"এক ভুতুড়ে কান্ড" শিবরাম চক্রবর্তীর হাতে কলমে অনুশীল প্রশ্নের উত্তর - Online story

Sunday 21 May 2023

"এক ভুতুড়ে কান্ড" শিবরাম চক্রবর্তীর হাতে কলমে অনুশীল প্রশ্নের উত্তর

 ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা 

"এক ভুতুড়ে কান্ড"

 শিবরাম চক্রবর্তী 

হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর
কেবলমাত্র গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তরগুলি দেওয়া হলো

১.১ শিবরাম চক্রবর্তীর পোশাকি নাম কী?
উত্তর। শিবরাম চক্রবর্তীর পোশাকি নাম চঞ্চল।

১.২ তাঁর লেখা দুটি বিখ্যাত বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর। তাঁর লেখা দুটি বিখ্যাত বইয়ের নাম ‘বাড়ি থেকে পালিয়ে’ এবং ‘হাসির টেক্কা’।





সন্ধি বিচ্ছেদ
 কিন্তু = কিম্ + তু
দুর্লক্ষণ = দুঃ + লক্ষণ।
 পর্যন্ত = পরি + অন্ত।
উদ্ধার =উৎ + হার।

৬. নীচের প্রশ্নগুলির কয়েকটি বাক্যে উত্তর দাও :
৬.১ ‘সাইকেল ঘাড়ে করে যেতে হলেই হয়েছে।'—লেখকের গন্তব্য কোথায়? সাইকেল ঘাড়ে করে যাওয়ার প্রসঙ্গ এসেছে কেন?
উত্তর। লেখকের গন্তব্যস্থল ছিল রাঁচির হুড জলপ্রপাত।
মাইল সাতেক পথ অতিক্রম করার পর লেখকের সাইকেলের টায়ার ফেঁসে যায়। তখন তিনি কীভাবে ফিরবেন সেটা বুঝতে পারছিলেন না। ফলে সাইকেল ঘাড়ে করে যাওয়ার প্রসঙ্গ এসেছে।


৬.২ ‘যেখান বাঘের ভয় সেইখানেই সন্ধে হয়’—প্রবাদটির মর্মার্থ কী? একই ভাব বোঝাতে তুমি আরেকটি প্রবাদ উল্লেখ করো।
উত্তর। ‘যেখানে বাঘের ভয় সেইখানেই সন্ধে হয়’—এই প্রবাদটির মর্মার্থ যেখানে বিপদ আর ভয় করা হয়, সেখানেই বিপদ এসে হাজির হয়ে যায়।
এরকম আরেকটি প্রবাদ হল—‘ যেমন "চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে"। বিনা মেঘে বজ্রপাত

৬.৩ ‘চিরদিনই আমি আশাবাদী’—এই আশাবাদের গুণে লেখক কীভাবে পুরস্কৃত হলেন?
উত্তর। লেখক চিরকালই আশাবাদী এই কারণে তার জীবনে বিপদ এলে তা থেকে মুক্ত হওয়ার একটি পথ তিনি অবশ্যই পেয়ে যাবেন।
রাঁচি যাওয়ার পথে লেখকের সাইকেলের টায়ার ফেঁসে যায়। তিনি অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করেও কোনো রাঁচি যাওয়ার পথে যানবাহন পেলেন না। অবশেষে তিনি দেখলেন একটি ব্রেরি অস্টিন গাড়ি ধীরে ধীরে তার দিকে এগিয়ে আসছিল। সেই গাড়িতে চেপে তিনি রাঁচির কাছাকাছি পৌঁছেছিলেন। লেখকের আশা এইভাবে চরিতার্থ হয়েছিল।


৭. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর লেখো :


৭.৩ ‘বাঘের দৃষ্টিভঙ্গি ওরকম উদার হতে পারে না।'—কোন্‌ উদার দৃষ্টিভঙ্গির কথা বলা হয়েছে? লেখকের কাছে সেই ‘দৃষ্টিভঙ্গি’ কতটা উদারতা নিয়ে এসেছিল, তা বুঝিয়ে দাও।

উত্তর। এখানে ড্রাইভারহীন বিকল বেবি অস্টিন গাড়িটির উদার দৃষ্টিভঙ্গির কথা বলা হয়েছে। লেখক রাঁচির রাস্তায়
সাইকেলের টায়ার ফেঁসে যাওয়ার জন্য অন্য গাড়ির অপেক্ষায় অনেকক্ষণ ধরেছিলেন। অবশেষে বেবি অস্টিন গাড়িটি ধীর গতিতে ওই রাস্তার ওপর দিয়ে যাচ্ছিল। লেখক ওই গাড়িতে উঠে পড়ে রাঁচির কাছে ফিরতে সমর্থ হয়েছিলেন।এই গাড়িটার জন্য তিনি বিপদের হাত থেকে উদ্ধার পেলেন। সেই কারণেই বেবি অস্টিন গাড়ির দৃষ্টিভঙ্গি লেখকের
কাছে বিশাল উদারতা নিয়ে এসেছিল।


৭.৪ ‘এই হয়ত সশরীরে রাঁচি ফেরার সেই সুযোগকে কাজে লাগালেন?
শেষ সুযোগ’-কোন সুযোগের কথা বলা হয়েছে? লেখক কীভাবে রাঁচি

