রায় রায় মার্টিন চতুর্থ শ্রেণী বাংলা পর্ব 2 সমাধান - Online story

Sunday 28 May 2023

রায় রায় মার্টিন চতুর্থ শ্রেণী বাংলা পর্ব 2 সমাধান

 


 

 রায় ও মাটিন
প্রশ্ন বিচিত্রা
বাংলা (চতুর্থ)
      (১)
আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয় (শিবতলা
১। প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
(ক) 'ফেনসা ভাত’ কী?
উত্তর-ফেন সমেত ভাত।


(খ) ‘ছই’ বলতে কী বোঝো?
উত্তর-নৌকায় ঘরের মতো  ঢাকা ছাউনি।


(গ) ‘নাইওরি’ কথাটির অর্থ কী? পূর্ববঙ্গের কোন বধুর নদীপথে বাপের বাপের বাড়ী যাত্রা।


(ঘ) এডওয়ার্ড দ্বীপ থেকে দ্বিতীয়বার যাত্রাকালে কারা স্কটের সঙ্গী হয়েছিল?
উত্তর- ইভানস আর লাসলি।


২। শব্দার্থ লেখো :

(ক) সেঁধিয়ে : ঢুকে যাওয়া
(খ) আয়াসে : আরাম করে
(গ) দুস্তুর মতো : যথেষ্ট, রীতিমতো
(ঘ)(ঘ) আবালবৃদ্ধবনিতা : শিশু থেকে বৃদ্ধ


৩। নীচের বাক্যগুলির কর্তা খুঁজে বের করো :
(ক) আমি হনহন করে পা চালালাম।
উত্তর-আমি-
(খ) আমাদের দলটা এবার ছোটোপিসিমার বাড়ি হয়ে সেজোপিসিমার বাড়ি যাবে।
উত্তর-আমাদের দল

৪। ঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো :
(ক) হাড়ভাঙা পাতার গাছ
(সুসনি / শুশুনিয়া) পাহাড়ের মাথায়।
উত্তর-সুসনি

(খ)উবা (চকখড়ি / লতাপাতা / কাঠকুটো) দিয়ে ছবি আঁকায় ভারি ওস্তাদ।
উত্তর-কাঠকুটো
৬। ‘ক’-স্তম্ভের সঙ্গে 'খ'-স্তম্ভ মেলাও :
'ক'-স্তম্ভ''                            খস্তম্ভ
উত্তর-
(ক) পাঠশালা              (ঈ) গুরুমশায়
(খ) বন                        (উ)গাছপালা
(গ) হাঁড়ি                     (আ) ভাত
(ঘ) অন্ধকার                 (ই)ভয়
(ঙ) মনসাঝোপ             (অ)কাঁটা



৭। সন্ধি বিচ্ছেদ করো :








৫। সারারাত বনের মধ্যে কীসের চলাচলের শব্দ খসখস, ফসফস, মটমট ফোঁসফোঁস।' – এটি কোন্ গদ্যের অংশ?গদ্যটির লেখক কে?

উত্তর- এটি আলো  গদ্যের অংশ।
গদ্যটির লেখক লীলা মজুমদার।

৮। ‘আমি সাগর পাড়ি দেবো’ – কবিতাটি কবির নামসহ চার লাইন মুখস্থ লেখো।


৯। রচনা লেখো : 'স্বামী বিবেকানন্দ’; অথবা, ‘বইমেলা'।




বইমেলা। -রচনা

[ভূমিকা] : ধর্মীয় বা সামাজিক বিষয় ছাড়া যেসব মেলা বসে বইমেলা
তাদের মধ্যে অন্যতম। বইমেলার প্রতি প্রধানত শিক্ষিত মানুষের আকর্ষণ বেশি। বই মেলায় প্রধানত বই কেনা-বেচা হয়।
[| উৎপত্তি ও প্রসার] : নিউইয়র্ক, প্যারিস ও লন্ডনে অনেক দিন থেকেই আন্তর্জাতিক বই মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। আমাদের দেশে বইমেলা বেশিদিন আগে শুরু হয়নি। ভারতে দিল্লি, মুম্বাই, পাটনা, কটক, কলকাতা প্রভৃতি শহরেনিয়মিত বইমেলা হয়। পশ্চিমবঙ্গে কলকাতা ছাড়াও বিভিন্ন জেলার বড়ো
বড়ো শহরেও বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়।


[বইমেলার বর্ণনা ]: বইমেলায় ছোটো বড়ো সবরকম প্রকাশকরাই অংশগ্রহণ
করে। স্টলগুলিকে নানাভাবে সাজানো হয়। সবাই চেষ্টা করে তাদের স্টলগুলিকে
যতটা সম্ভব আকর্ষণীয় করে তুলতে। স্টলে নানা ধরনের বই সাজানো থাকে।
ছাত্রছাত্রী ও বিভিন্ন ধরনের গ্রন্থপ্রেমীরা লাইন দিয়ে টিকিট কেটে মেলায় ঢোকে।
তাদের প্রয়োজনীয় বই খুঁজে নেয়। মেলায় দু-একটি খাবারের দোকানও থাকে।
মাইকে নানারকম গান এবং ঘোষণা শোনা যায়। বর্তমানে বইমেলা একটি
উৎসবের রূপ নিয়েছে।

[উপকারিতা] : বইমেলায় বিভিন্ন রকম বই উল্টে পাল্টে দেখে পছন্দমতো
বই কেনার সুযোগ পাওয়া যায়। যার যে বিষয়ে আগ্রহ থাক না কেন সবরকম
বই-ই মেলায় পাওয়া যায়। এতে গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, শিশুসাহিত্য, খেলাধূলা,
রান্না, সেলাই, বিজ্ঞান, শিল্প, ভ্রমণ, চাষবাস, ধর্ম ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ের বই পাওয়া যায়। বইমেলা পাঠক-লেখক-প্রকাশকের মিলন কেন্দ্র। এছাড়া বইমেলায় নানারকম আলোচনা, বক্তৃতা এবং প্রদর্শনীর ব্যবস্থা থাকে। নানারকম খাওয়ারের দোকানও থাকে।

[উপসংহার ]: অন্যান্য উৎসবের মতো বইমেলাও বর্তমানে খুবই জনপ্রিয়।
তাই রাজধানী কলকাতা ছাড়িয়ে বইমেলা এখন গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছে।