ্কতার জন্য ধস না নামায় অত্যন্ত সংকীর্ণ।


4. গভীরতা -ক্যানিয়নের তুলনায় গভীরতা কম।

/ গভীরতা তুলনামূলকভাবে বেশি।




5. মধ্য ও নিম্নগতিতে নদীবাঁক সৃষ্টি হয় কেন?
উঃ- মধ্য ও নিম্নগতিতে নদী প্রায় সমতলের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় । এবং জলস্রোতের বেগ কমে যায় । তার গতিপথে অগ্রসর হতে বারবার বাধা পায় । ফলে তা নদী গতিপথ ঠিকমতো খুঁজে না পেয়ে আঁকাবাঁকা পথে অগ্রসর হয়। সেই জন্য নদী বাঁক সৃষ্টি হয়।

6. সব নদীর মোহানায় বদ্বীপ গড়ে ওঠে না কেন?
উঃ- নদী মোহনায় বদ্বীপ গড়ে ওঠার অন্যতম কারণ নদী তার নিম্নগতিতে সমুদ্র সমতলী প্রবেশ করে । জলরাশির ভার বহন করতে পারে না ।স্রোত কমে যায় ।শুধু সঞ্চয় শুরু করে এবং গতিপথ হারিয়ে ফেলে আঁকাবাঁকা পথে অগ্রসর হয় ।কিন্তু সকল নদীর ক্ষেত্রে নদী তার নিম্নগতিতে গতিপথ হারায় না। তার স্রোতএর বেগ বজায় রাখে। তার ফলে সব নদীর মোহনায় ব দ্বীপ গড়ে উঠে না।
যেমন আমাজন নদী মোহনায় কোন বদ্বীপ গড়ে ওঠেনি।


7. মরু অঞ্চলে বায়ুর কাজের প্রাধান্য দেখা যায় কেন?

উঃ-
মরু অঞ্চলে বায়ুর কাজের প্রাধান্যের কারণ : প্রধানত যেসব কারণে মরু অঞ্চলে বায়ুর কাজের প্রাধান্য
সেগুলি হল –
1. যান্ত্রিক আবহবিকার :
মরু অঞ্চলে যান্ত্রিক আবহবিকার অধিক পরিমাণে সংঘটিত হয়, ফলে শিলাসমূহ চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে বালুকণায় পরিণত হয়। যা প্রবল বায়ুপ্রবাহের দ্বারা সহজে
অপসারিত হয়।
।। স্বল্প বৃষ্টিপাত : মরু অঞ্চল প্রায় বৃষ্টিহীন বলে গাছপালাতেমনভাবে জন্মাতে পারে না। ফলেএকদিকে মাটি যেমন আলগা হয়ে
পড়ে তেমনি অন্যদিকে বায়ু অবাধ
গতিতে প্রবলবেগে প্রবাহিত হতে পারে।

iii. উদ্ভিজ্জ আবরণের অভাব : উদ্ভিদের আবরণ না থাকায় মধু অঞ্চলের ভূমিরূপ সম্পূর্ণ উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। ফলে উন্মুক্ত ভূপৃষ্ঠে বায়ু সহজেই নানান পরিবর্তন ঘটায়।

 iv. আলগা ভূপৃষ্ঠ : অধিক যান্ত্রিক আবহবিকার,বৃষ্টিপাতের স্বল্পতা ও উদ্ভিদহীনতার জন্য মরু অঞ্চলে
বালুকারাশি ভূপৃষ্ঠের উপর আলগাভাবে অবস্থান করে। ফলে বায়ুপ্রবাহ সহজেই ক্ষয়, বহন ও সঞ্জয়কার্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে।




 ৪. ইয়ারদাঙ ও জিউগেনের মধ্যে পার্থক্যগুলি উল্লেখ করো।
উঃ-ইয়ারদাঙ  / জিউগেন
বিষয়
1. গঠন-কঠিন ও কোমল শিলা পর্যায়ক্রমে উল্লম্বভাবে অবস্থান করে।
/ কঠিন ও কোমল শিলা অনুভূমিকভাবে
অবস্থান করে।

