নবম শ্রেণীর ইতিহাস তৃতীয় অধ‍্যায় অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর - Online story

Friday 24 March 2023

নবম শ্রেণীর ইতিহাস তৃতীয় অধ‍্যায় অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর

 


৪ অধ্যায় প্রশ্নের উত্তর দেখুন শিল্প বিপ্লব উপনিবেশবাদ এবং সাম্রাজ্যবাদ

নবম শ্রেণীর ইতিহাস তৃতীয় অধ‍্যায়
অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর


বিভাগ (ক) বহু বিকল্পভিত্তিক প্রশ্নাবলি
সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো।

১. প্রাচীন রোমান সাম্রাজ্যের যুগে ল্যাটিন ভাষায় Nation শব্দের অর্থ হল—
A জাতি
B ধর্ম
C ভূমি
D পৃথিবী
উত্তর-A জাতি


২. ভিয়েনা সম্মেলনের সূচনা ঘটে কত খ্রিস্টাব্দে?
A ১৮০৫
B ১৮১০
C ১৮১৫
D  ১৮২০
উত্তর-C ১৮১৫ (১৮১৪ হবে)

৩. প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন-এর স্বীকৃতি পায়—
A ভার্সাই
B ভিয়েনা
C প্যারিস
D জুরিখ
উত্তর-B ভিয়েনা



৪. সেন্ট হেলেনা দ্বীপে নির্বাসিত হন—

A নেপোলিয়ন
B বিসমার্ক
C মেটারনিক
Dস্টালিন
উত্তর-A নেপোলিয়ন



বিভাগ (খ)অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি
একটি বাক্যে উত্তর দাও।।           মান ১


১. কোন্ সময়ে ইউরোপে জাতি-রাষ্ট্রের উদ্ভব ঘটেছিল?
উত্তর- পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতকে ইউরোপে জাতি-রাষ্ট্রের উদ্ভব ঘটেছিল।


২. প্রথম কোথায় জাতি-রাষ্ট্র গঠিত হয়?
উত্তর-স্পেনে প্রথম জাতি-রাষ্ট্র গঠিত হয়।


৩. ভিয়েনা সম্মেলন কোথায় বসে?
উত্তর- অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনাতে
ভিয়েনা সম্মেলন  বসে।

৪. জুলাই বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে কে
ফ্রান্সের সিংহাসনে বসেন?

উত্তর- অর্লিয়েন্স রাজবংশীর লুই ফিলিপ জুলাই বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে  ফ্রান্সের সিংহাসনে বসেন।


৫. কে জুলাই অর্ডিন্যান্স জারি করেন?
উত্তর- দশম চার্লস।


 ৬. নব্য ইটালি বা ইয়ং ইটালি দল কে গঠন করেন।
উত্তর-জোসেফ ম‍্যা্যসিনি নব্য ইটালি বা ইয়ং ইটালি দল গঠন করেন।।



৭. রক্ত ও লৌহ নীতির প্রবর্তক কে?
উত্তর- রক্ত ও লৌহ নীতির প্রবর্তক হলেন প্রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী অটো ভন বিসমার্ক।



ঠিক বা ভুল। নির্ণয় করো

১.অস্ট্রিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মেটারনিক।
উত্তর- ঠিক


২. ১৮৩০ খ্রি. ফ্রান্সে জুলাই বিপ্লব ঘটেছিল।
উত্তর-

৩. ১৮৪৮ খ্রি. ফ্রান্সে ফেব্রুয়ারি বিপ্লব ঘটেছিল।
উত্তর- ঠিক


ক'স্তম্ভের সাঙ্গে ‘খ’স্তম্ভ মেলাও
উত্তর-
     "ক' স্তম্ভ                  "খ' স্তম্ভ
↑ ইংল্যান্ড রাজা          C  সপ্তম হেনরি

2 ফরাসি রাজা            A অষ্টাদশ লুই

3 প্রাশিয়ার রাজা          B তৃতীয় উইলিয়াম

4) অস্ট্রিয়ার রাজা          D প্রথম ফ্রান্সিস
'
উত্তর-
           ‘খ’ স্তম্ভ                      ‘খ’ স্তম্ভ
1) কালসর্বাড ডিগ্রি          D ১৮১৯ খ্রি.

2)ট্রপো প্রোটোকল         A ১৮২০ খ্রি.

