চতুর্থ শ্রেণি বাংলা বৃত্তি পরীক্ষা ২০১৮ সালে প্রশ্নের উত্তর
সমাজবিজ্ঞান অর্থাৎ আমাদের পরিবেশ প্রশ্নের উত্তর দেখুন
গণিত বৃত্তি পরীক্ষা প্রশ্নের উত্তর দেখুন
ইংরেজি প্রশ্নের উত্তর দেখুন বৃত্তি
প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন পর্ষদ, পশ্চিমবঙ্গ পরিচালিত
বিষয় -বাংলা
বৃত্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র - ২০১৮
২০১৭ বাংলা বৃত্তি প্রশ্নের উত্তর দেখুন
১। নীচের যে-কোনো চারটি প্রশ্নের উত্তর দাও :
৮x৪=৩২
(ক) “জ্যোতি ততক্ষণে উঠে বসেছে ঘোড়ার পিঠে।” - কোন্ রচনার অংশ? লেখক কে? জ্যোতির প্রকৃত নাম কী? উদ্ধৃতিটি কোন্ প্রসঙ্গে করা হয়েছে। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে চরিত্রটির কোন্ দিকটি উজ্জ্বল হয়? জ্যোতি ঘোড়ার পিঠে ওঠার পর কী হয়?
উত্তর-কোন্ রচনার অংশ? ★বাঘাযতীন রচনার অংশ
> লেখক কে?
★ লেখক পৃথ্বীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়।
>জ্যোতির প্রকৃত নাম কী?
★ যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় (বাঘাযতীন)
>উদ্ধৃতিটি কোন্ প্রসঙ্গে করা হয়েছে।
★ উদ্ধৃতিটি বাঘাযতীন রচনা অংশ।
>এই ঘটনার মধ্য দিয়ে চরিত্রটির কোন্ দিকটি উজ্জ্বল হয়?
★ এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে চরিত্রটির সাহসিকতার মনোভাব দিকটি উজ্জ্বল হয়।
জ্যোতি ঘোড়ার পিঠে ওঠার পর কী হয়?
★ জ্যোতি ঘোড়ার পিঠে ওঠার পর অত্যন্ত শান্ত ভঙ্গিতে ঘোড়ার পিঠে গলায় দাবনায় ছোট ছোট চাপন মেরে হাত বুলিয়ে দিতে থাকল।
(খ) “যখন এতটুকুটি ছিলি বাপ মা তোর বিদেশে গেল,” কোন রচনা থেকে নেওয়া হয়েছে। রচনাকার কে? কে, কার সম্পর্কে কথাগুলি বলেছেন? কোন্ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কথাগুলি বলা হয়েছে?
উত্তর-
>কোন রচনা থেকে নেওয়া হয়েছে?
★আলো রচনা থেকে নেওয়া হয়েছে।
>রচনাকার কে?
★রচনাকার হলেন লীলা মজুমদার।
>কে, কার সম্পর্কে কথাগুলি বলেছেন?
★ শম্ভুর পিসি শম্ভুর সম্পর্কে কথাটা বলেছেন।
>কোন্ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কথাগুলি বলা হয়েছে?
★ ঝড় জলে রাত্রে শম্ভুর দাদুর বাড়ি ফেরেনি শম্ভুর পিসি বিপদের ভয় করছিল বাড়িতে থাকা একমাত্র ব্যক্তি শম্ভু কে বলেছিল দাদুর খোঁজ জানতে ।শম্ভু ঝড় জলে রাতে বেরুতে ভয় পাচ্ছিল। তখন তার পিসি এ কথা বলেছে।
(গ) “বোতোর দেখা পাওয়া নাকি সবসময়ই ভালো,
বক্তা কে? কার লেখা এবং কোন্ গদ্যের অংশ? বক্তা কোথায় হারিয়ে গিয়েছিল? বোতো কাদের রক্ষা করে। বোতোর চেহারার বর্ণনা দাও।
উত্তর-
>বক্তা কে?
