রচনা- গাছ পালা ও মানুষের জীবন
রচনা- গাছ পালা ও মানুষের জীবন
ভূমিকা- সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক অতি নিবিড় আদিম কালেমানুষ বনে বাস করত। বন থেকেই খাদ্য সংগ্রহ করত। আধুনিক সভ্য যতই প্রসার হচ্ছে, মানুষ গাছপালা কেটে ফেলছে নানা কারণে। আর গাছ
কেটে ফেলে নিজেরা নিজেদের সর্বনাশ ডেকে আনছে।
গুরুত্ব- গাছপালার সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক : গাছপালা না থাকলে মানুষের পথে।বেঁচে থাকাই সম্ভব হত না। মানুষ অক্সিজেন ছাড়া বাঁচতে পারে না।অক্সিজেন গাছই আমাদের সরবরাহ করে। মানুষ অক্সিজেন গ্রহণ করে কার্বন ডাই-অক্সাইড ছাড়ে। গাছ সেই কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে এ অক্সিজেন ছাড়ে। পৃথিবীতে মানুষ ও অন্যান্য প্রাণী খাদ্যের ব্যাপারে উদ্ভিদ উপর নির্ভরশীল। আমরা যেসব প্রাণীর মাংস খাই সেগুলিও উদ্ভিদের নির্ভরশীল গাছ বায়ু দূষণ রোধ করে। গাছপালা মাটির ক্ষয় রোধ করে, জমির উর্বরত বাড়ায়, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়ায়। এছাড়াও গাছপালা নানাভাবে আমাদে উপকার করে। গাছের পাতা মানুষের নানা কাজে লাগে। গাছের ফুল দেবত পূজায় লাগে এবং আমাদের মনে আনন্দ দেয়। গাছের ফল দেবতার পূজা লাগে এবং আমাদের পুষ্টি জোগায়। গাছের কাঠ জ্বালানী হিসাবে ব্যবহৃত হয়।নানা রকম আসবাবপত্রে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া গাছ থেকে ধুনা, আঠা, শাস্য,উদ্ভিজ্জ তেল, ওষুধ, রজন ইত্যাদি পাওয়া যায়। আমরা মাটির তলা থেকে কয়লা পাই তা গাছপালা থেকে সৃষ্টি হয়।
গাছপালা কেটে ফেলার ফল : মানুষ চাষ-আবাদ, বসবাস, কলকারখা স্থাপন এবং অন্যান্য প্রয়োজনে গাছপালা কেটে ফেলছে। এর ফলে পরিমাণ ওদূষিত হয়ে যাচ্ছে, মাটির ক্ষয় বেড়ে যাচ্ছে। মরুভূমিও প্রসারিত হচ্ছে। বৃষ্টিরপরিমাণও কমে যাচ্ছে। পরিবেশ দূষণের ফলে মানুষের বিভিন্ন রোগ দেখা দিচ্ছে।
উপসংহার : গাছপালা কেটে ফেলার বিপদ সম্পর্কে মানুষ সচেতন হলে বলেই বনমহোৎসব চালু করেছে। নতুন নতুন বনভূমি সৃষ্টি করা হচ্ছে।প্রয়োজনের তুলনায় তা অনেক কম। মানুষের টিকে থাকার জন্য আরও গাছ লাগানো প্রয়োজন।