চতুর্থ শ্রেণীর বাংলা "বৃত্তি" পরীক্ষার প্রশ্নপত্র - ২০১৭ উত্তর পশ্চিমবঙ্গ
গণিত বৃত্তি পরীক্ষা প্রশ্নের উত্তর দেখুন
ইংরেজি প্রশ্নের উত্তর দেখুন বৃত্তি পরীক্ষার জন্য
প্ৰাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন , পশ্চিমবঙ্গ পরিচালিত
বৃত্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র - ২০১৭
বিষয়- বাংলা
Time: 2 hours 30 minutes
ইংরেজি প্রশ্নের উত্তর দেখুন ২০২২
২০১৮ সালে বাংলা প্রশ্নের উত্তর দেখুন
১.যেকোনো চারটি প্রশ্নের উত্তর দাও।
(ক) “কাজটা যতটা সহজ মনে করেছিল, ততটা সহজ হবে না।”— উদ্ধৃতিটি কার লেখা, কোন রচনার অংশ। কাজটি কী?সহজ মনে হল না কেন? কাজটা কীভাবে সম্ভব হল?
উত্তর-উদ্ধৃতিটি কার লেখা?,
উদ্ধৃতিটি তেৎসুকো কুরোয়ানাগির লেখা,
কোন রচনার অংশ?
তোত্তো-চনের অ্যাডভেঞ্চার রচনার অংশ।
কাজটি কী?
কাজটি হল তোত্তো-চানের গাছে ইয়াসুয়কি চানকে চাড়ানো।
সহজ মনে হল না কেন .?
ইয়াসুয়াকি-চানের হাতে পায়ে এতই কম জোর ছিল যে মইয়ের প্রথম ধাপটাও বিনা সাহায্যে ওঠা
ওর পক্ষে সম্ভব ছিল না। তোত্তো-চান পিছন ফিরে নেমে এল, এসে ইয়াসুয়াকি-চানকে নীচ থেকে
ঠেলে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করতে লাগল। কিন্তু বেচারা তো নিজেই ছোটোখাটো রোগা একটা মানুষ,ও কী অতশত পারে? মইটাকেই সোজা করে রাখা যাচ্ছিল না, ইয়াসুয়াকি-চানকে তো দূরের কথা।ইয়াসুয়াকি-চান মইয়ের প্রথম ধাপ থেকে পা নামিয়ে চুপটি করে, মাথা নীচু করে দাঁড়িয়ে রইল। এবংএই প্রথম তোত্তো-চান বুঝতে পারল যে কাজটা যতটা সহজ মনে করেছিল, ততটা সহজ হবে না।
কাজটা কীভাবে সম্ভব হল?
দারোয়ানের ঘরে ছুটে গিয়ে ওএকটার পর একটা জিনিস টেনে বের করতে লাগল, কাজে লাগানোর জন্য কিছু পায় কিনা দেখার জন্য। শেষ পর্যন্ত একটা বাড়ির সিঁড়ির মতন মই পেয়ে গেল। ওই সিঁড়ি-মইটা ও টেনে নিয়ে এল গাছের গোড়ায়। নিজের গায়ের জোরে ও নিজেই অবাক হয়ে যাচ্ছিল। মইটা সেই দু-ভাগ হওয়া ডালটাকে প্রায় ছুঁতে পারছিল। তোত্তো-চান নীচ থেকে এর একটা একটা করে পা, এক যাপ এক ধাপ উপরের সিঁড়িতে তুলে দিচ্ছিল, আর নিজের মাথা দিয়ে ইয়াসুয়াকি-চানের পিছনটা ঠেলে দিচ্ছিল। অবশেষে ইয়াসুয়াকি-চান মইয়ের মাথায় পৌঁছোল। এইভাবে সম্ভব হল।
(খ) “সুতরাং ঠিক হলো আমাদের দলটা এবার ছোটোপিসিমার বাড়ি হয়ে সেজোপিসিমার বাড়ি যাবে”
কাদের নিয়ে দল গঠন করা হয়েছিল? 'টমবয়' শব্দের অর্থ কী? টমবয়ের বর্ণনা দাও। ছোটোপিসিমা কেমন প্রকৃতি মানুষ ছিলেন? সেজোপিসিমার গ্রামের নাম কী?