★বক্তা হলেন উবা।
> কার লেখা এবং কোন্ গদ্যের অংশ?
★ অমরেন্দ্র চক্রবর্তীর লেখা আমাজনের জঙ্গলের গদ্যের অংশ।
> বক্তা কোথায় হারিয়ে গিয়েছিল?
★ বক্তা হারিয়ে গিয়েছিল আমাজনের জঙ্গলে।
>বোতো কাদের রক্ষা করে।
★ আমাজনের মানুষদের রক্ষা করে।
> বোতোর চেহারার বর্ণনা দাও।
★ আমাজন নদীতে এক-দেড় হাত লম্বা একটা প্রাণী। তার নাক ও ঠোঁট খুব সরু।মস্ত বড় মাথা। লেজটা শরীরের শেষ প্রান্ত থেকে দুভাগে ভাগ হয়ে গেছে। রং লাল অথবা গোলাপী।
(ঘ) “ধলেশ্বরী আইলো নাকি ও-ও মাঝি ভাই?” কোন্ রচনার অংশ? কার লেখা? ধলেশ্বরী এসেছে শুনে বক্তা কী করেছিলেন? অন্যান্যদের আচরণ কেমন ছিল? ধলেশ্বরী সম্পর্কে আতঙ্কের কারণ কী? কখন সকলে নিশ্চিন্ত হল।
উত্তর-
>কোন্ রচনার অংশ?
★"আমার মা-বাপের বাড়ি "-রচনার অংশ।
>কার লেখা?
★রাণী চন্দের লেখা।
>ধলেশ্বরী এসেছে শুনে বক্তা কী করেছিলেন?
★ ধলেশ্বরী এসেছে শুনে বক্তা চোখ দুটো টিপে বালিশের ভেতর মাথাটা আরো গুঁজে দিলেন।
>অন্যান্যদের আচরণ কেমন ছিল?
★ ধলেশ্বরী এসেছে শুনে সকলে আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছিলেন। কারুর মুখে কোন কথা ছিল না । মাঝরা শুধু থেকে হুংকার দিয়ে বলে উঠছিল "বলো ভাই– বদর বদর হৈ।
>ধলেশ্বরী সম্পর্কে আতঙ্কের কারণ কী?
★ ধলেশ্বরী সম্পর্কে আতঙ্কে কারণ হলো, ধলেশ্বরী খ্যাপা নদী। এলোপাতাড়ি ঢেউয়ের ধাক্কা দেয় ।বিরাট নদী একুল ওকুল জলে ভরা
>কখন সকলে নিশ্চিন্ত হল।
★ যখন ধলেশ্বরী নদী পেরিয়ে , শান্ত ধারায় নৌকা এলো, তখন সকলে নিশ্চিন্ত হল।
(ঙ) “গত এক মাস আমরা যে কষ্ট পেয়েছি, আমি ভাবতে পারি না, কোনো মানুষ কোনো দিন সেরকম কষ্ট সহ্য করেছে কিনা।” – উদ্ধৃত অংশটি কার লেখা এবং কোন্ গদ্যের অংশ? 'আমরা' বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে? কীসের জন্যে তাঁরা এই কষ্ট স্বীকার করেছেন। তাঁদের কষ্টের বর্ণনা দাও।
উত্তর-
>উদ্ধৃত অংশটি কার লেখা এবং কোন্ গদ্যেরঅংশ?
★ উদ্ধৃত অংশটি নৃপেন্দ্রকৃষ্ন চট্টোপাধ্যায় লেখা দক্ষিণের অভিযান গদ্যের অংশ।
>'আমরা' বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে?