(3) গ্রিসের স্বাধীনতা যুদ্ধ      B ১৮২৪ খ্রি

4 )ইউরোপ শক্তি              C ১৮১৫ খ্রি.
সমবায় গঠন




প্রদত্ত রেখা মানচিত্রে নিম্নলিখিত স্থানগুলি চিহ্নিত।করো ও নাম লেখো।



শূন্যস্থান পূরণ করো।


১. ভিয়েনা—১৮১৪ খ্রিস্টাব্দে যেখানে এক মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উত্তর-

২. এস—যেটি এম্স টেলিগ্রামের জন্য
বিখ্যাত।
উত্তর-

৩. বলকান রাজ্য মন্টেনিগ্রো।
উত্তর-

৪. শ্লেজউইগ গেস্টিনের চুক্তির দ্বারা প্রাশিয়া যে অঞ্চলটি পায়।
১.----ছিল নেপোলিয়নের জীবনের শেষ যুদ্ধ।
উত্তর-

২. জোলভারেইন ছিল-----শুল্ক সংগ্রহ সংঘ।
উত্তর-


নিম্নলিখিত বিবৃতিগুলির সঙ্গে সঠিক ব্যাখ্যাটি
নির্বাচন করো।

১. বিবৃতি: নেপোলিয়ন ইউরোপীয় মানচিত্রে বিপুল পরিবর্তন ঘটান।
ব্যাখ্যা : (ক) নেপোলিয়ন ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশকে অর্থের বিনিময়ে অধিগ্রহণ করে নেন।
 (খ) তিনি ইউরোপের বিভিন্ন দেশ জয় করেন।
(গ) যুদ্ধনীতির সাহায্যে ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশকে ধ্বংস করে দেন।
উত্তর(খ) তিনি ইউরোপের বিভিন্ন দেশ জয় করেন।



২. বিবৃতি: মেটারনিকের ধারণায় ফরাসি বিপ্লবের ভাবধারা ইউরোপের স্বাস্থ্যহানি ঘটাবে।

ব্যাখ্যা: (ক) মেটারনিক মনে করতেন বিপ্লবের ভাবধারা হল জীবাণুর মতো।

(খ) ফরাসি বিপ্লব ইউরোপে যুদ্ধ ডেকে
আনবে।

(গ) বিপ্লব প্রসূত ভাবধারা মেটারনিকের পতন
ঘটাবে।
উত্তর-(গ) বিপ্লব প্রসূত ভাবধারা মেটারনিকের পতন ঘটাবে।


৩. বিবৃতি: ফ্রান্সে উদারপন্থী ও প্রজাতন্ত্রী দলের মধ্যে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়।

ব্যাখ্যা : (ক) উদারপন্থী দল প্রজাতন্ত্রী দলের পতন ঘটাতে চেয়েছিল।
খ) প্রজাতন্ত্রী দল উদারপন্থী দলকে ভেঙে দিতে উদ্যত হয়েছিল।
 (গ) এই দুই দল পরস্পরবিরোধী মতাদর্শে
বিশ্বাসী ছিল।
উত্তর-(ক) উদারপন্থী দল প্রজাতন্ত্রী দলের পতন ঘটাতে চেয়েছিল।


বিভাগ গ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি
- ২-৩টি বাক্যে উত্তর দাও।
১. জাতীয়তাবাদ বলতে কী বোঝ?
উত্তর- জাতীয়তাবাদের সঙ্গে দেশপ্রেম মিলিত হয়ে যে রাজনৈতিক আদর্শ গড়ে ওঠে তাকে জাতীয়তাবাদ বলে।

২. বিগ ফোর বলতে কাদের বোঝায়?
উত্তর- ভিয়েনা সম্মেলনে যে চারটি রাষ্ট্রশক্তি নিজেদের  এক ক্ষমতা চক্র গঠন করে সেই চারটি দেশকে বলে বিক্ষোভোর এই দেশগুলি ছিল অস্ট্রিয়া ,রাশিয়া ,প্রাশিয়া ,ইংল্যান্ড।


৩. কার্লস্বাড ডিক্রি কেন জারি করা হয়? -
উত্তর- মেটারনিক অস্ট্রিয়ায় জাতীয়তাবাদী ভাবধারা দমনের লক্ষ্যে কার্লসবাড  ডিক্রি জারি করেন।


৪. দ্বিতীয় ফরাসি প্রজাতন্ত্র বলতে কী বোঝ?
উত্তর- ফেব্রুয়ারি বিপ্লবী ফলে ফ্রান্সে রাজতন্ত্রের অবসান ও প্রজাতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠাতা কে দ্বিতীয় ফরাসি প্রজাতন্ত্র বলা হয়।


৫. রিসর্জিমেন্টো বলতে কী বোঝ?