উত্তর-
>কাদের নিয়ে দল গঠন করা হয়েছিল?
★ছোট পিসিমা আর সেজ পিসিমার চার ছেলে মেয়ে লেখিকা সঙ্গে দল গঠন করেছিল।
> 'টমবয়' শব্দের অর্থ কী?
★টমবয়' শব্দের অর্থ ভানপিটে।
> টমবয়ের বর্ণনা দাও।
★টম বয় মারামারি বাঁধলে দঙ্গলে লড়ে । গাছ কোমর বেঁধে আগে আগে গাছে ওঠে । নাকে নোলক পড়ে।ন্যাড়া মাথা ।
>ছোটোপিসিমা কেমন প্রকৃতি মানুষ ছিলেন?
★ছোট পিসিমার প্রাণশক্তি অনেক। দিনে খলবল করে কাজ করেন। রাতে লন্ঠন জ্বালিয়ে পাহারা দেন। একা ভিটে তে ছেলেদের আগলান ।
>সেজোপিসিমার গ্রামের নাম কী?
★সেজোপিসিমার গ্রামের নাম চন্দ্রাহার।
(গ) “মুখ তুলে বুক ফুলিয়ে দৌড়ে শম্ভু সেই পথ ধরল।”— শম্ভু কে? সে কোথায় এবং কীজন্য গিয়েছিল। কারা শম্ভুকে ভয় দেখিয়েছিল? কে, কেন তাকে তিরস্কার করেছিল? শেষপর্যন্ত সে ভয়কে জয় করতে পেরেছিল কি?
১+২+২+২)
উত্তর-
শম্ভু কে?
★ লীলা মজুমদারের লেখা আলো গল্পে একটি অন্য কোন চরিত্র। যার বয়স ১২ বছর।
>সে কোথায় এবং কীজন্য গিয়েছিল?
★সে সুসনি পাহাড়ে হাড়ভাঙ্গা পাতার গাছ এবং পাহাড়ের গা থেকে পড়া লাল মধু আনতে গিয়েছিল।
কারণ তার দাদুর পা ভেঙ্গে গিয়েছিল।
>কারা শম্ভুকে ভয় দেখিয়েছিল?
★ হুতুম পেঁচা, লক্ষ্মী পেঁচা, গাছ ,বন বিড়াল, মনসা ঝোপ,বাদুড় শম্ভু কে ভয় দেখিয়েছিল।
> কে, কেন তাকে তিরস্কার করেছিল?
★ শম্ভুর পিসি তাকে তিরস্কার করেছিল ।কারণ ঝড়-বাদলে রাতের বেলায় শম্ভু বনে ওষুধ আনতে যেতে ভয় খাচ্ছিল।
> শেষপর্যন্ত সে ভয়কে জয় করতে পেরেছিল কি?
★হ্যাঁ ।শেষ পর্যন্ত ভয় কে জয় করে শম্ভু ওষুধ আনতে পেরেছিল
(ঘ) “আমরা পাকোয়া নদীর কিনারায় পৌঁছোলাম।”— আলোচ্য অংশে ‘আমরা’ কারা? পাকোয়া নদীর বর্ণনা দাও।
রাতে থাকার ব্যবস্থা কীভাবে করা হল? কীভাবে বুনো হাতি তাড়ানো হল?
১+২+২+১
উত্তর-
>আলোচ্য অংশে ‘আমরা’ কারা?
★আলোচ্য অংশে আমরা হলেন লেখক বুড়ো লুশাই এবং শ্যামলাল।
>পাকোয়া নদীর বর্ণনা দাও।
★ পাপুয়া নদীটি সত্তর-আশি হাত চওড়া ।এক কোমর পর্যন্ত জল।
>রাতে থাকার ব্যবস্থা কীভাবে করা হল?