উত্তর। লেখক রাঁচি ফেরার জন্য রাস্তায় অপেক্ষা করছিলেন কিন্তু কোনো যানবাহন পেলেন না। অবশেষে একটি বেবি অস্টিন গাড়ি ধীর গতিতে আসছিল। ওই ধীরগতিসম্পন্ন বেবি অস্টিন গাড়িতে চেপে রাঁচি পৌঁছানোর সুযোগের কথা বলা হয়েছে।
লেখক গাড়িটির কাছে এগিয়ে গিয়ে দরজার হ্যান্ডেল ঘুরিয়ে গাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়লেন। কায়দা করে কোনো গতিতে তিনি গাড়িতে উঠে পড়লেন। তিনি মনে করলেন এই হয়তো সশরীরে রাঁচি ফেরার শেষ সুযোগ।


৭.৫ 'আমি হাঁ করে তাকিয়ে থাকলাম-লেখক কেন তাঁর কথা অসমাপ্ত রেখে হাঁ করে তাকিয়ে রইলেন?
উত্তর। লেখক রাঁচির রাস্তায় বেবি অস্টিন গাড়ি পেয়ে তাতে উঠে পড়লেন। গাড়িতে উঠে নিজের গন্তব্যস্থলের কথা বলতে গিয়ে বিস্ময়ে ভয়ে হতভম্ব হয়ে গেলেন। তিনি দেখলেন ড্রাইভারের সিটে কেউ নেই। ইঞ্জিন বিকল অথচ গাড়িটি ধীরে ধীরে ঠিকপথে চলছিল। এই ঘটনা দেখে লেখক তাঁর কথা অসমাপ্ত রেখে হাঁ করে তাকিয়ে রইলেন।



৭.৬ ‘বে-ড্রাইভার গাড়ি যেমন চলছিল তেমনি চলতে লাগল’–‘বে-ড্রাইভার গাড়ি’ গাড়ি চলার প্রকৃত কারণটি কীভাবে গল্পে উন্মোচিত হল?

উত্তর। লেখক রাঁচির রাস্তায় বেবি অস্টিন গাড়িতে উঠে দেখলেন গাড়িতে কোনো ড্রাইভার নেই। ঘণ্টা দুয়েক গাড়িটা চলার পর লেভেল ক্রসিং পেরিয়ে যখন প্রায় রেল লাইনের সামনে এসে পড়েছে তখন দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কায় লেখক গাড়ি থেকে নেমে পড়লেন। এমন সময় চশমা পরা একজন লোক মোটরের পেছন থেকে এসে লেখককে গাড়িটা ঠেলতে অনুরোধ করলেন। তিনি বললেন ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ায় তিনি আটমাইল দূর থেকে গাড়িটা ঠেলতে ঠেলতে
আসছেন। এইভাবেই ‘বে-ড্রাইভার গাড়ি’ চলার প্রকৃত কারণ উন্মোচিত হল।



৭.৭ “এবারও আমার আলস্য জয়ী হলো শেষটায়।'—গল্প অনুসরণে লেখকের উৎকণ্ঠা, আলস্য ওকর্মতৎপরতার দৃষ্টান্ত দাও।
উত্তর। লেখক বেবি অস্টিন গাড়ির দেখা পেয়ে খুব উৎফুল্ল হয়েছিলেন কারণ তাঁর কাছে সেই সময় একটি যানবাহনের বিশেষ প্রয়োজন ছিল। তিনি গাড়িতে উঠে নিজের গন্তব্যস্থলের কথা বলতে গিয়ে অবাক হয়ে গেলেন কারণ ড্রাইভারের সিটে কেউ নেই অথচ গাড়ি চলছে। লেখকের উৎকণ্ঠার দৃষ্টান্ত—প্রাণের মায়া ছেড়ে সেই ভূতুড়ে গাড়িকেই আশ্রয় করে রইলেন।আলস্যের দৃষ্টান্ত—লেখক নেমে হেঁটে যাবার চেষ্টা করেননি। ফলে তাঁর আলস্যই জয়ী হয়েছিল।
কর্মতৎপরতার দৃষ্টান্ত –রেলগাড়ি আসার শব্দ শোনামাত্র লেখকের চমক ভাঙল এবং তিনি গাড়ি থেকে নেমে পড়লেন বিপদের আশঙ্কায়।
৭.৮ শেষ পর্যন্ত লেখক সেই ‘বেবি অস্টিন’ থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন কেন? এরপর তিনি কোন পরিস্থিতির মুখোমুখি হলেন?
উত্তর। ভূতুড়ে গাড়ি করে লেখক যখন শেষ পর্যন্ত স্টেশনের কাছে লেভেল ক্রসিং পেরুলেন তখন রেললাইনের কাছে গাড়ির ইঞ্জিনের শব্দ শুনে নিজের প্রাণ বাঁচাতে তিনি বেবি অস্টিন গাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। এরপর গাড়ির পিছন থেকে চশমা পরা এক ভদ্রলোক বেরিয়ে এলেন। যিনি গাড়িটাকে আটমাইল দূর থেকে ঠেলতে ঠেলতে নিয়ে আসছিলেন। তিনি লেখককে অনুরোধ করলেন হাত লাগিয়ে গাড়িটাকে ঠেলার জন্য যাতে তিনি গাড়িটাকে
গন্তব্যস্থলে নিয়ে যেতে পারেন। এরূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হলেন লেখক।