উত্তর-ফরাসি বিপ্লবের ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ইটালিবাসীর ভাবজগতে প্রবল আলোড়নের সৃষ্টি হয়।কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী প্রমুখের নেতৃত্বে একটি।ঐক্য আন্দোলন গড়ে ওঠে যা ইতিহাসে রিসর্জিমেন্টো।বা পুনর্জাগরণ নামে পরিচিত।


৬. ইয়ং ইটালি দলের মূল্য লক্ষ্য কী ছিল?
উত্তর- ইয়ং ইটালি মূল লক্ষ্য ছিল অখন্ড ইতালির জন্য বিপ্লব না করে সমগ্র ইটালির জন্য বিপ্লব করা।



 ৭. বিসমার্কের রক্ত ও লৌহ নীতিটির ধারণা দাও।
উত্তর-রক্ত ও লৌহ নীতি বলতে কুটিল কূটনীতি কে বোঝানো হয়। যার দ্বারা জার্মানিকে বিসমার্ক ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছিলেন।


 ৮. জোলভারেইন কী?
উত্তর- খ্রিস্টাব্দে রাশিয়ার নেতৃত্বে জোলভেরাইন নামে এক শুল্ক সংঘ স্থাপিত হয় ।এর ফলে অবাধ বাণিজ্য নীতি গৃহীত হয়। ভবিষ্যতে রাশিয়ার নেতৃত্বে জার্মানি হবে এটাই ছিল তার ইঙ্গিত।



৯.এমস টেলিগ্রাম কি?-
এমস টেলিগ্রাম :
 প্রিন্স লিওপোল্ডের স্পেনের রাজপদ প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্তে ফরাসি সম্রাট তৃতীয় নেপোলিয়ন খুশি হননি। তাই তিনি প্রাশিয়ার রাজা প্রথম উইলিয়ামের কাছ থেকে এই মর্মে প্রতিশ্রুতি আদায় করতে চান যে ভবিষ্যতে
হোহেনজোলার্ন বংশের কেউ কখনো স্পেনের সিংহাসনে পদপ্রার্থী হবে না। তিনি এই প্রতিশ্রুতি আদায়ের দায়িত্ব দেন ফরাসি দূত কাউন্ট বেনেদেত্তির ওপর। এদিকে প্রাশিয়ার রাজা প্রথম উইলিয়াম এস নামে স্থানে বিশ্রামের জন্য
অবস্থান করছিলেন। তাই কাউন্ট বেনেদেত্তি সেখানে গিয়ে প্রাশিয়ার রাজার সঙ্গে দেখা করেন। প্রাশিয়ার রাজাকে তিনি তৃতীয় নেপোলিয়নের প্রতিশ্রুতি লাভের কথা জানান। কিন্তু প্রাশিয়ারাজ ভদ্রভাবে এই প্রতিশ্রুতি দানে অক্ষমতার কথা জানান। তিনি পুরো বিষয়টি টেলিগ্রাম মারফৎ বিসমার্ককে জানিয়ে দেন (১৩ জুলাই, ১৮৭০ খ্রি.)। এই ঘটনা এমস।টেলিগ্রাম নামে পরিচিত। কূটকৌশলি বিসমার্ক এই টেলিগ্রামের কিছু শব্দ বাদ দিয়ে খবরের কাগজে তা প্রকাশ করে দেন। খবরের কাগজের বাকি অংশটুকু এমনভাবে প্রকাশ করা হয় যাতে সংবাদপত্র পাঠকদের মনে হয় প্রাশিয়ারাজ ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে অপমান করে তাড়িয়ে দিয়েছেন।



১০. গ্রিক জাতীয়তাবাদ কাকে বলে?
উত্তর- গ্ৰিক ভাষা সাহিত্যে জাতীয়তাবাদী আদর্শের প্রচার হলো গ্ৰিক জাতীয়তাবাদ। এ ব্যাপারে বাংলা সাহিত্যে নতুন প্রাণসঞ্চার করেছিলেন কোরেস  ও রিগাস।