★ নদীর পারে তাঁবু খাটিয়ে, বড়ো বড়ো ধুনি আর পাহারাদার ব্যবস্থা করে রাতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
>কীভাবে বুনো হাতি তাড়ানো হল?
★ তাঁবুর কাছে শুকনো বাঁশের মশাল তৈরি করে, লম্বা লম্বা কাঁচা বাঁশের আগায় বেঁধে, মশাল জ্বেলে হাতি তাড়ানো ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
(ঙ) প্রথম দক্ষিণমেরু অভিযান কত সালের, কোন্ মাসে শুরু হয়েছিল? ইংল্যান্ডের দক্ষিণমেরু যাত্রায় স্কটের সঙ্গী কারা ছিলেন? ইংল্যান্ডে দক্ষিণমেরু অভিযানের আয়োজক সংস্থার নাম লেখো। স্কট আর কত মাইল দূর অতিক্রম করতে পারলেই দক্ষিণমেরুতে প্রথম পৌঁছতে পারতেন? এডওয়ার্ড দ্বীপ থেকে দ্বিতীয়বার যাত্রাকালে কারা স্কটের সঙ্গী হয়েছিলেন?
উত্তর-
>প্রথম দক্ষিণমেরু অভিযান কত সালের,কোন্ মাসে শুরু হয়েছিল?
★১৯০১ সালে আগষ্ট মাসে প্রথম দক্ষিণমেরু অভিযান শুরু হয়েছিল।
>ইংল্যান্ডের দক্ষিণমেরু যাত্রায় স্কটের সঙ্গী কারা ছিলেন?
★ইংল্যান্ডের দক্ষিণমেরু যাত্রায় স্কটের সঙ্গী ছিলেন ,স্যার আর্নস্ট স্যাকলটন, উইলসন।
>ইংল্যান্ডে দক্ষিণমেরু অভিযানের আয়োজক সংস্থার নাম লেখো।
★ ইংল্যান্ডে দক্ষিণমেরু অভিযানের আয়োজক সংস্থার নাম -রয়েল জিওগ্রাফিকাল সোসাইটি।
>স্কট আর কত মাইল দূর অতিক্রম করতে পারলেই দক্ষিণমেরুতে প্রথম পৌঁছতে পারতেন?
★ স্কট আর ৪৬৩ মাইল দূর অতিক্রম করতে পারলেই দক্ষিণমেরুতে প্রথম পৌঁছতে পারতেন।
>এডওয়ার্ড দ্বীপ থেকে দ্বিতীয়বার যাত্রাকালে কারা স্কটের সঙ্গী হয়েছিলেন?
★ এডওয়ার্ড দ্বীপ থেকে দ্বিতীয়বার যাত্রাকালে স্কটের সঙ্গী হয়েছিলেন -ইভানস এবং লাসলি।
২.নীচের যে-কোনো চারটি প্রশ্নের উত্তর দাও :
(ক) “বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর,”-‘বিশ্বজোড়া পাঠশালা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? কবি কাদের কাছ থেকে, কি কি শিক্ষা লাভ করেন?
উত্তর-
>বিশ্বজোড়া পাঠশালা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
★
উঃ কবিতায় বিশ্বের প্রতিটি প্রাকৃতিক শক্তির কাছ থেকে কবিতায় শিক্ষা অর্জনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাই কবিতায় ‘বিশ্বজোড়া পাঠশালা' শব্দটি বোঝানো হয়েছে।।
>কবি কাদের কাছ থেকে, কি কি শিক্ষা লাভ করেন?