2. প্রকৃতি -দু-পাশে কঠিন শিলাবিশিষ্ট বিচিত্র স্তূপের মধ্যবর্তী অংশে সুড়ঙ্গ দেখা যায়।
/ সমতল চূড়াবিশিষ্ট বিচ্ছিন্ন ও সমান
উচ্চতাবিশিষ্ট স্তম্ভ দেখা যায়।

3. উচ্চতা - উচ্চতা প্রায় 5-15 মিটার।

/ উচ্চতা 1 মিটারের কম থেকে 30 মিটার
পর্যন্ত হয়।

4. শেষ পর্যায়- ইয়ারদাও ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে তীক্ষ্ণ আকার ধারণ করলে তাকে নিডিলস বলে।
/সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উচ্চতা হ্রাস পায় এবং
মধ্যবর্তী সুড়ঙ্গ বিস্তার লাভ করে।


 9. বার্খান ও সিফ বালিয়াড়ির মধ্যে
পার্থক্যগুলি উল্লেখ করো।

উঃ-সিফ বা অনুদৈৰ্ঘ্য বালিয়াড়ি / বাৰ্খান বা তির্যক বালিয়াড়ি
বিষয়
1. গঠন
বায়ুপ্রবাহের সমান্তরালে গড়ে ওঠে।
/বায়ুপ্রবাহের সঙ্গে আড়াআড়িভাবে গড়ে ওঠে।


2. আকৃতি
তলোয়ারের ন্যায় বা দীর্ঘাকার।
/ অর্ধচন্দ্রাকৃতি এবং দু-পাশে শিং থাকে।


3. ভূমিরূপ
পৃষ্ঠদেশ করাতের দাঁতের মতো এবং দুই বালিয়াড়ির মাঝে করিডোর থাকে।
/ সামনের দিক উত্তল এবং পিছনের দিক অবতল।


4. উচ্চতা
সাধারণত 100 মিটার।
/সাধারণত 10-15 মিটার।

5. ঢাল
পার্শ্বঢাল 20° এবং শীর্ষ ঢাল 34° হয়।
/ বায়ুমুখী ঢাল 10°−15° এবং বিপরীত পার্শ্বের ঢাল 34° হয়।



 বিভাগ (E) রচনাধর্মী উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন :
প্রশ্নমান - 5

1. নদীর ক্ষয়কাজের ফলে সৃষ্ট যে-কোনো তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ বিবরণ দাও

 

উঃ-গিরিখাত : পার্বত্য প্রবাহে নদীর গতিপথে যে গভীর এবং সংকীর্ণ নদী উপত্যকার সৃষ্টি হয়, তাকে গিরিখাত বা গিরিসংকট বা গর্জ (gorge)বলে । পার্বত্য প্রবাহে নদীখাতের দু-পাশে কঠিন শিলার প্রাচীর থাকায় এবং
নদীতে জলের পরিমাণ কম থাকলেও তীব্র জলস্রোত দ্বারা নদী পার্শ্বক্ষয় সংকীর্ণ অথচ সুগভীর ‘V’ আকৃতির নদী উপত্যকা বা গিরিখাতের সৃষ্টি হয়।নদীর কালিগণ্ডকি গিরিখাত (5,571 মিটার) পৃথিবীর গভীরতম গিরিখাত ‌।


iii. ক্যানিয়ন : Canyon শব্দটি একটি স্পেনীয় শব্দ ‘Canon’ থেকে
উদ্ভূত, যার অর্থ হল tube বা নল। সুতরাং, শুষ্ক পার্বত্য অঞ্চল বা মালভূমি
অঞ্চলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদীর দ্বারা দ্রুত নিম্নক্ষয়ের ফলে সৃষ্ট নলের মতো সংকীর্ণ ও গভীর যে গিরিখাতের সৃষ্টি হয়, তাকে ক্যানিয়ন বলে। ক্যানিয়ন ইংরেজি ‘।” অক্ষরের মতো হয়। উদাহরণ : আমেরিকা
যুক্তরাষ্ট্রে কলোরাডো নদীর গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন পৃথিবীর দীর্ঘতম ক্যানিয়ন৷


