পিঁপড়ে° কবিতা অমিয় চক্রবর্তী হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর - Online story

Friday 5 May 2023

পিঁপড়ে° কবিতা অমিয় চক্রবর্তী হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর

 







ক্লাস সিক্স
 পিঁপড়ে° কবিতা
 অমিয় চক্রবর্তী
 
হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর

 

দ্বিতীয় পরীক্ষার জন্য কেবলমাত্র গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর গুলো দেয়া হলো
 
১.১ অমিয় চক্রবর্তী কোথায় অধ্যাপনা করতেন?
উত্তর। অমিয় চক্রবর্তী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যু পলজ্ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করতেন।


১.২ তার দুটি কবিতার বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর। তার দুটি কবিতার বইয়ের নাম হল ‘পুষ্পিত ইমেজ’ ও ‘ঘরে ফেরার দিন'।


২. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর লেখো :
২.১ কবির কী দেখে কেমন যেন চেনা লাগে' মনে হয়েছে?
উত্তর। ক্ষুদ্র জীব পিঁপড়ের আনাগোনা দেখে কবির ‘কেমন যেন চেনা লাগে’ মনে হয়েছে।


২.২ 'কেমন যেন চেনা লাগে'—কথাটির অর্থ বুঝিয়ে দাও।
উত্তর। কবির মনে হয়েছে পিঁপড়ের গতিবিধি এবং আচরণ তার পূর্বপরিচিত। তাই তিনি একথা বলেছেন।


২.৩ কবি কাউকে দুঃখ দিতে চাননি কেন?
উত্তর। কবির ইচ্ছা ছোটো পিঁপড়ে ধুলোর রেণু মেখে তার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অব্যাহত রাখুক। তাই তিনি তাকে স্থানচ্যুত করে দুঃখ দিতে চাননি।


২.৪ ‘কোন অতলে ডাকুক’—কে কাকে এই ডাক দেয়?
উত্তর। গাছের নীচে কোমল হাওয়া বইতে থাকে। সে ছোটো পিঁপড়কে এই ডাক দেয়।



২.৫ কবি আজ প্রাণের কোন পরিচয় পেয়েছেন?
উত্তর। চলমানতাই জীবন । থেমে থাকাই মৃত্যু। এই কবিতার কবি আমাদের প্রাণের চলমানতাকে বুঝিয়েছেন।


>২.৬ ‘দু দিনের ঘর’ বলতে কী বোঝ?
উত্তর। আমাদের মতো মানুষের জীবন ক্ষণস্থায়ী। তাই কবি আমাদের জীবনের ক্ষণস্থায়িত্বকে বোঝাতে ‘দু দিনের ঘর’ কথাটি ব্যবহার করেছেন।


৩. প্রার্থনা, নির্দেশ, অনুরোধ বোঝাতে বাংলায় ক্রিয়ার শেষে ‘উক’ যোগ হয়। (যেমন এই কবিতায় থাক্‌ + উক = থাকুক) কবিতা থেকে এমন আরও পাঁচটি শব্দ খুঁজে বের করো।
উত্তর। ঘুরুক, দেখুক, রাখুক, মাখুক, ডাকুক।




৫. পাশের শব্দঝুড়ি থেকে ঠিক শব্দ বেছে নীচের ছকটি পূরণ করো :
শব্দঝুড়ি—মাটি, পিপীলিকা, যারা, ধুলা।
উত্তর। পিপীলিকা > পিঁপড়ে
মৃত্তিকা > মাটি
মধুর-মেদুর-
ধুলো > ধূলা
যাহারা > যারা





৭. নীচের স্তম্ভদুটি মেলাও :
উত্তর। বি + স্মরণ >বিস্মরণ।
অ + চেনা >অচেনা।
স + মধুর > সুমধুর।
প্রতি + দিন> প্রতিদিন।
কু + কথা > কুকথা









১০. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :



১০.১ পিঁপড়ের ভাষাহীন চলাচলের মধ্যে বিনিময়ের ভঙ্গিটি কেমন?
উত্তর। পিঁপড়ে ভাষাহীনভাবে চলাফেরা করে। সেই চলাফেরার মধ্যে বিনিময়ের ভঙ্গিটি ভালোবাসা এবং ব্যস্ততার।


১০.২ “মাটির বুকে যারাই আছি এই দুদিনের ঘরে”—‘এই দু-দিনের ঘরে’ বলতে কী বোঝ? কে সবাইকে কীভাবে এই দুদিনের ঘরে আদরে ঘিরে রাখে?

উত্তর। আমাদের সকলে জন্মগ্রহণ করার পর নির্দিষ্ট সময়ের ব‍্যাবধানে এই পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হয। অর্থাৎ মৃত্যুমুখে পতিত হই। ‘এই দুদিনের ঘর’ কথার মাধ্যমে কবি আমাদের ক্ষণস্থায়ী জীবনকে  কে বুঝিয়েছেন।
আমাদের ‘এই দুদিনের ঘরে’ পিঁপড়ে সকলকে ভালোবাসার বাঁধনে আদর করে ঘিরে রাখে।



১০.৩. এই কবিতায় কবির কীরূপ মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে তা বুঝিয়ে দাও।
উত্তর। এই পৃথিবীতে আমরা বিশ্বপিতার অংশবিশেষ নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছি। যে জীব যত ছোটোই হোক না কেন এই পৃথিবীতে সকলের সমান অধিকার আছে। সকলে মিলে পারস্পরিক ভালোবাসার বাঁধনে আনন্দের মাধ্যমে বেঁচে থাকাই কাম্য। তাই কবিতার মূল সুরই হল সকলকে আপন করে নিয়ে সুখে ও শান্তিতে দিন অতিবাহিত করা।