★কবিতায় আকাশ-বাতাশ-পাহাড়-প্রান্তর, সূর্য-চন্দ্র-সাগর-নদী এবং মৃত্তিকা-পাষাণ- ঝরনা ও শ্যামবনানীকে শিক্ষক বলা হয়েছে। এরাই কবিকে নানাভাবে নানান শিক্ষা দান করেছে। কবি আকাশের কাছ থেকে উদার হওয়ার শিক্ষা লাভ করেছেন। বায়ু অর্থাৎ বাতাস শিখিয়েছে কর্মী হওয়ার মন্ত্র। পাহাড় শিখিয়েছে মৌন মহান হওয়ার শিক্ষা। খোলা মাঠ অর্থাৎ উন্মুক্ত প্রান্তরের কাছ থেকে পাওয়া গেছে দিলখোলা অর্থাৎ উদারচিত্ত হওয়ার উপদেশ। সূর্য মন্ত্রণা অর্থাৎ পরামর্শ দিয়েছে কীভাবে আপন তেজে জ্বলে বেঁচে থাকা যায়। চাঁদ শিখিয়েছে মিষ্টি হাসি হেসে মধুর কথা বলতে। সাগর বা সমুদ্র শেখায় অন্তরকে রত্নআকর করে গড়ে তুলতে। নদী শিখিয়েছে আপন বেগে চলতে। মাটির কাছে পাওয়া গেছে সহিষ্ণু হওয়ায় শিক্ষা। পাষাণ বা পাথর দিয়েছে আপন কাজে কঠোর হওয়ার দীক্ষা। ঝরনা জাগিয়েছে মানবহৃদয়ে গানের সুর। শ্যামবনানী দিয়েছে সরসতা লাভের ভিক্ষা।
(খ) 'আল্লা মেঘ দে পানি দে ছায়া দেরে তুই।।'— কবিতার কবি কে? কারা, কেন এই প্রার্থনা করছে?
উত্তর-
>কবিতার কবি কে?
★ কবি হলেন জসীমউদ্দীন
>কারা, কেন এই প্রার্থনা করছে?
★ গ্রামবাসীরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছে। প্রচন্ড তাপে খরা দেখা দিয়েছে। দুপুর বেলায় বালুচরের মধ্যে পিপাসার জন্য হৃৎপিণ্ড টা ফেটে যাচ্ছে তাই এই প্রার্থনা করেছে।
(গ) “আমি যখন হাতে মেখে কালি/ ঘরে ফিরি, সাড়ে চারটে বাজে,”– কে সাড়ে চারটের সময় ঘরে ফেরে? তখন কাকে দেখে, তার কী ইচ্ছা হয়? এইরকম ইচ্ছার কারণ কী?
উত্তর-
>কে সাড়ে চারটের সময় ঘরে ফেরে?
★ কবিতার কথক সাড়ে চারটের সময় ঘরে ফেরে
> তখন কাকে দেখে, তার কী ইচ্ছা হয়?
★ তখন বাবুদের ফুলবাগানের মাঝে মালি কে মাটি কাটতে দেখে।
তার ইচ্ছা করে বাবুদের ফুলবাগানের মালিক হতে।
>এইরকম ইচ্ছার কারণ কী?
★ কারণ কথক স্বাধীন থাকতে চায়। তার গায়ে ধুলো লাগে, কেউ তাকে বকে না। পাছে কোদাল তার পায়ে পড়ে যায় তার জন্য কেউ মানা করে না।
ঘ) 'সত্যি চাওয়া' কবিতাটি কার লেখা? এখানে ‘তোরা’ বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে? তারা সত্যি চাইলে কী কী হতে পারে বলে কবি মনে করেন?
উত্তর-
>সত্যি চাওয়া' কবিতাটি কার লেখা?
★ সত্যি চা কবিতাটি নরেশ গুহর লেখা।
> এখানে ‘তোরা’ বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে?
★ আমাদের কথা এখানে বোঝানো হয়েছে
>তারা সত্যি চাইলে কী কী হতে পারে বলে কবি মনে করেন?