বিভাগ( ঘ )বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্নাবলি
- ৭-৮টি বাক্যে উত্তর দা

জাতি-রাষ্ট্রের ধারণা দাও।

উত্তর-
জাতি-রাষ্ট্রের ধারণা
ল্যাটিন ভাষায় Nation শব্দের অর্থ গোষ্ঠী বা জাতি। আধুনিক ধারণায় রাষ্ট্রের অধীন সুগঠিত এক জনসমাজ হল জাতি। এই জাতিকে নিয়ে গড়ে ওঠা রাষ্ট্রের মূল দুটি বৈশিষ্ট্য হল জনসমষ্টি ও নির্দিষ্ট ভূখণ্ড। অনেকের ধারনায় জাতি ও রাষ্ট্র অভিন্ন আবার কেউ কেউ মনে করেন জাতি ও রাষ্ট্র হল ভিন্নধর্মী দুই ধারণা। পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতকে ইউরোপে জাতি-রাষ্ট্রের উদ্ভব ঘটেছিল।  বিভিন্ন দেশের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি রাজবংশের অধীনে এই সমস্ত জাতিরাষ্ট্র গঠিত হয়েছিল।যেমন—হল্যান্ডে ‘অরেঞ্জ’, রাশিয়ার ‘রোমানভ’ অস্ট্রিয়ার ‘হ্যাপসবার্গ’, ফ্রান্সে ‘বুরবোঁ’, সুইডেনে ‘ভাসা’, ইংল্যান্ডে ‘টিউডর ও স্টুয়ার্ট’, প্রাশিয়ার ‘হোহেনজে প্রভৃতি রাজবংশের অধীনে জাতি-রাষ্ট্র গড়ে উঠেছিল।

২. মেটারনিক পদ্ধতির ব্যর্থতার কারণগুলি কী ছিল?
উত্তর- ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সে শুরু হয় ফেব্রুয়ারি নিয়ৰ। সময় ইউরোপ জুড়ে এই বিভাগের
বিস্তাবের অভিযাতে মেটারনিকের পতন ঘটে। নিরুপায় হয়ে মেটারনিক ইংল্যান্ডে পলায়ন করেন। ফরাসি বিপ্লব প্রসূত  আদর্শের কাছে মেটারনিক তন্ত্র পরাজিত হয়। মেটারনিক ব্যবস্থা বেশ কয়েকটি কারণে ব্যর্থ হয়েছিল। মৌৗরমিকের নীতির মধ্যে দূরদর্শিতার অভাব ছিল। রাজনৈতিক অদূরদর্শিতার কারণেই তিনি যুগধর্মকে অস্বীকার করেছিলেন
সমকালীন যুগধর্ম ছিল জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র ও উদারতন্ত্র। এগুলিকে স্বীকার না করে তিনি পুরাতনতন্ত্র কে টিকিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন। ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দের পর থেকে ফ্রান্স, ইটালি, বেলজিয়াম, জার্মানি, সর্বত্র আরও পতান্ত্রিক চিন্তাধারা শক্তিশালী হয়ে উঠতে থাকে। ফলে মেটারনিকের প্রতিক্রিয়াশীল ব্যবস্থা আর্থ- সামাজিক পরিবর্তনের উত্তাল ঢেউ-এ তলিয়ে যায়। নাগরিকদের অধিকার, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, ধর্মাচরণের স্বাধীনতা ইত্যাদি মৌলিক অধিকারগুলিতে মেটারনিকের বিশ্বাস ছিল না। অথচ ইউরোপবাসীর মনে এই সমস্ত।অধিকার গুলি গভীর প্রভাব ফেলেছিল। তিনি ফরাসি বিপ্লবের পূর্ববর্তী স্থিতাবস্থাকে বজায় রাখতে চেয়েছিলেন। স্পেন, নেপল্স, পিডমন্টের আন্দোলন গুলিকে তিনি পুলিশ ও সেনাবাহিনী দিয়ে দমন করেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত ফেব্রুয়ারি বিচারের সমাজে মেটারনিক ব্যবস্থার সলিল সমাধি ঘটেছিল।


