রচনা আমাদের গ্রাম ও আমাদের বিদ্যালয় - Online story

Monday 29 May 2023

রচনা আমাদের গ্রাম ও আমাদের বিদ্যালয়

 


রচনা-আমাদের গ্রাম



ভূমিকা : আমি গ্রামে বাস করি। আমাদের গ্রামের নাম মমিনপুর পুর। এটি নদীয়া জেলায় অবস্থিত।
গ্রামের  বর্ণনা : আমাদের গ্রামটি ছোটো। মাটির বাড়ি ও পাকা বাড়ি মলিয়ে প্রায় তিনশোটি বাড়ি আছে। গ্রামে যেমন চাষের জমি আছে তেমনি নাম-কাঁঠালের বাগানও আছে। গ্রামের এক পাশ দিয়ে গেছে পাকা রাস্তা।গ্রামের বাকি সব রাস্তা কাঁচা অর্থাৎ মাটির। গ্রামে আছে একটি পুরনো শিবমন্দির, আছে একটি বড়ো কালীমন্দির। একটি মসজিদও আছে। গ্রামে প্রাথমিক স্কুল আছে কিন্তু কোনো হাইস্কুল নেই। তবে আমাদের গ্রামের পাশের আছে একটি হাইস্কুল। গ্রামে বিভিন্ন পেশার মানুষ বাস করে। কয়েক। সরকারি চাকরিও করেন। তবে কৃষকদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। পাওয়ার সুবিধা থাকায় সারা বছরই চাষআবাদ চলে। কেউ কলকারখানায় চাকরি করে। সুখ-দুঃখ : গ্রামের মানুষরো একে অপরের বিপদে-আপদে এগিয়ে আসেবিভিন্ন উৎসবে সবধর্ম ও বর্ণের মানুষ পরস্পরের মধ্যে সবরকম বিভেদ ভূতে অংশগ্রহণ করে। আমাদের গ্রামের চড়ক মেলার আশ-পাশের বেশ কয়েকটিমানুষ জড় হয়। বর্ষাকালে খুব বেশি বৃষ্টি হলে রাস্তায় কাদা হয়, দু-একটি রাস্ত
জলে ডুবে যায়। তখন আমাদের খুব কষ্ট হয়। আমাদের গ্রামে কোনো স্বাস্থ্যকেন্দ্র নেই, হাসপাতালও বেশ দূরে। দু-একজন হাতুড়ে ডাক্তার থাকলেও ভালো কোনো ডাক্তার নেই। ফলে অসুখ-বিসুখে মানুষের কষ্টের শেষ থাকে না।


উপসংহার : আমাদের গ্রাম আমার কাছে অতি প্রিয়। অনেক কিছুই আমাদের গ্রামে নেই, তবুও আমি আমার গ্রামকে ভালোবাসি। এখানেই আমি জন্মেছি,বড়ো হচ্ছি। আমার পিতৃ পুরুষরা এই গ্রামে জন্মেছে এবং বড় হয়েছে।




                 রচনা
          আমাদের বিদ্যালয়


ভূমিকাঃ বিদ্যালয় পড়াশোনার স্থান। ছাত্রছাত্রীদের কাছে বিদ্যালয়ের গুরুত্বঅ অপরিসীম। ছাত্রছাত্রীদের কাছে তাদের বিদ্যালয় অতি প্রিয়।


বিদ্যালয়ের পরিচয় : আমাদের বিদ্যালয়ের নাম বিশ্ব বিদ্যানিকেতন।
এখানে সকালে প্রাথমিক স্কুল ও দুপুরে হাইস্কুল বসে। আমি সবে দুপুরের স্কুলে অর্থাৎ পঞ্চম শ্রেণিতে উঠেছি। দুপুরের স্কুলের ছাত্রসংখ্যা সাতশোরও বেশি। শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীর মোট সংখ্যা পঁচিশ। দোতলা স্কুলে ঘরের সংখ্যা অনেক। ঘরগুলি বেশ বড়ো এবং আলো বাতাসযুক্ত। স্কুলে একটি পাঠাগার আছে। তাতে পাঠ্যবই, অন্যান্য বই ও পত্রপত্রিকার সংখ্যা কম নয়। বিদ্যালয়ের পেছনে একটি বড়ো খেলার মাঠ আছে। সেখানে নিয়মিত শরীরচর্চা ও খেলাধুলা হয়। প্রতি বছর খেলাধুলার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের বয়স পঞ্চাশ বছরেরও বেশি। স্কুলের একটি বাৎসরিক পত্রিকা আছে। নাম বিশ্ব।


ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক : আমাদের বিদ্যালয়ের মান এবং ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক খুব ভালো। শিক্ষক-শিক্ষিকারা ছাত্রদের স্নেহ করেন, পড়াশোনার প্রতি নজর দেন। তেমনি ছাত্ররাও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের যথেষ্ট শ্রদ্ধা করে। পড়া না পারলে শিক্ষক-শিক্ষিকারা বার বার বুঝিয়ে দেন। স্কুলের বাৎসরিক পরীক্ষার ফল
যেমন বেশ ভালো তেমনি মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল আশপাশের স্কুলগুলির চেয়ে বেশ ভালো। শুধু পড়াশোনাই নয়, শিক্ষক-শিক্ষিকারা আমাদের নীতি ও আদর্শ,আচার ও আচরণ বিষয়ে শিক্ষা দেন। আমরা আমাদের বিদ্যালয়ের বাগানের পরিচর্যা করি। বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করি।


উপসংহার : আমরা আমাদের বিদ্যালয়টিকে ভালোবাসি। এই বিদ্যালয়ের  জন্য গর্ব বোধ করি।





রচনা লিষ্ট নীচে রচনা গুলি দেখুন





পত্ররচনা বাবা কে