★সত্যি চাইলে ঘাস সবুজ হবে ।জল মিষ্টি হবে। ফলের স্বাদ হবে। বাতাস গানে ভরে যাবে।
ঙ) “ওগো নেয়ে, নাওখানি বাইয়ো”—‘নেয়ে’ শব্দের অর্থ কী? কোন্ অবস্থায় নাওখানি বাওয়া হচ্ছে? কবি ‘নেয়ে’কে কী নির্দেশ দিচ্ছেন? তিনি নিজে কী সহায়তা করবেন বলে জানাচ্ছেন?
উত্তর-
>নেয়ে’ শব্দের অর্থ কী?
★নেয়ে’ শব্দের অর্থ মাঝি।
>কোন্ অবস্থায় নাওখানি বাওয়া হচ্ছে?
★ যখন নাওখানি বাওয়া হচ্ছেতখন তীব্র বেগে বাতাস বইছিল এবং চারিদিক মেগাচ্ছন্ন অবস্থায় ছিল ।
> কবি ‘নেয়ে’কে কী নির্দেশ দিচ্ছেন?
★ কবি মাঝিকে বলছেন নৌকার হালটা শক্ত করে ধরতে ।।
> তিনি নিজে কী সহায়তা করবেন বলে জানাচ্ছেন?
★ কবি সহায়তা করার জন্য বলছেন "তুমি শক্ত করে হালটা ধরো। আমি পালটা তুলে বেঁধে ফেলি
৩.কবি ও কবিতার নাম লিখে শূন্যস্থান পূরণ করো :
“সাত --- ফেনায় ফেনায়.
---যাই ভেসে--- দিশে
পরির-- বন্ধ, ----দিই হানা মনে মনে।।”
উত্তর-
কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
সাত সাগরের ফেনায় ফেনায় মিশে ,
আমি যাই ভেসে দূর দিশে –
পরীর দেশে বন্ধ দুয়ার দিই হানা মনে মনে।।
৫ (ক) অর্থ লেখো : (যে-কোনো ছ'টি)
দিলখোলা, ঠোক্কর, নিশান, ইশারা, হুংকার, দস্তুরমতো, কসরত।
.
উত্তর-
দিলখোলা- মন খোলা
ঠোক্কর- প্রচুর
নিশান- পতাকা
ইশারা- সংকেত
হুংকার- জোরে চিৎকার
দস্তুরমতো- রীতিমতো
কসরত।- কৌশল
(খ) বাক্য রচনা করো: (যে-কোনো তিনটি)
ভ্যাবাচ্যাকা, প্রাণপণ, একপলক, নজরানা, আবিষ্কার।
উত্তর-
ভ্যাবাচ্যাকা > ছেলেটির সামনে একটি গাড়ি আছে ছেলেটি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল।
প্রাণপণ > ছেলেগুলি ম্যাচটি জেতার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেছিল।
একপলক> পথে চলতে চলতে লোকটি রাস্তা দুদিকে এক পলক দেখে নিল।
নজরানা > সম্রাটদের নজরানা দিতে হতো।
আবিষ্কার। > বিজ্ঞানীরা নিত্য নতুন আবিষ্কার করে।
(গ) বর্ণবিশ্লেষণ করো : (যে-কোনো তিনটি)
কল্যাণ, মুশকিল, রঙিন, বাগিচা, আস্পর্ষা।
উত্তর-
কল্যাণ ক অ ল য আ ণ
মুশকিল >ম উ শ ক ই ল
রঙিন > র ঙ ই ন
বাগিচা > ব আ গ ই চ আ
আস্পর্ষা> আ স প ষ র আ
(ঘ) বিপরীত শব্দ লেখো: (যে-কোনো ছ'টি)
মৌন, নবীন, অভ্যাস, দুর্বল, সুধা, গৌরব, তাড়াহুড়ো।
উত্তর-
মৌন > বাচাল
নবীন > পুরাতন
অভ্যাস> অনভ্যাহ
দুর্বল > সবল
সুধা> বিষ
গৌরব > কলঙ্ক
তাড়াহুড়ো> আস্তে আস্তে
৫(ক) এলোমেলো বর্ণগুলি সাজিয়ে শব্দ গঠন করো : (যে-কোনো চারটি)
শ টেন ভিলি, ল ত স্ত্রীর ভা, ন্তি ভোজ্প জন, কি সাৎ চি,
নভো বনজ।
উত্তর-
শ টেন ভিলি > টেলিভিশন
ল ত স্ত্রী র ভা > ভারত লক্ষ্মী
ন্তি ভো জ্ প জন > ভোজন পংক্তি
কি সাৎ চি > চিকিৎসা
নভো বনজ > বনভোজন
(খ) বিপরীত লিঙ্গের শব্দ লেখো : (যে-কোনো চারটি)
শ্রীমতী, নাপিত, ন্যাড়া, পিসিমা, কবি।
উত্তর-
শ্রীমতী > শ্রীমান (পুংলিঙ্গ)
নাপিত > নাপিত গিন্নি (স্ত্রীলিঙ্গ)
ন্যাড়া> নেড়ি (স্ত্রীলিঙ্গ)
পিসিমা> পিসেমশাই (পুরুষ লিঙ্গ)