★ আমরা বলছি ক্যাপ্টেন স্কট , ইভানস এবং সঙ্গী সাথীদের কথা বলা হয়েছে।
> কীসের জন্যে তাঁরা এই কষ্ট স্বীকার করেছেন।
★ তারা দক্ষিণের অভিযান করার জন্য এই কষ্ট স্বীকার করেছে।
>তাঁদের কষ্টের বর্ণনা দাও।
★ স্কট দেশে ফিরতে ভয়াবহ বাধার মুখোমুখি হতে লাগলেন। হাওয়া আর বয় না। শুধু জমাট বরফের কণা বইতে থাকে। দিনের পর দিন শুধু বরফের বৃষ্টি ছাড়া আকাশ কিংবা পৃথিবী কিছুই দেখা যায় না। প্রায় শ্বাসবন্ধ হতে যাওয়ার উপক্রম। ভীষণ বরফ পড়ার জন্য তারা কিছু না দেখতে পেয়ে পথ খুঁজে পেলেন না। তাঁদের সারা শরীর অবসন্ন হয়ে পড়ল। স্কটের এক সঙ্গী ইভানস বরফ চাপা পড়ে মারা গেলেন। বরফ পড়া বন্ধ হল না। অবশেষে স্কট তাঁর অন্যান্য সঙ্গীদের নিয়ে একটি ডিপোতে ফিরে এলেন সবাই একে একে বরফের স্তূপে চিরতরে ঘুমিয়ে রইলেন।
২। নীচের যে-কোনো চারটি প্রশ্নের উত্তর দাও :
8x8=16
(ক) “আমার জন্যে সব রাস্তাই খোলা/আসতে যেতে কোথাও নেই মানা।” – কোন্ কবিতার অংশ। কবির নাম কী? পঙ্ক্তিটির অর্থ লেখো।
উত্তর-
>কোন্ কবিতার অংশ?
★মালগাড়ি কবিতার অংশ।
> কবির নাম কী?
★ কবির নাম প্রেমেন্দ্র মিত্র।
> পঙ্ক্তিটির অর্থ লেখো
পঙ্ক্তিটির অর্থ হইল এখানে মালগাড়ি যাতায়াতের জন্য সকল রাস্তা খোলা থাকে। থামার জন্য কোন নিষেধ থাকে না। কবিতার কথক সেরকম স্বাধীনভাবে চলতে চাইছেন । তিনি কোন নিয়ম-শৃংখলার মধ্যে থাকতে চাইছেন না।
(খ) “ইচ্ছে করে পাহারওলা হয়ে/গলির ধারে আপন মনে জাগি।।” হবার ইচ্ছে জাগে?
- কোন কবিতার অংশ? কার কার এই ইচ্ছে জাগে? তার আর কী কী হতে ইচ্ছা করে?
উত্তর-
>- কোন কবিতার অংশ?
★ "বিচিত্র সাধ" কবিতার অংশ
>কার কার এই ইচ্ছে জাগে?
★ কবিতার কথকের এই ইচ্ছা জাগে।
> তার আর কী কী হতে ইচ্ছা করে?
★ তার পাহারাওয়ালা ছাড়াও কখনো মালি আবার কখনো ফেরিওয়ালা হতে ইচ্ছা করে।
(গ) 'আদর্শ ছেলে' কবিতাটি কার লেখা? কবি আমাদের দেশের ছেলেদের কাছে কী প্রত্যাশা করেন। প্রত্যেক দেশবাসীর কী প্রতিজ্ঞা করা উচিত?
উত্তর-
★আদর্শ ছেলে' কবিতাটি কুসুমকুমারী দাশের লেখা।
★মানুষ হতে হবে এই প্রতিজ্ঞায় অটল হতে হবে সব মানুষকে ।আর সেটি হতে গেলে মানুষের মুখে হাসি, বুকে বল, আর তেজে ভরা মন চাই। সেই সঙ্গে কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হতে হবে।
(ঘ) কবি কাজী নজরুল ইসলাম কীভাবে সাগর পাড়ি দিয়ে বাণিজ্য করতে চান। তিনি দেশে দেশে বাণিজ্য করে কী কী করতে চান?
উত্তর-
★- সপ্ত মধুকর ময়ূরপঙ্খী বজরা লালবাওটা তুলে ঢেউয়ের দোলায় মরাল মতো সাগর জলে ভাসিয়ে ঘাটের সওদা নিয়ে বিশ্বজোড়া হাটে পৌঁছে যাবেন।
★তিনি বাণিজ্য করে দেশে ফিরে তাদের দেশের সুধা এনে নিজের দেশের মানুষকে দেবেন। মাকে মণি এনে দেবেন । মায়ের দুঃখ পৌঁছাবেন মাকে রাজধানী করবেন।
(ঙ) “ইচ্ছে করে সেলেট ফেলে দিয়ে / অম্নি করে বেড়াই নিয়ে ফেরি।।” তার কী কী হতে ইচ্ছে করে?
উত্তর- তার কখনো চুরি ফেরিওয়ালা কখনো বাগানের মালি আবার কখনো পাহারা হয়ে গলির ধারে দাঁড়িয়ে পাহারা দিতে ইচ্ছা করে।
৩। কবি ও কবিতার নাম লিখে শূন্যস্থান পূরণ করো :
"সূর্য আমায়------দেয়
আপন তেজে------
চাঁদ------হাসতে মিঠে
------কথা বলতে।
ইঙ্গিতে তার----
অন্তর হোক-----
উত্তর-
সূর্য আমার মন্ত্রণা দেয়
আপনকে তেজে জ্বলতে
চাঁদ সেখালো হাসতে মিঠে
মধুর কথা বলতে
ইঙ্গিতে তার শিখায় সাগর
অন্তর হোক রত্নআকর
৪। (ক) অর্থ লেখো : (যে-কোনো ছ'টি)
আশ্চর্য, বিজ্ঞ, আমন্ত্রণ, আয়োজন, পান্না, পাঙ্খা, গাদাগাদি।
উত্তর-
আশ্চর্য>আজব
বিজ্ঞ >জ্ঞানী
আমন্ত্রণ নিমন্ত্রণ
আয়োজন > ব্যবস্থা
পান্না > দামি পাথর
পাঙ্খা > পাখা
গাদাগাদি> খেপা খেচি
(খ) বাক্য রচনা করো : (যে-কোনো তিনটি)
ব্যাকুল, গাছকোমর, এলোপাথাড়ি, অবসন্ন, পণ।
উত্তর-
ব্যাকুল > ছেলেটি একটু জলের জন্য ব্যাকুল হয়ে কাঁদছে।
গাছকোমর> ছোট বেশি গাছে পেয়ারা পড়ার সময় গাছ কোমর পর্যন্ত কাপড় বেঁধে ছিল।
এলোপাথাড়ি> পুলিশ ক্ষিপ্ত হয়ে এলোপাথাড়ি লাঠিচার্জ করছিল।
অবসন্ন> ছেলেটি ভালো পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে না পেরে অবসর মনে বসে ছিল।
পণ> মালগাড়ি পণ্য বোঝাই করে নিয়ে যায়।
(গ) বর্ণবিশ্লেষণ করো : (যে-কোনো তিনটি)
কল্যাণ, দঙ্গল, পর্বতমালা, ক্রমাগত, নিমন্ত্রণ।
উত্তর-
কল্যাণ > ক+ অ +ল +য +আ +ণ
দঙ্গল > দ+ ঙ+ গ+ ল
পর্বতমালা> প+ র +ব+ ত্ +ম +আ +ল+ আ
ক্রমাগত> ক+ র+ অ+ ম +আ +গ +ত
নিমন্ত্রণ।> ন+ ই +ম +ন +ত +র+ ণ
(ঘ) বিপরীত শব্দ লেখো : (যে-কোনো ছ'টি)
ইচ্ছা, বুড়ো, হেসে, শুরু, সন্দেহ, শান্ত, অভাব।
উত্তর-
ইচ্ছা > অভিলাষ
বুড়ো> ছোকরা
হেঁসে >কেঁদে
শুরু > শেষ
সন্দেহ> বিশ্বাস
শান্ত> চঞ্চল
অভাব> সচ্ছলতা
৫। (ক) এলোমেলো বর্ণগুলি সাজিয়ে শব্দ গঠন করো : (যে-কোনো চারটি)
ধীতা পন রা, শ ব স না, সে প্যারা, ছাল ছাগ না, ইশা গুমরু।
উত্তর-
ধীতা পন রা। >পরাধীনতা
শ র্ব স না > সর্বনাশ
সে প্যা রা। >সেরাপ্যা
ছাল ছাগ না > ছাগলছানা
ইশা গুমরু > গুরুমশাই
(খ) লিঙ্গ পরিবর্তন করো : (যে-কোনো চারটি)
সেজোপিসিমা, শিক্ষক, কাকা, ন্যাড়া, নবীন।
.উত্তর-
সেজোপিসিমা> সেজো পিসেমশাই (পুরুষ লিঙ্গ)
শিক্ষক> শিক্ষিকা।(স্ত্রীলিঙ্
কাকা > কাকি (স্ত্রীলিঙ্গ)
ন্যাড়া> নেড়ী (স্ত্রীলিঙ্গ)
নবীন> নবীনা (স্ত্রীলিঙ্গ )
(গ) এককথায় প্রকাশ করো : (যে-কোনো চারটি)