 মন্থকুপ : পার্বত্য অঞ্চলে বন্ধুর ভূপ্রকৃতির উপর দিয়ে নদী পাক খেতে খেতে বয়ে যায়। এর ফলে জলস্রোতের সঙ্গে ঘুরতে ঘুরতে অগ্রসর হওয়া প্রস্তরখণ্ড
নদী উপত্যকার তলদেশে অবঘর্ষ ক্ষয়ের মাধ্যমে বর্তুলাকার বা প্রায় গোলাকার গর্ত সৃষ্টি করে। এগুলিকে মন্থকূপ বা পটহোল বলে। উদাহরণ : সেবকের কাছে তিস্তা নদীগর্ভে এরূপ অনেক মন্থকূপ গড়ে উঠেছে।

চিত্র - মন্থকূপ বা পটহোল


 2. নদীর সঞ্চয়কাজের ফলে সৃষ্ট যে-কোনো তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ বিবরণ দাও
উঃ-

নদীর সঞ্চয়কাজের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ :


. পলল শঙ্কু বা পলল ব্যজনী (মধ্যগতি) : নদী যখন পর্বতের উপর থেকে নেমে আসে তখন নদীপথের ঢাল হঠাৎ কমে যাওয়ায় নদীর স্রোতের বেগ কমে যায়। এর ফলে নদী পর্বতের পাদদেশে প্রচুর নুড়ি, প্রস্তরখণ্ড ও বালি অবক্ষেপণ করে। এরূপ সঞ্চয়কাজের ফলে যে ত্রিকোণাকার বা হাতপাখার মতো ভূমিরূপগড়ে ওঠে তাকে পলল শঙ্কু বা পলল ব্যজনী বলে। উদাহরণ : হরিদ্বারে গঙ্গা নদীর গতিপথে এরূপ পলল শঙ্কু সৃষ্টি হয়েছে।


ii. নদী-বাঁক (মধ্যগতি) : মধ্যগতিতে নদীর জলস্রোতের বেগকমে যায় এবং নদী তার গতিপথে কোনোরকম বাধা পেলে তা অতিক্রম করার জন্য এঁকেবেঁকে প্রবাহিত হয়। একে নদী-বাঁক বা মিয়েন্ডার বলে। তুরস্কের মিয়েড্রস নদীর নাম থেকে এই নাম হয়েছে। নদী-বাঁকের নদীর ঢালুপাড় অবতল পাড়টি স্রোতের আঘাতে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় বলে তা খাড়া হয় এবং উত্তল পাড়ে সঞ্চয় হয় বলে তা মৃদু ঢালু হয়। উদাহরণ : বারাণসীর কাছে গঙ্গা নদীর উপর একটি মিয়েন্ডার আছে।


iv. প্লাবনভূমি (মধ্য ও নিম্নগতি) : মধ্য ও
নিম্নগতিতে পলি জমে নদীর গভীরতা যখন হ্রাস পায়, তখন নদীতে অতিরিক্ত জল এসে তা দু-কূল উপচে পার্শ্ববর্ত ভূভাগকে প্লাবিত করে। প্লাবনের মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী নিম্নভূমিতে নুড়ি, বালি, পলি সঞ্চিত হয়ে সমভূমি গড়ে ওঠে একে প্লাবনভূমি বলে। | উদাহরণ : গঙ্গা, নীল, ইয়াংসি-কিয়াং প্রভৃতি নদীর নিম্নপ্রবাহে প্লাবনভূমি দেখা যায়।

 3. হিমবাহের ক্ষয়কাজের ফলে সৃষ্ট তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ বিবরণ দাও।

উঃ-
(i) ঝুলন্ত উপত্যকা : প্রধান হিমবাহের সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষুদ্র হিমবাহ বা উপহিমবাহ এসে মিলিত হয়। কিন্তু উপহিমবাহের তুলনায় প্রধান হিমবাহের ক্ষয় করার ক্ষমতা বেশি হয়। সেই কারণে প্রধান হিমবাহ উপত্যকাটি উপহিমবাহ উপত্যকার চেয়ে অনেক প্রশস্ত ও গভীর হয়।তাই সমগ্র উপত্যকা যখন হিমবাহ মুক্ত হয়ে যায় তখন মনে হয় উপহিমবাহ উপত্যকাগুলি সামসাহীনভাবে প্রধান হিমবাহ উপত্যকার ওপর ঝুলন্ত
অবস্থায় বিরাজ করছে। একে ঝুলন্ত উপত্যকা বলে। উদাহরণ :

আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের মারসেদ নদী ইয়সোমাইট উপত্যকায় অবস্থিত ঝুলন্ত উপত্যকার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় ভারনাল, নেভাদা প্রভৃতি জলপ্রপাতের সৃষ্টি করেছে।
হিমবাহ প্রবাহের দিক


(ii) রসেমতানে : সাধারণত যে সমস্ত হিমবাহে বরফের স্তরের
বেধ কম হয়, তাদের গতিবেগ বেশি হয়। এরূপ অপেক্ষাকৃত দ্রুতগতির
হিমবাহের গতিপথে কোনো পাথরের ঢিবি থাকলে হিমবাহ অবঘর্ষ ক্ষয়ের মাধ্যমে ঢিবিটির হিমবাহের প্রবাহের দিক মসৃণ করে। কিন্তু ঢিবিটির বিপরীত দিকটি হিমবাহের প্রবল চাপের ফলে খনন প্রক্রিয়া বা উৎপাটন
প্রক্রিয়ায় ক্ষয় হয়। এর ফলে অপ্রতিসম ঢালবিশিষ্ট যে ঢিবির সৃষ্টি হয় তাকে রসেমতানে বলে। উদাহরণ : জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের পহেলগাঁও-এর লিডার নদীর উপত্যকায় রসেমতানে
দেখা যায়।
(iii). ক্র্যাগ ও টেল : হিমবাহের গতিপথে অনেক সময় কঠিন শিলাবিশিষ্ট আগ্নেয় উদ্‌বেধ লক্ষ করা যায়। তাই এই কঠিন শিলার পিছনের দিকের কোমল শিলা হিমবাহের ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা পায়। কঠিন শিলাবিশিষ্ট ওই
আগ্নেয় উদ্‌বেধকে ক্র্যাগ ও পশ্চাদাংশকে টেল বলে। উদাহরণ :
স্কটল্যান্ডের এডিনবরা শহর রজমল্ ক্র্যাগের উপর অবস্থিত।

চিত্র 1.26 ক্র্যাগ ও টেল





4. হিমবাহের  সঞ্চয়কাজের ফলে সৃষ্ট যে-কোনো তিনটি ভূমিরূপের
↑ } চিত্রসহ বিবরণ দাও।
উঃ-

»i. কেম: পর্বতের পাদদেশীয় অঞ্চলে হিমবাহ যেখানে গলতে
শুরু করে সেখানে বিভিন্ন আকৃতির নুড়ি, কাঁকর, বালি প্রভৃতি সঞ্চিত
হয়ে ত্রিকোণাকার বদ্বীপের মতো ভূমিরূপ সৃষ্টি করে। একে কেম
বলে। হিমবাহ উপত্যকার দু-পাশে কেম গড়ে উঠলে কেমগুলিকে
মঞ্চের মতো লাগে। একে কেমসোপান বা কেমমঞ্চ বলে।
■ উদাহরণ : ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের পূর্ব স্কটল্যান্ডের ল্যামারমুয়ার
উপত্যকায় কেমমঞ্চ দেখা যায়।
»º ii. এসকার : হিমবাহ বাহিত বালি, গ্রাভেলের স্তর প্রভৃতি পর্বতের পাদদেশীয় ভূমিভাগে সজ্জিত হয়ে উপত্যকায় প্রায় সমান্তরাল যে শৈলশিরার মতো ভূমিরূপ গঠিত হয়, তাকে এসকার বলে। হিমবাহের তলদেশ দিয়ে সুড়ঙ্গ সৃষ্টির মাধ্যমে প্রবাহিত জলের ধারা হিমবাহকে ত্যাগ
করে সেই অংশে হিমগ্রাব সঞ্চয় করে এসকার সৃষ্টি করে। উদাহরণ :
ফিনল্যান্ডের পুনকাহারয়ু এসকারটি বিখ্যাত।
>> iii. ড্রামলিন : হিমবাহ অধ্যুষিত বোল্ডার ক্লে অঞ্চলে, হিমগ্রাবের
অবক্ষেপণের দ্বারা গঠিত উলটানো চামচ বা উলটানো নৌকার মতো,
অর্থাৎ উপবৃত্তাকার সারি সারি যে উঁচু হিমবাহ প্রবাহের দিক
ঢিবিগুলি চোখে পড়ে, তাদের ড্রামলিন বলে। বোল্ডার কে সঞ্চিত অঞ্চলে
অনেক ছোটো ছোটো প্রস্তরখণ্ড
সঞ্চিত হয়ে সারিবদ্ধ টিলার মতো
ড্রামলিন গঠন করে। ড্রামলিনবহুল
অঞ্চলকে ওপর থেকে দেখলে ঝুড়িভরতি ড্রামলিন
চিত্র 1.