কবি> মেয়ে কবি (স্ত্রীলিঙ্গ)
(গ) এক কথায় প্রকাশ কর যেকোনো চারটি যে সবকিছু খায়, যা বারবার দুলছে, যিনি দান করেন স্ত্রী সবকিছু সহ্য করতে পারেন যার দয়া নেই
উত্তর-
যে সবকিছু খায় > সর্বভুক
যা বারবার দুলছে > দোদুল্যমান
যিনি দান করেন > দানী
যে স্ত্রী সবকিছু সহ্য করতে পারেন > সহিষ্ণুনী
যার দয়া নেই> নির্দয়
৬.নীচের যে-কোনো একটি বিষয় অবলম্বন করে অনুচ্ছেদ রচনা করো :
(ক) যে উৎসবটি তুমি সব থেকে ভালোবাসো, (খ) একটি গৃহপালিত পশু,
(গ) নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু।
তোমার প্রিয় উৎসব / দুর্গাপূজা
ভূমিকা : দুর্গাপূজা বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড়ো উৎসব। সারা ভারতের দুর্গাপূজা হয়। সারা বছরের দুঃখ-কষ্ট, ক্লান্তি দূর করতে দেবী দুর্গা আসেন
আশ্বিন মাসে।
দেবীর বর্ণনা : দেবী দুর্গার বাহন সিংহ। তাঁর পায়ের নীচে শূলবিন্দ মহিষাসুর। দুর্গার দশটি হাত। তাঁর প্রত্যেকটি হাতেই বিভিন্ন রকম অস্ত্র। দেবীর ডানদিকে সম্পদের দেবী লক্ষ্মী, বাম দিকে বিদ্যার দেবী সরস্বতী। লক্ষ্মীর ডানা দিকে থাকেন সিদ্ধিদাতা গণেশ, সরস্বতীর বাম দিকে থাকেন দেব সেনাপতি
কার্তিক। লক্ষ্মীর বাহন পেঁচা, সরস্বতীর বাহন হাঁস। গণেশের বাহন ইঁদুর,কার্তিকের বাহন ময়ূর।
পূজার বিবরণ : সাধারণত আশ্বিন মাসে দেবীর পূজা হয়। শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠীতে দেবীর বোধন হয়। সপ্তমী, অষ্টমী, নবমীতে মহা সমারোহে দেবীর পূজা হয়। দেবীর সামনে নৈবেদ্য দিয়ে মন্ত্রপাঠ করে পূজা হয়। তার পর আরতি হয়। কোথাও কোথাও ছাগ, মহিষ বা কুমড়ো বলি দেওয়া হয়। দশমীর দিন নদী বাবড়ো জলাশয়ে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। এরপর শুরু হয় প্রীতি ও শুভেচ্ছা বিনিময় এবং আশীর্বাদ প্রার্থনা।
পূজার আনন্দ ঃ পূজা আসার অনেক আগেই শুরু হয়ে যায় কেনা কাটা। বিভিন্ন দোকানে-ভিড় বাড়তে থাকে। পূজার কয়েক দিন আগে থেকে স্কুল কলেজ অফিস সবই বন্ধ হয়ে যায়। প্রবাসীরা বাড়ি ফেরে। পূজার কয়েকদিন প্রতিমা দর্শনের জন্য
জো মণ্ডপে খুব ভিড় হয়। সারা রাত ধরে প্রতিম৷ দর্শনের পালা চলে।
উপসংহার : এই উৎসবে শুধু বাঙালি হিন্দুরাই নয়, অন্যান্য ধর্ম ও সম্প্রদায়ের লোকেরাও অংশগ্রহণ করে।
একটি গৃহপালিত পশু /গোরু
ভূমিকা : গৃহপালিত স্তন্যপায়ী জন্তুগুলির মধ্যে অন্যতম হইল গোরু। । গোরু মানুষের সবচেয়ে উপকারী জন্তু।
আকৃতি : গোরুর চারটি পা, দুটি লম্বা কান, দুটি শিং আছে। গোরুর মুখটি লম্বাটে। গোরুর একটি লম্বা লেজ আছে। লেজের ডগায় একগুচ্ছ লোম আছে।
এই লেজের সাহায্যে এরা মশা মাছি তাড়ায়। গোরুর পায়ের খুর চেরা। এদের গলার নরম চামড়াটিকে গলকম্বল বলে। এদের কাঁধে একটি নরম মাংসপিণ্ড
থাকে। গোরুর কেবলমাত্র নীচের মাড়িতে দাঁত থাকে। গোরুর সমস্ত শরীর লোমে ঢাকা। এরা চার-পাঁচ হাত লম্বা হয়। গোরু সাদা, কালো, শ্যমলাখয়েরি ইত্যাদি বিভিন্ন রং-এর হয়।