নতুন আবিষ্কারের জন্য যাত্রা, ভিক্ষার অভাব,যিনি চিকিৎসা করেন, যা বারবার দুলছে,সহ্য করার ক্ষমতা।
৮x১২৮
উত্তর-
নতুন আবিষ্কারের জন্য যাত্রা >অভিযান
ভিক্ষার অভাব > দুর্ভিক্ষ
যিনি চিকিৎসা করেন > চিকিৎসক
যা বারবার দুলছে >দোদুল্যমান
সহ্য করার ক্ষমতা> সহিষ্ণু
৬। নীচের যে-কোনো একটি বিষয় অবলম্বন করে অনুচ্ছেদ রচনা করো :
(ক) একটি গৃহপালিত পশু, (খ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, (গ) প্রিয় একটি উৎসব।
একটি গৃহপালিত পশু /গোরু
ভূমিকা : গৃহপালিত স্তন্যপায়ী জন্তুগুলির মধ্যে অন্যতম হইল গোরু। । গোরু মানুষের সবচেয়ে উপকারী জন্তু।
আকৃতি : গোরুর চারটি পা, দুটি লম্বা কান, দুটি শিং আছে। গোরুর মুখটি লম্বাটে। গোরুর একটি লম্বা লেজ আছে। লেজের ডগায় একগুচ্ছ লোম আছে। এই লেজের সাহায্যে এরা মশা মাছি তাড়ায়। গোরুর পায়ের খুর চেরা। এদের গলার নরম চামড়াটিকে গলকম্বল বলে। এদের কাঁধে একটি নরম মাংসপিণ্ড থাকে। গোরুর কেবলমাত্র নীচের মাড়িতে দাঁত থাকে। গোরুর সমস্ত শরীর লোমে ঢাকা। এরা চার-পাঁচ হাত লম্বা হয়। গোরু সাদা, কালো, শ্যমলাখয়েরি ইত্যাদি বিভিন্ন রং-এর হয়।
প্রকৃতি : গোরু খুব শান্ত ও নিরীহ প্রাণী। এরা সহজেই পোষ মানে।
খাদ্য : গোরু ঘাস, খড়, লতাপাতা, ভূষি, বিচালি, খোল, ভাতের ফ্যান ইত্যাদি খায়। গোরু প্রথমে খাবার ভালোভাবে না চিবিয়ে গিলে ফেলে। বিশ্রামের সময় আবার ঐ খাবার মুখে এনে ভালো করে চিবোয়। একে ‘জাবর কাটা’ বলে।
উপকারিতা : গাই গোরু দুধ দেয়। সেই দুধ সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর পানীয়। শিশু, বৃদ্ধ, রোগী সবাই খেতে পারে। দুধ থেকে দই, ছানা, ক্ষীর, মাখন, ঘি এবং নানারকম সুস্বাদু খাদ্য তৈরি হয়। বলদ-গোরু লাঙ্গল টেনে চাষের কাজে সাহায্য করে। আবার গাড়িও টানে। গোবর সার এবং জ্বালানী হিসাবে ব্যবহৃত হয়। আজকাল গোবর গ্যাস রান্নার কাজে এবং আলো জ্বালাতে ব্যবহৃত হচ্ছে। গোরুর চামড়ায় জুতো, ব্যাগ, সুটকেস তৈরি হয়। গোরুর হাড় গুঁড়ো করে সার তৈরি হয়। খুর ও শিং থেকে শিরীষ তৈরি হয়। শিং ও হাড় অন্যান্য কাজেও লাগে।
উপসংহার : গোরু মানুষের নানাভাবে উপকার করে। হিন্দুরা গোরুকে দেবতার মতো পূজা করে। গোরুকে যত্নের সঙ্গে পালন করা উচিত।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
ভূমিকা : বিদ্যাসাগর ছিলেন শ্রেষ্ঠ বাঙালি। তাঁর ছিল প্রচণ্ড তেজ, অগাধ পাণ্ডিত্য, আত্মমর্যাদাবোধ, আবার মানুষের প্রতি দয়া ও মমতা। তাঁর আসল নাম ঈশ্বরচন্দ্র বন্দোপাধ্যায়।
জন্ম ও বংশ-পরিচয় : জন্ম মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে, ১৮২০ খ্রিস্টাব্দের ২৩ সেপ্টেম্বর। তাঁর বাবার নাম ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। মায়ের নাম ভগবতী দেবী।
শিক্ষা : গ্রামের চতুষ্পাঠীতে পাঁচ বছর বয়সে তাঁর শিক্ষা শুরু হয়। এরপর বাবার সঙ্গে কলকাতায়