৩. জুলাই বিপ্লবের প্রভাব আলোচনা করো।

উত্তর-জুলাই বিপ্লবের ঢেউ ফ্রান্সের সীমানা অতিক্রম করে ইউরোপের নানা দেশে আছড়ে পড়ে। জুলাই বিপ্লব হল্যান্ড,বেলজিয়াম, ইটালি, জার্মানি প্রভৃতি দেশে জাতীয়তাবাদ ও উদারনৈতিক ভাবধারার প্রসার ঘটায়। 1 ভিয়েনা সন্ধির দ্বারা বেলজিয়ামকে হল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণাধীনে স্থাপন করা হয়েছিল। জুলাই বিপ্লবের প্রভাবে বেলজিয়াম এই ব্যবস্থা ভেঙে ফেলে হল্যান্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। জার্মানির স্যাক্সনি, হ্যানোভার, ব্যাডেন, ব্যাভেরিয়া প্রভৃতি রাজ্যের শাসকগণ উদার শাসননীতি গ্রহণ করতে বাধ্য হন। 3) ইটালিতেও গণজাগরণ দেখা দেয়। বিদ্রোহের ফলে মডেনা থেকে চতুর্থ ফ্রান্সিস বিতাড়িত হন। পার্মার শাসককেও দেশত্যাগ করতে হয়। ম্যাৎসিনির নেতৃত্বে ইয়ং ইটালি দল সংঘবদ্ধভাবে আন্দোলন শুর করে। (4) জুলাই বিচারের প্রভাবে রাশিয়ার অধীনস্থ পোল্যান্ডেও অভ্যুত্থান শুরু হয়।(5) পেনে ও পর্তুগালে গণতান্ত্রিক সংবিধানের দাবি ওঠে ও উদারনৈতিক শাসনব্যবস্থা প্রচলিত হয়। (6) ইংল্যান্ডে জুলাই বিজ্ঞানের প্রভাবে জড়িত আপোনানের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। (7) হিসেব জাতীয়তাবাদী যুদ্ধ প্রবল হয়ে ওঠে জন্য শেষ পর্যন্ত এই সমস্ত গণ আন্দোলনের অধিকাংশই প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি সমবায়ের আক্রমণে ব্যর্থ হয়ে যায়।



৪. জুলাই রাজতন্ত্রের পতনের কারণগুলি
কী ছিল?

উত্তর-আগে উত্তরদেখো


 ৫. ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের প্রভাব আলোচনা করো।
উত্তর-ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের 
প্রভাব পড়ে অস্ট্রিয়া, জার্মানি, ইটালি ও ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলিতেও। অস্ট্রিয়ার মিলাম, ভেনিস,হ‍্যাঙ্গারি ,ভিয়েনাতে  রাজতত্ত্ব বিরোধী গণ-আন্দোলন শুরু হয়। দক্ষিণ জার্মানিত সাডেন, জার্মান রাষ্ট্রসংঘের স‍্যাক্সানি,ব‍্যাভেরিয়া ও প্রাশিয়ায় রাজতন্ত্র বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। ইতালির মিলান, ভেনিস, লোম্বাটি ,ভিনিসিয়া, বোন এবং নিডেমটি ও পার্তিনিয়াতে রাজস্বত্ত্ব বিরোধ
আন্দোলন চরমে পৌঁছায়।
আয়ারল্যান্ড দলের এক সশস্ত্র অভ‍্যুথান ঘটে। এই বিপ্লবের মেটারনিকের পতন হয়।


৬. টীকা লেখো: রিসর্জিমেন্টো ৭. টীকা লেখো: ইয়ংইটালি।
উত্তর-আগে দেখো

৮. কীভাবে বলকান জাতীয়তাবাদের উত্থান ঘটে?
উত্তর-

৯. ক্রিমিয়ার যুদ্ধের ফলাফল লেখো।
উত্তর-



বিভাগ ও ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নাবলি
১৫-১৬টি বাক্যে উত্তর দাও।




১. ভিয়েনা সম্মেলনে যোগদানকারীদের দাবি, উদ্দেশ্যগুলি লেখো। এই সম্মেলনে গৃহীত মূল নীতিগুলির পরিচয় দাও।
উত্তর-


২. মেটারনিক ব্যবস্থার পরিচয় দাও। মেটারনিক ব্যবস্থার ব্যর্থতার কারণগুলি কী ছিল?
উত্তর- ২ এর দাগের উত্তর দেখো