5. হিমবাহ ও জলধারার মিলিত
কাজের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপগুলির পরিচয় দাও।


উঃ-আগের 4 দাগের প্রশ্নের উত্তর টি হবে।

 6. বায়ুর ক্ষয়কাজের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ গুলির পরিচয় দাও।
উঃ-
» গৌর : মরু অঞ্চলে বায়ুর গতিপথে কোনো শিলাস্তূপ
উল্লম্বভাবে অবস্থান করলে বায়ুর অবঘর্থ ক্ষয়ের ফলে নীচের দিকে
ব্যাপকভাবে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। ফলে শিলাস্তূপটি উপরের দিকে চওড়া
ও নীচে সরু হয়ে ব্যাঙের ছাতার মতো আকৃতি ধারণ করে। এই
ভূমিরূপকে গৌর বলে। উদাহরণ : আফ্রিকার সাহারা মরুভূমিতে
অসংখ্য গৌর দেখা যায়।
চিত্র 1.34 গৌর



॥ জিউগেন- মরুভূমিতে বায়ুর গতিপথে ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালে
উপরে কঠিন এবং নীচে কোমল শিলা দ্বারা গঠিত শিলাস্তূপ অবস্থান করলে বায়ুপ্রবাহের আঘাতে কোমল শিলা বেশি এবং কঠিন শিলা কম ক্ষয় পায়। ফলে
উপরের অংশ চওড়া ও নীচের অংশে সংকীর্ণ যে স্তম্ভের মতো ভূমিরূপ সৃষ্টি হয়, তাকে জিউগেন বলে। উদাহরণ: আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সোনেরান ও
অ্যারিজোনা মরুভূমিতে জিউগেন দেখতে পাওয়া যায়।



 iii. ইয়ারদাঙ : বায়ুর গতিপথে পর্যায়ক্রমে কঠিন ও কোমল শিলা দ্বারা গঠিত
শিলাস্তূপ উল্লম্বভাবে অবস্থান করলে বায়ুর অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় কোমল শিলা অধিক
ক্ষয়প্রাপ্ত হয় এবং কঠিন শিলাগুলির ক্ষয় কম হয়। এরুপ বৈষম্যমূলক ক্ষয়ের ফলে
শিলাস্তূপগুলিতে প্রাকার ও পরিখাবহুল বিচিত্র আকৃতির যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে,
তাকে ইয়ারদাঙ বলে। 1934 খ্রিস্টাব্দে ভূবিজ্ঞানী ব্ল্যাকওয়েল্ডার এগুলির ইয়ারদাও
উদাহরণ : সাহারা মরুভূমির টিবেস্টি পর্বতে হারমাটান বায়ুর
প্রবাহপথের সমান্তরালে ইয়ারদাও গড়ে উঠেছে।



বিভাগ (F) রেখচিত্র চিহ্নিতকরণ : প্রশ্নমান -
1. নীচের চিত্রে চিহ্নিত অংশে কোন্ ধরনের ভূমিরূপ সৃষ্টি
হবে?
1 খরস্রোত




2. নীচের চিত্রে ভূমিরূপগুলি চিহ্নিত করো :
1
(1) প্লাবনভূমি

 এবং
(2) স্বাভাবিক বাঁধ