আসেন। কলকাতায় সংস্কৃত কলেজে ভর্তি হন। কলকাতায় খুব কষ্ট করে, অভাবের মধ্যে থেকে পড়াশোনা করতে হয়। বাসন মাজা, রান্না করা, বাজার করা প্রভৃতি কাজকর্মের মধ্যেও পড়াশোনা চালিয়ে গেছেন। অসাধারণ বুদ্ধি ও প্রতিভাবলে তিনি সব পরীক্ষায়
প্রথম হয়েছেন। লাভ করেছেন 'বিদ্যাসাগর' উপাধি।
কর্মজীবন ও কৃতিত্ব : ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে তিনি প্রধান পণ্ডিতের পদ লাভ করেন। পরে সংস্কৃত কলেজে যোগদান করেন। ঐ কলেজে প্রথমে সহ- সম্পাদক, পরে অধ্যক্ষের পদ লাভ করেন। তিনি স্কুল পরিদর্শকের পদও গ্রহণকরেছিলেন। এরপর তিনি সমাজের ও দেশের কাজে আত্মনিয়োগ করেন। বাল্যবিবাহ বন্ধ করা এবং বিধবাবিবাহ প্রবর্তন তাঁর দুটি গুরুত্বপূর্ণ সমাজ- সংস্কারমূলক কাজ। শিক্ষা বিস্তারের জন্য তিনি সারাজীবন চেষ্টা করে গেছেন। মেয়েদের শিক্ষার জন্য অনেকগুলি মেয়েদের স্কুল স্থাপন করেছিলেন। পাঠ্য বই-এর অভাব দূর করার জন্য বর্ণপরিচয়, কথামালা, সীতার বনবাস ইত্যাদি বই লিখেছিলেন। তাঁকে ‘বাংলা গদ্যের জনক' বলা হয়। তিনি পরের দুঃখ তিনি একদম সহ্য করতে পারতেন না। তেমনি অন্যায়, অবিচার, অপমান, অবহেলা সহ্য করতে পারতেন না। মায়ের প্রতি তাঁর অগাধ ভক্তি ছিল। তিনি ছিলেন দানশীল।
উপসংহার : ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দের ২৯ জুলাই বিদ্যাসাগরের মৃত্যু হয়। তিনি ছিলেন বিদ্যার সাগর, দয়ার সাগর, করুণার সাগর। ছিলেন বাঙালীর গৌরব।
রচনা
তোমার প্রিয় উৎসব / দুর্গাপূজা
ভূমিকা : দুর্গাপূজা বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড়ো উৎসব। সারা ভারতের দুর্গাপূজা হয়। সারা বছরের দুঃখ-কষ্ট, ক্লান্তি দূর করতে দেবী দুর্গা আসেন
আশ্বিন মাসে।
দেবীর বর্ণনা : দেবী দুর্গার বাহন সিংহ। তাঁর পায়ের নীচে শূলবিন্দ মহিষাসুর। দুর্গার দশটি হাত। তাঁর প্রত্যেকটি হাতেই বিভিন্ন রকম অস্ত্র। দেবীর ডানদিকে সম্পদের দেবী লক্ষ্মী, বাম দিকে বিদ্যার দেবী সরস্বতী। লক্ষ্মীর ডানা দিকে থাকেন সিদ্ধিদাতা গণেশ, সরস্বতীর বাম দিকে থাকেন দেব সেনাপতি
কার্তিক। লক্ষ্মীর বাহন পেঁচা, সরস্বতীর বাহন হাঁস। গণেশের বাহন ইঁদুর,কার্তিকের বাহন ময়ূর।
পূজার বিবরণ : সাধারণত আশ্বিন মাসে দেবীর পূজা হয়। শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠীতে দেবীর বোধন হয়। সপ্তমী, অষ্টমী, নবমীতে মহা সমারোহে দেবীর পূজা হয়। দেবীর সামনে নৈবেদ্য দিয়ে মন্ত্রপাঠ করে পূজা হয়। তার পর আরতি হয়। কোথাও কোথাও ছাগ, মহিষ বা কুমড়ো বলি দেওয়া হয়। দশমীর দিন নদী বাবড়ো জলাশয়ে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। এরপর শুরু হয় প্রীতি ও শুভেচ্ছা বিনিময় এবং আশীর্বাদ প্রার্থনা।