 ৩. ইটালিতে জাতি-রাষ্ট্র গঠনের
ইতিহাস লেখো।
উত্তর-


৪. জার্মানিতে জাতি-রাষ্ট্র গঠনের ইতিহাস
লেখো।
উত্তর-

৫. বিসমার্কের রক্ত ও লৌহ নীতির পরিচয় দাও।
উত্তর- বিসমার্কের রক্ত ও লৌহনীতি
■  ইটালির মতো জার্মানির ঐক্যও সাধিত হয়েছিল সশস্ত্র।সংগ্রামের মাধ্যমে একটি রাজবংশের অধীনে। জার্মানির ক্ষেত্রে এই রাজবংশটি।ছিল প্রাশিয়ার হোহেনজোলার্ন রাজবংশ। বিসমার্ক ছিলেন এই রাজ্যের
চ্যান্সেলার বা প্রধানমন্ত্রী। জার্মানির খণ্ড খণ্ড রাজ্যগুলি স্বাধীন হলেও এদের ওপরে অস্ট্রিয়ার একটা নিয়ন্ত্রণ ছিল। তা ছাড়া প্রতিবেশী শক্তিশালী দেশ ফ্রান্সও চায়নি জার্মানি ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করুক।অস্ট্রিয়া এবং ফ্রান্সের এই বাধা সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অপসারিত করতে বিসমার্ক বদ্ধপরিকর ছিলেন। যুদ্ধের প্রস্তুতির জন্য অর্থের প্রয়োজন ছিল। প্রাশিয়ার আইনসভার সদস্যরা প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করতে অনীহা প্রকাশ করায় তিনি বলেছিলেন বক্তৃতা দিয়ে জার্মানির ঐক্য সাধন করা যাবে না রক্ত ও লৌহ নীতি তথা যুদ্ধের মাধ্যমে জার্মানিতে ঐক্য প্রতিষ্ঠাতা হবে সেইমতো ডেনমার্ক , অস্ট্রেলিয়া এ এবং ফ্রান্সের সঙ্গে যুদ্ধ করে জার্মানির  ঐক্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

৬. বলকান অঞ্চলে জাতীয়তাবাদের পরিচয় দাও। এর ফলাফল লেখো।

উত্তর-তুর্কি সম্রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে তার নিয়ন্ত্রণ শিথিল হয়ে পড়ে। তুরস্কের দুর্বলতার বিশেষ প্রভাব পড়ে বলকান অঞ্চলে। ঊনবিংশ শতাব্দীর গোড়া থেকেই জাতীয়তাবাদী চেতনা
বিকশিত হচ্ছিল। বলকান অঞ্চলও এই জাতীয়তাবাদী চেতনায় সাড়া দেয়। এমনিতেই কৃষ্ণাঙ্গ, এশীয়, মুসলিম তুর্কিদের সঙ্গে শ্বেতাঙ্গ, ইউরোপীয় খ্রিস্টান বলকানজাতিগুলির জাতিগত, বর্ণগত ও ধর্মীয় ব্যবধান ছিল।
তুরস্কের দুর্বলতার সুযোগে এই সময় বলকান জাতিগুলি জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে তুরস্কের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত হয়ে নিজেদের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় বন্ধপরিকর হয়ে ওঠে।


৭.ক্রিমিয়ার যুদ্ধে ফলাফল


ক্রিমিয়ার যুদ্ধ (অক্টোবর, ১৮৫৩–ফেব্রুয়ারি, ১৮৫৬খ্রি.)। তুরস্ককে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে ফ্রান্স, ইংল্যান্ড ও সার্ডিনিয়া-পিডমন্ট। এই যুদ্ধে রাশিয়ার পরাজয় হয়।১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দের প্যারিসের চুক্তিতে এই যুদ্ধের অবসান ঘটে।ক্রিমিয়ার যুদ্ধের ফলে সাময়িকভাবে রুশ আগ্রাসনের পরিকল্পনা ব্যাহত হয়। মলডাভিয়া ও ওয়ালাকিয়া প্রদেশদুটিতে স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। তুরস্কের অখণ্ডতা রক্ষা পায়। তৃতীয় নেপোলিয়নের মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। সার্ডিনিয়া-পিডমন্টের নেতৃত্বে ইটালির স্বাধীনতা লাভের সুযোগ তৈরি হয় এবং জার্মানির জাতীয় ঐক্য গঠনের পথ প্রস্তুত হয়।