প্রকৃতি : গোরু খুব শান্ত ও নিরীহ প্রাণী। এরা সহজেই পোষ মানে।
খাদ্য : গোরু ঘাস, খড়, লতাপাতা, ভূষি, বিচালি, খোল, ভাতের ফ্যান ইত্যাদি খায়। গোরু প্রথমে খাবার ভালোভাবে না চিবিয়ে গিলে ফেলে। বিশ্রামের সময় আবার ঐ খাবার মুখে এনে ভালো করে চিবোয়। একে ‘জাবর কাটা’ বলে।
উপকারিতা : গাই গোরু দুধ দেয়। সেই দুধ সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর পানীয়। শিশু, বৃদ্ধ, রোগী সবাই খেতে পারে। দুধ থেকে দই, ছানা, ক্ষীর, মাখন, ঘি এবং
নানারকম সুস্বাদু খাদ্য তৈরি হয়। বলদ-গোরু লাঙ্গল টেনে চাষের কাজে সাহায্য করে। আবার গাড়িও টানে। গোবর সার এবং জ্বালানী হিসাবে ব্যবহৃত হয়। আজকাল গোবর গ্যাস রান্নার কাজে এবং আলো জ্বালাতে ব্যবহৃত হচ্ছে। গোরুর
চামড়ায় জুতো, ব্যাগ, সুটকেস তৈরি হয়। গোরুর হাড় গুঁড়ো করে সার তৈরি হয়। খুর ও শিং থেকে শিরীষ তৈরি হয়। শিং ও হাড় অন্যান্য কাজেও লাগে।
উপসংহার : গোরু মানুষের নানাভাবে উপকার করে। হিন্দুরা গোরুকে দেবতার মতো পূজা করে। গোরুকে যত্নের সঙ্গে পালন করা উচিত।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু
ভূমিকা : “তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব।”
ভারতের যে বীর একথা বলেছিলেন, তিনি হলেন সুভাষচন্দ্র বসু। আমাদের সবার প্রিয় নেতাজি।
জন্ম ও বংশ-পরিচয় : ওড়িশার
কটক শহরে ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ২৩
জানুয়ারি সুভাষচন্দ্রের জন্ম হয়। তাঁর বাবা সরকারি উকিল জানকীনাথ বসু।
মায়ের নাম প্রভাবতী দেবী।
শিক্ষা : সুভাষচন্দ্র মেধাবী ছাত্র
ছিলেন। কটকের র্যাভেনশ স্কুল থেকে দ্বিতীয় স্থান লাভ করে প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করেন। এর পর কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন। পরে স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে অনার্স সহ বি. এ. পাশ করেন। এরপর আই. সি. এস. পড়ার জন্য বিলাত যান এবং চতুর্থ স্থান লাভ করে পাশ করেন।
কর্মজীবন ও কৃতিত্ব : আই. সি. এস. পরীক্ষায় পাশ করা সত্ত্বেও বিদেশি সরকারের অধীনে তিনি কোনো চাকুরি গ্রহণ করেন নি। ছোটোবেলা থেকেই
সুভাষচন্দ্রের মধ্যে দেশপ্রেম ছিল। তিনি দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনের সহযোগী হিসেবে দেশসেবার কাজে লেগে গেলেন। দেশের জন্য তিনি বহু বার জেল খেটেছেন।
পরপর দুবার জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি হয়েছিলেন। কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। কংগ্রেসের সঙ্গে মতবিরোধ হওয়ায় কংগ্রেস ত্যাগ
করে ‘ফরওয়ার্ড ব্লক' নামে একটি দল গঠন করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গোপনে আফগানিস্তানের মধ্য দিয়ে বার্লিনে পালিয়ে যান। সেখানে আজাদ হিন্দ বাহিনী গঠন করেন। সেই বাহিনী নিয়ে ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ভারতে প্রবেশ করেন। সেখানে জাতীয় পতাকা তোলেন। কিন্তু জাপানের সাহায্যের অভাবে
