রচনা "বনমহোৎসব" - Online story

Monday 12 June 2023

রচনা "বনমহোৎসব"

 





                  রচনা
             বনমহোৎসব

ভূমিকা : বনমহোৎসব প্রথম শুরু হয় শান্তিনিকেতন । সভ্যতার বিকাশে বনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আদিম মানুষ বনে বাস করত। বন থেকে খাদ্য সংগ্রহ করত। আবার গাছের ছাল ও পাতা দিয়ে তাপ ও ঠাণ্ডার হাত থেকে নিজেকে বাঁচাত। গাছের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক
অতি নিবীড়। একসময় সভ্যতা ছিল বনের উপর নির্ভরশীল।


বনমহোৎসব কি : বনমহোৎসব হল বন সৃষ্টি বা গাছ লাগানোর উৎসব রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে প্রথম বনমহোৎসবের সূচনা করেছিলেন। সরকারি সাহায্যে এবং সহযোগিতায় এটি বর্তমানে সাধারণের উৎসবে পরিণত হয়েছে গাছ লাগিয়ে বন সৃষ্টি করা এবং সেই বন রক্ষা করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ফলে নতুন নতুন বনভূমি সৃষ্টি হয়েছে।
বনমহোৎসবের প্রয়োজনীয়তা : আধুনিক সভ্যতা প্রসারের ফলে মানুষ গাছপালা কেটে বনভূমি ধ্বংস করে ফেলছে। তৈরি হচ্ছে বড়ো বড়ো বাড়ি রাস্তাঘাট, কলকারখানা। শহরের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু গাছপালা কেটে ফেলার ফল ভয়ানক। এর ফলে, মরুভূমি বাড়তে থাকে, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যায়। মাটির ক্ষয় বেড়ে যায়, জমির উর্বরতা কমে যায়। পরিবেশ দূষণও বেড়ে যায়। গাছ কেটে ফেলার ফলে বায়ুতে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায়। অথচ আমাদের বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন একান্ত প্রয়োজন। এছাড়া পাতা, ফুল, ফল, আঠা, ওষুধ, মশলা, তেল, মধু, মোম, কাঠ ইত্যাদি দিয়ে গাছ আমাদের নানাভাবে উপকার করে।
উপসংহার : মানুষ বনভূমি ধ্বংস করে নিজের সর্বনাশ ডেকে এনেছে।গাছপালা না থাকলে মানুষও বাঁচতে পারে না। বনমহোৎসবকে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে হবে। গাছপালা লাগানোর গুরুত্ব সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করে তুলতে হবে। শুধু গাছ লাগানোই নয়, সেগুলির যত্ন এবং রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।




রচনা লিষ্ট নীচে রচনা গুলি দেখুন





পত্ররচনা বাবা কে





-