পূজার আনন্দ ঃ পূজা আসার অনেক আগেই শুরু হয়ে যায় কেনা কাটা। বিভিন্ন দোকানে-ভিড় বাড়তে থাকে। পূজার কয়েক দিন আগে থেকে স্কুল কলেজ অফিস সবই বন্ধ হয়ে যায়। প্রবাসীরা বাড়ি ফেরে। পূজার কয়েকদিন প্রতিমা দর্শনের জন্য পূজো মণ্ডপে খুব ভিড় হয়। সারা রাত ধরে প্রতিম৷ দর্শনের পালা চলে।
উপসংহার : এই উৎসবে শুধু বাঙালি হিন্দুরাই নয়, অন্যান্য ধর্ম ও সম্প্রদায়ের লোকেরাও অংশগ্রহণ করে।
সকল প্রশ্নের উত্তর নীচে ক্লিক করুন
2023
বাংলা চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
ENGLISH চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
সমাজ বিজ্ঞান চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
গণিত (অঙ্ক) চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
বিজ্ঞান চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
2022
বাংলা চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
ENGLISH চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
সমাজ বিজ্ঞান চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
গণিত (অঙ্ক) চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
বিজ্ঞান চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
2021(2022)
বাংলা চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
ENGLISH চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
সমাজ বিজ্ঞান চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
গণিত (অঙ্ক) চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
বিজ্ঞান চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
2019
বাংলা চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
ENGLISH চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
সমাজ বিজ্ঞান চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
গণিত (অঙ্ক) চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
বিজ্ঞান চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
2018
বাংলা চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
ENGLISH চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
সমাজ বিজ্ঞান চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
গণিত (অঙ্ক) চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
বিজ্ঞান চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
2017
বাংলা চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
ENGLISH চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
সমাজ বিজ্ঞান চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
গণিত (অঙ্ক) চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
বিজ্ঞান চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তর
2016
●●English paragraph suggestion answer