আজাদ হিন্দ সরকারের পতন হয়। সুভাষচন্দ্রের সাহস, বীরত্ব, দেশপ্রেম—এসবের তুলনা হয় না।
উপসংহার : আজাদ হিন্দ সরকারের পতনের পর টোকিও যাওয়ার পথে বিমান দুর্ঘটনায় সুভাষচন্দ্রের মৃত্যু হয়েছে বলা হয়, কিন্তু সেকথা অনেকে
বিশ্বাস করেন না। ভারতবাসীর অন্তরে তিনি চিরকাল অমর হয়ে থাকবেন
সকল প্রশ্নের উত্তর নীচে ক্লিক করুন
2023
বাংলা চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
ENGLISH চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
সমাজ বিজ্ঞান চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
গণিত (অঙ্ক) চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
বিজ্ঞান চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
2022
বাংলা চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
ENGLISH চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
সমাজ বিজ্ঞান চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
গণিত (অঙ্ক) চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
বিজ্ঞান চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
2021(2022)
বাংলা চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
ENGLISH চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
সমাজ বিজ্ঞান চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
গণিত (অঙ্ক) চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
বিজ্ঞান চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
2019
বাংলা চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
ENGLISH চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
সমাজ বিজ্ঞান চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
গণিত (অঙ্ক) চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
বিজ্ঞান চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
2018
বাংলা চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
ENGLISH চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
সমাজ বিজ্ঞান চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
গণিত (অঙ্ক) চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
বিজ্ঞান চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
2017
বাংলা চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
ENGLISH চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
সমাজ বিজ্ঞান চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
গণিত (অঙ্ক) চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
বিজ্ঞান চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
2016
●●English paragraph suggestion answer